leadT1ad

থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্তে সংঘর্ষ, নিহত ১২

থাইল্যান্ডের সেনাবাহিনী বলছে, কম্বোডিয়ার সেনারা উত্তর-পশ্চিম কম্বোডিয়ার অদ্দার মিনচেই প্রদেশের সীমান্তে বিতর্কিত তা মোয়ন থম মন্দিরের কাছাকাছি এলাকায় প্রথমে গুলি চালায়।

স্ট্রিম ডেস্ক
প্রকাশ : ২৪ জুলাই ২০২৫, ১৬: ৩৬
বিএম-২১ রকেট লঞ্চার লোড করছেন কম্বোডিয়ান সেনারা। ছবি: আল-জাজিরা

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে বিরোধপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় তীব্র লড়াইয়ে ১১ জন বেসামরিক নাগরিকসহ অন্তত ১২ জন নিহত এবং ৩৫ জন আহত হয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) থাইল্যান্ডের এক সামরিক সূত্রের বরাতে ব্রিটিশ সংবাদসংস্থা বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।

এর আগে আজ বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকালে সীমান্ত বিরোধের জেরে উভয় দেশের সেনারা পাল্টাপাল্টি গোলাবর্ষণ করে।

থাইল্যান্ডের সেনাবাহিনী বলছে, কম্বোডিয়ার সেনারা উত্তর-পশ্চিম কম্বোডিয়ার অদ্দার মিনচেই প্রদেশের সীমান্তে বিতর্কিত তা মোয়ন থম মন্দিরের কাছাকাছি এলাকায় প্রথমে গুলি চালায়। গুলি চালানোর আগে প্রথমে তারা নজরদারি ড্রোন পাঠায়, এরপর আর্টিলারি ও দীর্ঘ পাল্লার বিএম-২১ রকেটসহ ভারী অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এতে থাইল্যান্ডের অন্তত দুইজন বেসামরিক নাগরিক নিহত ও দুই থাই সেনা সদস্য আহত হন।

থাইল্যান্ডের সুরিন প্রদেশের জেলা প্রধান সুত্থিরাত চারোয়েনথানাসাক বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, বৃহস্পতিবার সকালে কম্বোডিয়ার গোলাবর্ষণে দুইজন নিহত হয়েছেন এবং আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ৮৬টি গ্রামের ৪০ হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এর জবাবে কম্বোডিয়ার সামরিক ঘাঁটিতে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দিয়ে হামলা চালায় থাইল্যান্ড।

থাই সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, তাদের একটি যুদ্ধবিমান কম্বোডিয়ার সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে গুলিবর্ষণ করেছে। এ হামলায় তারা কম্বোডিয়ার স্পেশাল মিলিটারি রিজিয়ন কমান্ডস ৮ ও ৯ ধ্বংস করেছে।

থাইল্যান্ড দাবি করে, কম্বোডিয়া থাইল্যান্ডের একটি গ্রাম ও হাসপাতালে রকেট হামলা চালিয়েছে। অন্যদিকে, থাইল্যান্ড কম্বোডিয়ার সামরিক আস্তানায় বিমান হামলা চালিয়েছে।

কম্বোডিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে অভিযোগ করে যে, থাইল্যান্ড কম্বোডিয়ার ভূখণ্ড জোরপূর্বক দখলের প্রচেষ্টায় অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে। সেই সঙ্গে ভারী অস্ত্র ব্যবহার করছে ও বিমান হামলা চালাচ্ছে।

কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হন মানেত এই বিমান হামলাকে প্রতিবেশী দেশের পক্ষ থেকে চালানো ‘সশস্ত্র আগ্রাসন’ হিসেবে বর্ণনা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেন, কম্বোডিয়া সবসময় শান্তিপূর্ণ সমাধানে বিশ্বাসী। তবে এই সশস্ত্র আগ্রাসনের জবাব দিতে আমাদের হাতে আর কোনো বিকল্প নেই।

কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, প্রথমে থাইল্যান্ড আক্রমণ করেছে। থাই সেনাদের হামলার পর আত্মরক্ষার্থে পাল্টা জবাব দিয়েছে কম্বোডিয়ার সেনারা।

এদিকে আজকের দিন শেষ হওয়ার আগেই দুই দেশের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে আলোচনায় বসানোর আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহীম।

দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় আঞ্চলিক জোট আসিয়ানের বর্তমান সভাপতিত্বে আছে মালয়েশিয়া। থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া দুই দেশই এই জোটের সদস্য।

দুই দেশের মধ্যে এই অচলাবস্থা কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে রয়েছে। চলতি বছরের মে মাসের শেষের দিকে, সীমান্তে থাই ও কম্বোডিয়ার সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষে একজন কম্বোডিয়ান সেনা নিহত হওয়ার পর পর থেকে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

বুধবার (২৩ জুলাই) সীমান্তের বিতর্কিত এলাকায় ল্যান্ডমাইনে পা হারান এক থাই সেনা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে এ নিয়ে দুইজন থাই সেনা এভাবে পা হারানোর ঘটনায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়।

থাই কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করে, সাম্প্রতিক সময়ে কম্বোডিয়া এই মাইনগুলো পুঁতে রেখেছে। তবে কম্বোডিয়া এসব অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দেয়।

বিভিন্ন মাইন অপসারণকারী সংস্থার মতে, কম্বোডিয়ায় কয়েক দশকের পুরোনো গৃহযুদ্ধের সময়কার লাখ লাখ অবিস্ফোরিত ল্যান্ডমাইন এখনো রয়ে গেছে বলে সীমান্ত এলাকায় এমন বিপজ্জনক পরিস্থিতি বিরাজমান।

Ad 300x250

পরিবারের দাবি মৃতদেহ সরিয়ে নিতে বাধ্য করেছে কর্তৃপক্ষ, সরকার বলছে ভিন্ন কথা

চার-পাঁচ দিনের মধ্যেই নির্বাচনের নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা

ইসলামি শক্তির ঐক্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে

আগুনের লেলিহান শিখা পেরিয়ে যেভাবে সেদিন আমরা সূর্যকে খুঁজে পেলাম

আরও ১২ দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন প্রধান উপদেষ্টা

সম্পর্কিত