leadT1ad

জগন্নাথ হলে অষ্টমীর অঞ্জলি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের পূজা মণ্ডপে অঞ্জলি নিবেদন ও নানা আয়োজনে মুখর ছিল দিনটি।

স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা
প্রকাশ : ০১ অক্টোবর ২০২৫, ০০: ২৫
ঢাকের তালে তালে তরুণ প্রজন্ম পূজাকে উৎসবের আমেজে পালন করছে।

দেশজুড়ে ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে চলছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। জাতীয় মন্দির ঢাকেশ্বরীসহ বিভিন্ন মণ্ডপে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্যে উৎসব উদযাপন হচ্ছে। গত ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া পূজার সপ্তমী শেষ হয়েছে গতকাল, আজ ছিল মহাঅষ্টমী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের পূজা মণ্ডপে অঞ্জলি নিবেদন ও নানা আয়োজনে মুখর ছিল দিনটি।

ঢাকের তালে তালে তরুণ প্রজন্ম পূজাকে উৎসবের আমেজে পালন করছে। ভক্তি আর আনন্দ মিলিয়ে সব বয়সী মানুষের ভিড় জমেছে মণ্ডপে।

জগন্নাথ হলের মণ্ডপে দেখা যায় শুভ সাহাকে। তিনি বলেন, ‘এবারের পূজা দারুণ কাটছে। তরুণ প্রজন্ম পূজার ঐতিহ্যকে ধারণ করছে। ছোটবেলায় যেমন বন্ধুরা মিলে ঘুরতাম, এবারের পূজায়ও সেই আবহ ফিরে পেয়েছি।’ শুভ ও তাঁর বন্ধুরা কুমারী পূজা ও সন্ধি পূজা শেষে অঞ্জলি দিয়ে উৎসবে অংশ নিচ্ছিলেন।

পূজার পুরোহিত বলেন, ‘অষ্টমীতে সব সময়ই ভক্তদের ভিড় থাকে। এবারও হয়েছে, তবে বৃষ্টির কারণে কিছুটা কম।’ তিনি মনে করেন, বর্তমান প্রজন্ম পূজার নিয়ম-নীতি জানে ও মানে কম।

তরুণী ভক্ত সুস্মিতা রানি কর জানান, ‘সারা বছর অষ্টমীর জন্য অপেক্ষা করি। পরিবারের সবাই মিলে এই কয়েক দিন উৎসবের মধ্য দিয়ে কাটাই। মহালয়া থেকে পূজার অপেক্ষা শুরু হয়। অষ্টমীর সবচেয়ে বড় আকর্ষণ কুমারী পূজা আর সন্ধি পূজা। ছোটবেলা থেকে এখানেই বড় হয়েছি, তাই প্রতিবছর এখানেই অঞ্জলি দিতে আসি।’

অঞ্জলি দেওয়ার পাশাপাশি মণ্ডপ প্রাঙ্গণে ছিল মিলনমেলা। কেউ পরিবারের সঙ্গে ছবি তুলছেন, কেউ বা বন্ধুদের নিয়ে ঘুরছেন। দীপিকা নামে এক তরুণী বলেন, ‘ছোটবেলার পূজা অনেক বেশি মজার ছিল। এখন বাচ্চাদের মধ্যে সেই আনন্দ ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি। এবারের পূজায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বেশ সতর্ক, তিন স্তরের নিরাপত্তা রয়েছে। এজন্য মণ্ডপে ঘোরা আর প্রতিমা দেখা বেশ উপভোগ করছি।’

পূজা মণ্ডপের ভেতরে ঢাকের বাদ্যের সঙ্গে নাচছিলেন তরুণেরা। বাইরে ছিল মেলা। নাগরদোলা, নৌকা রাইড, খাবারের দোকান—সব মিলিয়ে সেখানে উৎসবের রঙ ছড়াচ্ছিল। মেলায় এসেছিলেন ভিন্ন ধর্মাবলম্বীর দর্শনার্থীরাও। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী এরিনা বলেন, ‘কাছ থেকে এই উৎসব দেখা দারুণ অভিজ্ঞতা। সবাই মিলে খাওয়া-দাওয়া, ঘোরা—পুরোটা উৎসব উৎসব লাগছে।’

Ad 300x250

সম্পর্কিত