স্ট্রিম গোলটেবিল বৈঠক : ‘দ্য গ্যাঞ্জেস টক: ইউএন ওয়াটার কনভেনশন ১৯৯২’
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ভারতের সঙ্গে গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি নবায়নের সময় ঘনিয়ে আসছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু দ্বিপাক্ষিক নয়, বহুপাক্ষিক কূটনীতি, আইনি পদক্ষেপ ও রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তিকে কাজে লাগিয়েই গঙ্গা-পদ্মার পানি নিয়ে জাতীয় স্বার্থ রক্ষা সম্ভব হবে। যৌথ নদী কমিশনকে (জেআরসি) শক্তিশালী করার বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে সুশীল সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। আর জেআরসিকে পররাষ্ট্র ও জাতীয় নিরাপত্তা নীতির সঙ্গে সহাবস্থানে আনতে হবে।
গতকাল ২৯ সেপ্টেম্বর রোববার রাতে ঢাকা স্ট্রিমের কার্যালয়ে ‘দ্য গ্যাঞ্জেস টক : ইউএন ওয়াটার কনভেনশন ১৯৯২’ শিরোনামে এক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন। ঢাকা স্ট্রিম ও আরডিআরসির উদ্যোগে রাত সোয়া আটটায় শুরু হওয়া এই গোলটেবিল বৈঠকের প্রথমে নতুন সময়ের গণমাধ্যম ‘ঢাকা স্ট্রিম’-এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরে স্বাগত বক্তব্য দেন এডিটর-ইন-চিফ গোলাম ইফতেখার মাহমুদ। সঞ্চালনা করেন অপএড এডিটর জাভেদ হুসেন।
গোলটেবিলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা, পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ‘গঙ্গা চুক্তি নবায়ন বা নতুন করে গঙ্গা-পদ্মার পানিবণ্টন চুক্তির জন্য এক বছরের মতো সময় আছে। আজকে যে আলোচনাটা শুরু হলো, সেটুকুকে সূত্রপাত ভেবে এগোলে আমাদের কিছু পথ ধরে এগোতে হবে। এক্ষেত্রে তিনটি পথে আমাদের এগোতে হবে। প্রথমত, ভারতের সঙ্গে ন্যায্য পানির হিস্যা বুঝে নিতে হলে সমঝোতায় যাওয়ার আগে নিজেদের প্রস্তুতিটা আরও গভীর ও শক্তিশালী করতে হবে। আর এই প্রস্তুতির জন্য সব মহল থেকে চাপ সৃষ্টি করা জরুরি।’
তিনি আরও বলেন, আগামী এক বছরে এটিকে শুধু পানি পেশাদারদের (ওয়াটার প্রোফেশনালস) মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে একটি বৃহত্তর জাতীয় ইস্যু হিসেবে দেখতে হবে। এটি একটি বৃহৎ প্রেক্ষাপট (কনটেক্সট), এবং এই ক্ষেত্রে বৃহৎ জাতীয় পক্ষদের (ন্যাশনাল অ্যাক্টর) সংযুক্ত করতে হবে।
হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ‘আজকে যে আলোচনাটা শুরু হলো, একে জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি দিয়ে এগিয়ে নিতে হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো (এনজিও) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।’
গোলটেবিলে যৌথ নদী কমিশনের সদস্য মোহাম্মদ আবুল হোসেন সার্বিক বিষয়ে ধারণা দেন। তিনি জানান, বাংলাদেশ গত বছরের ২০ জুন ইউএন ওয়াটার কনভেনশনে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করেছে, যা দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের প্রথম দেশ হিসেবে একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। এই কনভেনশন ১৯৯২ সালে ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কিতে গৃহীত হয়েছিল আর ২০০০ সালে এটি কার্যকর হয়।
