অভিবাসন নীতির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ধাক্কা
স্ট্রিম ডেস্ক
নতুন এক নির্বাহী আদেশে জনপ্রিয় এইচ-১বি ভিসা প্রোগ্রামে বড়সড় পরিবর্তন আনলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এখন থেকে দক্ষ বিদেশি কর্মীদের এই ভিসার জন্য আবেদন করতে বছরে দিতে হবে ১ লাখ ডলার (প্রায় ১ কোটি ২১ কোটি টাকা)।
এইচ-১বি ভিসা হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি অ-অভিবাসী ভিসা, যা নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানকে বিশেষ পেশায় বিদেশি কর্মী নিয়োগের অনুমতি দেয়। সরকারকে এ জন্য নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট ফি দিতে হয়।
ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, এই ফি প্রোগ্রামের ‘অপব্যবহার’ ঠেকাতে এবং মার্কিন নাগরিকদের চাকরির সুযোগ রক্ষার জন্য আরোপ করা হয়েছে। ফি না দিলে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি মিলবে না।
কোম্পানিগুলোর জন্য বড় চাপ
মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক জানিয়েছেন, নতুন নিয়ম ২১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে। এটি কেবল নতুন আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। তবে একবার ভিসা অনুমোদিত হলে কোম্পানিগুলোকে পরবর্তী ছয় বছর ধরে প্রতিবছর একই পরিমাণ অর্থ দিতে হবে।
হাওয়ার্ড লুটনিক বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানগুলোকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে সরকারকে বছরে ১ লাখ ডলার দেওয়ার মতো মূল্যবান কি না। না হলে তাদের দেশে কর্মী নিয়োগের চেষ্টা করতে হবে।’
এতদিন এইচ-১বি ভিসার জন্য বিভিন্ন প্রশাসনিক খরচ মিলে গড়ে দেড় হাজার ডলার দিতে হতো। নতুন সিদ্ধান্তে ফি বেড়ে দাঁড়াল প্রায় ৬৬ গুণ বেশি।
বড় কোম্পানিরাই বেশি ব্যবহার করে
২০০৪ সাল থেকে এইচ-১বি ভিসা দেওয়া হয় বছরে ৮৫ হাজার। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব ও অভিবাসন দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে আবেদন নেমে এসেছে ৩ লাখ ৫৯ হাজারে—যা চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
গত অর্থ বছরে সবচেয়ে বেশি ভিসা সুবিধা নিয়েছে অ্যামাজন। এরপর রয়েছে টাটা, মাইক্রোসফট, মেটা, অ্যাপল ও গুগল।
নতুন ঘোষণার পর শুক্রবার অ্যামাজন তাদের কর্মীদের সতর্ক করেছে। যাদের এইচ-১বি ভিসা রয়েছে, তারা যেন যুক্তরাষ্ট্রেই থাকেন। যারা দেশের বাইরে আছেন, তারা যেন নতুন নিয়ম কার্যকর হওয়ার আগে ফিরতে চেষ্টা করেন। সময়মতো ফিরতে না পারলে আপাতত দেশে ঢোকার চেষ্টা না করতে পরামর্শ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
ভারতের উদ্বেগ, ব্যবসায় অনিশ্চয়তা
ভারতের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন ন্যাসকম জানিয়েছে, হঠাৎ করে ঘোষিত এই নিয়ম বিশ্বজুড়ে ব্যবসা, পেশাজীবী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে বড় ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত বছর অনুমোদিত এইচ-১বি ভিসার ৭১ শতাংশই পেয়েছে ভারতীয়রা। দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল চীন (১১.৭%) ।
সমালোচনা বাড়ছে
