দুনিয়াজুড়ে সোনার দাম এখন ইতিহাসে সর্বোচ্চ। কিন্তু সোনাকে কেন এত মূল্যবান মনে করা হয়, আর কেনই-বা ঘন ঘন বাড়ে-কমে সোনার দাম? বাংলাদেশে সোনার দাম এখন কত? এসব প্রশ্নের উত্তর মিলবে এ লেখায়।
অনন্ত রায়হান
বিশ্ববাজারে সোনার দাম নতুন রেকর্ড স্পর্শ করেছে। প্রতি আউন্স সোনার দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৫০৮ ডলার (৪ লাখ ২৭ হাজার ৭৫ টাকা), যা ইতিহাসে সর্বোচ্চ। বিভিন্ন কারণে সোনার দাম প্রায়ই ওঠানামা করে। এখন প্রশ্ন আসতে পারে, সোনাকে কেন এত মূল্যবান মনে করা হয়? আর কেনই-বা ঘন ঘন বাড়ে-কমে সোনার দাম?
কোনো জিনিস আমরা যত বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করি, ততই সেটি দামি হয়ে ওঠে। সহজ কথায়, সোনার দাম অনেকটাই আমাদের বিশ্বাস আর সমাজের ধারণার ওপর নির্ভর করে। যেমন, আগে মানুষ সোনাকে দামি মনে করত, তাই আমরা ভাবি ভবিষ্যতেও এটি মূল্যবানই থাকবে।
কোনো জিনিসের দাম তার কাজ বা উপযোগিতার ওপর নির্ভর করে। টাকার কথাই ধরা যাক। এই কাগজ মূল্যবান কারণ এটা দিয়ে আমরা কেনাকাটা করতে পারি। সোনার ব্যাপারটাও এমনই। সোনা মূলত ভারী ও উজ্জ্বল ধাতু। এতে মরিচা ধরে না। আর সহজে গলিয়ে নানা আকার দেওয়া যায়। এ ছাড়া হাজার হাজার বছর ধরে মানুষ এই ধাতুকে বিনিময়ের মুদ্রা হিসেবে ব্যবহার করেছে। তাই সোনাকে সব সময় মূল্যবান মনে করা হয়।
সোনা পৃথিবীর প্রাচীনতম ধাতুগুলোর মধ্যে একটি। প্রত্নতত্ত্ববিদরা প্রস্তরযুগের গুহা থেকে প্রায় ৪০ হাজার বছরের পুরোনো সোনার নিদর্শন পেয়েছেন। মিসরীয় সভ্যতা, ইনকা সভ্যতার মতো সভ্যতায় সোনার ব্যবহার ছিল ব্যাপক। মানুষের সভ্যতার শুরু থেকেই সোনা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
এরপর যত দিন গেছে সোনার ব্যবহার আরও বেশি দেখা গেছে। সভ্যতা ও সংস্কৃতির সঙ্গে সঙ্গে এর ব্যবহার ক্ষেত্রও বেড়েছে। প্রাচীনকালেও মানুষ সোনা ব্যবহার করে অলংকার, শিল্পকর্মের পাশাপাশি রাজাদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র তৈরি করতেন। পরে এটিকে বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা শুরু হয়েছে।
সময় যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সোনার ব্যবহার আরও বেড়েছে। সোনা আজও ধন-সম্পদের প্রতীক। কারণ, এটিতে 'মরিচা ধরে না বা কালচে হয় না', তাই হাজার বছর ধরে রাখলেও আগের মতোই থাকে।
সোনার দাম মূলত সরবরাহ ও চাহিদার ওপর নির্ভর করে। বাজারে সরবরাহ আসে দুভাবে, নতুন করে খনি থেকে উত্তোলিত সোনা এবং পুরোনো সোনা বিক্রি হয়ে। সাধারণত সোনা উত্তোলন প্রতিবছর প্রায় একই থাকে। তবে বিভিন্ন কারণে দাম বাড়ার সময় সোনায় বিনিয়োগকারীরাসহ অনেকেই হাতে থাকা সোনা বিক্রি করতে শুরু করেন। ফলে বাজারে সরবরাহ বেড়ে যায় ও দাম সাময়িকভাবে কমে আসে।
