'মুসলিম লীগ সাম্প্রদায়িক ছিল, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ছিল জাতীয় দল। মুসলিম লীগ বিভাজন সমর্থন করেছিল, কংগ্রেস করেনি। কোন ভিত্তিতে আমরা বলতে পারি যে উভয়ই এক?'—প্রশ্ন রেখে ইরফান হাবিব বলেন, 'সাম্প্রদায়িক সমস্যা কমিউনিস্টরা ভালোভাবে সামলায়নি'।
স্ট্রিম ডেস্ক
প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ ইরফান হাবিব বলেছেন, অবিভক্ত ভারতে কমিউনিস্টরা মুসলিম লীগ ও কংগ্রেসকে সমান করে দেখে কৌশলগত ভুল করেছিল।
কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়ার (মার্কসবাদী) সাবেক সাধারণ সম্পাদকের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দিল্লির সুরজিত ভবনে সম্প্রতি আয়োজিত সীতারাম ইয়েচুরি স্মারক বক্তৃতার উদ্বোধনী আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন। তাঁর বক্তৃতার বিষয় ছিল ‘জাতীয় আন্দোলনে বামপন্থীদের ভূমিকা এবং তার উত্তরাধিকার’।
ইরফান হাবিব বলেন, '১৯৩০-১৯৪৭ পর্যন্ত কংগ্রেস অবিলম্বে ও পূর্ণ স্বাধীনতা চেয়েছিল এবং মুসলিম লীগ মুসলমানদের অংশীদারত্ব দাবি করেছিল।' তিনি বলেন, যুক্তি দিয়ে কমিউনিস্টরা কংগ্রেসের আহ্বান সমর্থন করলেও ভুলভাবে উভয় রাজনৈতিক সংগঠনকে সমান করে দেখেছিল।
ইরফান হাবিব তাঁর শ্রোতাদের ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানান। ভারতীয় কমিউনিস্ট আন্দোলনের ভূমিকার ওপর ছায়া ফেলেছে—এমন অধ্যায়গুলোর বিশ্লেষণ জরুরি বলে মনে করেন তিনি।
নিজেকে একজন বামপন্থী বুদ্ধিজীবী হিসেবে চিহ্নিত করে এই প্রবীণ অধ্যাপক বলেন, আমাদের দুর্বলতাগুলো খতিয়ে দেখার সময় এসেছে।
'মুসলিম লীগ সাম্প্রদায়িক ছিল, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ছিল জাতীয় দল। মুসলিম লীগ বিভাজন সমর্থন করেছিল, কংগ্রেস করেনি। কোন ভিত্তিতে আমরা বলতে পারি যে উভয়ই এক?'—প্রশ্ন রেখে ইরফান হাবিব বলেন, 'সাম্প্রদায়িক সমস্যা কমিউনিস্টরা ভালোভাবে সামলায়নি'।
এ বছর ইরফান হাবিব ৯০-এ পা রেখেছেন। মস্তিষ্ক এখনো সচল, ক্ষুরধার। স্মৃতিপটে এতটুকুও কুয়াশা জমেনি।
বক্তৃতায় হাবিব বলেন, মার্কসবাদী ঐতিহাসিক লেখায় মধ্যপন্থী কংগ্রেস নেতা দাদাভাই নওরোজি ও আর সি দত্তের অপরিসীম অবদানকে যথাযথ স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি।
'ভারতে কমিউনিস্ট আন্দোলনের আগে ব্রিটিশ উপনিবেশবাদের সমালোচনা ছিল। কার্ল মার্ক্স ও ফ্রেডরিখ এঙ্গেলস ঊনবিংশ শতকের ৪০-এর দশকে উপনিবেশবাদের সমালোচনা করেছিলেন। কিন্তু নওরোজি ও আর সি দত্ত সেই সমালোচনা ভারতে বিকশিত করেছিলেন। আমাদের তাঁদেরকেও উদযাপন করা উচিত', বলেন হাবিব। বক্তৃতায় তিনি বলেন, 'সাম্প্রদায়িক সমস্যা কমিউনিস্টরা ভালোভাবে সামলায়নি'।
তিনি আরও বলেন, 'যখন কমিউনিস্টরা একটি বিতর্কিত রাজনৈতিক লাইন অনুসরণ করছিল, সে সময়ে আর পি দত্ত তাঁর যুগান্তকারী বই "ইন্ডিয়া টুডে"-এর (১৯৪০-এ প্রকাশিত) একটি অধ্যায়ে বিষয়টি তুলে আনেন। বইয়ে তিনি বলেছিলেন, কেন ভারতকে ধর্মীয় লাইনে বিভক্ত করা উচিত নয়।'
