leadT1ad

স্ট্রিম এক্সপ্লেইনার/পোস্টাল ভোট কী, কেন গুরুত্বপূর্ণ, কীভাবে গণনা হয়

স্ট্রিম ডেস্ক
স্ট্রিম ডেস্ক
ঢাকা

স্ট্রিম গ্রাফিক

নির্বাচনে অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন গত মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর ২০২৫) ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ মোবাইল অ্যাপ চালু করেছে। ২০২৬ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে এই অ্যাপের মাধ্যমে ১৪০টি দেশের প্রবাসীরা অনলাইনে ডাকযোগে ভোটের জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন। প্রায় দেড় কোটি প্রবাসী বাংলাদেশিকে লক্ষ্য করে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

উপসাগরীয় অঞ্চল, ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে থাকা শ্রমিক ও প্রবাসীরা দীর্ঘদিন ধরে ভোটাধিকার প্রয়োগে নানা বাধার মুখে ছিলেন। গুগল প্লেতে থাকা এই অ্যাপের মাধ্যমে তারা ভোটার হিসেবে আবেদন করতে পারবেন এবং নিজেদের ব্যালটের অবস্থা জানতে পারবেন। বিদেশে থাকা নাগরিকদের ভোট প্রক্রিয়া আধুনিকায়নে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।

পোস্টাল ভোট কী?

পোস্টাল ভোট বা ডাকযোগে ভোট হলো এমন একটি ভোটদান পদ্ধতি, যেখানে ভোটার সরাসরি কেন্দ্রে না গিয়ে ডাকের মাধ্যমে ব্যালট পাঠাতে পারেন। নির্বাচন কর্তৃপক্ষ যোগ্য ভোটারদের ব্যালট পেপার ডাকযোগে পাঠায়। এরপর ভোটাররা ব্যালট পূরণ করে নির্দিষ্ট সময়ের আগে ডাকের মাধ্যমে তা ফেরত পাঠান। এটি নির্বাচনের দিনের সরাসরি ভোটদানের বিপরীত একটি পদ্ধতি।

সাধারণত বিদেশে থাকা নাগরিক, সেনা সদস্য, প্রবীণ, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি বা দূরবর্তী অঞ্চলের বাসিন্দারা এই সুবিধা পান। বাংলাদেশের নতুন অ্যাপ মূলত প্রবাসীদের লক্ষ্য করে তৈরি হয়েছে। তারা অনলাইনে আবেদন করে নিবন্ধন করতে পারবেন।

ভোটারকে প্রথমে ডাকযোগে ভোটের জন্য নিবন্ধন করতে হয় বা আবেদন করতে হয়। অনুমোদন পেলে ডাকযোগে ব্যালট পেপার পাঠানো হয়। সঙ্গে থাকে নির্দেশনা, গোপনীয়তার জন্য একটি খাম এবং স্বাক্ষর বা সাক্ষীর প্রয়োজন হতে পারে এমন রিটার্ন খামও পাঠানো হয়।

অনেক দেশে ‘অল-মেইল’ ভোটিং থাকে, যেখানে সব নিবন্ধিত ভোটারকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যালট পাঠানো হয়। আবার কোথাও আবেদন করতে হয়, যেমন বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ঘটে।

এই পদ্ধতি ১৯শ শতকে প্রথম চালু হয়। ২০শ শতকে এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহার শুরু হয়, বিশেষ করে অনুপস্থিত ভোটদানের ক্ষেত্রে। সময়ের সঙ্গে প্রযুক্তি যুক্ত হয়েছে, আর বাংলাদেশসহ অনেক দেশে নিবন্ধনের জন্য অ্যাপও চালু হয়েছে।

নিবন্ধন পদ্ধতি:

নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় প্রবাসী ভোটার যে দেশ থেকে ভোট দিতে ইচ্ছুক কেবলমাত্র সেই দেশের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে হবে। পোস্টাল ব্যালট প্রাপ্তি এবং ভোট প্রদানের জন্য গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোর থেকে মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড ও ইনস্টল করতে হবে।

