leadT1ad

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ‘যুদ্ধ-দাস’ হিসেবে যেভাবে ব্যবহৃত হচ্ছেন বাংলাদেশিরা

সজিব তুষার
প্রকাশ : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫: ৪৫
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ‘যুদ্ধ-দাস’ হিসেবে যেভাবে ব্যবহৃত হচ্ছেন বাংলাদেশিরা। স্ট্রিম গ্রাফিক

‘আসসালামু আলাইকুম, আমি যুদ্ধে আছি। কোনো সমস্যা নেই। আব্বা-আম্মা, আমার জন্য দোয়া কোরো। সবাই আমার সঙ্গে আছে, চিন্তা কোরো না।’ পরিবারের জন্য পাঠানো ভিডিওতে এই ছিল নিহত হাবিবুল্লাহ ভূঁইয়ার শেষ বার্তা। ইতালি নেওয়ার কথা বলে হাবিবুল্লাহ ভূঁইয়াকে (২০) রাশিয়ায় পাচার করা হয়। পরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ‘যুদ্ধ-দাস’ হিসেবে ব্যবহৃত হন তিনি। এক পর্যায়ে রাশিয়ার পক্ষে এই যুদ্ধ করতে গিয়ে মারা যান বাংলাদেশি এই যুবক।

হাবিবুল্লাহ ভুঁইয়ার বিদেশে যাওয়ার গল্প আর দশজনের মতোই। দেশে চাকরি না পেয়ে ‘ভালো জীবনের’ আশায় বিদেশে পাড়ি জমিয়েছিলেন তিনি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বেশি বেকারত্বের হারের মুখোমুখি হয়েছে যে দেশগুলো, বাংলাদেশ তার অন্যতম। আমাদের দেশে চলতি অর্থবছরের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে বেকারত্বের হার ছিল ৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ। এ পরিস্থিতিতে বিদেশে উন্নত জীবনের হাতছানি অনেকের কাছেই আসলে ভাগ্য পরিবর্তনের সুযোগ।

নরসিংদীর যুবক হাবিবুল্লাহর স্বপ্ন ছিল বিদেশে গিয়ে পরিবারের ভাগ্য পরিবর্তন করবেন। তাঁর পরিকল্পনা ছিল, ইউরোপে গিয়ে অভিবাসী হয়ে পরিবারের স্বপ্ন পূরণ করবেন। কিন্তু ভিডিওটি রেকর্ড করার মাত্র কয়েকদিন পরেই ইউক্রেনীয় সেনাদের হাতে নিহত হন হাবিবুল্লাহ। পরে সহযোদ্ধারাই তাঁর মৃত্যুর খবর পরিবারকে জানায়। হাবিবুল্লাহ হয়তো স্বাচ্ছন্দ্য ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তাঘেরা এক জীবন চেয়েছিলেন, কিন্তু যুদ্ধ কখনোই তাঁর পরিকল্পনার অংশ ছিল না।

মৃত্যুর আগে রাশিয়ান আর্মির পক্ষে যুদ্ধরত হাবিবুল্লাহ ভুঁইয়া। সংগৃহীত ছবি
মৃত্যুর আগে রাশিয়ান আর্মির পক্ষে যুদ্ধরত হাবিবুল্লাহ ভুঁইয়া। সংগৃহীত ছবি

যেভাবে শুরু

হাবিবুল্লাহর যাত্রা এবং তাঁর চূড়ান্ত পরিণতি সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানতে ‘স্ট্রিম’ তাঁর বাড়ি নরসিংদীতে গিয়েছিল। শহর থেকে বিশ মিনিট দূরে, শিবপুর থানার ঘাসিরদিয়া গ্রামে মা মনসুরা বেগম ও বাবা আবু সিদ্দিক ভূঁইয়ার সঙ্গে বসবাস করতেন হাবিবুল্লাহ। পরিবারের সামান্য সঞ্চয় ও ধার করা টাকা দিয়ে তাঁরা ছেলের ইতালি যাওয়ার স্বপ্ন পূরণের চেষ্টা করেন। কিন্তু হাবিবুল্লাহর এই স্বপ্নপূরণের খরচ ছিল ২০ লাখ টাকা।

‘স্ট্রিম’-এর সঙ্গে কথা বলার সময় হাবিবুল্লাহর বাবা বারবার বলছিলেন, আর্থিক সংকটই তাঁকে বিদেশে পাঠানোর মূল কারণ ছিল না। আবু সিদ্দিক ভূঁইয়া বলেন, ‘সে হতাশ ছিল। আমরা চাইনি সে হতাশ থাকুক। আমি টাকা ধার করেছি, ঋণ নিয়েছি, নানাভাবে টাকার ব্যবস্থা করেছি। আমার পরিবারকে কখনো এত বড় ঋণ নিতে হয়নি, কিন্তু আমি আমার ছেলের জন্য তা করেছি।’

