স্ট্রিম ডেস্ক
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার আজ স্থানীয় সময় রোববার বিকেলে এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি আজ এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
গত জুলাই মাসে কিয়ার স্টারমার জানিয়েছিলেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি ও দীর্ঘমেয়াদী শান্তি প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার ব্যাপারে ইসরায়েল রাজি না হলে যুক্তরাজ্য তার অবস্থান পরিবর্তন করবে। তবে ইসরায়েলি নেতৃত্ব শুরু থেকেই এ শর্ত মানতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় দক্ষিণ ইসরায়েলে ১ হাজার ২০০ জন নিহত ও ২৫১ জন জিম্মি হওয়ার পর থেকে যুদ্ধ এখনো চলছে।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর এই পদক্ষেপে ইসরায়েলি সরকার, গাজায় জিম্মি থাকা পরিবারগুলো ও কিছু কনজারভেটিভ পার্টির এমপি তীব্র সমালোচনা করেছেন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া মানে সন্ত্রাসকে পুরস্কৃত করা।
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রনীতিতে বড় পরিবর্তন। এতদিন ধরে ব্রিটিশ সরকার বলেছিল, শান্তি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই কেবল এ স্বীকৃতি দেওয়া হবে। তবে এবার মন্ত্রীরা বলছেন, দীর্ঘমেয়াদী শান্তির আশা বাঁচিয়ে রাখতে নৈতিক দায়িত্ব থেকেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গাজায় যুদ্ধবিরতি বা দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। সম্প্রতি কাতারে হামাসের একটি আলোচক দলের ওপর ইসরায়েলের বিমান হামলা আন্তর্জাতিক ক্ষোভের জন্ম দেয়।
সরকারি সূত্র জানিয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহে গাজার পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। গাজার দুর্ভিক্ষ ও সহিংসতার চিত্রকে কিয়ার স্টারমার ‘অসহনীয়’ বলে অভিহিত করেছেন।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে জাতিসংঘের একটি তদন্ত কমিশন জানায়, ইসরায়েল গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালিয়েছে। তবে ইসরায়েল এই অভিযোগকে ‘বিকৃত ও মিথ্যা’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। দখলকৃত পশ্চিম তীরে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ইসরায়েলি বসতি নির্মাণ অব্যাহত রাখাকেও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্তের একটি অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে ব্রিটিশ মন্ত্রিসভা। উপ-প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি বলেছেন, দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের পক্ষে দাঁড়ানোর ‘এখনই সময়’।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এ ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন। সম্প্রতি লন্ডন সফরে গিয়ে তিনি কেয়ার স্টারমারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। দুই নেতা একমত হন যে ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিনের সরকারে হামাসের কোনো ভূমিকা থাকবে না।
যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের প্রতিনিধি হুসাম জোমলট বিবিসিকে বলেছেন, এতদিন ধরে আমাদের অস্তিত্ব অস্বীকার করে আসার অবসান ঘটাবে এই স্বীকৃতি। ইতিহাস সংশোধন হচ্ছে, অন্যায় ঠিক হচ্ছে। আজকের দিনটি ব্রিটিশদের জন্য আনন্দের দিন।
হুসাম জোমলট আরও বলেন, ‘কেন যুক্তরাজ্য ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে’ এই প্রশ্ন নয়, বরং প্রশ্ন হওয়া উচিত ‘কেন এতদিন স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি’। স্বীকৃতি কোনো উপহার বা অনুগ্রহ নয়, এটা আমাদের অবিচ্ছেদ্য অধিকার।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার আজ স্থানীয় সময় রোববার বিকেলে এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি আজ এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
