leadT1ad

হাসিনা ঘনিষ্ঠদের ব্যাংকগুলোতে এখনো টাকা উত্তোলনের হিড়িক

একসময়ের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি ব্যাংকগুলো এখন টাকার অভাবে দিশেহারা। এক বছরে আমানত কমেছে ২১ শতাংশ পর্যন্ত, খেলাপি ঋণ বেড়ে রেকর্ড উচ্চতায়। শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠদের নিয়ন্ত্রণে থাকা এসব বেসরকারি ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে পারছেন না আমানতকারীরা।

স্ট্রিম প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০০: ০১
একসময়ের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি ব্যাংকগুলো এখন টাকার অভাবে দিশেহারা। স্ট্রিম গ্রাফিক

ঢাকার দিলকুশা, মতিঝিল আর গুলশানের ব্যাংক শাখাগুলোতে এখন অস্বস্তিকর ভিড়। সকাল থেকে সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন গ্রাহকরা—কারও চোখে উদ্বেগ, কারও হাতে চেকবই। কেউ কেউ দিনের পর দিন ঘুরেও টাকা তুলতে পারছেন না।

একসময়ের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি কিছু ব্যাংকের কাউন্টার এখন যেন আতঙ্কের প্রতীক। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হিসাব বলছে, মাত্র এক বছরে এসব ব্যাংকের আমানত কমেছে ২১ শতাংশ পর্যন্ত। খেলাপি ঋণ বেড়ে গেছে রেকর্ড পরিমাণে।

তবে সেই তূলনায় ব্যাংক খাতের সামগ্রিক চিত্র ভিন্ন। গত বছরের জুন থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত এক বছরে দেশের ব্যাংকিং খাতে মোট আমানত প্রায় ৮ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৪ সালের জুনে আমানত ছিল ১৮ লাখ ৭১ হাজার ২৬ কোটি টাকা, যা গত জুনে বেড়ে হয়েছে ২০ লাখ ২১ হাজার ৬৬১ কোটি টাকা।

নির্দিষ্ট এই ব্যাংকগুলো নিয়ে সরকার তাই নেমেছে সরাসরি হস্তক্ষেপে। অবসান ঘটাতে চাইছে ব্যাংক সংকটের। ব্যাংক একীভূতকরণ থেকে শুরু করে নতুন ব্যবস্থাপনা পর্ষদ গঠন—সবই চলছে দ্রুত গতিতে।

গ্রাহক পর্যায়ে আতঙ্ক

রাজধানীর মতিঝিলের দিলকুশায় সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখা। গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় দেখা গেল শাখাটির সামনে দীর্ঘ জটলা। শাখার ভেতরে প্রবেশ করে জানা গেল, চাহিদামতো টাকা না পেয়ে অনেক গ্রাহক ভিড় করেছেন। কেউ কেউ নিজের ব্যাংক হিসাব থেকে ৫-১০ হাজার টাকা পেলেও বেশির ভাগ খালি হাতে ফেরত যাচ্ছেন।

ব্যাংকটির এক গ্রাহক কামরুল হাসান বলেন, ‘পাঁচ বছর ধরে টাকা জমিয়েছি। এখন মেয়াদ পূর্তি হয়েছে। কিন্তু আসল ও মুনাফা—কোনো টাকায় দিচ্ছে না। টাকা ফেরত দিতে প্রতিদিন সময় চাইছে। কবে টাকা ফেরত পাব, কেউ বলতে পারছে না।‘

গত সপ্তাহে একইরকম চিত্র দেখা গেছে ন্যাশনাল ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায়।

অভিযোগ রয়েছে, এসব ব্যাংক ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। তাঁরা এসব ব্যাংকের বড় অর্থ বিভিন্ন নামে তুলে নিয়েছেন। যার বড় অংশ বিদেশে পাচার হয়ে গেছে। ফলে এসব অর্থ আদায় হচ্ছে না। গ্রাহকরা আতঙ্কিত হয়ে প্রতিনিয়ত এসব ব্যাংকের টাকা তোলার জন্য ভিড় করছেন।

