leadT1ad

প্রস্তাবে ‘রাজি’ হামাস, ইসরায়েলকে হামলা থামাতে বললেন ট্রাম্প

স্ট্রিম ডেস্ক
স্ট্রিম ডেস্ক
ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনা প্রকাশের পরও সেখানে হামলা চলেছে। বিবিসিতে প্রকাশিত সাম্প্রতিক ছবি

গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার সর্বশেষ প্রস্তাবের কিছু শর্ত হামাস মেনে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপরই তিনি গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধের জন্য ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানান। এদিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, হামাসের প্রতিক্রিয়ার পর ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনার প্রথম পর্যায়ের ‘তাৎক্ষণিক বাস্তবায়ন’ করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। এর কিছুক্ষণ পরেই দেশটির মিডিয়া জানিয়েছে যে দেশটির রাজনৈতিক মহল গাজায় আক্রমণাত্মক কার্যকলাপ হ্রাস করার জন্য সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছে। খবর রয়টার্স

এর আগে শুক্রবার (৩ অক্টোবর) নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প বলেন, হামাস টেকসই শান্তির জন্য প্রস্তুত। এখন দায়িত্ব ইসরায়েলের। তাদেরই এখনই গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধ করতে হবে, যেন আমরা দ্রুত এবং নিরাপদে জিম্মিদের মুক্ত করতে পারি। আমরা ইতোমধ্যেই বিস্তারিত আলোচনায় রয়েছি। এটি শুধু গাজার বিষয় নয়, বরং মধ্যপ্রাচ্যে বহু প্রতীক্ষিত শান্তির ব্যাপার।

রোববার ভোরের মধ্যে সর্বশেষ ২০ দফার প্রস্তাব মেনে না নিলে হামাসের ওপর ‘নরক ভেঙে পড়বে’ বলে হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এর কয়েকঘণ্টা পরই কিছু শর্তে সম্মতি প্রকাশ করে হামাস।

ট্রাম্পের পরিকল্পনায় তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি, হামাসের হাতে থাকা সব জিম্মির বিনিময়ে ইসরায়েলে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তি, ধাপে ধাপে ইসরায়েলের গাজা থেকে প্রত্যাহার, হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ এবং একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রস্তাব রয়েছে। দুই বছর ধরে চলমান যুদ্ধের অবসান ঘটাতে একমাত্র যোগ্য ব্যক্তি হিসেবে প্রথম থেকেই নিজের ঢোল পিটিয়ে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

তবে জিম্মি মুক্তির বিষয়ে হামাস সুর নরম করলেও নিরস্ত্রীকরণের শর্তে এখনও জটিলতা রয়ে গেছে।

হামাসের জবাবের লিখিত একটি অনুলিপি যাচাই করে রয়টার্স দেখেছে, নিরস্ত্রীকরণে হামাসের অবস্থান স্পষ্ট নয়। এটি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের প্রধান চাওয়া হলেও হামাস পূর্বেও তা প্রত্যাখ্যান করেছে। তাছাড়া হামাস ধাপে ধাপে নয়, বরং অবিলম্বে ও সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে।

তবে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরাকে হামাসের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, দখলদারত্ব শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা অস্ত্র ছাড়বে না।

এদিকে কাতার জানিয়েছে, তারা মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বয় করে আলোচনার পরবর্তী ধাপের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।

অন্যদিকে, গাজার ভেতরে হামলা এখনও অব্যাহত আছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ট্রাম্পের বার্তার পরও ইসরায়েলি সাঁজোয়া যান (ট্যাংক) গাজা সিটির প্রাণকেন্দ্র তালাতিনি সড়কে গোলাবর্ষণ চালিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামাসের বিবৃতি প্রকাশের ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান রিমাল মহল্লার কয়েকটি বাড়িসহ গাজা সিটিতে বোমা বর্ষণ বাড়িয়ে দেয়। খান ইউনিসেও হামলা চালানো হয়, তবে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

Ad 300x250

সম্পর্কিত