স্ট্রিম ডেস্ক
খাগড়াছড়িতে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে বলে দাবি করেছে প্রতিবাদ বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেওয়া জুম্ম ছাত্র-জনতা। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) পৌনে ৯টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তাদের ‘মিডিয়া সেল’ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে বৈঠকটির ব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (রাত ২টা) আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।
বিবৃতিতে তারা দাবি করেছে, জুম্ম ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল আট দফা দাবি নিয়ে খাগড়াছড়ি সিভিল প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করেছে। এতে প্রশাসনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।
বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, বৈঠকে সিভিল প্রশাসন মৌখিকভাবে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা ছাড়া তাদের বাকি দাবি মেনে নিয়েছে। পাশাপাশি সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে হয়রানি ও গ্রেপ্তার বন্ধের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তবে অবরোধ প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত প্রশাসন ১৪৪ ধারা তুলবে না বলেও সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
জুম্ম ছাত্র-জনতা কোনো রাজনৈতিক দল নয় বা বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীও নয় উল্লেখ করে বিবৃতিতে তারা বলেছে, আমাদের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনকে ‘ইউপিডিএফ’ বা অন্য কোনো ট্যাগ দিয়ে দমন করা যাবে না। ২৩ সেপ্টেম্বর একটি জুম্ম কিশোরীর ওপর সংঘটিত ধর্ষণের ন্যায়বিচারের দাবিতে যে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন হয়েছে, তা প্রতিটি নাগরিকের ন্যায্য অধিকার। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত এবং আইনি বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
তারা আরও বলেছে, প্রশাসন যদি আমাদের শান্তিমূলক দাবি বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ হয়, অথবা যদি সেনাবাহিনী, সেটেলার বা অন্য কোনো বাহিনী তাদের ওপর হয়রানি, গ্রেপ্তার, বাড়ি-ঘর তল্লাশি, হুমকি ও সাম্প্রদায়িক হামলা বন্ধ না করে, তবে জুম্ম ছাত্র-জনতা কঠোরতম কর্মসূচি দেবে।
বিবৃতিতে সহিংসতার ঘটনায় তিনজন নিহত ও ছয়জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে দাবি করে নিহত ও আহতদের পরিচয় প্রকাশ করেছে সংগঠনটি। তবে নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিচয় বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়নি।
নিহতরা হলেন—থোয়াইচিং মারমা (২৫), আখ্র মারমা (২৪) ও আথুইপ্রু মারমা (২৬)। আহতরা হলেন—উহলাপ্রু মারমা (২৭), রুইউ মারমা (৩৪), রাজু মারমা (২২), ক্যজচাই মারমা (২৯), জুয়েল চাকমা (২৩), কংচাইহ্লা মারমা (২৭), ক্যচাই (৩৭), উমেহ্লা মারমা (১৩), আনুমা মারমা (২১), কংজরী মারমা (৬০), চিংসা মারমা (২০), ক্যসে মারমা, অংথোয়াই মারমা, অং মারমা (২৬), বিকাশ ত্রিপুরা (২৩), আবাইমা মারমা (৭০)।
বৈঠকে জুম্ম ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে আট দফা দাবি উত্থাপনের কথা বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে বিবৃতিতে ৯ দফা দাবির উল্লেখ রয়েছে। দাবিগুলো হলো:
১. আলোচনার সময়কাল থেকে শুরু করে পরবর্তী পর্যন্ত যেকোনো ধরনের হামলা, গ্রেপ্তার, লাঠিচার্জ বা সাম্প্রদায়িক আক্রমণ বন্ধ রাখার বিষয়ে প্রশাসন আইনগতভাবে বাধ্য থাকবে।