আমানত কমায় শীর্ষ পাঁচ ব্যাংক

এক বছরে সবচেয়ে বেশি আমানত কমেছে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংকের। এরপর আমানত কমার শীর্ষে আছে যথাক্রমে—এক্সিম ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, মধুমতি ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংক।

২০১৭ সালে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নেয় ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম। এর পর চূড়ান্ত অনিয়ম ও দুর্ণিতিতে বিপর্যস্ত হয় ব্যাংকটি। এই ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন এস আলমের জামাতা বেলাল আহমেদ।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ব্যাংকটির পর্ষদের নিয়ন্ত্রণ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। দেশি-বিদেশি নিরীক্ষায় বের হয়েছে, ব্যাংকটির ৬২ শতাংশ ঋণ খেলাপি হয়ে পড়েছে। ব্যাংকটি আস্থার সংকটে পড়েছে টাকা ফেরত দিতে না পারায়। গত জুনে আমানত কমে হয়েছে ২৭ হাজার ৬৬০ কোটি টাকা। এক বছরে ব্যাংকটি আমানত হারিয়েছে ২১ দশমিক ৪৮ শতাংশ।

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাফিউজ্জামান বলেন, ‘যাদের নামে ঋণ দেওয়া হয়েছে, সেই অর্থ আদায় হচ্ছে না। এ জন্য টাকা ফেরত দিতে সমস্যা হচ্ছে।‘

শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠদের নিয়ন্ত্রণে থাকা ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ বেড়েছে রেকর্ড পরিমাণে। স্ট্রিম গ্রাফিক
শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠদের নিয়ন্ত্রণে থাকা ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ বেড়েছে রেকর্ড পরিমাণে। স্ট্রিম গ্রাফিক

দেশের শীর্ষ ঋণ খেলাপিদের ওপর বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুসারে, ন্যাশনাল ব্যাংক দীর্ঘদিন সিকদার গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ ছিল। এই সময়ে এস আলম গ্রুপ, বেক্সিমকো গ্রুপ, মাইশা গ্রুপ, সিকদার গ্রুপসহসহ আরও কয়েকটি আওয়ামী লীগ সমর্থিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠী ব্যাংক থেকে টাকা বের করে নেয়।

সরকার বদলের পর ব্যাংকটির দায়িত্ব দেওয়া বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুকে। কিন্তু নতুন নের্তৃত্বেও ব্যাংকটি ঋণের টাকা উদ্ধার করতে পারছে না। ব্যাংকটির খেলাপি ঋণ বেড়ে হয়েছে ৬৪ শতাংশ। আর এই ব্যাংকের আমানত গত জুনে কমে হয়েছে ৩৪ হাজার ২৭৮ কোটি টাকা। এক বছরে আমানত কমেছে ১৪ দশমিক ৯৪ শতাংশ।

বেসরকারি খাতের এক্সিম ব্যাংক প্রতিষ্ঠার কিছুদিন পর থেকে সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের নিয়ন্ত্রণে ছিল। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের পুরো মেয়াদে তিনি ছিলেন ব্যাংক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) এর চেয়ারম্যান। সেই সুবাদে আওয়ামী সমর্থিত ব্যবসায়ীরা অবাধে ব্যাংকটি থেকে ঋণ পান। সেই ঋণ এখন আদায় করতে পারছে না ব্যাংকটি। ঋণের ৪৮ শতাংশ খেলাপি হয়ে গেছে।