তবে, বইটি তৎকালীন কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়ার সাধারণ সম্পাদক পি সি যোশী দ্বারা উপেক্ষিত হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন অধ্যাপক ইরফান।
১৯৪২ সালে কংগ্রেসের ভারত ছাড়ো আন্দোলন 'ভুল সময়ে' শুরু করা হয়েছিল মন্তব্য করে ইরফান হাবিব বলেন, কংগ্রেস এমন সময় ভারত ছাড়ো আন্দোলনের ডাক দেয় যখন জাপানি বাহিনী ভারতের সীমান্তে ঘোরাঘুরি করছিল। তাঁর মতে, কমিউনিস্টরা সঠিকভাবে ফ্যাসিস্ট বাহিনীকে তাদের প্রথম শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করেছিল।
ইরফান হাবিব জোর দিয়ে বলেন, অতীতের ভুলচুক নিয়েই ভারতীয় বামপন্থী আন্দোলনের উত্তরাধিকার আজও প্রাসঙ্গিক। তিনি তরুণদের মার্কসবাদী বিষয়গুলো পড়ার অনুরোধ করেন, যাতে অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতের জন্য একটি শক্তিশালী বামপন্থী দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলা যায়।
প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ ইরফান হাবিব বলেছেন, অবিভক্ত ভারতে কমিউনিস্টরা মুসলিম লীগ ও কংগ্রেসকে সমান করে দেখে কৌশলগত ভুল করেছিল।
কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়ার (মার্কসবাদী) সাবেক সাধারণ সম্পাদকের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দিল্লির সুরজিত ভবনে সম্প্রতি আয়োজিত সীতারাম ইয়েচুরি স্মারক বক্তৃতার উদ্বোধনী আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন। তাঁর বক্তৃতার বিষয় ছিল ‘জাতীয় আন্দোলনে বামপন্থীদের ভূমিকা এবং তার উত্তরাধিকার’।
ইরফান হাবিব বলেন, '১৯৩০-১৯৪৭ পর্যন্ত কংগ্রেস অবিলম্বে ও পূর্ণ স্বাধীনতা চেয়েছিল এবং মুসলিম লীগ মুসলমানদের অংশীদারত্ব দাবি করেছিল।' তিনি বলেন, যুক্তি দিয়ে কমিউনিস্টরা কংগ্রেসের আহ্বান সমর্থন করলেও ভুলভাবে উভয় রাজনৈতিক সংগঠনকে সমান করে দেখেছিল।
ইরফান হাবিব তাঁর শ্রোতাদের ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানান। ভারতীয় কমিউনিস্ট আন্দোলনের ভূমিকার ওপর ছায়া ফেলেছে—এমন অধ্যায়গুলোর বিশ্লেষণ জরুরি বলে মনে করেন তিনি।
নিজেকে একজন বামপন্থী বুদ্ধিজীবী হিসেবে চিহ্নিত করে এই প্রবীণ অধ্যাপক বলেন, আমাদের দুর্বলতাগুলো খতিয়ে দেখার সময় এসেছে।
'মুসলিম লীগ সাম্প্রদায়িক ছিল, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ছিল জাতীয় দল। মুসলিম লীগ বিভাজন সমর্থন করেছিল, কংগ্রেস করেনি। কোন ভিত্তিতে আমরা বলতে পারি যে উভয়ই এক?'—প্রশ্ন রেখে ইরফান হাবিব বলেন, 'সাম্প্রদায়িক সমস্যা কমিউনিস্টরা ভালোভাবে সামলায়নি'।
এ বছর ইরফান হাবিব ৯০-এ পা রেখেছেন। মস্তিষ্ক এখনো সচল, ক্ষুরধার। স্মৃতিপটে এতটুকুও কুয়াশা জমেনি।
বক্তৃতায় হাবিব বলেন, মার্কসবাদী ঐতিহাসিক লেখায় মধ্যপন্থী কংগ্রেস নেতা দাদাভাই নওরোজি ও আর সি দত্তের অপরিসীম অবদানকে যথাযথ স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি।
