কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, সাবেক মন্ত্রীর যে ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েছে, তা আগের। এটি কারা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অপপ্রচার।
স্ট্রিম প্রতিবেদক
সদ্য প্রয়াত সাবেক শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ছবিগুলোতে দেখা যাচ্ছে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে বেডে শুয়ে আছেন তিনি। বলা হচ্ছে, ছবিগুলো নূরুল মজিদ মাহমুদের মৃত্যুর পর তোলা। এসব ছবিতে তাঁর হাতে হাতকড়া দেখা গেছে। মূলত এ নিয়েই প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন নেটিজেনরা। তবে কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, সাবেক মন্ত্রীর যে ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েছে, তা আগের। এটি কারা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অপপ্রচার।
২০২৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর গুলশান থেকে নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। ওইদিন নরসিংদীতে হত্যা মামলায় অভিযুক্ত সাবেক এই শিল্পমন্ত্রীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। গত ২৭ সেপ্টেম্বর বিকেলের দিকে কেন্দ্রীয় কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে নূরুল মজিদ মাহমুদকে এনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৬০২ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
পরে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে আইসিইউতে রেফার্ড করা হয়। পরে সেখানেই গত সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা ১০ মিনিটের দিকে নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
পরে বাংলাদেশ সময় সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে একটি পোস্ট দেন আল জাজিরার ইনভেস্টিগেটিভ সেল ‘আই ইউনিট’-এর কর্মরত সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের। তাতে তিনি লেখেন, ‘নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থার কিছু ছবি হাতে এসেছে। অতীতেও আমরা এ ধরনের প্রচলন দেখেছি যেখানে চিকিৎসারত, এমনকি মৃত ব্যক্তির হাতেও হাতকড়া পরিয়ে রাখা হয়েছে। এখনও দেখছি মরহুম নূরুল মজিদের হাতে হাতকড়া।’
এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় যুগ্ম-আহ্বায়ক সুলতান মোহাম্মদ জাকারিয়া। তিনি লিখেছেন, ‘আমাদের রাষ্ট্র ও সরকার কখনোই মানবিক ছিল না, গত একবছরও হতে পারেনি। আমাদের লড়াই এমন একটি মানবিক রাষ্ট্র গড়ার যেখানে জঘন্য অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গেও ন্যায়বিচার করা হবে। হাসপাতালের শয্যায় তাঁদের হাতকড়া তো দূরে থাক সর্বোত্তম চিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে। তাঁদের মানবিক মর্যাদা সমুন্নত রাখা হবে।’
‘অন্ধের দেশে আয়না বিক্রি কঠিন কাজ, কিন্তু কাউকে না কাউকে শুরু করতে হবে’ মন্তব্য করে তিনি আরও লিখেছেন, ‘হুমায়ুন সাহেবের (নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন) হাতকড়া পরা হাসপাতাল শয্যার ছবি বেদনাদায়ক। এই অমানবিক বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমরা শেখ হাসিনার জঙ্গল উপড়ে ফেলিনি।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবির বিষয়ে জানতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমডি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্ট্রিমকে বলেন, ‘মৃত্যু হয়েছে কারা হেফাজতে, তারাই এ বিষয়ে বলতে পারবেন।’
এ প্রসঙ্গে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান স্ট্রিমকে বলেন, ‘যেকোনো কারাবন্দীর চিকিৎসা প্রদান করা হয়ে থাকে জেলপুলিশের তত্ত্বাবধানে। আমাদের কাজ চিকিৎসা দেওয়া, সেটাই করে থাকি। তবে ওই রোগীকে আইসিইউতে নেওয়ার সময় আমাদের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁর হ্যান্ডকাপ খুলে দিতে বলেছিলেন। উনারা বলেছিলেন, বন্দির একহাতে হ্যান্ডকাপ থাকবে, খোলা যাবে না। এসময় আমাদের চিকিৎসকরা ওই অবস্থাতেই চিকিৎসা প্রদান করেন। তখন রোগীর এক হাতে হ্যান্ডকাপ লাগানো ছিল। তবে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ও ফরেনসিক বিভাগে খোঁজ নিয়েছি, ওইসময় মৃতদেহের হাতে কোনো হ্যান্ডকাপ ছিল না' তিনি আরও বলেন, বিষয়টি কারাকর্তৃপক্ষের। তারাই তাদের বিষয়ে ভাল বলতে পারবেন।"
কারা মুখপাত্র এআইজি (মিডিয়া) জান্নাতুল ফরহাদ জানান, সাবেক মন্ত্রীর হ্যান্ডকাপ পরা যে ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো হচ্ছে, সেই ছবি আগের তোলা। অনেকবার কারাহেফাজতে থাকাকালে তাঁকে ঢামেকে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সেই সময়ে কেউ ছবি তুলে এখন কারা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
সদ্য প্রয়াত সাবেক শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ছবিগুলোতে দেখা যাচ্ছে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে বেডে শুয়ে আছেন তিনি। বলা হচ্ছে, ছবিগুলো নূরুল মজিদ মাহমুদের মৃত্যুর পর তোলা। এসব ছবিতে তাঁর হাতে হাতকড়া দেখা গেছে। মূলত এ নিয়েই প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন নেটিজেনরা। তবে কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, সাবেক মন্ত্রীর যে ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েছে, তা আগের। এটি কারা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অপপ্রচার।
