স্ট্রিম ডেস্ক
জেন-জি প্রজন্মের পছন্দ হিসেবেই সুশীলা কার্কি নেপালের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। গত শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) তিনি শপথ নেন। কিন্তু মাত্র তিন দিনের মাথায় তার পদত্যাগের দাবিতে উত্তেজনা ছড়িয়েছে দেশটিতে।
রোববার (১৪ আগস্ট) রাতে প্রধানমন্ত্রীর বালুওয়াটারের বাসভবনের বাইরে সুশীলা কার্কির পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করে সমাজসেবক ও ডিজে সুদান গুরুং এবং তার সংগঠন 'হামি নেপাল'।
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সাম্প্রতিক জেন-জি বিক্ষোভে নিহতদের পরিবারের সদস্যরাও ছিলেন। তারা ‘মৃতদের নিয়ে রাজনীতি চলবে না’ এবং ‘প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ চাই’-এর মতো স্লোগান দেন।
জেন-জি বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেওয়া বেসরকারি সংগঠন ‘হামি নেপাল’-এর সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই সুশীলা কার্কি গতকাল রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) গুরুত্বপূর্ণ তিনজন মন্ত্রী নিয়োগ দিয়েছেন। এতে জনগণের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে দাবি করে হামি নেপাল এই বিক্ষোভে নামে।
এদিকে, নতুন নিয়োগ পাওয়া মন্ত্রীদের মধ্যে রয়েছেন—কাঠমান্ডুর মেয়র বালেন শাহের আইনি উপদেষ্টা ওম প্রকাশ আর্যল (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী), সাবেক অর্থসচিব রামেশ্বর খানাল (অর্থমন্ত্রী) এবং বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের সাবেক সিইও কুলমান ঘিসিং (জ্বালানিমন্ত্রী)।
এর আগে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধের ঘটনায় গত ৮ সেপ্টেম্বর কাঠমান্ডুতে শুরু হওয়া বিক্ষোভ মুহূর্তেই সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি। এরপরই নেপালে শাসন ব্যবস্থায় শূন্যতা তৈরি হয় এবং দেশজুড়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। যুবকদের নেতৃত্বাধীন 'হামি নেপাল' এই আন্দোলনের মাধ্যমে রাজনৈতিক সংস্কারের দাবি তোলে। সংগঠনটির নেতা সুদান গুরুং এবং তার সমর্থকরা সংসদ ভেঙে দিয়ে জেন-জি প্রজন্মের প্রতিনিধিত্বকারী একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন।
মন্ত্রী নিয়োগের প্রক্রিয়ার সমালোচনা করে সুদান গুরুং বলেন, ‘এই ওম প্রকাশ যুব জোটকে পাশ কাটিয়ে ভেতরে বসে নিজেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বানাচ্ছেন।’
হামি নেপালের সমর্থকরা দাবি করছেন, যে আন্দোলন সুশীলা কার্কিকে ক্ষমতায় এনেছে, সেই জেন-জি আন্দোলন এখন রাজনৈতিক কুচক্রীদের হাতে চলে গেছে।
প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের বাইরে দাঁড়িয়ে গুরুং ঘোষণা করেন, ‘নেপালের সবচেয়ে শক্তিশালী হলো জনগণ। আমাদের কেউ থামাতে পারবে না। আমরা যাদের ক্ষমতায় বসিয়েছি, সেখান থেকে তাদের টেনে নামাতেও পারব।’
সংবাদ সম্মেলনে বিশৃঙ্খলা
এর আগে রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) কাঠমান্ডুর রিপোর্টার্স ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সুদান গুরুং হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আমাদের দাবি পূরণ না হলে এই সরকারকেও পতন ঘটানো হবে।’
এ সময় সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তার সমর্থকদের সঙ্গে সংবাদকর্মীদের ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতি শুরু হয়। ফলে বিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়েই সংবাদ সম্মেলনটি শেষ হয়।
গুরুং অবশ্য স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, তাঁরা নেপালের সংবিধান বাতিল করতে চান না, বরং এর সংশোধন চান। তাঁদের প্রধান দাবি, বর্তমান সংসদ ভেঙে দেওয়া, জেন-জি প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন এবং নতুন ও দুর্নীতিমুক্ত নেতাদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর।
কার্কি যখন রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথ নেন, তখন সুদান গুরুংই তার পায়ে হাত দিয়ে সম্মান জানিয়েছিলেন। কিন্তু এখন তিনি কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। গুরুং বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রী চাই না। আমাদের সরকার দরকার নেই। যদি চাইতাম, আমি নিজেই পদটা নিতে পারতাম। আমরা পরিবর্তন চাই। চেয়ারে বসে অহংকার দেখানো চলবে না। এখন প্রত্যেক নেপালির কথা শুনতে হবে।’
উল্লেখ্য, জেন-জি প্রজন্মের আরেক জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব, কাঠমান্ডুর মেয়র ও র্যাপার বালেন শাহও সুশীলা কার্কিকে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য সমর্থন দিয়েছিলেন। ২০২২ সালে বালেন শাহ নেপালের বড় দলগুলোকে হারিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন।
সূত্র: দ্য প্রিন্ট
জেন-জি প্রজন্মের পছন্দ হিসেবেই সুশীলা কার্কি নেপালের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। গত শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) তিনি শপথ নেন। কিন্তু মাত্র তিন দিনের মাথায় তার পদত্যাগের দাবিতে উত্তেজনা ছড়িয়েছে দেশটিতে।
রোববার (১৪ আগস্ট) রাতে প্রধানমন্ত্রীর বালুওয়াটারের বাসভবনের বাইরে সুশীলা কার্কির পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করে সমাজসেবক ও ডিজে সুদান গুরুং এবং তার সংগঠন 'হামি নেপাল'।
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সাম্প্রতিক জেন-জি বিক্ষোভে নিহতদের পরিবারের সদস্যরাও ছিলেন। তারা ‘মৃতদের নিয়ে রাজনীতি চলবে না’ এবং ‘প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ চাই’-এর মতো স্লোগান দেন।