ব্যবহারকারী বাংলা/ইংরেজি যে কোন একটি ভাষা নির্বাচন করে অ্যাপে নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও নির্দেশাবলী সম্পর্কে জানতে পারবেন। আবেদনকারী নিয়মানুযায়ী নিবন্ধন করবেন। ওটিপি, লাইভ ছবি ও এনআইডি যাচাইয়ের পর আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। বিদেশে ব্যালট প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে নির্ভুল ঠিকানা দেওয়া আবশ্যক।

ভোটারের কাছে পোস্টাল ব্যালট প্রেরণ:

‘পোস্টাল ভোট বিডি’ মোবাইল অ্যাপে নিবন্ধিত সব ভোটারের কাছে পর্যায়ক্রমে ব্যালট পেপার পাঠাবে ইসি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিবন্ধিত ভোটারদের দেওয়া ঠিকানায় নির্বাচন কমিশনের পাঠানো পোস্টাল ব্যালটসহ খাম পাবেন।

খাম পেয়ে পরপরই ভোটার ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ মোবাইল অ্যাপে লগইন করে খামের উপর দেওয়া ‘কিউআর’ কোডটি স্ক্যান করবেন। এতে তিনি যে ব্যালট পেপারটি হাতে পেয়েছেন তা সিস্টেমে শনাক্ত হবে।

ভোটাররা নির্বাচন কমিশন থেকে প্রাপ্ত বহির্গামী খামে একটি পোস্টাল ব্যালট সম্বলিত খামের মধ্যে পোস্টাল ব্যালট পেপার, একপাশে ভোট প্রদানের নির্দেশাবলী ও অপর পাশে একটি ঘোষণাপত্র সম্বলিত একটি পৃথক কাগজ এবং একটি ফেরত খাম পাবেন; যেখানে সংশ্লিষ্ট আসনের রিটার্নিং অফিসারের ঠিকানা মুদ্রিত থাকবে।

ভোটদান প্রক্রিয়া:

পোস্টাল ভোটিং প্রক্রিয়ায় পাঠানো ব্যালট পেপারে সব কটি প্রতীক মুদ্রিত থাকবে যার প্রতিটি প্রতীকের পাশে ফাঁকা ঘর রয়েছে। ভোট দেওয়ার আগে ভোটাররা নির্দেশনাপত্র পড়ে ঘোষণাপত্রে যথাযথভাবে ব্যালট পেপারের ক্রমিক নং, ভোটারের নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর উল্লেখ করে প্রদত্ত স্থানে স্বাক্ষর করবেন।

নিরক্ষর/অক্ষম ব্যক্তি অন্য একজন বৈধ ভোটারের সাহায্যে এর সংশ্লিষ্ট অংশ পুরণ করে সত্যয়ন করে স্বাক্ষর করবেন। এই ঘোষণাপত্র/সত্যয়নপত্র (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ছাড়া ব্যালট পেপারটি বৈধ হিসাবে গণ্য হবে না।

প্রতীক বরাদ্দ সম্পন্ন হলে অ্যাপের মাধ্যমে অথবা নির্বাচন কমিশনের ওয়েব সাইট থেকে ভোটারা অবগত হবেন। ভোট দেওয়া জন্য ভোটাররা ‘পোস্টাল ভোট বিডি’মোবাইল অ্যাপে লগইন করে সংশ্লিষ্ট আসনের প্রার্থীদের তালিকা দেখতে পাবেন এবং নির্দেশিকাতে দেওয়া পদ্ধতিতে ব্যালট পেপারে মুদ্রিত প্রতীকের পাশে ফাঁকা ঘরে টিক চিহ্ন কিংবা ক্রস চিহ্ন দেবেন।

‘পোস্টাল ভোট বিডি’ মোবাইল অ্যাপে ভোটদান পদ্ধতির ভিডিও টিউটোরিয়াল বা ডিজিটাল কন্টেন্ট থাকবে।

পোস্টাল ব্যালট পেপারে ভোটার ভোট চিহ্নিত করবার পর শুধুমাত্র ব্যালট পেপারটি ছোট খামে রেখে খামটি বন্ধ করবেন। অতঃপর উক্ত ব্যালট পেপার সম্বলিত খামটি এবং স্বাক্ষরিত ঘোষণপত্রটি রিটার্নিং অফিসারের ঠিকানা লেখা খামে ঢুকিয়ে তা বন্ধ করবেন। তারপর বন্ধখামটি ডাকযোগে দ্রুত পাঠানোর ব্যবস্থা নেবেন।

