leadT1ad

ফ্যাসিবাদের সহযোগী বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের গ্রেপ্তার করতে হবে: নাহিদ ইসলাম

পুলিশ, র‍্যাব, সেনাবাহিনী ও ডিজিএফআইসহ বিভিন্ন বাহিনীর যেসব সদস্য হত্যাকাণ্ড ও গুমে জড়িত এবং আওয়ামী লীগকে ফ্যাসিবাদী হতে সহযোগিতা করেছেন, তাঁদের গ্রেপ্তার দাবি জানিয়েছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম নায়ক নাহিদ ইসলাম।

স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা
নাহিদ ইসলাম। সংগৃহীত ছবি

পুলিশ, র‍্যাব, সেনাবাহিনী ও ডিজিএফআইসহ বিভিন্ন বাহিনীর যেসব সদস্য হত্যাকাণ্ড ও গুমে জড়িত এবং আওয়ামী লীগকে ফ্যাসিবাদী হতে সহযোগিতা করেছেন, তাঁদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম নায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, ‌'সেনাবাহিনীর বিভিন্ন অফিসার, র‍্যাবে যাঁরা ছিল, ডিজিএফআইতে যাঁরা ছিল, তাঁরা গুমের ঘটনায় এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যে নেতিবাচক ভূমিকা পালন করেছে, আপনারা রামপুরা-বাড্ডার ঘটনায় দেখেছেন; বিজিবির একজন আর্মি অফিসার, তাকে এখনো গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। ফলে ট্রাইব্যুনালের কাছে, সরকারের কাছে আমাদের আবেদন থাকবে—যে অপরাধী তাকে যেন বিচারের আওতায় আনা হয়। সে কোন বাহিনীর সেটা যাতে দেখা না হয়।'

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন। এর আগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ট্রাইব্যুনালে পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলায় জবানবন্দি দেন। এরপর জবানবন্দি গ্রহণ অসমাপ্ত অবস্থায় শুনানি আগামীকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল থেকে বেরিয়ে নাহিদ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন।

এ সময় তিনি বলেন, 'যারা এই জনগণের ওপর হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে, গুম করেছে, নির্যাতন করেছে, এবং সরকারকে ফ্যাসিবাদী হতে সহায়তা করেছে, ক্ষমতায় থাকতে সহায়তা করেছে; তাদের সকলকে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করতে হবে এবং বিচার নিশ্চিত করতে হবে।'

নাহিদ বলেন, আমি বলেছি যে এখন পর্যন্ত (অনুষ্ঠিত) ট্রাইব্যুনালের বিচার কাজে আমরা সন্তুষ্টি জ্ঞাপন করছি। মামলা কিন্তু আরও অনেকগুলো। এটা (গণহত্যার অভিযোগে হাসিনার বিরুদ্ধে) কিন্তু একটা মাত্র মামলা। ট্রাইব্যুনালে অনেক মামলা রয়েছে, সাধারণ কোর্টে আরও অনেক মামলা রয়েছে, গুমের মামলা রয়েছে। ফলে এই বিচারটাকে সার্বিকভাবে দেখতে হবে।

এক্ষেত্রে নাহিদের বক্তব্য হলো, 'পুলিশ, মিলিটারিসহ অন্যান্য বাহিনীর যাঁরা এই জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও গুমের ঘটনায় যুক্ত, তাঁদের যাতে বিচারের আওতায় আনা হয়। কোনো বাহিনী থেকে যাতে কেউ পার পেয়ে না যায়, সেটা আমাদের কাছে স্পষ্ট থাকতে হবে। কারণ, আমরা দেখেছি, গুমের ঘটনায় অনেক অভিযোগ এসেছে, আমি নিজে অভিযোগ দিয়েছি—ডিজিএফআইয়ের যেসব অফিসার আমাকে তুলে নিয়ে গেছে, বা আমাকে হেনস্তা করেছে।'

এনসিপি নেতা বলেন, 'এত মানুষ, এত আমাদের ভাইবোনেরা শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন, রক্ত দিয়েছেন। আমরা সকলেই ন্যায়বিচার পাব (আশা করছি), যাঁরা এই হত্যায় জড়িত, আওয়ামী লীগ, পুলিশসহ যাঁরা জড়িত, তাঁরা বিচারের আওতায় আসবে, তাদের শাস্তি হবে। (এই বিচার অনুষ্ঠিত হলে) এটা ন্যায়বিচারের একটা নিদর্শন হয়ে থাকবে, বাংলাদেশের জন্যই নয়, সারা পৃথিবীর জন্য। যে বা যাঁরা স্বৈরশাসন কায়েম করতে চায়, জনগণের ওপর আক্রমণ চালায়, জনগণকে হত্যা করে, তাঁর পরিণতি আসলে কী হয়।'

তিনি আরও বলেন, 'আমি বলেছি যে, এখন পর্যন্ত (অনুষ্ঠিত) ট্রাইব্যুনালের বিচার কাজে আমরা সন্তুষ্টি জ্ঞাপন করছি। মামলা কিন্তু আরও অনেকগুলো। এটা (গণহত্যার অভিযোগে হাসিনার বিরুদ্ধে) কিন্তু একটা মাত্র মামলা। ট্রাইব্যুনালে অনেক মামলা রয়েছে, সাধারণ কোর্টে আরও অনেক মামলা রয়েছে, গুমের মামলা রয়েছে। ফলে এই বিচারটাকে সার্বিকভাবে দেখতে হবে। কারণ সাধারণ কোর্টে যে মামলাগুলো, সেই মামলাগুলো সম্পর্কে কিন্তু আমরা তেমন ইতিবাচক কোনো কথা শুনতে পারছি না, শহীদ পরিবারের সঙ্গে যখন কথা বলি (তখন)। (এসব মামলায়) অনেকে জামিন নিয়ে বের হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটতেছে। সরকারের এ বিষয়ে প্ল্যান কী, আমরা আসলে জানতে পারছি না। ফলে সেই মামলাগুলো যাতে যথাযথ গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়, এটা আমাদের আবেদন থাকবে।'

Ad 300x250

সম্পর্কিত