স্ট্রিম ডেস্ক
মাউন্ট এভারেস্টের তিব্বত এলাকায় দুর্গম পূর্ব ঢালে ভয়াবহ তুষারঝড়ে প্রায় এক হাজার মানুষ আটকা পড়েছেন। এলাকাটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৪ হাজার ৯০০ মিটার (১৬ হাজার ফুট) উঁচুতে অবস্থিত। প্রবল বরফে যাতায়াত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শত শত গ্রামবাসী ও উদ্ধারকর্মী পথ পরিষ্কারের কাজ চালাচ্ছেন। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৫০ জনকে উদ্ধার করে নিরাপদে কুদাং শহরে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে প্রবল তুষারপাত শুরু হয়। এটি ক্রমেই তীব্র হয়ে এভারেস্টের পূর্ব ঢালজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। এ অঞ্চলটি পর্বতারোহী ও ভ্রমণকারীদের কাছে জনপ্রিয় গন্তব্য।
তুষারঝড় হলো ভয়াবহ শীতকালীন আবহাওয়া। এতে প্রচুর বরফ পড়ে, প্রবল বাতাস বয়ে যায় এবং চারপাশে কিছুই দেখা যায় না। এর ফলে হাইপোথারমিয়া বা হোয়াইটআউটের মতো প্রাণঘাতি অবস্থা তৈরি হয়। এই ঝড় কেবল বরফ পড়া নয়। এটি জটিল আবহাওয়াগত শক্তির মিলিত প্রভাবে ঘটে। বিশেষ করে পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এভারেস্টে (৮,৮৪৯ মিটার) ভৌগোলিক ও জলবায়ুগত কারণে এর প্রভাব আরও ভয়াবহ হয়। এ কারণে ইতিহাসে বহু পর্বতারোহী দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে। ১৯৯৬ সালের ভয়াবহ ঝড় ও সাম্প্রতিক ঘটনায় প্রায় ১ হাজার মানুষের আটকে পড়া তার বড় উদাহরণ।
তুষারঝড়ের কারণ
তুষারঝড় তৈরি হয় ঠান্ডা বাতাস ও আর্দ্রতার সংমিশ্রণে। পানি জমে বরফকণায় পরিণত হয় এবং একসঙ্গে ঝরে পড়ে। সাধারণত তিনটি ধাপে ঘটে—
১. বাতাসের সংঘর্ষ: উষ্ণ ও আর্দ্র বাতাস ঠান্ডা ও শুষ্ক বাতাসের সাথে মেশে। এতে উষ্ণ বাতাস ওপরে উঠে দ্রুত ঠান্ডা হয়।
২. উর্ধ্বমুখী চাপ: নিম্নচাপ আর্দ্র বাতাসকে ওপরে টেনে নেয়। পাহাড়ি এলাকায় বাতাস বাধ্য হয়ে ওপরে উঠে যায়। বড় জলাশয়ের উপর দিয়ে এলে ঠান্ডা বাতাসে আর্দ্রতা জমে বরফ হয়।
৩. বরফ ও বাতাস: ওপরে উঠা বাতাস শূন্য ডিগ্রির নিচে ঠান্ডা হলে পানি জমে বরফকণায় পরিণত হয়। বাতাস ঘণ্টায় ৫৬ কিলোমিটারের বেশি বেগে বইলে ঝড় অন্ধকার ও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। এটি কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
সংক্ষেপে, তুষারঝড়ের জন্য তিনটি উপাদান জরুরি— ঠান্ডা বাতাস, আর্দ্রতা ও বাতাসের ওপরে ওঠার সুযোগ। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাতাসের ধারা ও আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ায় ভবিষ্যতে আরও তীব্র হিমঝড় হতে পারে।
মাউন্ট এভারেস্টে তুষারঝড় এত মারাত্মক কেন?