আজকে যে আলোচনাটা শুরু হলো, একে জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি দিয়ে এগিয়ে নিতে হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো (এনজিও) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। হোসেন জিল্লুর রহমান
গঙ্গা নদীর ওপর ফারাক্কা বাঁধ গায়ের জোরে নির্মাণ করা হয়েছে উল্লেখ করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব মেরিটাইম রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইএমআরডি) মহাপরিচালক কমোডর (অব.) সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘ভারত ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ করেছিল ক্যানেল করে ভাগীরথী দিয়ে হুগলি নদীতে পানি নিয়ে যাওয়ার জন্য। বাংলাদেশের প্রতি তারা অন্যায় করেছে। এমন দৃষ্টান্ত পৃথিবীতের ইতিহাসে নেই। হুগলিতে পানি সরবরাহ করে কলকাতাকে ঠিক রেখেছে ভারত, আর আমরা মরুভূমি হয়ে গেছি।’
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যে গঙ্গা-পদ্মা পানিবণ্টন চুক্তি চলমান আছে, তাতে বাংলাদেশ বৈষম্যের শিকার হয়েছে বলে উল্লেখ করে মিসবাহ উদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ‘যে চুক্তি করা হয়েছে, সেই মোতাবেক পানির হিস্যাও আমাদের দেওয়া হয়নি।’
ভারতের কারণে বাংলাদেশ চাপে আছে। তবে ওই দেশের সঙ্গে চুক্তি করতে সমঝোতা করার মতো গুরুত্বপূর্ণ ভূ-রাজনৈতিক পয়েন্ট বাংলাদেশেরও আছে বলে উল্লেখ করেন নদী গবেষক ও লেখক মাহবুব সিদ্দিকী। তিনি বলেন, ‘৪০টি নদীর পানি আমাদের দেশ থেকে ভারতে যায়। তার মধ্যে ১৬টি নদী আছে যেগুলো সরাসরি বাংলাদেশ উৎপন্ন হয়ে ভারতে গিয়ে অন্য নদীতে পড়েছে। এ কারণে ভারতের লক্ষ লক্ষ লোক সুবিধা পাচ্ছে। আর বাংলাদেশ থেকে উৎপত্তি লাভ করে ভারতে গিয়ে আবার বাংলাদেশে এসেছে এমন নদী আছে আটটি।'
এর বাইরে তিস্তা ও দুধকুমার নদী নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে মাহবুব সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা অনেকে বলি, ভারতের নদীবিশারদেরাও দাবি করেন যে তিস্তা নদী ভারতের সিকিম পর্বত থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে। কিন্তু এটা আসলে তিব্বতের একটি হ্রদ থেকে উৎপত্তি লাভ করে ভারতের সিকিমে ঢুকেছে। দুধকুমার নদীও ভারতের নয়। ফলে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দ্বিপাক্ষিক নয়, বরং বহুপাক্ষিক চুক্তির প্রস্তাব উত্থাপন করা যেতে পারে। এই চুক্তিতে চীন, ভুটানও অংশ নিতে পারে। পাশাপাশি জাতিসংঘের প্রতিনিধিও থাকতে হবে।
মাহবুব সিদ্দিকী আরও বলেন, ‘আমাদের স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি থাকতে হবে। আগের ১৫ বছর বাংলাদেশকে যেন উপনিবেশ করে রেখেছিল ভারত। এখন তো তা নয়। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে আমরা শতভাগ ভাগ স্বাধীন। তার পরেও আমরা যদি মনে করি, আমাদের শক্তি একটু কম আছে, তাহলে মহাশক্তিধর বন্ধু তো আমাদের লাগবে।’
