স্ট্রিম প্রতিবেদক

কপ৩০ চলছে আমাজন নদীর বদ্বীপে। পরের বছরের আয়োজন কোথায় হবে, তা নিয়ে বেশ সরগরম ছিল আলোচনার টেবিল। অস্ট্রেলিয়া ও তুরস্কের মধ্যকার দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর অবশেষে সমঝোতায় পৌঁছেছেন দুই পক্ষ। সমঝোতা অনুসারে, ২০২৬ সালের জলবায়ু সম্মেলন (কপ৩১) অনুষ্ঠিত হবে তুরস্কের আনাতোলিয়া শহরে, আর সম্মেলনের প্রেসিডেন্ট হবেন অস্ট্রেলিয়ার জলবায়ু পরিবর্তন ও জ্বালানিমন্ত্রী ক্রিস বাওয়েন।
তবে জার্মানির বার্লিনের প্রথম কপ থেকে বর্তমান ব্রাজিলের বেলেমের ৩০তম জলবায়ু সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট হয়েছেন সাধারণত আয়োজক দেশের কেউ। ৩১ তম কপে আলোচনার নেতৃত্ব ও আয়োজনের দায়িত্ব দুটি দেশে বিভক্ত হবে। প্রশ্ন উঠেছে—এ ‘দুই প্রেসিডেন্ট মডেল’ বাস্তবে কতটা কার্যকর।
জাতিসংঘের নিয়ম অনুযায়ী, ২০২৬ সালের সম্মেলন আয়োজনের দায়িত্ব পড়ে ওয়েস্টার্ন ইউরোপ অ্যান্ড আদার গ্রুপের (ডব্লিউইওজি) ওপর। অস্ট্রেলিয়া ও তুরস্ক দুই দেশই এই গ্রুপের সদস্য। ২০২২ সালে ডব্লিউইওজির সদস্য হিসেবে অস্ট্রেলিয়া কপ৩১ আয়োজনের আগ্রহ জানায়। তারা প্যাসিফিক দ্বীপপুঞ্জের সঙ্গে মিলে আয়োজনের প্রস্তাব জানায়। তখন থেকেই আন্তর্জাতিক মহলে অস্ট্রেলিয়া–প্যাসিফিক যৌথ বিড আলোচনায় আসে।
এর আগে ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত কপ২৬-এর আয়োজনের আগ্রহের কথা জানায় তুরস্ক। তবে শেষ পর্যন্ত এই আয়োজন যুক্তরাজ্যের হাতে ছেড়ে দেয় দেশটি। ফলে কপ২৬ অনুষ্ঠিত হয় যুক্তরাজ্যের গ্লাসগোতে। ২০২৩ সালে এসে তুরস্ক জানায়, কপ৩১ এর আয়োজক হতে চায় দেশটি। যুক্তি হিসেবে তুরস্ক কপ২৬ ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টিকে উল্লেখ করে।
কপ৩০ এর প্রস্তুতি চলাকালে দেখা যায়, দুই দেশই আয়োজনের ব্যাপারে দৃঢ় অবস্থানে। ডব্লিউইওজিতেও বিষয়টির সুরাহা হয়নি। ফলে জাতিসংঘ এই পরিস্থিতিকে ‘ডেডলক’ হিসেবে উল্লেখ করে। কপ৩০ চলাকালে পাঁচ দিন ধরে আলোচনা চললেও কোনো সমাধান হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী, সমঝোতা না হলে কপ৩১ চলে যেত জার্মানির বন শহরে ইউএনএফসিসিসি’র সদর দপ্তরে।
শেষ পর্যন্ত সম্মেলনের মাঝামাঝি পর্যায়ে দুই দেশকে নিয়ে একটি সমঝোতা প্যাকেজ তৈরি হয়, যা বর্তমানে কপ৩০–এ উপস্থিত ১৯০টির বেশি দেশের সামনে উপস্থাপনের প্রস্তুতি চলছে।
সমঝোতা প্যাকেজ অনুযায়ী, কপ৩১ হবে তুরস্কের আনাতোলিয়ায়। কিন্তু এর প্রেসিডেন্ট হবেন অস্ট্রেলিয়ার মন্ত্রী ক্রিস বাওয়েন। প্রাক কপ অনুষ্ঠিত হবে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের একটি দ্বীপ রাষ্ট্রে। তুরস্ক আলাদা একজন ‘হোস্ট প্রেসিডেন্ট’ নিয়োগ করবে, যিনি লজিস্টিক ও আয়োজনের দায়িত্ব দেখবেন।
অর্থাৎ কপের ইতিহাসে প্রথমবার আলোচনার প্রেসিডেন্সি ও আয়োজন দুই দেশে ভাগ হয়ে যাচ্ছে।
তুরস্ক ২০২১ সালে গ্লাসগোর আয়োজনের সময় যুক্তরাজ্যের পক্ষে নিজের বিড ছাড় দিয়েছিল। সেই দাবিকেই এবার তারা নিজেদের শক্তি হিসেবে ব্যবহার করেছে। শুরু থেকেই তারা জানিয়েছে, ২০২৬ সালের কপ তারা আয়োজন করতে চায়। শেষ পর্যন্ত সেই অবস্থানেই তারা অবিচল থাকল।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান কপ৩০–এ উপস্থিত না থাকলেও তাদের কূটনৈতিক টিম সফলভাবে নিজের পক্ষে সমর্থন টেনে আনতে সক্ষম হয়েছে। আয়োজক হিসেবে আন্তালিয়াকে উপস্থাপন করে তারা দেখাতে পেরেছে, তারা প্রস্তুত, সক্ষম এবং আগ্রহী। সমঝোতার ফলে তারা কপ৩১–এর মূল আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে। এটিকে তুরস্কের একটি বড় কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়ার জন্য ফলাফলটি দ্বিমুখী। একদিকে দেশটি প্রেসিডেন্সি পেয়েছে, আন্তর্জাতিক আলোচনায় এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ক্রিস বাওয়েনের হাতে থাকবে আলোচনা পরিচালনা, ড্রাফট টেক্সট প্রস্তুত, কাভার সিদ্ধান্ত প্রণয়নসহ গুরুত্বপূর্ণ ক্ষমতা।