হিমালয়ের ভৌগোলিক অবস্থান এভারেস্টকে তুষার ঝড়ের জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে। এখানে ভারত মহাসাগর থেকে আসা মৌসুমি বাতাস ঠান্ডা তিব্বতি বাতাসের সাথে মিশে অস্থিতিশীল আবহাওয়া তৈরি করে। প্রধান কারণগুলো হলো:
ভূ-প্রকৃতিগত প্রভাব: দক্ষিণ দিক থেকে আসা আর্দ্র বাতাস হিমালয়ে এসে বাধা পায়। বাতাস ওপরে উঠে ঠান্ডা হয় এবং হঠাৎ প্রচুর বরফ ঝরে পড়ে। ফলে পরিষ্কার আকাশেও আকস্মিক ঝড় দেখা দেয়।
জেট স্ট্রিমের প্রভাব: পর্বতচুড়ায় ঘণ্টায় প্রায় ৩২০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইতে পারে। এতে তুষারের মেঘ গঠন হয় এবং দৃষ্টিশক্তি শূন্যে নেমে আসে। তাপমাত্রা দ্রুত নেমে গিয়ে ঝড় আরও ভয়াবহ হয়।
উচ্চতা ও বিচ্ছিন্নতা: সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪ হাজার মিটারের ওপরে অক্সিজেন কম পাওয়া যায়। এতে আরোহীরা দুর্বল হয়ে পড়ে এবং উদ্ধারকাজ ধীর হয়। কম আর্দ্রতার কারণে হালকা বরফপাত কম হলেও প্রবল বাতাসে ঝড় ভয়াবহ আকার নেয়।
অক্টোবরের মতো অস্বাভাবিক সময়ে এসব ঝড় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবেও ঘটতে পারে। ফলস্বরূপ, সাধারণ বরফপাতই এভারেস্টে মৃত্যুঝড়ে পরিণত হয়। হাইপোথারমিয়া, ফ্রস্টবাইট ও তুষারধসই এখানে প্রধান মৃত্যুর কারণ। ১৯২২ সাল থেকে এভারেস্টে ৩০০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, যাদের অনেকেই হিমঝড়ে নিহত।
এভারেস্টে সবচেয়ে বিধ্বংসী কিছু তুষারঝড়
এভারেস্টের ইতিহাসে বহু প্রাণঘাতী আবহাওয়া দেখা গেছে। তবে প্রকৃত তুষারঝড়গুলো হঠাৎ তীব্রতায় আলাদা করে চোখে পড়ে। নিচে দুটি বড় উদাহরণ দেওয়া হলো—
১৯৯৬ সালের এভারেস্ট বিপর্যয় (১০–১১ মে): এটিকে প্রায়ই ‘পারফেক্ট স্টর্ম’ বলা হয়। ওই ঝড়ে রোব হলের (অ্যাডভেঞ্চার কনসালট্যান্টস) এবং স্কট ফিশারের (মাউন্টেন ম্যাডনেস) নেতৃত্বাধীন দুটি বাণিজ্যিক অভিযান শীর্ষে উঠতে গিয়ে ফেঁসে যায়। প্রথমে অনুকূল আবহাওয়ার সুযোগ থাকলেও তা দ্রুত ১২ ঘণ্টার ভয়াবহ ঝড়ে রূপ নেয়। ঘণ্টায় ৮০–১০০ কিমি বেগে বাতাস, শূন্যের নিচে তাপমাত্রা এবং দৃষ্টিশক্তি শূন্যে নেমে আসে।
ঝড়ে ৮ জন মারা যান, যাদের মধ্যে হল ও ফিশারও ছিলেন। বেক ওয়েদার্সসহ কয়েকজন অলৌকিকভাবে বেঁচে যান, যদিও তার হাত ও কয়েকটি আঙুল কেটে ফেলতে হয়। এ ঘটনা বাণিজ্যিক অভিযানের ঝুঁকি উন্মোচন করে এবং পরবর্তীতে উন্নত আবহাওয়া পূর্বাভাসসহ নানা সংস্কার আনা হয়। এটি এভারেস্টের সবচেয়ে প্রাণঘাতী একক ঝড় হিসেবে পরিচিত।
৩ অক্টোবর থেকে চলমান তিব্বতি হিমঝড়: অস্বাভাবিক সময়ে প্রবল ভেজা বরফ এভারেস্টের পূর্ব ঢালে (৪ হাজার ৯০০ মিটারের ওপরে) নেমে আসে। এতে প্রায় এক হাজার আরোহী ও ভ্রমণকারী বিভিন্ন শিবিরে আটকা পড়ে। বরফের ভারে তাঁবু ভেঙে পড়ে এবং অনেকের হাইপোথারমিয়া দেখা দেয়।