অভিবাসন আইনজীবী তাহমিনা ওয়াটসন বিবিসিকে বলেন, ‘এই বিশাল অঙ্কের ফি ছোট ও মাঝারি ব্যবসার জন্য কফিনে শেষ পেরেকের মতো হবে। প্রায় সবাইকেই এর বাইরে চলে যেতে হবে।’ তিনি মনে করিয়ে দেন, অনেক ছোট কোম্পানি প্রকৃতপক্ষে দেশে উপযুক্ত কর্মী না পাওয়ায় বিদেশি কর্মী নিয়োগ করে।
লিটলার মেন্ডেলসন পিসির আইনজীবী জর্জ লোপেজ সতর্ক করেছেন, বছরে ১ লাখ ডলার ফি প্রযুক্তিখাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানকে দুর্বল করবে। এতে অনেক প্রতিষ্ঠান বিদেশে অফিস স্থাপনের কথা ভাবতে পারে।
ট্রাম্পের অবস্থান ও অতীত পদক্ষেপ
এইচ-১বি নিয়ে ট্রাম্প শিবিরে দীর্ঘদিন ধরেই মতবিরোধ ছিল। কেউ কেউ এই ভিসাকে সমর্থন করেছেন, কেউবা বিরোধিতা করেছেন। ট্রাম্প নিজেও বলেছেন, তিনি দুই পক্ষের যুক্তিই বোঝেন।
২০১৭ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় এসে ট্রাম্প ভিসা আবেদন যাচাই প্রক্রিয়ায় কঠোরতা বাড়ান। ফলে ২০১৮ অর্থবছরে আবেদন বাতিলের হার বেড়ে যায় ২৪ শতাংশে। ওবামা আমলে তা ছিল পাঁচ থেকে আট শতাংশ। বাইডেন আমলে তা দুই থেকে চার শতাংশে নেমে আসে। তখন প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেছিল।
এবারের নতুন ফি-নীতিকে অনেকেই অভিবাসন নীতির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ধাক্কা বলে মনে করছেন।
বিবিসি অবলম্বনে
নতুন এক নির্বাহী আদেশে জনপ্রিয় এইচ-১বি ভিসা প্রোগ্রামে বড়সড় পরিবর্তন আনলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এখন থেকে দক্ষ বিদেশি কর্মীদের এই ভিসার জন্য আবেদন করতে বছরে দিতে হবে ১ লাখ ডলার (প্রায় ১ কোটি ২১ কোটি টাকা)।
এইচ-১বি ভিসা হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি অ-অভিবাসী ভিসা, যা নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানকে বিশেষ পেশায় বিদেশি কর্মী নিয়োগের অনুমতি দেয়। সরকারকে এ জন্য নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট ফি দিতে হয়।
ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, এই ফি প্রোগ্রামের ‘অপব্যবহার’ ঠেকাতে এবং মার্কিন নাগরিকদের চাকরির সুযোগ রক্ষার জন্য আরোপ করা হয়েছে। ফি না দিলে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি মিলবে না।
কোম্পানিগুলোর জন্য বড় চাপ
মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক জানিয়েছেন, নতুন নিয়ম ২১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে। এটি কেবল নতুন আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। তবে একবার ভিসা অনুমোদিত হলে কোম্পানিগুলোকে পরবর্তী ছয় বছর ধরে প্রতিবছর একই পরিমাণ অর্থ দিতে হবে।
হাওয়ার্ড লুটনিক বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানগুলোকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে সরকারকে বছরে ১ লাখ ডলার দেওয়ার মতো মূল্যবান কি না। না হলে তাদের দেশে কর্মী নিয়োগের চেষ্টা করতে হবে।’
এতদিন এইচ-১বি ভিসার জন্য বিভিন্ন প্রশাসনিক খরচ মিলে গড়ে দেড় হাজার ডলার দিতে হতো। নতুন সিদ্ধান্তে ফি বেড়ে দাঁড়াল প্রায় ৬৬ গুণ বেশি।
বড় কোম্পানিরাই বেশি ব্যবহার করে
২০০৪ সাল থেকে এইচ-১বি ভিসা দেওয়া হয় বছরে ৮৫ হাজার। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব ও অভিবাসন দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে আবেদন নেমে এসেছে ৩ লাখ ৫৯ হাজারে—যা চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