জেন-জি বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেওয়া বেসরকারি সংগঠন ‘হামি নেপাল’-এর সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই সুশীলা কার্কি গতকাল রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) গুরুত্বপূর্ণ তিনজন মন্ত্রী নিয়োগ দিয়েছেন। এতে জনগণের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে দাবি করে হামি নেপাল এই বিক্ষোভে নামে।
এদিকে, নতুন নিয়োগ পাওয়া মন্ত্রীদের মধ্যে রয়েছেন—কাঠমান্ডুর মেয়র বালেন শাহের আইনি উপদেষ্টা ওম প্রকাশ আর্যল (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী), সাবেক অর্থসচিব রামেশ্বর খানাল (অর্থমন্ত্রী) এবং বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের সাবেক সিইও কুলমান ঘিসিং (জ্বালানিমন্ত্রী)।
এর আগে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধের ঘটনায় গত ৮ সেপ্টেম্বর কাঠমান্ডুতে শুরু হওয়া বিক্ষোভ মুহূর্তেই সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি। এরপরই নেপালে শাসন ব্যবস্থায় শূন্যতা তৈরি হয় এবং দেশজুড়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। যুবকদের নেতৃত্বাধীন 'হামি নেপাল' এই আন্দোলনের মাধ্যমে রাজনৈতিক সংস্কারের দাবি তোলে। সংগঠনটির নেতা সুদান গুরুং এবং তার সমর্থকরা সংসদ ভেঙে দিয়ে জেন-জি প্রজন্মের প্রতিনিধিত্বকারী একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন।
মন্ত্রী নিয়োগের প্রক্রিয়ার সমালোচনা করে সুদান গুরুং বলেন, ‘এই ওম প্রকাশ যুব জোটকে পাশ কাটিয়ে ভেতরে বসে নিজেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বানাচ্ছেন।’
হামি নেপালের সমর্থকরা দাবি করছেন, যে আন্দোলন সুশীলা কার্কিকে ক্ষমতায় এনেছে, সেই জেন-জি আন্দোলন এখন রাজনৈতিক কুচক্রীদের হাতে চলে গেছে।
প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের বাইরে দাঁড়িয়ে গুরুং ঘোষণা করেন, ‘নেপালের সবচেয়ে শক্তিশালী হলো জনগণ। আমাদের কেউ থামাতে পারবে না। আমরা যাদের ক্ষমতায় বসিয়েছি, সেখান থেকে তাদের টেনে নামাতেও পারব।’
সংবাদ সম্মেলনে বিশৃঙ্খলা
এর আগে রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) কাঠমান্ডুর রিপোর্টার্স ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সুদান গুরুং হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আমাদের দাবি পূরণ না হলে এই সরকারকেও পতন ঘটানো হবে।’
এ সময় সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তার সমর্থকদের সঙ্গে সংবাদকর্মীদের ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতি শুরু হয়। ফলে বিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়েই সংবাদ সম্মেলনটি শেষ হয়।
গুরুং অবশ্য স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, তাঁরা নেপালের সংবিধান বাতিল করতে চান না, বরং এর সংশোধন চান। তাঁদের প্রধান দাবি, বর্তমান সংসদ ভেঙে দেওয়া, জেন-জি প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন এবং নতুন ও দুর্নীতিমুক্ত নেতাদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর।
কার্কি যখন রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথ নেন, তখন সুদান গুরুংই তার পায়ে হাত দিয়ে সম্মান জানিয়েছিলেন। কিন্তু এখন তিনি কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। গুরুং বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রী চাই না। আমাদের সরকার দরকার নেই। যদি চাইতাম, আমি নিজেই পদটা নিতে পারতাম। আমরা পরিবর্তন চাই। চেয়ারে বসে অহংকার দেখানো চলবে না। এখন প্রত্যেক নেপালির কথা শুনতে হবে।’
উল্লেখ্য, জেন-জি প্রজন্মের আরেক জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব, কাঠমান্ডুর মেয়র ও র্যাপার বালেন শাহও সুশীলা কার্কিকে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য সমর্থন দিয়েছিলেন। ২০২২ সালে বালেন শাহ নেপালের বড় দলগুলোকে হারিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন।
সূত্র: দ্য প্রিন্ট
বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে শুরু হওয়া তর্কের জেরে সহপাঠীদের ওপর হামলার অভিযোগে আসামের শিলচরে অবস্থিত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এনআইটি) থেকে পাঁচ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ।
৩ ঘণ্টা আগেভোটে প্রস্তাবের পক্ষে ১৪২টি দেশ সমর্থন দেয়। ১০টি দেশ বিরোধিতা করে। ১২টি দেশ ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে। প্রস্তাবে বলা হয়, হামাসমুক্ত একটি স্বাধীন ও কার্যকর ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে হামাসের নিরস্ত্রীকরণ, ক্ষমতা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের হাতে হস্তান্তর এবং ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের
১৭ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী সম্প্রতি আফগান সীমান্তের কাছে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)-এর তিনটি আস্তানায় অভিযান চালায়। এতে তীব্র সংঘর্ষে অন্তত ১৯ সেনা ও ৪৫ জন তালেবান যোদ্ধা নিহত হয়।
১ দিন আগেজেন-জি বিক্ষোভের জেরে প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলির পদত্যাগের পর বড় রাজনৈতিক সংকটে পড়েছিল নেপাল। তবে সংকট কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন দেশটির সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি।
২ দিন আগে