অক্টোবর মাসে এ ধরনের আবহাওয়া স্বাভাবিক নয় বলে বেঁচে যাওয়া অনেকে মন্তব্য করেছেন। এখন পর্যন্ত কোনো মৃত্যু হয়নি। তবে ৩৫০ জনকে উদ্ধার করে নিরাপদে নেওয়া হয়েছে। এদিকে নেপালে বন্যা ও চীনে টাইফুনের কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। স্থানীয় এক গাইড বলেন, ‘অক্টোবরে এমন আবহাওয়া কখনও দেখিনি।’ এতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
মাউন্ট এভারেস্টের তিব্বত এলাকায় দুর্গম পূর্ব ঢালে ভয়াবহ তুষারঝড়ে প্রায় এক হাজার মানুষ আটকা পড়েছেন। এলাকাটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৪ হাজার ৯০০ মিটার (১৬ হাজার ফুট) উঁচুতে অবস্থিত। প্রবল বরফে যাতায়াত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শত শত গ্রামবাসী ও উদ্ধারকর্মী পথ পরিষ্কারের কাজ চালাচ্ছেন। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৫০ জনকে উদ্ধার করে নিরাপদে কুদাং শহরে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে প্রবল তুষারপাত শুরু হয়। এটি ক্রমেই তীব্র হয়ে এভারেস্টের পূর্ব ঢালজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। এ অঞ্চলটি পর্বতারোহী ও ভ্রমণকারীদের কাছে জনপ্রিয় গন্তব্য।
তুষারঝড় হলো ভয়াবহ শীতকালীন আবহাওয়া। এতে প্রচুর বরফ পড়ে, প্রবল বাতাস বয়ে যায় এবং চারপাশে কিছুই দেখা যায় না। এর ফলে হাইপোথারমিয়া বা হোয়াইটআউটের মতো প্রাণঘাতি অবস্থা তৈরি হয়। এই ঝড় কেবল বরফ পড়া নয়। এটি জটিল আবহাওয়াগত শক্তির মিলিত প্রভাবে ঘটে। বিশেষ করে পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এভারেস্টে (৮,৮৪৯ মিটার) ভৌগোলিক ও জলবায়ুগত কারণে এর প্রভাব আরও ভয়াবহ হয়। এ কারণে ইতিহাসে বহু পর্বতারোহী দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে। ১৯৯৬ সালের ভয়াবহ ঝড় ও সাম্প্রতিক ঘটনায় প্রায় ১ হাজার মানুষের আটকে পড়া তার বড় উদাহরণ।
তুষারঝড়ের কারণ
তুষারঝড় তৈরি হয় ঠান্ডা বাতাস ও আর্দ্রতার সংমিশ্রণে। পানি জমে বরফকণায় পরিণত হয় এবং একসঙ্গে ঝরে পড়ে। সাধারণত তিনটি ধাপে ঘটে—
১. বাতাসের সংঘর্ষ: উষ্ণ ও আর্দ্র বাতাস ঠান্ডা ও শুষ্ক বাতাসের সাথে মেশে। এতে উষ্ণ বাতাস ওপরে উঠে দ্রুত ঠান্ডা হয়।
২. উর্ধ্বমুখী চাপ: নিম্নচাপ আর্দ্র বাতাসকে ওপরে টেনে নেয়। পাহাড়ি এলাকায় বাতাস বাধ্য হয়ে ওপরে উঠে যায়। বড় জলাশয়ের উপর দিয়ে এলে ঠান্ডা বাতাসে আর্দ্রতা জমে বরফ হয়।
৩. বরফ ও বাতাস: ওপরে উঠা বাতাস শূন্য ডিগ্রির নিচে ঠান্ডা হলে পানি জমে বরফকণায় পরিণত হয়। বাতাস ঘণ্টায় ৫৬ কিলোমিটারের বেশি বেগে বইলে ঝড় অন্ধকার ও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। এটি কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
সংক্ষেপে, তুষারঝড়ের জন্য তিনটি উপাদান জরুরি— ঠান্ডা বাতাস, আর্দ্রতা ও বাতাসের ওপরে ওঠার সুযোগ। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাতাসের ধারা ও আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ায় ভবিষ্যতে আরও তীব্র হিমঝড় হতে পারে।
মাউন্ট এভারেস্টে তুষারঝড় এত মারাত্মক কেন?