গত অর্থ বছরে সবচেয়ে বেশি ভিসা সুবিধা নিয়েছে অ্যামাজন। এরপর রয়েছে টাটা, মাইক্রোসফট, মেটা, অ্যাপল ও গুগল।
নতুন ঘোষণার পর শুক্রবার অ্যামাজন তাদের কর্মীদের সতর্ক করেছে। যাদের এইচ-১বি ভিসা রয়েছে, তারা যেন যুক্তরাষ্ট্রেই থাকেন। যারা দেশের বাইরে আছেন, তারা যেন নতুন নিয়ম কার্যকর হওয়ার আগে ফিরতে চেষ্টা করেন। সময়মতো ফিরতে না পারলে আপাতত দেশে ঢোকার চেষ্টা না করতে পরামর্শ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
ভারতের উদ্বেগ, ব্যবসায় অনিশ্চয়তা
ভারতের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন ন্যাসকম জানিয়েছে, হঠাৎ করে ঘোষিত এই নিয়ম বিশ্বজুড়ে ব্যবসা, পেশাজীবী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে বড় ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত বছর অনুমোদিত এইচ-১বি ভিসার ৭১ শতাংশই পেয়েছে ভারতীয়রা। দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল চীন (১১.৭%) ।
সমালোচনা বাড়ছে
অভিবাসন আইনজীবী তাহমিনা ওয়াটসন বিবিসিকে বলেন, ‘এই বিশাল অঙ্কের ফি ছোট ও মাঝারি ব্যবসার জন্য কফিনে শেষ পেরেকের মতো হবে। প্রায় সবাইকেই এর বাইরে চলে যেতে হবে।’ তিনি মনে করিয়ে দেন, অনেক ছোট কোম্পানি প্রকৃতপক্ষে দেশে উপযুক্ত কর্মী না পাওয়ায় বিদেশি কর্মী নিয়োগ করে।
লিটলার মেন্ডেলসন পিসির আইনজীবী জর্জ লোপেজ সতর্ক করেছেন, বছরে ১ লাখ ডলার ফি প্রযুক্তিখাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানকে দুর্বল করবে। এতে অনেক প্রতিষ্ঠান বিদেশে অফিস স্থাপনের কথা ভাবতে পারে।
ট্রাম্পের অবস্থান ও অতীত পদক্ষেপ
এইচ-১বি নিয়ে ট্রাম্প শিবিরে দীর্ঘদিন ধরেই মতবিরোধ ছিল। কেউ কেউ এই ভিসাকে সমর্থন করেছেন, কেউবা বিরোধিতা করেছেন। ট্রাম্প নিজেও বলেছেন, তিনি দুই পক্ষের যুক্তিই বোঝেন।
২০১৭ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় এসে ট্রাম্প ভিসা আবেদন যাচাই প্রক্রিয়ায় কঠোরতা বাড়ান। ফলে ২০১৮ অর্থবছরে আবেদন বাতিলের হার বেড়ে যায় ২৪ শতাংশে। ওবামা আমলে তা ছিল পাঁচ থেকে আট শতাংশ। বাইডেন আমলে তা দুই থেকে চার শতাংশে নেমে আসে। তখন প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেছিল।
এবারের নতুন ফি-নীতিকে অনেকেই অভিবাসন নীতির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ধাক্কা বলে মনে করছেন।
বিবিসি অবলম্বনে
ইউরোপের বেশ কয়েকটি ব্যস্ততম বিমানবন্দরে যাত্রীদের চেক-ইন ও বোর্ডিং পরিষেবা দেওয়া সফটওয়্যার কলিনস অ্যারোস্পেস সাইবার হামলার শিকার হয়েছে। এতে হিথ্রো, বার্লিন ও ব্রাসেলসসহ একাধিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট বাতিল ও বিলম্বিত হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেসুদানের দারফুর অঞ্চলের রাজধানী এল-ফাশেরে একটি মসজিদে ভয়াবহ ড্রোন হামলায় অন্তত ৭৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
১২ ঘণ্টা আগেপ্রতিবেদনে বলা হয়, পর্যালোচনাকালীন সময়ে বাংলাদেশে অরাজনৈতিক অন্তর্বর্তী সরকার আগের সরকারকে প্রতিস্থাপন করেছে। তারা আগের সরকারের বাজেট সুপারিশ ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছে এবং আর্থিক স্বচ্ছতা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার শুরু করেছে।
১৩ ঘণ্টা আগে