বর্তমান সরকার ব্যাংকটির পর্ষদে পরিবর্তন এনেছে। এরপরও উন্নতি না হওয়ায় তা এখন একীভূত তালিকায় যুক্ত হয়েছে। গত জুনে ব্যাংকটির আমানত কমে হয়েছে ৩৮ হাজার ২৫৭ কোটি টাকা। এক বছরে আমানত কমেছে ১৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন সাইফুল আলম বা এস আলম নিজেই। গত জুনে ব্যাংকটির আমানত কমে হয়েছে ৪০ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা। আর ঋণের ৯৭ শতাংশ খেলাপি হয়ে গেছে।

এ ছাড়া এক সময় ওরিয়ন গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে থাকা আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের আমানত গত জুনে কমে হয়েছে ৮৮০ কোটি টাকা, এক বছরে কমেছে ১০ শতাংশের বেশি। এসব ব্যাংক থেকে গ্রাহকেরা টাকা তুলতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়ছেন।

আরও যাদের আমানত কমেছে

এস আলমের নিয়ন্ত্রণে থাকা গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকও বিপর্যয়ে পড়েছে। ব্যাংকটির আমানত গত জুনে কমে হয়েছে ১১ হাজার ৭০৯ কোটি টাকা। এক বছরে আমানত কমেছে ৯ শতাংশ। ঋণের ৯৫ শতাংশ খেলাপি এই ব্যাংকের।

গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নূরুল আমিন বলেন, ‘ব্যাংকটির ঋণের বড় অংশ আদায় হচ্ছে না। এসব ঋণ খেলাপি হয়ে পড়েছে, আদায়ও হচ্ছে না। এ জন্য গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে সমস্যা হচ্ছে।’

এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে থাকা ইউনিয়ন ব্যাংকের অবস্থাও একই। ব্যাংকটির আমানত কমে হয়েছে ১৮ হাজার ৫৫৭ কোটি টাকা। এক বছরে আমানত কমেছে ৪ শতাংশের বেশি। ব্যাংকটির ঋণের ৯৮ শতাংশ এখন খেলাপি।

ইউনিয়ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির বলেন, ‘ঋণের বড় অংশ এস আলম নিয়ে গেছে। এসব আদায় হচ্ছে না। ফলে টাকা ফেরত দিতে সমস্যা হচ্ছে।’

এ ছাড়া ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের মালিকানাধীন মধুমতি ব্যাংকের আমানত গত জুনে কমে হয়েছে ৭ হাজার ৭৮৪ কোটি টাকা। এক বছরে ব্যাংকটির আমানত কমেছে ৬ দশমিক ৩০ শতাংশ। এই ব্যাংকের অনিয়মের তেমন কোনো তথ্য মেলেনি। আমানত কমেছে মূলত সরকার বদলের পর সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এই ব্যাংক থেকে আমানত তুলে নিয়ে যাওয়ার কারণে।

সামগ্রিক চিত্র কী

পুরো ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের সামগ্রিক চিত্র অস্বস্তিকর। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৩ লাখ কোটি টাকার বেশি। ২০২৪ সালের জুনে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ ছিল ২ লাখ ১১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা। এ বছরের জুনে তা বেড়ে হয়েছে ৫ লাখ ৩০ হাজার ৪২৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৩ লাখ ১৯ হাজার ৩৭ কোটি টাকা।

যেসব প্রতিষ্ঠানের ঋণ খেলাপি হয়ে পড়েছে, সেগুলোর বেশির ভাগই বন্ধ। সরকার বদলের পর এসব প্রতিষ্ঠানের মালিকেরা দেশছাড়া। ব্যাংকগুলো তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো সাড়া পাচ্ছে না। ঋণ নেওয়ার সময়েই প্রক্রিয়া এমন করে করা হয়েছিল যাতে মূল হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকতে পারে।

ইউনিয়ন ব্যাংকের এমডি হুমায়ুন কবির বলেন, ‘কর্মচারীদের নামে ঋণ নিয়েছে এস আলম গ্রুপ। কর্মচারীরা দেশে থাকলেও তারা ঋণের বিষয়ে কিছু জানেন না। তাঁরা যাদের কর্মচারী ছিলেন সেই মালিক কোনো সাড়া দিচ্ছেন না।‘