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্ট্রাডিজের গবেষণা পরিচালক মাহফুজ কবির বলেন, ‘ভারতের সবচেয়ে বড়, অর্থাৎ এক নম্বর পানিপথটি হলো গঙ্গা নদীর। অর্থাৎ গঙ্গা-ভাগীরথী-হুগলি পানিপথ। সামগ্রিকভাবে গঙ্গা ভারতের অর্থনীতির বড় অংশ। কিন্তু তারা সেটিকে হাইলাইট করছে না। এছাড়া, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের যে পানিপথ, সেখানেও ভারতেরই লাভ বেশি। ফলে পানির প্রবাহ যদি ঠিক থাকে এবং সময়মতো যদি ওরা চুক্তিটা করে তাহলে লাভটা ওদেরই বেশি।’
এ রকম গঙ্গা চুক্তির ফলে অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশের কতটুকু লাভ অথবা ভারতেরই বা কতটুকু লাভ—বিষয়গুলো চিহ্নিত করে গঙ্গা চুক্তিটা সময়মতো যে করা উচিত, আলোচনায় সে ব্যাপারে জোর দেওয়া যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন মাহফুজ কবির।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক আমিনুর রসুল বলেন, ‘বাংলাদেশে আমরা অনেক সময় নিজেরটা বোঝার চেষ্টা করি না, বিপরীতে অন্যকে দিয়ে তৃপ্তি অর্জন করতে চাই। আসলে অনেক বিষয়েই আমাদের প্রতিবেশী দেশ আলোচনার সূত্রপাত করে না। তবে লাভ ঠিকই নিয়ে যায়। দুই বছর আগেও চাষাবাদের জন্য ত্রিপুরাকে পানি দিয়েছে বাংলাদেশ। তবে দুর্ভাগ্য হলো, আমাদের যখন পানির প্রয়োজন হয়, তখন আমরা পাই না। একইভাবে নৌপথের ট্রানজিটটা তারা ঠিকই নিয়ে গেছে, আমরা খুব বাহবা দিয়ে তাদের দিয়ে দিয়েছি।
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার এত বছর পরেও আমরা পানির প্রবাহটা ঠিক করতে পারিনি। আসলে ত্রিপক্ষীয় আলোচনা ছাড়া এটি কোনোদিন সম্ভব নয়। এ কথার স্বপক্ষে বড় উদাহরণ হলো সিন্ধু নদী। বিশ্বব্যাংক যদি হস্তক্ষেপ না করত তবে ফারাক্কা বাঁধের কারণে আমাদের এখন যে অবস্থা হয়েছে, তাদেরও তাই হতো।’
সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেসের নির্বাহী পরিচালক মালিক ফিদা এ খান বলেন, ‘আসলে গঙ্গার পানি উজানেই সরিয়ে ফেলছে ভারত। ফলে ফারাক্কা পর্যন্তই পানি কম আসছে।
এ সমস্যার সমাধান ইউএস ওয়াটার কনভেনশন ১৯৯২ ও ১৯৯৭-এ আছে বলে উল্লেখ করে মালিক ফিদা এ খান আরও বলেন, ‘তবে এই দুটির মধ্যে মৌলিক কিছু পার্থক্য আছে।’ তিনি বলেন, ‘১৯৯২ কনভেনশনে আইনগত বাধ্যবাধকতা নেই। কিন্তু ১৯৯৭-এর কনভেনশনে আইনি বাধ্যবাধকতা আছে। তবে নদী শেয়ার করা দেশগুলো সবাই যদি এতে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ না দেয়, তাহলে আদালতে যাওয়া যায় না।’
এ সময় মালিক ফিদা এ খান বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার যে ‘দুটি হাত’ দরকার, তার ‘একটি হয়েছে’ উল্লেখ করে আরেকটি হাতের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। এক্ষেত্রে তাঁর কথা হলো, ‘বাংলাদেশকে ১৯৯৭-এর কনভেনশনে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিয়ে দুটি হাত পূর্ণ করতে হবে।
আমাদের প্রধান সমস্যা হচ্ছে, গঙ্গার পানি নিয়ে সিরিয়াস কোনো আন্দোলন নেই। শেকড় থেকে যদি কোনো শক্তিশালী আলোচনা না থাকে, তবে টেবিলে গিয়ে তো তেমনভাবে কথা বলা যায় না। মোহাম্মদ এজাজ, প্রশাসক, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন
মালিক ফিদা এ খান বলেন, ‘পৃথিবীতে যতগুলো নদীর ন্যায্য পানিবণ্টন চুক্তি হয়েছে, সেগুলোতে প্রথমত হয়েছে বেনিফিট শেয়ারিং। দ্বিতীয়ত, প্রাতিষ্ঠানিক আর তৃতীয় হলো রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তি। আমাদের উপমহাদেশে বেনিফিট শেয়ারিংয়ের চেয়ে রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তি বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বাংলাদেশ এক্ষেত্রে দুর্বল। যদিও আমরা টেকনিক্যালি পুরোপুরি প্রস্তুত, কিন্তু বারবারই আমরা রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তির কাছে ব্যর্থ হই।’
বাংলাদেশের জয়েন্ট রিভার কমিশনকে আরও ক্ষমতায়িত করার কথাও বলেন তিনি।
লেখক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা মোহাম্মদ রোমেল বলেন, ‘আমি নদী বিশেষজ্ঞ নই। তবে এতটুকু বুঝি যে পানির ন্যায্য হিস্যা আমাদের লাগবে। এজন্য দ্য গ্যাঞ্জেস টক: ইউএন ওয়াটার কনভেনশন ১৯৯২ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে ভারতের কাছ থেকে এই হিস্যা বুঝে নেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে রাজনৈতিক বোঝাপড়া খুবই জরুরি।’
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘আমাদের প্রধান সমস্যা হচ্ছে, গঙ্গার পানি নিয়ে সিরিয়াস কোনো আন্দোলন নেই। শেকড় থেকে যদি কোনো শক্তিশালী আলোচনা না থাকে, তবে টেবিলে গিয়ে তো তেমনভাবে কথা বলা যায় না। আর পলিসি তৈরির ক্ষেত্রে আমাদের যে শূন্যতা তা হলো—যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের মধ্যে অ্যাকাডেমিক, টেকনিক্যাল বা আইনি জ্ঞানসম্পন্ন মানুষ কম। এ কারণেই আলোচনাটা দরকার।’
তিনি বলেন, জেআরসির সদস্যদের আমলাতান্ত্রিক কাঠামোর নিচের স্তরে রাখা হয়, এটি পরিবর্তন করতে হবে। জেআরসিকে পররাষ্ট্র ও জাতীয় নিরাপত্তা নীতির সঙ্গে সহাবস্থানে আনতে হবে।
গঙ্গা চুক্তি নিয়ে আজকে যে আলোচনা শুরু হলো, বিষয়টি উল্লেখ করে মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘আগামী এক বছর ধরে এই আলোচনাকে বিভিন্ন ইস্যুতে এগিয়ে নিতে হবে।’
গোলটেবিল বৈঠক ‘স্ট্রিম টক’-এর শেষ পর্যায়ে সবাইকে ধন্যবাদ জানান ঢাকা স্ট্রিমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সোহেল রানা। এখানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সুমন সাজ্জাদ, ঢাকা স্ট্রিম-এর বাংলা কনটেন্ট এডিটর আলতাফ শাহনেওয়াজ ও মাল্টিমিডিয়া এডিটর সিনা হাসান।
ভারতের সঙ্গে গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি নবায়নের সময় ঘনিয়ে আসছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু দ্বিপাক্ষিক নয়, বহুপাক্ষিক কূটনীতি, আইনি পদক্ষেপ ও রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তিকে কাজে লাগিয়েই গঙ্গা-পদ্মার পানি নিয়ে জাতীয় স্বার্থ রক্ষা সম্ভব হবে। যৌথ নদী কমিশনকে (জেআরসি) শক্তিশালী করার বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে সুশীল সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। আর জেআরসিকে পররাষ্ট্র ও জাতীয় নিরাপত্তা নীতির সঙ্গে সহাবস্থানে আনতে হবে।