উভয় খামই ‘সেলফ এডহেসিভ’যুক্ত থাকবে ফলে ‘সেলফ এডহেসিভ’ অংশের উপরিভাগের টেপটি খুলে নিলেই খাম বন্ধ হবে। এছাড়া ওই খামটি পাঠানোর জন্য কোনো ডাক মাশুল প্রেরককে দিতে হবে না। এই মাশুল পরিশোধ করবে সরকার।

পোস্টাল ভোট গণনা শুরু করার আগ পর্যন্ত প্রাপ্ত পোস্টাল ব্যালট পেপারগুলোই কেবল গণনার আওতায় আসবে।

নির্বাচন কমিশন থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে পোস্টাল ব্যালট ভোটারের কাছে প্রেরণের পর হতে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে ফেরত আসা পর্যন্ত সমগ্র প্রক্রিয়াটির বিভিন্ন পর্যায়ে ব্যালটের অবস্থান মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা যাবে।

ভোটারগণ স্ব স্ব মোবাইল থেকে ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে নিজ ব্যালটের অবস্থান পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন।

ডাকযোগে ভোট কেন গুরুত্বপূর্ণ?

ডাকযোগে ভোট গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণ বাড়ায়। এটি ভোটারদের বাধা কমায়। বৃহত্তর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করে। আধুনিক জীবনের সাথে নির্বাচন ব্যবস্থাকে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে।

অন্তর্ভুক্তি বাড়ায়:

যারা শারীরিকভাবে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেন না—যেমন প্রতিবন্ধী, প্রবীণ, অসুস্থ বা হাসপাতালে থাকা ব্যক্তিরা—তাদের জন্য এই পদ্ধতি অপরিহার্য। প্রবাসীদের ক্ষেত্রে এটি আরও গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের বিশাল প্রবাসী জনশক্তির জন্য ডাকযোগে ভোট তাদের ভোটাধিকার বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকি কমায়। আলোচনায় বলা হচ্ছে, এবার বিপুল সংখ্যক প্রবাসী নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারেন। তাই অ্যাপটির গুরুত্ব আরও বেড়েছে।

সুবিধা এবং অংশগ্রহণ বৃদ্ধি:

ডাকযোগে ভোট দিলে ভ্রমণের প্রয়োজন হয় না। লাইনে দাঁড়ানোর ঝামেলা থাকে না। কাজ থেকে ছুটি নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। এসব কারণে ভোটার উপস্থিতি বাড়ে। গবেষণা দেখিয়েছে, বিশেষ করে কোভিড-১৯ মহামারির সময় ডাকযোগে ভোট অংশগ্রহণ যথেষ্ট বাড়িয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রে ডাকযোগে ভোট কর্মজীবী মানুষের জন্য ভোটদান সহজ করে।

নিরাপত্তা ও নির্ভরযোগ্যতা:

সঠিক যাচাই-বাছাই থাকলে ডাকযোগে ভোট নিরাপদ থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ডাকযোগে ভোট ‘নিরাপদ ও সুরক্ষিত।’ এতে জালিয়াতি রোধে নানা ধাপ যুক্ত থাকে।

বিশ্বব্যাপী গুরুত্ব:

বাংলাদেশে বিদেশে কর্মরতদের রেমিট্যান্স অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখে। তাদের ভোটের সুযোগ তৈরি করা রাষ্ট্রের সঙ্গে প্রবাসীদের সম্পর্ক আরও দৃঢ় করে। এটি নীতি প্রণয়নে প্রবাসীদের মতামত প্রতিফলিত করার পথও তৈরি করতে পারে। বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান অভিবাসনের যুগে ডাকযোগে ভোট গণতান্ত্রিক বৈধতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ।

ডাকযোগে ভোট না থাকলে উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যা নির্বাচন থেকে বাইরে পড়ে যায়। এতে সরকারও প্রতিনিধিত্বমূলক না হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।

ডাকযোগে ভোট কীভাবে গণনা করা হয়?