এদিকে চাহিদা তৈরি হয় গয়না ও বিনিয়োগের জন্য। জনসংখ্যা বেশি থাকায় চীন ও ভারতে গয়নার চাহিদা সবচেয়ে বেশি। কারণ, সোনার গয়না ঐতিহ্য ও সামাজিক মর্যাদার প্রতীক। পশ্চিমা দেশেও গয়নার চাহিদা আছে। আন্তর্জাতিক গোল্ড কাউন্সিলের হিসাব অনুযায়ী, বাজারে থাকা মোট সোনার প্রায় অর্ধেকই গয়না বানাতে ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে উৎসব এবং বিয়ের মৌসুমে সোনার চাহিদা অনেক বেড়ে যায়।
বিনিয়োগের জন্যও সোনার চাহিদা অনেক বেশি। অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা, মুদ্রার দুর্বলতা বা বিশ্ববাজারের অস্থিরতায় মানুষ অপেক্ষাকৃত এই নিরাপদ সম্পদের দিকে ঝুঁকে পড়ে। সোনায় বন্ড, বার ও মুদ্রা হিসেবে বিনিয়োগ হয়। অনেক সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকও ভবিষ্যতের নিরাপত্তার আশায় সোনার মজুত বাড়ায়।
বিশ্ব অর্থনীতি ও ভূরাজনীতির বিভিন্ন প্রেক্ষাপটের সঙ্গেও সোনার দাম সম্পর্কিত। ক্রুড অয়েল বা অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়লে সোনার দামে তার প্রভাব দেখা যায়। তেলের দাম বাড়লে অর্থনীতিতে অস্থিরতা তৈরি হলে মানুষ সোনা কিনে রাখে, এতে সোনার দাম বেড়ে যায়।
আবার ঐতিহাসিকভাবে দেখা গেছে মহামারী, যুদ্ধ বা অর্থনৈতিক অস্থিরতার সময় সোনার দাম সবচেয়ে বেশি বাড়ে। যেমন ২০২০ সালের করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় প্রতি আউন্স সোনার দাম ২ হাজার ৭০ ডলারের ওপরে উঠে গিয়েছিল। সেটি ছিল তখন পর্যন্ত ইতিহাসের সর্বোচ্চ দাম।
চলতি বছরেও আগের সব রেকর্ড ভেঙে সোনার মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত আছে। গতকাল (২ সেপ্টেবর) মঙ্গলবার বিশ্ববাজারে সোনার দাম নতুন রেকর্ড গড়েছে। আউন্সপ্রতি সোনার দাম বেড়ে ৩ হাজার ৫০০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
বিবিসির একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এই সময়ে সোনার মূল্যবৃদ্ধির অন্যতম কারণ বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শুল্ক নীতি ও ফেডের (ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেম) স্বাধীনতা নিয়ে তৈরি হওয়া উদ্বেগ সোনার দাম বাড়িয়েছে।
আবার চলতি মাসে যুক্তরাষ্টের ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার কমাতে পারে, এমন খবরেও সোনার প্রতি আকর্ষণ বেড়েছে বিনিয়োগকারীদের। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক বাণিজ্যনীতি পরিবর্তন, সরবরাহ শৃঙ্খলের সমস্যা এবং ডলারের দুর্বলতাও সোনার দাম বাড়ার গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
বাংলাদেশে সোনার দাম নির্ধারণ করে বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন (বাজুস)। বিশ্ববাজারে দামের ওঠানামার সঙ্গে মিলিয়ে কয়েক দিন পরপর নতুন দাম ঘোষণা করা হয়। বাজুস সর্বশেষ ১ সেপ্টেম্বর সোনার নতুন দাম ঘোষণা করেছে, যা ২ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে।