কিন্তু টাকা ছিল সমস্যার একটি অংশ মাত্র। দালালের সঙ্গে লেনদেনের সময়ও সমস্যা দেখা দেয়। হাবিবুল্লাহর মা মনসুরা বেগম সেই সময়ের কথা স্মরণ করে বলেন, ‘দালাল ফারুক মৃধা আমাদের বলতেই থাকত যে, ওয়ার্ক পারমিট আসছে। এভাবে প্রায় এক বছর নষ্ট হয়ে যায়।’

নরসিংদী থেকে রাশিয়া

হাবিবুল্লাহর আসল পরিকল্পনা ছিল ইতালি যাওয়ার। অনেক অভিবাসন প্রত্যাশীদের জন্য এটি একটি পরিচিত পথ। মনসুরা বলেন, ‘ভিসা পাওয়ার পর দালাল ফারুক মৃধা জানায়, সে হাবিবুল্লাহকে প্রথমে ওমরাহর জন্য সৌদি আরব নিয়ে যাবে। সে হজের জন্য প্রয়োজনীয় ভিসার ব্যবস্থা করেছে বলে দাবি করলেও হাবিবুল্লাহ শেষ পর্যন্ত রাশিয়ায় পৌঁছায়।’

পরে জানা যায়, মানব পাচারকারীরা প্রায় ২ লাখ টাকায় (আনুমানিক ১৮,০০০-২০,০০০ ডলার) হাবিবুল্লাহকে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর কাছে বিক্রি করে দিয়েছিল।

মনসুরা বেগম বলেন, রাশিয়ার বিমানবন্দরে অভিবাসন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সুলতান দালাল নামের একজনের দেখা হয়। হাবিবুল্লাহকে তিনি জানান, তাঁকে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীতে তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে। এরপর হাবিবুল্লাহকে প্রশিক্ষণের জন্য সামরিক ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়।

এর আগে হাবিবুল্লাহ কখনো আনুষ্ঠানিক সামরিক প্রশিক্ষণ পাননি। এমনকি তিনি জানতেনও না যে তাকে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে বাধ্য করা হবে। মনসুরা বেগম বলেন, ‘হাবিবুল্লাহকে প্রতিদিন আহত যোদ্ধাদের বহন করতে হতো। কারও হাত নেই, কারও পা নেই, কারও পেটে গুলি লেগেছে। এসব দেখে সে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। পুরোপুরি খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেয়।’

নিহত হাবিবুল্লাহর মা মানসুরা বেগম। স্ট্রিম ছবি
নিহত হাবিবুল্লাহর মা মানসুরা বেগম। স্ট্রিম ছবি

খাওয়া বন্ধ প্রসঙ্গে মনসুরা বেগম তাঁর ছেলেকে জিজ্ঞাসা করলে হাবিবুল্লাহ বলেছিলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে তিনি যা দেখেছেন, তারপর তার আর খাবার মুখে ওঠে না। তবুও হাবিবুল্লাহ তার পরিবারকে ভয় না দেখিয়ে বারবার সাহস দেওয়ার চেষ্টা করতেন। বাবা-মাকে আশ্বস্ত করে বলতেন, ‘আমার জন্য চিন্তা কোরো না, মা; আমার জন্য চিন্তা কোরো না।’

আবু সিদ্দিক ছেলের কথা স্মরণ করে আর্দ্র গলায় বলেন, ‘সে মাথা উঁচু করে বা ঘুরিয়ে কথা বলত না। এ কথা মনে পড়লে আমার বুক ফেটে যায়।’

স্ট্রিমের সঙ্গে কথাবার্তার এক পর্যায়ে নিহত হাবিবুল্লাহর মা-বাবা বারবার ‘সুলতান দালাল’ নামে একজনের কথা উল্লেখ করেন। তার সূত্র ধরে সুলতান দালালের অবস্থান যাচাই করার চেষ্টা করেছে ‘স্ট্রিম’। স্থানীয়দের মতে, সুলতান দালাল ভারতে বসবাসকারী এক পাচারকারী। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ভারত, বাংলাদেশ ও পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে বিপুলসংখ্যক যুবককে ‘উন্নত জীবনের’ লোভ দেখিয়ে ইউক্রেনের যুদ্ধে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন।

বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই মানব পাচারে ৬৭টি পাচারকারী চক্র এবং ১৭টি ট্রাভেল এজেন্সি জড়িত।

বদিউজ্জামানের কাহিনিও একই রকম

হাবিবুল্লার মতোই আরেকজন নরসিংদীর ব্রহ্মান্দী গ্রামের বদিউজ্জামান। ইতালি নেওয়ার কথা বলে তাঁকেও রাশিয়ায় পাচার করা হয়। হাবিবুল্লাহর ঘাসিরদিয়া গ্রাম থেকে মাত্র কয়েক মাইল দূরে এই ব্রহ্মান্দীতেও একই ধরনের মানব পাচারের ঘটনা ঘটেছে। এ গ্রামের বদিউজ্জামান প্রায় পাঁচ মাস ধরে নিখোঁজ। চার ভাই ও নিজের সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে বদিউজ্জামান নামের এই যুবক ইউরোপের পথে যাত্রা করেছিলেন। আর এই ব্যয়বহুল যাত্রার জন্য তাঁর পরিবার নিজেদের কৃষিজমি বিক্রি করে নিঃশ্ব হয়েছে।

বদিউজ্জামানের মা লিলি বেগম স্ট্রিমকে বলেন, ‘সে বেঁচে আছে, না মরে গেছে, একমাত্র আল্লাহই জানেন’।

নিহত হাবিবুল্লাহর বাবা আবু সিদ্দিকী ভূঁইয়া। স্ট্রিম ছবি
নিহত হাবিবুল্লাহর বাবা আবু সিদ্দিকী ভূঁইয়া। স্ট্রিম ছবি

ছেলের কথা বলতে বলতে দীর্ঘশ্বাস ছাড়েন লিলি বেগম। বলেন, ‘অনেকেই ইতালি যাচ্ছে। তাই আমার ছেলেও আশা করেছিল। সে যদি আয় করতে পারত, তাহলে তার ভাইদের, সন্তানদের এবং মায়ের ভরণপোষণ করতে পারত। আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না, বদিউজ্জামানকে বিদেশ পাঠাতে আমাদের কী কী হারাতে হয়েছে। ঋণদাতারা আমাদের বাড়ি থেকে চালের ড্রাম আর ধানের ঝুড়ি নিয়ে গেছে। আমরা যা পেরেছি বিক্রি করেছি ও বন্ধক রেখেছি।’

লিলি বেগম তাঁর ছেলের কাছ থেকে সর্বশেষ শুনেছিলেন, সে রাশিয়ায় আছে। তখন ছেলে মাকে বলেছিল, তাঁর অবস্থা খুব গুরুতর।

‘স্ট্রিম’-এর সঙ্গে কথা বলার সময় বদিউজ্জামানের ভাই মেহেদী হাসান বলেন, দালাল তাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে।

বদিউজ্জামানের ১৩ বছর বয়সী মেয়ে এখনো তাঁর বাবার ফেরার অপেক্ষায়। আকুল কণ্ঠে সে বলে, ‘আমি কয়েক মাস ধরে আমার বাবার সঙ্গে কথা বলতে পারিনি। আমাদের শেষ কথা হয়েছিল ১০ মার্চ। সে সময় তিনি বলেছিলেন, তিনি যুদ্ধে যাচ্ছেন। বলেছিলেন, আমরা যেন ভালো থাকি আর তাঁর জন্য যেন দোয়া করি।’

হাবিবুল্লাহ ও বদিউজ্জামান--দুজনের পাচারের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ এর মধ্যে দালাল ফারুক মৃধাকে গ্রেপ্তার করেছে।

স্ট্রিমের হাতে আসা দুটি অডিও ক্লিপ ফারুক ও সুলতানকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছে।

বদিউজ্জামানের ভাই মেহেদী হাসানকে পাঠানো একটি ক্লিপে ফারুককে বলতে শোনা যায়, ‘তাঁদেরকে একজন সাধারণ রাশিয়ান সৈন্যের মতোই সুবিধা দেওয়া হবে, বুঝেছেন? আমি মনে করি এইটা একটা ভালো ব্যাপার। তবে তাঁরা যদি থাকতে না চায়, তাহলে আমরা শীতকালের পরেই তাদের ফেরত পাঠিয়ে দেব।’