ডাকযোগে ভোটের গণনা এমনভাবে পরিচালিত হয় যাতে কোনও ভুল না হয় এবং নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত থাকে। এটি সাধারণত সরাসরি ভোট গণনার মতো হলেও এতে অতিরিক্ত যাচাই প্রক্রিয়া যুক্ত থাকে। বিভিন্ন দেশে নিয়ম আলাদা হতে পারে, তবে সাধারণভাবে ধাপগুলো একই রকম।

১. গ্রহণ ও প্রাথমিক যাচাই

ব্যালট নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে পৌঁছাতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে ব্যালটে নির্বাচনের দিনের পোস্টমার্ক থাকতে হয় এবং নির্দিষ্ট গ্রেস-পিরিয়ডের মধ্যে তা পৌঁছাতে হয়। নির্বাচন কর্মকর্তারা খামের ওপর থাকা পোস্টমার্ক, ভোটারের স্বাক্ষর এবং কিছু দেশে সাক্ষী বা পরিচয়পত্রের মিল আছে কি না তা পরীক্ষা করেন।

যুক্তরাষ্ট্রে ইউএসপিএস-এর মতো ডাক সেবা প্রতিষ্ঠান নির্বাচনী ব্যালট দ্রুত পৌঁছানোর ব্যবস্থা নেয়। জালিয়াতি ঠেকাতে ভোটারের স্বাক্ষর ভোটার রেকর্ডের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয়।

২. খাম খোলা ও পৃথকীকরণ

বৈধ খামগুলো নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে খোলা হয়। এ সময় ‘পোস্টাল ভোট ওপেনিং’ সেশনে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকতে পারেন। মূল ব্যালটটি যে গোপনীয় খামে থাকে তা ভোটারের পরিচয়সংবলিত খাম থেকে আলাদা করা হয়, যাতে ভোটের গোপনীয়তা বজায় থাকে।

৩. গণনা

এরপর ভোট স্ক্যান বা হাতে গণনা করা হয়। এটি সরাসরি ভোটের সঙ্গে মিলেই সম্পন্ন হয়। অনেক দেশে ডাকযোগে পাওয়া ভোট নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে বা গণনার দিনে মোট গণনায় যুক্ত করা হয়, যাতে আগাম ফলাফল ফাঁস না হয়।

বাংলাদেশের ক্ষেত্রে অ্যাপের ব্যাকএন্ড-সিস্টেম সম্পর্কে তথ্য এখনও প্রকাশের পর্যায়ে আছে। তবে আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী ডাকযোগে প্রাপ্ত ব্যালট সাধারণত একই ধরনের পদ্ধতিতে গণনা করা হয়। অ্যাপের মাধ্যমে ব্যালট ট্র্যাক করার সুবিধা থাকবে, যা স্বচ্ছতা বাড়াবে।

৪. অডিট এবং আপত্তি নিষ্পত্তি

গণনার পর নির্দিষ্ট সংখ্যক ব্যালট নমুনা হিসেবে অডিট করা হয়। কোনো বিতর্ক থাকলে—যেমন স্বাক্ষর অমিল—তা আইনগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হয়। বহুস্তরীয় এই যাচাই নিশ্চিত করে যে ‘প্রতিটি ডাকযোগে পাঠানো ব্যালট কঠোর পরীক্ষার মধ্য দিয়ে’ বৈধ বলে গণ্য হয়।

বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপ কেবল নিবন্ধন প্রক্রিয়াকে সহজ করেছে। ব্যালট পাঠানো ও ফেরত পাঠানোর কাজ এখনও ডাকযোগেই হবে। নির্বাচন কমিশনই এগুলোর গণনা করবে। এই হাইব্রিড পদ্ধতি প্রযুক্তির সুবিধা ও প্রচলিত নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে একত্রিত করে।

সামগ্রিকভাবে, ডাকযোগে ভোট—‘পোস্টাল ভোট বিডি’র মতো উদ্যোগের মাধ্যমে—নির্বাচনকে আরও অংশগ্রহণমূলক করে তোলে। তবে আস্থা বজায় রাখতে শক্তিশালী তদারকি ও নিরাপত্তা অপরিহার্য। বাংলাদেশ যখন ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, এই ব্যবস্থা বহু প্রবাসীসমৃদ্ধ দেশের জন্য নতুন উদাহরণও হয়ে উঠতে পারে।

Ad 300x250

সম্পর্কিত