দেশের বাজারে এখন হলমার্ক করা প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেট মানের সোনার দাম ১ লাখ ৭৫ হাজার ৭৮৮ টাকা। এ দিকে ২১ ক্যারেট সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৭৯৮ টাকা। ১৮ ক্যারেট সোনার দাম ধরা হয়েছে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৮২৯ টাকা। এ ছাড়া সনাতন পদ্ধতিতে সোনার দাম এখন ১ লাখ ১৯ হাজার ৪৩ টাকা।
এর আগে গত ৩০ আগস্ট বাজুস নতুন দাম ঘোষণা করেছিল। যা ৩১ আগস্ট থেকে কার্যকর হয়েছিল। সর্বশেষ ১ সেপ্টেম্বর রাতের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, স্থানীয় বাজারে 'তেজাবী স্বর্ণের' (খাঁটি সোনা) মূল্যবৃদ্ধির কারণে আগের চেয়ে ২২ ক্যারেটে ১ হাজার ৪৬৯ টাকা, ২১ ক্যারেটে ১ হাজার ৪০০ টাকা, ১৮ ক্যারেটে ১ হাজার ২০২ টাকা ও সনাতন পদ্ধতিতে সোনার দাম ১ হাজার ১৫ টাকা দাম বাড়ানো হয়েছে।
বিশ্ববাজারে সোনার দাম নতুন রেকর্ড স্পর্শ করেছে। প্রতি আউন্স সোনার দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৫০৮ ডলার (৪ লাখ ২৭ হাজার ৭৫ টাকা), যা ইতিহাসে সর্বোচ্চ। বিভিন্ন কারণে সোনার দাম প্রায়ই ওঠানামা করে। এখন প্রশ্ন আসতে পারে, সোনাকে কেন এত মূল্যবান মনে করা হয়? আর কেনই-বা ঘন ঘন বাড়ে-কমে সোনার দাম?
কোনো জিনিস আমরা যত বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করি, ততই সেটি দামি হয়ে ওঠে। সহজ কথায়, সোনার দাম অনেকটাই আমাদের বিশ্বাস আর সমাজের ধারণার ওপর নির্ভর করে। যেমন, আগে মানুষ সোনাকে দামি মনে করত, তাই আমরা ভাবি ভবিষ্যতেও এটি মূল্যবানই থাকবে।
কোনো জিনিসের দাম তার কাজ বা উপযোগিতার ওপর নির্ভর করে। টাকার কথাই ধরা যাক। এই কাগজ মূল্যবান কারণ এটা দিয়ে আমরা কেনাকাটা করতে পারি। সোনার ব্যাপারটাও এমনই। সোনা মূলত ভারী ও উজ্জ্বল ধাতু। এতে মরিচা ধরে না। আর সহজে গলিয়ে নানা আকার দেওয়া যায়। এ ছাড়া হাজার হাজার বছর ধরে মানুষ এই ধাতুকে বিনিময়ের মুদ্রা হিসেবে ব্যবহার করেছে। তাই সোনাকে সব সময় মূল্যবান মনে করা হয়।
সোনা পৃথিবীর প্রাচীনতম ধাতুগুলোর মধ্যে একটি। প্রত্নতত্ত্ববিদরা প্রস্তরযুগের গুহা থেকে প্রায় ৪০ হাজার বছরের পুরোনো সোনার নিদর্শন পেয়েছেন। মিসরীয় সভ্যতা, ইনকা সভ্যতার মতো সভ্যতায় সোনার ব্যবহার ছিল ব্যাপক। মানুষের সভ্যতার শুরু থেকেই সোনা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
এরপর যত দিন গেছে সোনার ব্যবহার আরও বেশি দেখা গেছে। সভ্যতা ও সংস্কৃতির সঙ্গে সঙ্গে এর ব্যবহার ক্ষেত্রও বেড়েছে। প্রাচীনকালেও মানুষ সোনা ব্যবহার করে অলংকার, শিল্পকর্মের পাশাপাশি রাজাদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র তৈরি করতেন। পরে এটিকে বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা শুরু হয়েছে।