'ভারতে কমিউনিস্ট আন্দোলনের আগে ব্রিটিশ উপনিবেশবাদের সমালোচনা ছিল। কার্ল মার্ক্স ও ফ্রেডরিখ এঙ্গেলস ঊনবিংশ শতকের ৪০-এর দশকে উপনিবেশবাদের সমালোচনা করেছিলেন। কিন্তু নওরোজি ও আর সি দত্ত সেই সমালোচনা ভারতে বিকশিত করেছিলেন। আমাদের তাঁদেরকেও উদযাপন করা উচিত', বলেন হাবিব। বক্তৃতায় তিনি বলেন, 'সাম্প্রদায়িক সমস্যা কমিউনিস্টরা ভালোভাবে সামলায়নি'।
তিনি আরও বলেন, 'যখন কমিউনিস্টরা একটি বিতর্কিত রাজনৈতিক লাইন অনুসরণ করছিল, সে সময়ে আর পি দত্ত তাঁর যুগান্তকারী বই "ইন্ডিয়া টুডে"-এর (১৯৪০-এ প্রকাশিত) একটি অধ্যায়ে বিষয়টি তুলে আনেন। বইয়ে তিনি বলেছিলেন, কেন ভারতকে ধর্মীয় লাইনে বিভক্ত করা উচিত নয়।'
তবে, বইটি তৎকালীন কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়ার সাধারণ সম্পাদক পি সি যোশী দ্বারা উপেক্ষিত হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন অধ্যাপক ইরফান।
১৯৪২ সালে কংগ্রেসের ভারত ছাড়ো আন্দোলন 'ভুল সময়ে' শুরু করা হয়েছিল মন্তব্য করে ইরফান হাবিব বলেন, কংগ্রেস এমন সময় ভারত ছাড়ো আন্দোলনের ডাক দেয় যখন জাপানি বাহিনী ভারতের সীমান্তে ঘোরাঘুরি করছিল। তাঁর মতে, কমিউনিস্টরা সঠিকভাবে ফ্যাসিস্ট বাহিনীকে তাদের প্রথম শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করেছিল।
ইরফান হাবিব জোর দিয়ে বলেন, অতীতের ভুলচুক নিয়েই ভারতীয় বামপন্থী আন্দোলনের উত্তরাধিকার আজও প্রাসঙ্গিক। তিনি তরুণদের মার্কসবাদী বিষয়গুলো পড়ার অনুরোধ করেন, যাতে অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতের জন্য একটি শক্তিশালী বামপন্থী দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলা যায়।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে ছয় দফা দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম প্যানেল’। এসব দাবির মধ্যে রয়েছে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোট গণনা ও স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ব্যবহারের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
২৪ মিনিট আগেনতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে দুই ঘন্টা অবরোধ করে রাখার পর রাজধানীর সাতরাস্তা মোড় ছেড়েছেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে এবং গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে কর্মসূচি পালন করবেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগেকার্যক্রম নিষিদ্ধঘোষিত দল বা সংগঠনের কোনো মিছিল চলাকালে সেই দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করতে পারলে জনপ্রতি পাঁচ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরের পর থেকে পুলিশের ওয়ারলেস বার্তায় এমন ঘোষণা দেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগেন্যায়সঙ্গত ও অধিক ভারসাম্যপূর্ণ বৈশ্বিক শাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশকেও গ্লোবাল গভর্ন্যান্স ইনিশিয়েটিভে (জিজিআই) অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছে চীন।
২ ঘণ্টা আগে