রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরাজমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।’
স্ট্রিম প্রতিবেদক
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটায় ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করেছে প্রশাসন। শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এ বিষয়ে আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভা আহ্বান করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরাজমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।’
গতকাল দুপুর থেকে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ভর্তি কমিটির সভায় শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য শর্তসাপেক্ষে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধায় (পোষ্যকোটা) ভর্তির সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর প্রতিবাদে গত শুক্রবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী কাফনের কাপড় গায়ে আমরণ অনশন শুরু করেন। পরে সেখানে আরও অন্তত ৮ জন শিক্ষার্থী যোগ দেন। অনশনকারীদের অভিযোগ, প্রশাসন রাকসু নির্বাচনের ব্যস্ততার সুযোগে গোপনে পোষ্যকোটা ফিরিয়ে এনেছে।
এরপর বেলা তিনটার দিকে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রশাসনিক ভবন থেকে বের হলে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীরা তাঁর গাড়ি আটকে দেন। পরে তিনি হেঁটে তাঁর বাসভবনের দিকে যেতে থাকেন। শিক্ষার্থীরা তাঁর বাসভবনের ফটকে তালা লাগিয়ে দিলে তিনি জুবেরী ভবনের দিকে যান। তাঁর সঙ্গে প্রক্টর মাহবুবর রহমানও ছিলেন। বিকেল সাড়ে চারটার দিক থেকে জুবেরী ভবনে উপ-উপাচার্য মাঈন উদ্দীনসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মকর্তাকে আটকে রাখেন শিক্ষার্থীরা।
এমন পরিস্থিতিতে শনিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে উপ-উপাচার্যসহ অন্য শিক্ষকদের ‘লাঞ্ছিত’ করার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে রোববার কর্মবিরতির ডাক দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি আবদুল আলিম।
এ ঘোষণার প্রতিবাদে রাতে হল থেকে বের হয়ে আসেন শিক্ষার্থীরা। হাজার হাজার নারী শিক্ষার্থী এ সময় বিক্ষোভে অংশ নেন। সাধারণত রাত ১০টা নাগাদ মেয়েদের হল বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে এদিন বাধা উপেক্ষা করে রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ হল থেকে বের হয়ে আসেন তাঁরা। একযোগে ১৭ হলের শিক্ষার্থীরা নানা স্লোগান দিতে থাকেন।
রাত সোয়া ১১ টার দিকে আন্দোলরত শিক্ষার্থীরা জুবেরী ভবন ছেড়ে এবার উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন। এতে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীনসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক প্রায় সাত ঘণ্টা পর অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্তি পান।
উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন- ‘কোটা না মেধা? মেধা মেধা’, ‘দালালি না রাজপথ? রাজপথ রাজপথ’, ‘ভিক্ষা লাগলে ভিক্ষা লাগলে ভিক্ষা নে, পোষ্য কোটার কবর দে’ ইত্যাদি।
প্রসঙ্গত, গতকাল বিকেলে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল ইস্যুতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন তাঁর গলা চেপে ধরেন বলে অভিযোগ করেছেন সাবেক সমন্বয়ক ও রাকসুতে জিএস পদপ্রার্থী সালাহউদ্দিন আম্মার।
এ বিষয়ে প্রক্টর মাহবুবর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা হাত ধরে আমাদের ঠেকানোর চেষ্টা করে। ওই মুহূর্তে আমরা সবাই স্যারসহ (উপ-উপাচার্য) ঢুকে যাওয়ার (জুবেরী ভবনে) চেষ্টা করি। তখনই এরকম একটা পরিস্থিতি (ধস্তাধস্তি) তৈরি হয় যে, হয়তো আমরা ধাক্কা দিয়েছি বা স্যার ধাক্কা দিয়েছে। ওরা বলছে যে আমাদের কোনো কর্মকর্তা নাকি ওদেরকে মেরেছে।’
প্রক্টর আরও বলেন, ‘আমি শিক্ষক হিসেবে একটা ছাত্রের হাত ধরতে পারি। কিন্তু কোনো শিক্ষার্থী প্রো-ভাইস চ্যান্সেলরকে টেনে ধরবে, তাঁকে ঢুকতে দেবে না—এটা আমি মনে করি ডেফিনেটলি শিক্ষককে লাঞ্ছিত করা।’
এ ঘটনার পর মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীনসহ আরও অনেক শিক্ষক ও কর্মকর্তাকে জুবেরী ভবনে আটকে রাখেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটায় ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করেছে প্রশাসন। শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এ বিষয়ে আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভা আহ্বান করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরাজমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।’