হিমালয়ের ভৌগোলিক অবস্থান এভারেস্টকে তুষার ঝড়ের জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে। এখানে ভারত মহাসাগর থেকে আসা মৌসুমি বাতাস ঠান্ডা তিব্বতি বাতাসের সাথে মিশে অস্থিতিশীল আবহাওয়া তৈরি করে। প্রধান কারণগুলো হলো:
ভূ-প্রকৃতিগত প্রভাব: দক্ষিণ দিক থেকে আসা আর্দ্র বাতাস হিমালয়ে এসে বাধা পায়। বাতাস ওপরে উঠে ঠান্ডা হয় এবং হঠাৎ প্রচুর বরফ ঝরে পড়ে। ফলে পরিষ্কার আকাশেও আকস্মিক ঝড় দেখা দেয়।
জেট স্ট্রিমের প্রভাব: পর্বতচুড়ায় ঘণ্টায় প্রায় ৩২০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইতে পারে। এতে তুষারের মেঘ গঠন হয় এবং দৃষ্টিশক্তি শূন্যে নেমে আসে। তাপমাত্রা দ্রুত নেমে গিয়ে ঝড় আরও ভয়াবহ হয়।
উচ্চতা ও বিচ্ছিন্নতা: সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪ হাজার মিটারের ওপরে অক্সিজেন কম পাওয়া যায়। এতে আরোহীরা দুর্বল হয়ে পড়ে এবং উদ্ধারকাজ ধীর হয়। কম আর্দ্রতার কারণে হালকা বরফপাত কম হলেও প্রবল বাতাসে ঝড় ভয়াবহ আকার নেয়।
অক্টোবরের মতো অস্বাভাবিক সময়ে এসব ঝড় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবেও ঘটতে পারে। ফলস্বরূপ, সাধারণ বরফপাতই এভারেস্টে মৃত্যুঝড়ে পরিণত হয়। হাইপোথারমিয়া, ফ্রস্টবাইট ও তুষারধসই এখানে প্রধান মৃত্যুর কারণ। ১৯২২ সাল থেকে এভারেস্টে ৩০০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, যাদের অনেকেই হিমঝড়ে নিহত।
এভারেস্টে সবচেয়ে বিধ্বংসী কিছু তুষারঝড়
এভারেস্টের ইতিহাসে বহু প্রাণঘাতী আবহাওয়া দেখা গেছে। তবে প্রকৃত তুষারঝড়গুলো হঠাৎ তীব্রতায় আলাদা করে চোখে পড়ে। নিচে দুটি বড় উদাহরণ দেওয়া হলো—
১৯৯৬ সালের এভারেস্ট বিপর্যয় (১০–১১ মে): এটিকে প্রায়ই ‘পারফেক্ট স্টর্ম’ বলা হয়। ওই ঝড়ে রোব হলের (অ্যাডভেঞ্চার কনসালট্যান্টস) এবং স্কট ফিশারের (মাউন্টেন ম্যাডনেস) নেতৃত্বাধীন দুটি বাণিজ্যিক অভিযান শীর্ষে উঠতে গিয়ে ফেঁসে যায়। প্রথমে অনুকূল আবহাওয়ার সুযোগ থাকলেও তা দ্রুত ১২ ঘণ্টার ভয়াবহ ঝড়ে রূপ নেয়। ঘণ্টায় ৮০–১০০ কিমি বেগে বাতাস, শূন্যের নিচে তাপমাত্রা এবং দৃষ্টিশক্তি শূন্যে নেমে আসে।
ঝড়ে ৮ জন মারা যান, যাদের মধ্যে হল ও ফিশারও ছিলেন। বেক ওয়েদার্সসহ কয়েকজন অলৌকিকভাবে বেঁচে যান, যদিও তার হাত ও কয়েকটি আঙুল কেটে ফেলতে হয়। এ ঘটনা বাণিজ্যিক অভিযানের ঝুঁকি উন্মোচন করে এবং পরবর্তীতে উন্নত আবহাওয়া পূর্বাভাসসহ নানা সংস্কার আনা হয়। এটি এভারেস্টের সবচেয়ে প্রাণঘাতী একক ঝড় হিসেবে পরিচিত।