সরকার কী ভাবছে

এ নিয়ে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের সাবেক চেয়ারম্যান আনিস এ খান বলেন, ‘ব্যাংকগুলো একীভূত করা ছাড়া আর ভালো কোনো পথ নেই। সারা বিশ্বে এমন পরিস্থিতিতে ব্যাংক একীভূত করা হয়। তাহলে একীভূত ব্যাংকটি একসময় ভালো ব্যাংকে পরিণত হতে পারে। এ জন্য আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে একীভূত করতে হবে। ছোট আমানতকারীদের মধ্যে যে আতঙ্ক আছে, তা দূর করতে হবে। এ জন্য একীভূত করার প্রথম পর্যায়ে ছোট আমানতকারীদের টাকা উত্তোলনের সুযোগ দিতে হবে।‘

অন্তর্বর্তী সরকার এর মধ্যে পাঁচটি ব্যাংক একীভূত করার উদ্যোগ নিয়েছে। সরকারি তহবিল দিয়ে ছোট আমানতকারীদের দায় শোধের চিন্তা করা হচ্ছে। এসব উদ্যোগে আমানতকারীদের মধ্যে আরও ভীতি ছড়িয়ে পড়েছে। গ্রাহকরা এসব ব্যাংক থেকে এখনো আমানত তুলে নিচ্ছে। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর গত বছরের জুলাই থেকে গত জুন মাস পর্যন্ত আমানত স্থিতি পর্যালোচনায় এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

এদিকে, এক্সিম ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংককে একীভূত করে একটি ব্যাংক গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দেশি-বিদেশি নিরীক্ষক দিয়ে এসব ব্যাংকের সম্পদের মান বের করা হয়েছে। এ জন্য প্রাথমিকভাবে ২০ হাজার ২০০ কোটি টাকা মূলধন জোগান দেবে সরকার। তাহলে নতুন এই ব্যাংকের মূলধন হবে ৩৫ হাজার ২০০ কোটি টাকা, যা দেশের সবচেয়ে বড় ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে।

দেখা গেছে, আমানত বাড়াতে ব্যাংকগুলো নতুন নতুন আমানত পণ্য চালু করছে। কোনো কোনো ব্যাংক বাড়তি সুদ দিয়ে আমানত টানার চেষ্টা করে যাচ্ছে। এরপরও তেমন সাড়া পাচ্ছে না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘এখন অনেকে এক ব্যাংক থেকে আমানত তুলে অন্য ব্যাংকে রাখছে। সব ব্যাংকের আমানত নিরাপদ। আতঙ্কে কারও আমানত তোলার প্রয়োজন নেই। আর্থিক পরিস্থিতি খারাপ হয়ে পড়া ব্যাংকগুলোকে একীভূত করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে সব ব্যাংক সামনে শক্তিশালী হয়ে উঠবে।’

ব্যাংক খাতের ভবিষ্যৎ

বাংলাদেশের ব্যাংক খাত এখন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। একদিকে কিছু বেসরকারি ব্যাংকে ব্যাপক খেলাপি ঋণ ও আমানত হারানোর ঘটনা আস্থার বড় সংকট তৈরি করেছে। তবে এই সংকট কাটাতে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে সরাসরি হস্তক্ষেপ করছে। একীভূতকরণ, নতুন পর্ষদ গঠন, সরকারি তহবিল থেকে মূলধন জোগান—সবই করা হচ্ছে আস্থা ফেরানো ও ব্যাংক খাতকে স্থিতিশীল করতে।

এখন সবার চোখ সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপে। একীভূত ব্যাংকগুলো কেমন করে দাঁড়ায়, ছোট আমানতকারীরা কতটা নিরাপদ বোধ করেন—সেই উত্তরই ঠিক করবে দেশের ব্যাংক খাতের ভবিষ্যৎ।

Ad 300x250

সম্পর্কিত