গতকাল দুপুর থেকে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ভর্তি কমিটির সভায় শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য শর্তসাপেক্ষে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধায় (পোষ্যকোটা) ভর্তির সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর প্রতিবাদে গত শুক্রবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী কাফনের কাপড় গায়ে আমরণ অনশন শুরু করেন। পরে সেখানে আরও অন্তত ৮ জন শিক্ষার্থী যোগ দেন। অনশনকারীদের অভিযোগ, প্রশাসন রাকসু নির্বাচনের ব্যস্ততার সুযোগে গোপনে পোষ্যকোটা ফিরিয়ে এনেছে।
এরপর বেলা তিনটার দিকে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রশাসনিক ভবন থেকে বের হলে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীরা তাঁর গাড়ি আটকে দেন। পরে তিনি হেঁটে তাঁর বাসভবনের দিকে যেতে থাকেন। শিক্ষার্থীরা তাঁর বাসভবনের ফটকে তালা লাগিয়ে দিলে তিনি জুবেরী ভবনের দিকে যান। তাঁর সঙ্গে প্রক্টর মাহবুবর রহমানও ছিলেন। বিকেল সাড়ে চারটার দিক থেকে জুবেরী ভবনে উপ-উপাচার্য মাঈন উদ্দীনসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মকর্তাকে আটকে রাখেন শিক্ষার্থীরা।
এমন পরিস্থিতিতে শনিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে উপ-উপাচার্যসহ অন্য শিক্ষকদের ‘লাঞ্ছিত’ করার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে রোববার কর্মবিরতির ডাক দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি আবদুল আলিম।
এ ঘোষণার প্রতিবাদে রাতে হল থেকে বের হয়ে আসেন শিক্ষার্থীরা। হাজার হাজার নারী শিক্ষার্থী এ সময় বিক্ষোভে অংশ নেন। সাধারণত রাত ১০টা নাগাদ মেয়েদের হল বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে এদিন বাধা উপেক্ষা করে রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ হল থেকে বের হয়ে আসেন তাঁরা। একযোগে ১৭ হলের শিক্ষার্থীরা নানা স্লোগান দিতে থাকেন।
রাত সোয়া ১১ টার দিকে আন্দোলরত শিক্ষার্থীরা জুবেরী ভবন ছেড়ে এবার উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন। এতে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীনসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক প্রায় সাত ঘণ্টা পর অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্তি পান।
উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন- ‘কোটা না মেধা? মেধা মেধা’, ‘দালালি না রাজপথ? রাজপথ রাজপথ’, ‘ভিক্ষা লাগলে ভিক্ষা লাগলে ভিক্ষা নে, পোষ্য কোটার কবর দে’ ইত্যাদি।
প্রসঙ্গত, গতকাল বিকেলে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল ইস্যুতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন তাঁর গলা চেপে ধরেন বলে অভিযোগ করেছেন সাবেক সমন্বয়ক ও রাকসুতে জিএস পদপ্রার্থী সালাহউদ্দিন আম্মার।
এ বিষয়ে প্রক্টর মাহবুবর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা হাত ধরে আমাদের ঠেকানোর চেষ্টা করে। ওই মুহূর্তে আমরা সবাই স্যারসহ (উপ-উপাচার্য) ঢুকে যাওয়ার (জুবেরী ভবনে) চেষ্টা করি। তখনই এরকম একটা পরিস্থিতি (ধস্তাধস্তি) তৈরি হয় যে, হয়তো আমরা ধাক্কা দিয়েছি বা স্যার ধাক্কা দিয়েছে। ওরা বলছে যে আমাদের কোনো কর্মকর্তা নাকি ওদেরকে মেরেছে।’
প্রক্টর আরও বলেন, ‘আমি শিক্ষক হিসেবে একটা ছাত্রের হাত ধরতে পারি। কিন্তু কোনো শিক্ষার্থী প্রো-ভাইস চ্যান্সেলরকে টেনে ধরবে, তাঁকে ঢুকতে দেবে না—এটা আমি মনে করি ডেফিনেটলি শিক্ষককে লাঞ্ছিত করা।’
এ ঘটনার পর মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীনসহ আরও অনেক শিক্ষক ও কর্মকর্তাকে জুবেরী ভবনে আটকে রাখেন শিক্ষার্থীরা।
এডিস মশা বাহিত ডেঙ্গু আর এখন কেবল মৌসুমি বা শহুরে কোনো রোগ নয়। এটি সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এবং প্রায় সব মৌসুমেই মানুষের জীবনে ঝুঁকি সৃষ্টি করছে।
৪ ঘণ্টা আগেবিশ্বব্যাপী রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে মনোযোগ যখন কমে আসছে, তখন এই বিষয়টিকে নতুন দৃষ্টিভঙ্গিতে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন সাংবাদিক, কূটনীতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।
৫ ঘণ্টা আগেজুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় ও পদ্ধতি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আবারও সভা করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আজ শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদের এলডি হলে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
৬ ঘণ্টা আগেরাজধানীর বিভিন্ন থানায় দায়ের হওয়া ২৯টি মামলার আসামি মো. বশির ওরফে কামরুল হাসান ওরফে জুয়েল (৫৩) গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
৬ ঘণ্টা আগে