গত জুলাই মাসে কিয়ার স্টারমার জানিয়েছিলেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি ও দীর্ঘমেয়াদী শান্তি প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার ব্যাপারে ইসরায়েল রাজি না হলে যুক্তরাজ্য তার অবস্থান পরিবর্তন করবে। তবে ইসরায়েলি নেতৃত্ব শুরু থেকেই এ শর্ত মানতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় দক্ষিণ ইসরায়েলে ১ হাজার ২০০ জন নিহত ও ২৫১ জন জিম্মি হওয়ার পর থেকে যুদ্ধ এখনো চলছে।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর এই পদক্ষেপে ইসরায়েলি সরকার, গাজায় জিম্মি থাকা পরিবারগুলো ও কিছু কনজারভেটিভ পার্টির এমপি তীব্র সমালোচনা করেছেন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া মানে সন্ত্রাসকে পুরস্কৃত করা।
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রনীতিতে বড় পরিবর্তন। এতদিন ধরে ব্রিটিশ সরকার বলেছিল, শান্তি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই কেবল এ স্বীকৃতি দেওয়া হবে। তবে এবার মন্ত্রীরা বলছেন, দীর্ঘমেয়াদী শান্তির আশা বাঁচিয়ে রাখতে নৈতিক দায়িত্ব থেকেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গাজায় যুদ্ধবিরতি বা দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। সম্প্রতি কাতারে হামাসের একটি আলোচক দলের ওপর ইসরায়েলের বিমান হামলা আন্তর্জাতিক ক্ষোভের জন্ম দেয়।
সরকারি সূত্র জানিয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহে গাজার পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। গাজার দুর্ভিক্ষ ও সহিংসতার চিত্রকে কিয়ার স্টারমার ‘অসহনীয়’ বলে অভিহিত করেছেন।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে জাতিসংঘের একটি তদন্ত কমিশন জানায়, ইসরায়েল গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালিয়েছে। তবে ইসরায়েল এই অভিযোগকে ‘বিকৃত ও মিথ্যা’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। দখলকৃত পশ্চিম তীরে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ইসরায়েলি বসতি নির্মাণ অব্যাহত রাখাকেও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্তের একটি অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে ব্রিটিশ মন্ত্রিসভা। উপ-প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি বলেছেন, দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের পক্ষে দাঁড়ানোর ‘এখনই সময়’।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এ ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন। সম্প্রতি লন্ডন সফরে গিয়ে তিনি কেয়ার স্টারমারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। দুই নেতা একমত হন যে ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিনের সরকারে হামাসের কোনো ভূমিকা থাকবে না।
যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের প্রতিনিধি হুসাম জোমলট বিবিসিকে বলেছেন, এতদিন ধরে আমাদের অস্তিত্ব অস্বীকার করে আসার অবসান ঘটাবে এই স্বীকৃতি। ইতিহাস সংশোধন হচ্ছে, অন্যায় ঠিক হচ্ছে। আজকের দিনটি ব্রিটিশদের জন্য আনন্দের দিন।
হুসাম জোমলট আরও বলেন, ‘কেন যুক্তরাজ্য ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে’ এই প্রশ্ন নয়, বরং প্রশ্ন হওয়া উচিত ‘কেন এতদিন স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি’। স্বীকৃতি কোনো উপহার বা অনুগ্রহ নয়, এটা আমাদের অবিচ্ছেদ্য অধিকার।
যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। দেশগুলো বলেছে, ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল বিষয়ে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের সম্ভাবনাকে বাঁচিয়ে রাখতেই আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে মিলে তারা এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেবন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প নিয়ে কোটি কোটি ডলারের দুর্নীতির অভিযোগকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় হাজারো মানুষ বিক্ষোভে নেমেছেন।
৩ ঘণ্টা আগেনতুন এক নির্বাহী আদেশে জনপ্রিয় এইচ-১বি ভিসা প্রোগ্রামে বড়সড় পরিবর্তন আনলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এখন থেকে দক্ষ বিদেশি কর্মীদের এই ভিসার জন্য আবেদন করতে বছরে দিতে হবে ১ লাখ ডলার (প্রায় ১ কোটি ২১ কোটি টাকা)।
১ দিন আগে