সময় যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সোনার ব্যবহার আরও বেড়েছে। সোনা আজও ধন-সম্পদের প্রতীক। কারণ, এটিতে 'মরিচা ধরে না বা কালচে হয় না', তাই হাজার বছর ধরে রাখলেও আগের মতোই থাকে।
সোনার দাম মূলত সরবরাহ ও চাহিদার ওপর নির্ভর করে। বাজারে সরবরাহ আসে দুভাবে, নতুন করে খনি থেকে উত্তোলিত সোনা এবং পুরোনো সোনা বিক্রি হয়ে। সাধারণত সোনা উত্তোলন প্রতিবছর প্রায় একই থাকে। তবে বিভিন্ন কারণে দাম বাড়ার সময় সোনায় বিনিয়োগকারীরাসহ অনেকেই হাতে থাকা সোনা বিক্রি করতে শুরু করেন। ফলে বাজারে সরবরাহ বেড়ে যায় ও দাম সাময়িকভাবে কমে আসে।
এদিকে চাহিদা তৈরি হয় গয়না ও বিনিয়োগের জন্য। জনসংখ্যা বেশি থাকায় চীন ও ভারতে গয়নার চাহিদা সবচেয়ে বেশি। কারণ, সোনার গয়না ঐতিহ্য ও সামাজিক মর্যাদার প্রতীক। পশ্চিমা দেশেও গয়নার চাহিদা আছে। আন্তর্জাতিক গোল্ড কাউন্সিলের হিসাব অনুযায়ী, বাজারে থাকা মোট সোনার প্রায় অর্ধেকই গয়না বানাতে ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে উৎসব এবং বিয়ের মৌসুমে সোনার চাহিদা অনেক বেড়ে যায়।
বিনিয়োগের জন্যও সোনার চাহিদা অনেক বেশি। অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা, মুদ্রার দুর্বলতা বা বিশ্ববাজারের অস্থিরতায় মানুষ অপেক্ষাকৃত এই নিরাপদ সম্পদের দিকে ঝুঁকে পড়ে। সোনায় বন্ড, বার ও মুদ্রা হিসেবে বিনিয়োগ হয়। অনেক সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকও ভবিষ্যতের নিরাপত্তার আশায় সোনার মজুত বাড়ায়।
বিশ্ব অর্থনীতি ও ভূরাজনীতির বিভিন্ন প্রেক্ষাপটের সঙ্গেও সোনার দাম সম্পর্কিত। ক্রুড অয়েল বা অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়লে সোনার দামে তার প্রভাব দেখা যায়। তেলের দাম বাড়লে অর্থনীতিতে অস্থিরতা তৈরি হলে মানুষ সোনা কিনে রাখে, এতে সোনার দাম বেড়ে যায়।
আবার ঐতিহাসিকভাবে দেখা গেছে মহামারী, যুদ্ধ বা অর্থনৈতিক অস্থিরতার সময় সোনার দাম সবচেয়ে বেশি বাড়ে। যেমন ২০২০ সালের করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় প্রতি আউন্স সোনার দাম ২ হাজার ৭০ ডলারের ওপরে উঠে গিয়েছিল। সেটি ছিল তখন পর্যন্ত ইতিহাসের সর্বোচ্চ দাম।
চলতি বছরেও আগের সব রেকর্ড ভেঙে সোনার মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত আছে। গতকাল (২ সেপ্টেবর) মঙ্গলবার বিশ্ববাজারে সোনার দাম নতুন রেকর্ড গড়েছে। আউন্সপ্রতি সোনার দাম বেড়ে ৩ হাজার ৫০০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
বিবিসির একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এই সময়ে সোনার মূল্যবৃদ্ধির অন্যতম কারণ বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শুল্ক নীতি ও ফেডের (ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেম) স্বাধীনতা নিয়ে তৈরি হওয়া উদ্বেগ সোনার দাম বাড়িয়েছে।
