leadT1ad

গত দেড় মাসে বন্যা ও ভূমিধসে পাকিস্তানে ৬৫৭ মানুষের প্রাণহানি

আগামী সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকে আরও দুই-তিন দফা ভারী বর্ষণের আশঙ্কা থাকায় মন্ত্রিসভার সদস্যদের ক্ষতিগ্রস্ত খাইবার পাখতুনখাওয়ায় ত্রাণ তদারকির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।

স্ট্রিম ডেস্ক
প্রকাশ : ১৮ আগস্ট ২০২৫, ১০: ০৩
আপডেট : ১৮ আগস্ট ২০২৫, ১২: ২৭
গত দেড় মাসে বন্যা ও ভূমিধসে পাকিস্তানে ৬৫৭ মানুষের প্রাণহানি। ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় অন্তত ৩২৩ জন নিহত ও আরও ১৫০ জন নিখোঁজ রয়েছে। চলতি বছরের জুনের শেষ দিক থেকে পাকিস্তানে বৃষ্টিজনিত দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫৭ জন।

গতকাল রোববার (১৭ আগস্ট) খাইবার পাখতুনখাওয়ার প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষের বরাতে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন সর্বশেষ এ তথ্য জানিয়েছে।

আগামী সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকে আরও দুই-তিন দফা ভারী বর্ষণের আশঙ্কা থাকায় মন্ত্রিসভার সদস্যদের ক্ষতিগ্রস্ত খাইবার পাখতুনখাওয়ায় ত্রাণ তদারকির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।

গতকাল রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (পিডিএমএ) মহাপরিচালক আসফানিয়ার খাত্তাক জানান, বুনের ও শাংলা জেলায় প্রশাসনের রাজস্ব কর্মকর্তাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ১৫০ জন এখনো নিখোঁজ আছেন। তিনি জানান, উদ্ধার অভিযান চলছে ও সেনাবাহিনীর পাঁচটি হেলিকপ্টার প্রাদেশিক সরকারের কাজে সহায়তা দিচ্ছে।

আসফানিয়ার খাত্তাক আরও জানান, প্রাদেশিক সরকার ত্রাণ কার্যক্রমের জন্য ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন রুপি বরাদ্দ দিয়েছে।

আসফানিয়ার খাত্তাক আরও জানান, ইতিমধ্যে ৩৩টি ত্রাণসামগ্রীবাহী ট্রাক বুনেরে, ৮টি সওয়াতে ও ৭টি বাজাউরে পৌঁছেছে। আরও ত্রাণ পাঠানো হচ্ছে।

চলতি মাসের ২২ তারিখ পর্যন্ত ভারী মৌসুমি বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে ও সেপ্টেম্বরে আরও দুই থেকে তিন দফা ভারী বর্ষণ হতে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (এনডিএমএ)।

এনডিএমএর পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের ২৬ জুন থেকে এ পর্যন্ত সারা পাকিস্তানে বৃষ্টিজনিত দুর্ঘটনায় ৬৫৭ জন মারা গেছেন এবং আহত হয়েছেন ৯২৯ জন। মৃতদের মধ্যে ১৭১ জন শিশু, ৯৪ জন নারী ও ৩৯২ জন পুরুষ।

শুধু খাইবার পাখতুনখাওয়াতেই প্রাণ হারিয়েছেন ৩৯০ জন, যার মধ্যে ২৮৮ জন পুরুষ, ৫৯ শিশু ও ৪৩ নারী।

পাঞ্জাবে মারা গেছেন ১৬৪ জন। যার মধ্যে ৭০ শিশু, ৬৩ পুরুষ এবং ৩১ নারী। সিন্ধু প্রদেশে ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ১৪ শিশু, ১০ পুরুষ এবং ৪ নারী। বেলুচিস্তানে প্রাণ হারানো ২০ জনের মধ্যে ১১ শিশু, ৫ পুরুষ এবং ৪ নারী। অন্যদিকে রাজধানী ইসলামাবাদে মারা গেছেন ৮ জন। এর মধ্যে ৪ শিশু, ৩ জন পুরুষ এবং ১ নারী।

Ad 300x250

সম্পর্কিত