ওই অডিও ক্লিপে ফারুক আরও একজন বয়স্ক ব্যক্তির উদাহরণ টেনে বলেন, রাশিয়ায় না থেকে তিনি বাংলাদেশে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু বেতন ও ভরণপোষণ ভালো ছিল বলে এখন আবার রাশিয়ায় ফেরার জন্য মরিয়া হয়ে আছেন ।

অন্য আরেকটি একটি ক্লিপে, মেহেদীকে উদ্দেশ্যে করে দালাল সুলতান বলেন, তার ভাই (বদিউজ্জামান) বা হাবিবুল্লাহর ব্যাপারে তাকে যেন আর বিরক্ত করা না হয়।

বদিউজ্জামান তার ট্র্যাভেল কার্ড হাবিবুল্লাহকে দিয়েছে বলে অভিযোগ করে দালাল সুলতান বলে, ‘ভাই, দয়া করে আমাকে আর ফোন করবেন না; বরং হাবিবুল্লাহকে ফোন করুন, তার সাথে যোগাযোগ করুন। সে আপনাকে টাকা পাঠিয়ে দেবে এবং যা কিছু পাওনা বা বাকি আছে, তা হাবিবুল্লাহর সাথে বুঝে নিন।’

তবে এই ক্লিপ দুটি স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

বাংলাদেশিদের সংখ্যা এখনো অস্পষ্ট

ব্রিটিশ সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের মে মাসের মধ্যে প্রায় ১ হাজার ৫০০ বিদেশি নাগরিক রাশিয়ার পক্ষে যুদ্ধ করেছে—যার অর্ধেকই পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়ার। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে পাচার হওয়া দক্ষিণ এশীয়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভারতীয় নাগরিক, তারপরেই বাংলাদেশিরা।

চলতি বছরের এপ্রিলে মস্কোর বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, প্রায় এক ডজন পরিবার তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। প্রতারণা করে রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ানোর অভিযোগ করে পরিবারগুলো তাঁদের ছেলেদের ফিরিয়ে আনার আবেদন করে।

বেসরকারিভাবে, এই সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সংখ্যাটি কয়েক শ পর্যন্ত হতে পারে।

উমরাহ্ পালন করছেন বদিউজ্জামান এবং হাবিবুল্লাহ্। সংগৃহীথ ছবি
উমরাহ্ পালন করছেন বদিউজ্জামান এবং হাবিবুল্লাহ্। সংগৃহীথ ছবি

গত ২ জুলাই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করার পর এ সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পায়। এ আদেশ অনুযায়ী, বিদেশিরা শুধু জরুরি অবস্থা বা সামরিক আইনের সময়ই নয়, বরং সেনা সমাবেশের সময়ও রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে কাজ করতে পারবে।

চলতি বছরের মে মাসে, ইউক্রেন ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানায় যে পাচারকারীরা ৪৫০ থেকে ১ হাজার ২৫০ ডলারের বিনিময়ে রাশিয়ার সামরিক কর্মকর্তাদের কাছে মানুষ বিক্রি করছে।

তবে রাশিয়া বা ইউক্রেন কোনো দেশই জানায়নি, তাদের সেনাবাহিনীতে কতজন বিদেশি কাজ করছে বা তারা কতজনকে যুদ্ধবন্দী হিসেবে রেখেছে।

এদিকে, নরসিংদীর হাবিবুল্লাহ ও বদিউজ্জামানের পরিবারের মতো ইউরোপের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে রাশিয়ায় পৌঁছেছে এমন অন্তত ২০টি পরিবার এখনো তাদের প্রিয়জনদের জন্য অপেক্ষা করছে।

বাংলাদেশ সরকার জানিয়েছে, যারা এখনো রাশিয়ায় আছে বলে মনে করা হচ্ছে, তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা চলছে।

এর আগে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘যারা ইউক্রেন যুদ্ধে যাচ্ছে, তারা স্বেচ্ছায় যাচ্ছে না। আমরা বলতে পারি, ট্রাভেল দালালদের চাপে তারা এটা করছে। হয় তাদের লোভনীয় কিছু প্রস্তাব দেওয়া হয়, অথবা বিদেশে যাওয়ার পর টাকার লোভ দেখানো হয়। এটি একটি অবৈধ পরিকল্পনা, এবং তারাও অবৈধভাবে সেখানে যাতায়াত করে। আমরা এটি দমন করার চেষ্টা করছি, কিন্তু এটি একটি কঠিন কাজ। এমনকি জাতিসংঘের সমর্থন নিয়েও আমরা অবৈধ অভিবাসন মোকাবিলার প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হচ্ছি।’

Ad 300x250

সম্পর্কিত