leadT1ad

আলোচিত ‘খলিল গোস্ত বিতানে’ মরা গরু জবাইয়ের অভিযোগ

স্ট্রিম প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭: ২৩
খলিল মাংস বিতান। ছবি: সংগৃহীত

বাজার মূল্যের চেয়ে তুলনামূলক কম দামে গরুর মাংস বিক্রি করে আলোচনায় আসেন রাজধানীর উত্তর শাহজাহানপুরের মাংস ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান। তাঁর প্রতিষ্ঠান সেই ‘খলিল গোস্ত বিতান’-এর বিরুদ্ধে সম্প্রতি মরা গরু জবাই করে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।

তবে খলিলের দাবি, মরা গরু জবাই করা হয়নি। এই ঘটনার জেরে তিনি ইতিমধ্যে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন বলে জানিয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫ টার দিকে খলিল গোস্ত বিতানের সামনে একটি গরু জবাই করা হয়। জবাইয়ের সময় করা একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়ানো হয়। সেই ভিডিওতে দাবি করা হয়, জবাই করার আগেই গরুটি মারা গিয়েছিল।

ভিডিওটিতে দেখা যায়, জবাইয়ের আগে বাঁধা হলে হঠাৎ গরুটি নিস্তেজ হয়ে যায়। চোখ বড় করে জিহ্বা বের করে দেয় গরুটি। জবাইয়ের কিছু সময় আগে-পরে কোনো নড়াচড়াও ভিডিওতে দেখা যায়নি।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে প্রথমে নিউজ করতে মানা করেন খলিলুর রহমান। তিনি স্ট্রিমকে বলেন, ‘যার যা খুশি ছড়াক, এসব নিয়ে নিউজ কইরেন না।’

পরে খলিল বলেন, ‘এইখানে অনেক লোক ছিল। তাঁদের সামনে গরুটা জবাই করা হইছে। এখানে একজন ম্যাজিস্ট্রেট ছিল, দুদকের কর্মকর্তা ছিল। নির্বাহী কর্মকর্তা ছিল প্রায় ১৫-১৬ জন। প্রতিটা গরু জবাই হওয়ার আগ পর্যন্ত উনারা সবাই ছিল। তাইলে এই গরু মরা হয় কীভাবে? আমি অলরেডি থানায় জিডি করছি। আজ হাইকোর্ট যাইতেছি। যিনি এই তথ্য ছড়িয়েছেন, তাঁকে ধরার ব্যবস্থা করতেছি।’

গরুটি জীবিত হলে এই তথ্য কেন ছড়ানো হলো প্রশ্ন করলে খলিল বলেন, ‘উনার কাছে মনে হয় আমি গ্রহণযোগ্য না।’

এদিকে, আজ মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) শাহজাহানপুর থানার ডিউটি অফিসার স্ট্রিমকে জানিয়েছেন, গত রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ এনে একটি জিডি করা হয়েছে।

এসব বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে শাহজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন স্ট্রিমকে বলেন, ‘এই ঘটনায় একটা জিডি করা হয়েছে। আমরা তদন্ত করছি। কে এই তথ্য ছড়িয়েছে, কেন ছড়িয়েছে, ঘটনাটা সত্য না মিথ্যা—সেটা আমরা খুঁজে বের করব।’

Ad 300x250

সম্পর্কিত