গতকাল ২৯ সেপ্টেম্বর রোববার রাতে ঢাকা স্ট্রিমের কার্যালয়ে ‘দ্য গ্যাঞ্জেস টক : ইউএন ওয়াটার কনভেনশন ১৯৯২’ শিরোনামে এক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন। ঢাকা স্ট্রিম ও আরডিআরসির উদ্যোগে রাত সোয়া আটটায় শুরু হওয়া এই গোলটেবিল বৈঠকের প্রথমে নতুন সময়ের গণমাধ্যম ‘ঢাকা স্ট্রিম’-এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরে স্বাগত বক্তব্য দেন এডিটর-ইন-চিফ গোলাম ইফতেখার মাহমুদ। সঞ্চালনা করেন অপএড এডিটর জাভেদ হুসেন।
গোলটেবিলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা, পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ‘গঙ্গা চুক্তি নবায়ন বা নতুন করে গঙ্গা-পদ্মার পানিবণ্টন চুক্তির জন্য এক বছরের মতো সময় আছে। আজকে যে আলোচনাটা শুরু হলো, সেটুকুকে সূত্রপাত ভেবে এগোলে আমাদের কিছু পথ ধরে এগোতে হবে। এক্ষেত্রে তিনটি পথে আমাদের এগোতে হবে। প্রথমত, ভারতের সঙ্গে ন্যায্য পানির হিস্যা বুঝে নিতে হলে সমঝোতায় যাওয়ার আগে নিজেদের প্রস্তুতিটা আরও গভীর ও শক্তিশালী করতে হবে। আর এই প্রস্তুতির জন্য সব মহল থেকে চাপ সৃষ্টি করা জরুরি।’
তিনি আরও বলেন, আগামী এক বছরে এটিকে শুধু পানি পেশাদারদের (ওয়াটার প্রোফেশনালস) মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে একটি বৃহত্তর জাতীয় ইস্যু হিসেবে দেখতে হবে। এটি একটি বৃহৎ প্রেক্ষাপট (কনটেক্সট), এবং এই ক্ষেত্রে বৃহৎ জাতীয় পক্ষদের (ন্যাশনাল অ্যাক্টর) সংযুক্ত করতে হবে।
হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ‘আজকে যে আলোচনাটা শুরু হলো, একে জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি দিয়ে এগিয়ে নিতে হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো (এনজিও) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।’
গোলটেবিলে যৌথ নদী কমিশনের সদস্য মোহাম্মদ আবুল হোসেন সার্বিক বিষয়ে ধারণা দেন। তিনি জানান, বাংলাদেশ গত বছরের ২০ জুন ইউএন ওয়াটার কনভেনশনে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করেছে, যা দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের প্রথম দেশ হিসেবে একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। এই কনভেনশন ১৯৯২ সালে ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কিতে গৃহীত হয়েছিল আর ২০০০ সালে এটি কার্যকর হয়।
আজকে যে আলোচনাটা শুরু হলো, একে জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি দিয়ে এগিয়ে নিতে হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো (এনজিও) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। হোসেন জিল্লুর রহমান
গঙ্গা নদীর ওপর ফারাক্কা বাঁধ গায়ের জোরে নির্মাণ করা হয়েছে উল্লেখ করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব মেরিটাইম রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইএমআরডি) মহাপরিচালক কমোডর (অব.) সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘ভারত ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ করেছিল ক্যানেল করে ভাগীরথী দিয়ে হুগলি নদীতে পানি নিয়ে যাওয়ার জন্য। বাংলাদেশের প্রতি তারা অন্যায় করেছে। এমন দৃষ্টান্ত পৃথিবীতের ইতিহাসে নেই। হুগলিতে পানি সরবরাহ করে কলকাতাকে ঠিক রেখেছে ভারত, আর আমরা মরুভূমি হয়ে গেছি।’