২. ধর্ষণ মামলার অবশিষ্ট দুই আসামিকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক বিচারে দণ্ড প্রদান করতে হবে; ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার আসামির দ্রুত বিচার কার্যকর করে সরকারি গেজেটে বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে; ভুক্তভোগীকে যথাযথ আর্থিক ক্ষতিপূরণ ও পূর্ণাঙ্গ পুনর্বাসন দিতে হবে।
৩. ২৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় সংঘটিত হত্যাকাণ্ড, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও গুলিবর্ষণের সব ঘটনার বিষয়ে স্বতন্ত্র, স্বাধীন ও বিচার বিভাগীয় তদন্ত নিশ্চিত করতে হবে; এই তদন্ত প্রতিবেদন সর্বোচ্চ ১০ দিনের মধ্যে দিতে হবে।
৪. নিরীহ ও নিরস্ত্র জনতার ওপর সংঘটিত হামলা ও অগ্নিসংযোগে সৃষ্ট ক্ষতির পূর্ণ ক্ষতিপূরণ রাষ্ট্রীয়ভাবে নিশ্চিত করতে হবে; আহতদের সম্পূর্ণ চিকিৎসা-ব্যয় জেলা বা রাষ্ট্র বহন করবে।
৫. শান্তিপূর্ণ অবরোধ ভাঙার উদ্দেশ্যে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় বা অনুপ্রবেশ করে আঘাত করলে দায়ীদের বিরুদ্ধে তৎক্ষণাৎ মামলা ও প্রতিকার নিশ্চিত করতে হবে।
৬. আন্দোলন সংশ্লিষ্ট সব আটককৃতকে অবিলম্বে ও নিঃশর্তভাবে মুক্তি দিতে হবে; ২৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বর সংঘটিত হামলার বিষয়ে স্বচ্ছ ও স্বতন্ত্র তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
৭. সেনাবাহিনী ও সেটলার কর্তৃক নিহত পরিবারে ২০ লাখ টাকা, গুরুতর আহতদের ১০ লাখ ও সাধারণ আহতদের দুই লাখ টাকা এবং বাড়িঘর, দোকান-পাট ক্ষতিগ্রস্তদের পাঁচ লাখ টাকা আর্থিক সহযোগিতা দিতে হবে।
৮. আইএসপিআরের বিবৃতিতে আমাদের ‘জুম্ম ছাত্র-জনতা’ প্ল্যাটফর্ম এবং অন্যতম সমন্বয়ক উক্যনু মারমাকে যে ইউপিডিএফ-সংযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, সেই ট্যাগ অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। একইসঙ্গে অনলাইনে পাহাড় সম্পর্কে যে গুজব ও বিভ্রান্তিকর প্রপাগাণ্ডা ছড়ানো হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৯. অবিলম্বে ধারা ১৪৪ প্রত্যাহার করতে হবে।
এসব দাবি দ্রুত, পূর্ণ ও সন্তোষজনকভাবে বাস্তবায়িত না হলে তিন পার্বত্য জেলায় সড়ক অবরোধ অনির্দিষ্টকালের জন্য জোরদারের হুমকি দিয়েছে জুম্ম ছাত্র-জনতা। বিবৃতিতে সরকার ও প্রশাসনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সংলাপের যে সূচনা হয়েছে, সেটিকে তারা স্বাগত জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, খাগড়াছড়িতে গত ২৩ সেপ্টেম্বর মারমা এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে বিক্ষোভ ও সংঘষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) জেলার গুইমারা উপজেলায় তিন পাহাড়ি নিহত এবং সেনা ও পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হন। বর্তমানে সেখানে ১৪৪ ধারা জারি আছে। আর ওই স্কুল ছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে অজ্ঞাত তিনজনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। এ মামলায় সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে পুলিশ তাকে ছয়দিনের রিমান্ডে নিয়েছে।
খাগড়াছড়িতে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে বলে দাবি করেছে প্রতিবাদ বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেওয়া জুম্ম ছাত্র-জনতা। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) পৌনে ৯টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তাদের ‘মিডিয়া সেল’ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে বৈঠকটির ব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (রাত ২টা) আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।