আবার চলতি মাসে যুক্তরাষ্টের ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার কমাতে পারে, এমন খবরেও সোনার প্রতি আকর্ষণ বেড়েছে বিনিয়োগকারীদের। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক বাণিজ্যনীতি পরিবর্তন, সরবরাহ শৃঙ্খলের সমস্যা এবং ডলারের দুর্বলতাও সোনার দাম বাড়ার গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
বাংলাদেশে সোনার দাম নির্ধারণ করে বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন (বাজুস)। বিশ্ববাজারে দামের ওঠানামার সঙ্গে মিলিয়ে কয়েক দিন পরপর নতুন দাম ঘোষণা করা হয়। বাজুস সর্বশেষ ১ সেপ্টেম্বর সোনার নতুন দাম ঘোষণা করেছে, যা ২ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে।
দেশের বাজারে এখন হলমার্ক করা প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেট মানের সোনার দাম ১ লাখ ৭৫ হাজার ৭৮৮ টাকা। এ দিকে ২১ ক্যারেট সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৭৯৮ টাকা। ১৮ ক্যারেট সোনার দাম ধরা হয়েছে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৮২৯ টাকা। এ ছাড়া সনাতন পদ্ধতিতে সোনার দাম এখন ১ লাখ ১৯ হাজার ৪৩ টাকা।
এর আগে গত ৩০ আগস্ট বাজুস নতুন দাম ঘোষণা করেছিল। যা ৩১ আগস্ট থেকে কার্যকর হয়েছিল। সর্বশেষ ১ সেপ্টেম্বর রাতের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, স্থানীয় বাজারে 'তেজাবী স্বর্ণের' (খাঁটি সোনা) মূল্যবৃদ্ধির কারণে আগের চেয়ে ২২ ক্যারেটে ১ হাজার ৪৬৯ টাকা, ২১ ক্যারেটে ১ হাজার ৪০০ টাকা, ১৮ ক্যারেটে ১ হাজার ২০২ টাকা ও সনাতন পদ্ধতিতে সোনার দাম ১ হাজার ১৫ টাকা দাম বাড়ানো হয়েছে।
গাজার ফিলিস্তিনিদের ওপর হত্যাযজ্ঞ এবং না খাইয়ে মারার বৈধতা দিতে ইসরায়েল শুরু থেকেই এক অভিনব কৌশল নেয়। হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি শিশুদের শিরশ্ছেদ, গণধর্ষণ কিংবা হাসপাতালগুলোকে ‘কমান্ড সেন্টার’ হিসেবে ব্যবহার করার মতো ভয়াবহ অভিযোগ ছড়ানো হয়। ইসরায়েল এমনকি দাবি করে, জাতিসংঘও আসলে হামাসকে আড়ালে সুবিধা দে
৮ ঘণ্টা আগেফাইভ-জি কী, ফাইভ-জি বনাম ফোর-জি, কী সুবিধা নিয়ে এল ফাইভ-জি, যেভাবে চালু করবেন ফাইভ-জি, গুনতে হবে কী অতিরিক্ত টাকা– ফাইভ-জি নিয়ে যত প্রশ্নের জবাব পড়ুন এই লেখায়।
১ দিন আগেনিরাপত্তার বিষয় ছাড়াও, অর্থনৈতিকভাবে এই জোট ভারতের জন্য খুব একটা লাভজনক নয়। ভারত প্রযুক্তি, পুঁজি এবং সাপ্লাই চেইনে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। রাশিয়া বা চীন তা পূরণ করতে পারবে না।
১ দিন আগেহামাসের নেতৃত্ব কাঠামো গোপনীয় ও খণ্ডিত। এর রাজনৈতিক ব্যুরো অবস্থিত কাতার বা তুরস্কে। আর গাজায় রয়েছে সামরিক নেতৃত্ব। সংগঠনটি সাধারণত শীর্ষ নেতাদের মৃত্যুর বিষয়টি প্রকাশ করতে সময় নেয়। এই বিলম্বের উদ্দেশ্য হলো সমর্থকদের মনোবল অটুট রাখা এবং দুর্বলতা প্রকাশ না করা।
১ দিন আগে