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যে গঙ্গা-পদ্মা পানিবণ্টন চুক্তি চলমান আছে, তাতে বাংলাদেশ বৈষম্যের শিকার হয়েছে বলে উল্লেখ করে মিসবাহ উদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ‘যে চুক্তি করা হয়েছে, সেই মোতাবেক পানির হিস্যাও আমাদের দেওয়া হয়নি।’
ভারতের কারণে বাংলাদেশ চাপে আছে। তবে ওই দেশের সঙ্গে চুক্তি করতে সমঝোতা করার মতো গুরুত্বপূর্ণ ভূ-রাজনৈতিক পয়েন্ট বাংলাদেশেরও আছে বলে উল্লেখ করেন নদী গবেষক ও লেখক মাহবুব সিদ্দিকী। তিনি বলেন, ‘৪০টি নদীর পানি আমাদের দেশ থেকে ভারতে যায়। তার মধ্যে ১৬টি নদী আছে যেগুলো সরাসরি বাংলাদেশ উৎপন্ন হয়ে ভারতে গিয়ে অন্য নদীতে পড়েছে। এ কারণে ভারতের লক্ষ লক্ষ লোক সুবিধা পাচ্ছে। আর বাংলাদেশ থেকে উৎপত্তি লাভ করে ভারতে গিয়ে আবার বাংলাদেশে এসেছে এমন নদী আছে আটটি।'
এর বাইরে তিস্তা ও দুধকুমার নদী নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে মাহবুব সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা অনেকে বলি, ভারতের নদীবিশারদেরাও দাবি করেন যে তিস্তা নদী ভারতের সিকিম পর্বত থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে। কিন্তু এটা আসলে তিব্বতের একটি হ্রদ থেকে উৎপত্তি লাভ করে ভারতের সিকিমে ঢুকেছে। দুধকুমার নদীও ভারতের নয়। ফলে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দ্বিপাক্ষিক নয়, বরং বহুপাক্ষিক চুক্তির প্রস্তাব উত্থাপন করা যেতে পারে। এই চুক্তিতে চীন, ভুটানও অংশ নিতে পারে। পাশাপাশি জাতিসংঘের প্রতিনিধিও থাকতে হবে।
মাহবুব সিদ্দিকী আরও বলেন, ‘আমাদের স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি থাকতে হবে। আগের ১৫ বছর বাংলাদেশকে যেন উপনিবেশ করে রেখেছিল ভারত। এখন তো তা নয়। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে আমরা শতভাগ ভাগ স্বাধীন। তার পরেও আমরা যদি মনে করি, আমাদের শক্তি একটু কম আছে, তাহলে মহাশক্তিধর বন্ধু তো আমাদের লাগবে।’
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্ট্রাডিজের গবেষণা পরিচালক মাহফুজ কবির বলেন, ‘ভারতের সবচেয়ে বড়, অর্থাৎ এক নম্বর পানিপথটি হলো গঙ্গা নদীর। অর্থাৎ গঙ্গা-ভাগীরথী-হুগলি পানিপথ। সামগ্রিকভাবে গঙ্গা ভারতের অর্থনীতির বড় অংশ। কিন্তু তারা সেটিকে হাইলাইট করছে না। এছাড়া, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের যে পানিপথ, সেখানেও ভারতেরই লাভ বেশি। ফলে পানির প্রবাহ যদি ঠিক থাকে এবং সময়মতো যদি ওরা চুক্তিটা করে তাহলে লাভটা ওদেরই বেশি।’