বিবৃতিতে তারা দাবি করেছে, জুম্ম ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল আট দফা দাবি নিয়ে খাগড়াছড়ি সিভিল প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করেছে। এতে প্রশাসনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।
বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, বৈঠকে সিভিল প্রশাসন মৌখিকভাবে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা ছাড়া তাদের বাকি দাবি মেনে নিয়েছে। পাশাপাশি সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে হয়রানি ও গ্রেপ্তার বন্ধের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তবে অবরোধ প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত প্রশাসন ১৪৪ ধারা তুলবে না বলেও সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
জুম্ম ছাত্র-জনতা কোনো রাজনৈতিক দল নয় বা বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীও নয় উল্লেখ করে বিবৃতিতে তারা বলেছে, আমাদের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনকে ‘ইউপিডিএফ’ বা অন্য কোনো ট্যাগ দিয়ে দমন করা যাবে না। ২৩ সেপ্টেম্বর একটি জুম্ম কিশোরীর ওপর সংঘটিত ধর্ষণের ন্যায়বিচারের দাবিতে যে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন হয়েছে, তা প্রতিটি নাগরিকের ন্যায্য অধিকার। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত এবং আইনি বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
তারা আরও বলেছে, প্রশাসন যদি আমাদের শান্তিমূলক দাবি বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ হয়, অথবা যদি সেনাবাহিনী, সেটেলার বা অন্য কোনো বাহিনী তাদের ওপর হয়রানি, গ্রেপ্তার, বাড়ি-ঘর তল্লাশি, হুমকি ও সাম্প্রদায়িক হামলা বন্ধ না করে, তবে জুম্ম ছাত্র-জনতা কঠোরতম কর্মসূচি দেবে।
বিবৃতিতে সহিংসতার ঘটনায় তিনজন নিহত ও ছয়জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে দাবি করে নিহত ও আহতদের পরিচয় প্রকাশ করেছে সংগঠনটি। তবে নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিচয় বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়নি।
নিহতরা হলেন—থোয়াইচিং মারমা (২৫), আখ্র মারমা (২৪) ও আথুইপ্রু মারমা (২৬)। আহতরা হলেন—উহলাপ্রু মারমা (২৭), রুইউ মারমা (৩৪), রাজু মারমা (২২), ক্যজচাই মারমা (২৯), জুয়েল চাকমা (২৩), কংচাইহ্লা মারমা (২৭), ক্যচাই (৩৭), উমেহ্লা মারমা (১৩), আনুমা মারমা (২১), কংজরী মারমা (৬০), চিংসা মারমা (২০), ক্যসে মারমা, অংথোয়াই মারমা, অং মারমা (২৬), বিকাশ ত্রিপুরা (২৩), আবাইমা মারমা (৭০)।
বৈঠকে জুম্ম ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে আট দফা দাবি উত্থাপনের কথা বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে বিবৃতিতে ৯ দফা দাবির উল্লেখ রয়েছে। দাবিগুলো হলো:
১. আলোচনার সময়কাল থেকে শুরু করে পরবর্তী পর্যন্ত যেকোনো ধরনের হামলা, গ্রেপ্তার, লাঠিচার্জ বা সাম্প্রদায়িক আক্রমণ বন্ধ রাখার বিষয়ে প্রশাসন আইনগতভাবে বাধ্য থাকবে।
২. ধর্ষণ মামলার অবশিষ্ট দুই আসামিকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক বিচারে দণ্ড প্রদান করতে হবে; ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার আসামির দ্রুত বিচার কার্যকর করে সরকারি গেজেটে বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে; ভুক্তভোগীকে যথাযথ আর্থিক ক্ষতিপূরণ ও পূর্ণাঙ্গ পুনর্বাসন দিতে হবে।
৩. ২৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় সংঘটিত হত্যাকাণ্ড, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও গুলিবর্ষণের সব ঘটনার বিষয়ে স্বতন্ত্র, স্বাধীন ও বিচার বিভাগীয় তদন্ত নিশ্চিত করতে হবে; এই তদন্ত প্রতিবেদন সর্বোচ্চ ১০ দিনের মধ্যে দিতে হবে।