২০২৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর গুলশান থেকে নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। ওইদিন নরসিংদীতে হত্যা মামলায় অভিযুক্ত সাবেক এই শিল্পমন্ত্রীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। গত ২৭ সেপ্টেম্বর বিকেলের দিকে কেন্দ্রীয় কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে নূরুল মজিদ মাহমুদকে এনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৬০২ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
পরে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে আইসিইউতে রেফার্ড করা হয়। পরে সেখানেই গত সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা ১০ মিনিটের দিকে নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
পরে বাংলাদেশ সময় সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে একটি পোস্ট দেন আল জাজিরার ইনভেস্টিগেটিভ সেল ‘আই ইউনিট’-এর কর্মরত সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের। তাতে তিনি লেখেন, ‘নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থার কিছু ছবি হাতে এসেছে। অতীতেও আমরা এ ধরনের প্রচলন দেখেছি যেখানে চিকিৎসারত, এমনকি মৃত ব্যক্তির হাতেও হাতকড়া পরিয়ে রাখা হয়েছে। এখনও দেখছি মরহুম নূরুল মজিদের হাতে হাতকড়া।’
এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় যুগ্ম-আহ্বায়ক সুলতান মোহাম্মদ জাকারিয়া। তিনি লিখেছেন, ‘আমাদের রাষ্ট্র ও সরকার কখনোই মানবিক ছিল না, গত একবছরও হতে পারেনি। আমাদের লড়াই এমন একটি মানবিক রাষ্ট্র গড়ার যেখানে জঘন্য অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গেও ন্যায়বিচার করা হবে। হাসপাতালের শয্যায় তাঁদের হাতকড়া তো দূরে থাক সর্বোত্তম চিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে। তাঁদের মানবিক মর্যাদা সমুন্নত রাখা হবে।’
‘অন্ধের দেশে আয়না বিক্রি কঠিন কাজ, কিন্তু কাউকে না কাউকে শুরু করতে হবে’ মন্তব্য করে তিনি আরও লিখেছেন, ‘হুমায়ুন সাহেবের (নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন) হাতকড়া পরা হাসপাতাল শয্যার ছবি বেদনাদায়ক। এই অমানবিক বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমরা শেখ হাসিনার জঙ্গল উপড়ে ফেলিনি।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবির বিষয়ে জানতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমডি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্ট্রিমকে বলেন, ‘মৃত্যু হয়েছে কারা হেফাজতে, তারাই এ বিষয়ে বলতে পারবেন।’
এ প্রসঙ্গে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান স্ট্রিমকে বলেন, ‘যেকোনো কারাবন্দীর চিকিৎসা প্রদান করা হয়ে থাকে জেলপুলিশের তত্ত্বাবধানে। আমাদের কাজ চিকিৎসা দেওয়া, সেটাই করে থাকি। তবে ওই রোগীকে আইসিইউতে নেওয়ার সময় আমাদের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁর হ্যান্ডকাপ খুলে দিতে বলেছিলেন। উনারা বলেছিলেন, বন্দির একহাতে হ্যান্ডকাপ থাকবে, খোলা যাবে না। এসময় আমাদের চিকিৎসকরা ওই অবস্থাতেই চিকিৎসা প্রদান করেন। তখন রোগীর এক হাতে হ্যান্ডকাপ লাগানো ছিল। তবে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ও ফরেনসিক বিভাগে খোঁজ নিয়েছি, ওইসময় মৃতদেহের হাতে কোনো হ্যান্ডকাপ ছিল না' তিনি আরও বলেন, বিষয়টি কারাকর্তৃপক্ষের। তারাই তাদের বিষয়ে ভাল বলতে পারবেন।"
কারা মুখপাত্র এআইজি (মিডিয়া) জান্নাতুল ফরহাদ জানান, সাবেক মন্ত্রীর হ্যান্ডকাপ পরা যে ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো হচ্ছে, সেই ছবি আগের তোলা। অনেকবার কারাহেফাজতে থাকাকালে তাঁকে ঢামেকে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সেই সময়ে কেউ ছবি তুলে এখন কারা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়ার ডিপার্টমেন্ট অব হোম অ্যাফেয়ার্স মঙ্গলবার প্রকাশিত এক বার্তায় জানিয়েছে, ১ জুলাই ২০২৪ থেকে ৩০ জুন ২০২৫ পর্যন্ত ভিসা ফলাফলের ভিত্তিতে সেপ্টেম্বর ২০২৫-এর এভিডেন্স লেভেল হালনাগাদ করা হয়েছে। এটি ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে কার্যকর হবে।
২ ঘণ্টা আগেঢাকের তালে তালে তরুণ প্রজন্ম পূজাকে উৎসবের আমেজে পালন করছে। ভক্তি আর আনন্দ মিলিয়ে সব বয়সী মানুষের ভিড় জমেছে মণ্ডপে।
২ ঘণ্টা আগেগত ২৩ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়িতে এক স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলনে নামে জুম্ম ছাত্র-জনতা। এর ধারাবাহিকতায় ২৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বর অবরোধ চলাকালে গুইমারায় হামলার ঘটনা ঘটে। সংগঠনের অভিযোগ, জুম্ম জাতিগোষ্ঠীর ওপর হামলা চালায় তিনজন নিহত হন। এসময়ে অন্তত ১৬ জন আহত এবং বহু বাড়িঘর ও দোকানপাট পুড়িয়ে দেওয়া
২ ঘণ্টা আগে