এ রকম গঙ্গা চুক্তির ফলে অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশের কতটুকু লাভ অথবা ভারতেরই বা কতটুকু লাভ—বিষয়গুলো চিহ্নিত করে গঙ্গা চুক্তিটা সময়মতো যে করা উচিত, আলোচনায় সে ব্যাপারে জোর দেওয়া যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন মাহফুজ কবির।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক আমিনুর রসুল বলেন, ‘বাংলাদেশে আমরা অনেক সময় নিজেরটা বোঝার চেষ্টা করি না, বিপরীতে অন্যকে দিয়ে তৃপ্তি অর্জন করতে চাই। আসলে অনেক বিষয়েই আমাদের প্রতিবেশী দেশ আলোচনার সূত্রপাত করে না। তবে লাভ ঠিকই নিয়ে যায়। দুই বছর আগেও চাষাবাদের জন্য ত্রিপুরাকে পানি দিয়েছে বাংলাদেশ। তবে দুর্ভাগ্য হলো, আমাদের যখন পানির প্রয়োজন হয়, তখন আমরা পাই না। একইভাবে নৌপথের ট্রানজিটটা তারা ঠিকই নিয়ে গেছে, আমরা খুব বাহবা দিয়ে তাদের দিয়ে দিয়েছি।
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার এত বছর পরেও আমরা পানির প্রবাহটা ঠিক করতে পারিনি। আসলে ত্রিপক্ষীয় আলোচনা ছাড়া এটি কোনোদিন সম্ভব নয়। এ কথার স্বপক্ষে বড় উদাহরণ হলো সিন্ধু নদী। বিশ্বব্যাংক যদি হস্তক্ষেপ না করত তবে ফারাক্কা বাঁধের কারণে আমাদের এখন যে অবস্থা হয়েছে, তাদেরও তাই হতো।’
সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেসের নির্বাহী পরিচালক মালিক ফিদা এ খান বলেন, ‘আসলে গঙ্গার পানি উজানেই সরিয়ে ফেলছে ভারত। ফলে ফারাক্কা পর্যন্তই পানি কম আসছে।
এ সমস্যার সমাধান ইউএস ওয়াটার কনভেনশন ১৯৯২ ও ১৯৯৭-এ আছে বলে উল্লেখ করে মালিক ফিদা এ খান আরও বলেন, ‘তবে এই দুটির মধ্যে মৌলিক কিছু পার্থক্য আছে।’ তিনি বলেন, ‘১৯৯২ কনভেনশনে আইনগত বাধ্যবাধকতা নেই। কিন্তু ১৯৯৭-এর কনভেনশনে আইনি বাধ্যবাধকতা আছে। তবে নদী শেয়ার করা দেশগুলো সবাই যদি এতে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ না দেয়, তাহলে আদালতে যাওয়া যায় না।’
এ সময় মালিক ফিদা এ খান বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার যে ‘দুটি হাত’ দরকার, তার ‘একটি হয়েছে’ উল্লেখ করে আরেকটি হাতের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। এক্ষেত্রে তাঁর কথা হলো, ‘বাংলাদেশকে ১৯৯৭-এর কনভেনশনে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিয়ে দুটি হাত পূর্ণ করতে হবে।
আমাদের প্রধান সমস্যা হচ্ছে, গঙ্গার পানি নিয়ে সিরিয়াস কোনো আন্দোলন নেই। শেকড় থেকে যদি কোনো শক্তিশালী আলোচনা না থাকে, তবে টেবিলে গিয়ে তো তেমনভাবে কথা বলা যায় না। মোহাম্মদ এজাজ, প্রশাসক, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন
মালিক ফিদা এ খান বলেন, ‘পৃথিবীতে যতগুলো নদীর ন্যায্য পানিবণ্টন চুক্তি হয়েছে, সেগুলোতে প্রথমত হয়েছে বেনিফিট শেয়ারিং। দ্বিতীয়ত, প্রাতিষ্ঠানিক আর তৃতীয় হলো রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তি। আমাদের উপমহাদেশে বেনিফিট শেয়ারিংয়ের চেয়ে রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তি বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বাংলাদেশ এক্ষেত্রে দুর্বল। যদিও আমরা টেকনিক্যালি পুরোপুরি প্রস্তুত, কিন্তু বারবারই আমরা রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তির কাছে ব্যর্থ হই।’