৪. নিরীহ ও নিরস্ত্র জনতার ওপর সংঘটিত হামলা ও অগ্নিসংযোগে সৃষ্ট ক্ষতির পূর্ণ ক্ষতিপূরণ রাষ্ট্রীয়ভাবে নিশ্চিত করতে হবে; আহতদের সম্পূর্ণ চিকিৎসা-ব্যয় জেলা বা রাষ্ট্র বহন করবে।
৫. শান্তিপূর্ণ অবরোধ ভাঙার উদ্দেশ্যে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় বা অনুপ্রবেশ করে আঘাত করলে দায়ীদের বিরুদ্ধে তৎক্ষণাৎ মামলা ও প্রতিকার নিশ্চিত করতে হবে।
৬. আন্দোলন সংশ্লিষ্ট সব আটককৃতকে অবিলম্বে ও নিঃশর্তভাবে মুক্তি দিতে হবে; ২৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বর সংঘটিত হামলার বিষয়ে স্বচ্ছ ও স্বতন্ত্র তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
৭. সেনাবাহিনী ও সেটলার কর্তৃক নিহত পরিবারে ২০ লাখ টাকা, গুরুতর আহতদের ১০ লাখ ও সাধারণ আহতদের দুই লাখ টাকা এবং বাড়িঘর, দোকান-পাট ক্ষতিগ্রস্তদের পাঁচ লাখ টাকা আর্থিক সহযোগিতা দিতে হবে।
৮. আইএসপিআরের বিবৃতিতে আমাদের ‘জুম্ম ছাত্র-জনতা’ প্ল্যাটফর্ম এবং অন্যতম সমন্বয়ক উক্যনু মারমাকে যে ইউপিডিএফ-সংযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, সেই ট্যাগ অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। একইসঙ্গে অনলাইনে পাহাড় সম্পর্কে যে গুজব ও বিভ্রান্তিকর প্রপাগাণ্ডা ছড়ানো হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৯. অবিলম্বে ধারা ১৪৪ প্রত্যাহার করতে হবে।
এসব দাবি দ্রুত, পূর্ণ ও সন্তোষজনকভাবে বাস্তবায়িত না হলে তিন পার্বত্য জেলায় সড়ক অবরোধ অনির্দিষ্টকালের জন্য জোরদারের হুমকি দিয়েছে জুম্ম ছাত্র-জনতা। বিবৃতিতে সরকার ও প্রশাসনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সংলাপের যে সূচনা হয়েছে, সেটিকে তারা স্বাগত জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, খাগড়াছড়িতে গত ২৩ সেপ্টেম্বর মারমা এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে বিক্ষোভ ও সংঘষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) জেলার গুইমারা উপজেলায় তিন পাহাড়ি নিহত এবং সেনা ও পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হন। বর্তমানে সেখানে ১৪৪ ধারা জারি আছে। আর ওই স্কুল ছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে অজ্ঞাত তিনজনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। এ মামলায় সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে পুলিশ তাকে ছয়দিনের রিমান্ডে নিয়েছে।
বাজার মূল্যের চেয়ে তুলনামূলক কম দামে গরুর মাংস বিক্রি করে আলোচনায় আসেন রাজধানীর উত্তর শাহজাহানপুরের মাংস ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান। তাঁর প্রতিষ্ঠান সেই ‘খলিল গোস্ত বিতান’-এর বিরুদ্ধে সম্প্রতি মরা গরু জবাই করে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।
২ ঘণ্টা আগেজুলাই আন্দোলনের ঘটনায় দায়ের হওয়া ১৭৬০ মামলার মধ্যে মাত্র ৫৫টিতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দিয়েছে পুলিশ। বাকি সব মামলাই তদন্তাধীন। এছাড়া, পুলিশ প্রতিবেদনের ভিত্তিত ১৩৬জনকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেসনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসব ব্যাহত করতে একটি গোষ্ঠী খাগড়াছড়ির গুইমারায় সহিংস কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এর আগে গতকালও তিনি বলেছিলেন, ‘একটি মহল চাচ্ছে, এই উৎসবটা যাতে ভালোভাবে ও ধর্মীয় উদ্দীপনার সঙ্গে হতে না পা
৩ ঘণ্টা আগেসৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের আমন্ত্রণে দেশটিতে সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আগামী ২৭ থেকে ৩০ অক্টোবর রিয়াদে অনুষ্ঠেয় ভবিষ্যৎ বিনিয়োগ উদ্যোগ নবম সংস্করণে (এফআইআই নাইন) যোগ দিতে তিনি এই সফর করবেন।
৩ ঘণ্টা আগে