৩ অক্টোবর থেকে চলমান তিব্বতি হিমঝড়: অস্বাভাবিক সময়ে প্রবল ভেজা বরফ এভারেস্টের পূর্ব ঢালে (৪ হাজার ৯০০ মিটারের ওপরে) নেমে আসে। এতে প্রায় এক হাজার আরোহী ও ভ্রমণকারী বিভিন্ন শিবিরে আটকা পড়ে। বরফের ভারে তাঁবু ভেঙে পড়ে এবং অনেকের হাইপোথারমিয়া দেখা দেয়।
অক্টোবর মাসে এ ধরনের আবহাওয়া স্বাভাবিক নয় বলে বেঁচে যাওয়া অনেকে মন্তব্য করেছেন। এখন পর্যন্ত কোনো মৃত্যু হয়নি। তবে ৩৫০ জনকে উদ্ধার করে নিরাপদে নেওয়া হয়েছে। এদিকে নেপালে বন্যা ও চীনে টাইফুনের কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। স্থানীয় এক গাইড বলেন, ‘অক্টোবরে এমন আবহাওয়া কখনও দেখিনি।’ এতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
ইন্দোনেশিয়ার সিদোয়ারজোতে একটি ইসলামি বোর্ডিং স্কুলের নামাজঘর ধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪ জনে। নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে উদ্ধারকর্মীরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। গত ২৯ সেপ্টেম্বর ধসের পর থেকে উদ্ধারকাজ অব্যাহত রয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেসেপ্টেম্বরের শেষদিকে তালেবানরা আফগানিস্তানে হঠাৎ করে দেশজুড়ে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেয়। এতে ৪৩ মিলিয়ন মানুষ টানা ৪৮ ঘণ্টা ডিজিটাল বিচ্ছিন্নতায় পড়ে। মোবাইল ফোন, স্যাটেলাইট টিভি এবং ল্যান্ডলাইন যোগাযোগও মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়।
২১ ঘণ্টা আগেগাজায় ইসরায়েলি হামলায় শনিবারও অন্তত ৭০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বোমা হামলা বন্ধের আহ্বান জানানোর পরও এ হামলা চলতে থাকে। এর আগে হামাস জানিয়েছিল, তারা ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার কিছু অংশ মেনে নিতে রাজি।
১ দিন আগেশহীদুলদের ৯টি জাহাজের বহর এখন ভূমধ্যসাগরের ফিলিস্তিনি টাইম জোনে আছে। বহরটির লক্ষ্য শান্তিপূর্ণ উপায়ে গাজায় পৌঁছানো, তবে সম্ভাব্য বাধার জন্য প্রস্তুতিও রাখা হয়েছে। বর্তমানে তাদের অবস্থান গাজা থেকে প্রায় ৩০০ নটিক্যাল মাইল (৫০০-৫৫০ কিলোমিটার) দূরে মিশরের আলেকজান্দ্রিয়া বন্দর বরাবর।
১ দিন আগে