বাংলাদেশের জয়েন্ট রিভার কমিশনকে আরও ক্ষমতায়িত করার কথাও বলেন তিনি।
লেখক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা মোহাম্মদ রোমেল বলেন, ‘আমি নদী বিশেষজ্ঞ নই। তবে এতটুকু বুঝি যে পানির ন্যায্য হিস্যা আমাদের লাগবে। এজন্য দ্য গ্যাঞ্জেস টক: ইউএন ওয়াটার কনভেনশন ১৯৯২ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে ভারতের কাছ থেকে এই হিস্যা বুঝে নেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে রাজনৈতিক বোঝাপড়া খুবই জরুরি।’
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘আমাদের প্রধান সমস্যা হচ্ছে, গঙ্গার পানি নিয়ে সিরিয়াস কোনো আন্দোলন নেই। শেকড় থেকে যদি কোনো শক্তিশালী আলোচনা না থাকে, তবে টেবিলে গিয়ে তো তেমনভাবে কথা বলা যায় না। আর পলিসি তৈরির ক্ষেত্রে আমাদের যে শূন্যতা তা হলো—যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের মধ্যে অ্যাকাডেমিক, টেকনিক্যাল বা আইনি জ্ঞানসম্পন্ন মানুষ কম। এ কারণেই আলোচনাটা দরকার।’
তিনি বলেন, জেআরসির সদস্যদের আমলাতান্ত্রিক কাঠামোর নিচের স্তরে রাখা হয়, এটি পরিবর্তন করতে হবে। জেআরসিকে পররাষ্ট্র ও জাতীয় নিরাপত্তা নীতির সঙ্গে সহাবস্থানে আনতে হবে।
গঙ্গা চুক্তি নিয়ে আজকে যে আলোচনা শুরু হলো, বিষয়টি উল্লেখ করে মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘আগামী এক বছর ধরে এই আলোচনাকে বিভিন্ন ইস্যুতে এগিয়ে নিতে হবে।’
গোলটেবিল বৈঠক ‘স্ট্রিম টক’-এর শেষ পর্যায়ে সবাইকে ধন্যবাদ জানান ঢাকা স্ট্রিমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সোহেল রানা। এখানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সুমন সাজ্জাদ, ঢাকা স্ট্রিম-এর বাংলা কনটেন্ট এডিটর আলতাফ শাহনেওয়াজ ও মাল্টিমিডিয়া এডিটর সিনা হাসান।
বাজার মূল্যের চেয়ে তুলনামূলক কম দামে গরুর মাংস বিক্রি করে আলোচনায় আসেন রাজধানীর উত্তর শাহজাহানপুরের মাংস ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান। তাঁর প্রতিষ্ঠান সেই ‘খলিল গোস্ত বিতান’-এর বিরুদ্ধে সম্প্রতি মরা গরু জবাই করে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।
২ ঘণ্টা আগেজুলাই আন্দোলনের ঘটনায় দায়ের হওয়া ১৭৬০ মামলার মধ্যে মাত্র ৫৫টিতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দিয়েছে পুলিশ। বাকি সব মামলাই তদন্তাধীন। এছাড়া, পুলিশ প্রতিবেদনের ভিত্তিত ১৩৬জনকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেসনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসব ব্যাহত করতে একটি গোষ্ঠী খাগড়াছড়ির গুইমারায় সহিংস কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এর আগে গতকালও তিনি বলেছিলেন, ‘একটি মহল চাচ্ছে, এই উৎসবটা যাতে ভালোভাবে ও ধর্মীয় উদ্দীপনার সঙ্গে হতে না পা
৩ ঘণ্টা আগেসৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের আমন্ত্রণে দেশটিতে সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আগামী ২৭ থেকে ৩০ অক্টোবর রিয়াদে অনুষ্ঠেয় ভবিষ্যৎ বিনিয়োগ উদ্যোগ নবম সংস্করণে (এফআইআই নাইন) যোগ দিতে তিনি এই সফর করবেন।
৩ ঘণ্টা আগে