কিন্তু অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল, কপের আয়োজন। সেটি পূর্ণতা পেল না। তা ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরীয় প্রতিবেশীরাও হতাশ। পাপুয়া নিউগিনির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরাসরি বলেছেন, 'আমরা কেউই খুশি নই।' সলোমন দ্বীপপুঞ্জও জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়া আয়োজক না হওয়ায় তারা ‘অখুশি'।
তবে অস্ট্রেলিয়া বলছে, সমঝোতাই ছিল একমাত্র পথ। নইলে কপ৩১ যেত জার্মানির বন–এ এবং তখন ১২ মাস ধরে নেতৃত্বশূন্য অবস্থায় থাকতো, ফলে আন্তর্জাতিক আলোচনায় অস্থিরতা দেখা দিত।
২০২২ সালে অস্ট্রেলিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলো মিলে কপ৩১–এর একটি শক্তিশালী যৌথ বিড করেছিল। ধারণা ছিল, প্যাসিফিক অঞ্চলের জলবায়ু ঝুঁকি ও সমুদ্র–উপকূল ক্ষতির প্রতি বিশ্ব মনোযোগ টানা যাবে। কিন্তু সেই প্রচেষ্টা এখন ভেঙে যাচ্ছে।
পালাউয়ের প্রেসিডেন্ট সরাসরি বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী কপ৩০–এ উপস্থিত থাকলে হয়তো তুরস্ককে রাজি করানো যেত। এখন প্রাক–কপ হওয়াটাই তাদের জন্য সান্ত্বনা।
কপ নির্বাচনের পেছনে থাকে কূটনীতি, জোট–রাজনীতি, অর্থনৈতিক স্বার্থ ও রাজনৈতিক বার্তা। তুরস্ক–অস্ট্রেলিয়ার সমঝোতা সেই রাজনীতিকেই নতুনভাবে সামনে এনেছে। একদিকে জলবায়ু ঝুঁকির মুখে থাকা প্যাসিফিক অঞ্চল নিজেদের সুযোগ হারিয়েছে।
অন্যদিকে, তেল–গ্যাস রপ্তানিকারক তুরস্ক আয়োজক হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ কয়লা রপ্তানিকারক অস্ট্রেলিয়া আলোচনার প্রধান পরিচালনাকারী হয়ে উঠছে।
এই দ্বৈততা ও জটিলতাই জলবায়ু রাজনীতির বাস্তব চিত্র, যেখানে সমাধান আসে চাপে, সমঝোতায় এবং অনেক সময় অস্বস্তিকর ভূরাজনৈতিক সমীকরণে।

কপ৩০ চলছে আমাজন নদীর বদ্বীপে। পরের বছরের আয়োজন কোথায় হবে, তা নিয়ে বেশ সরগরম ছিল আলোচনার টেবিল। অস্ট্রেলিয়া ও তুরস্কের মধ্যকার দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর অবশেষে সমঝোতায় পৌঁছেছেন দুই পক্ষ। সমঝোতা অনুসারে, ২০২৬ সালের জলবায়ু সম্মেলন (কপ৩১) অনুষ্ঠিত হবে তুরস্কের আনাতোলিয়া শহরে, আর সম্মেলনের প্রেসিডেন্ট হবেন অস্ট্রেলিয়ার জলবায়ু পরিবর্তন ও জ্বালানিমন্ত্রী ক্রিস বাওয়েন।
তবে জার্মানির বার্লিনের প্রথম কপ থেকে বর্তমান ব্রাজিলের বেলেমের ৩০তম জলবায়ু সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট হয়েছেন সাধারণত আয়োজক দেশের কেউ। ৩১ তম কপে আলোচনার নেতৃত্ব ও আয়োজনের দায়িত্ব দুটি দেশে বিভক্ত হবে। প্রশ্ন উঠেছে—এ ‘দুই প্রেসিডেন্ট মডেল’ বাস্তবে কতটা কার্যকর।
জাতিসংঘের নিয়ম অনুযায়ী, ২০২৬ সালের সম্মেলন আয়োজনের দায়িত্ব পড়ে ওয়েস্টার্ন ইউরোপ অ্যান্ড আদার গ্রুপের (ডব্লিউইওজি) ওপর। অস্ট্রেলিয়া ও তুরস্ক দুই দেশই এই গ্রুপের সদস্য। ২০২২ সালে ডব্লিউইওজির সদস্য হিসেবে অস্ট্রেলিয়া কপ৩১ আয়োজনের আগ্রহ জানায়। তারা প্যাসিফিক দ্বীপপুঞ্জের সঙ্গে মিলে আয়োজনের প্রস্তাব জানায়। তখন থেকেই আন্তর্জাতিক মহলে অস্ট্রেলিয়া–প্যাসিফিক যৌথ বিড আলোচনায় আসে।
এর আগে ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত কপ২৬-এর আয়োজনের আগ্রহের কথা জানায় তুরস্ক। তবে শেষ পর্যন্ত এই আয়োজন যুক্তরাজ্যের হাতে ছেড়ে দেয় দেশটি। ফলে কপ২৬ অনুষ্ঠিত হয় যুক্তরাজ্যের গ্লাসগোতে। ২০২৩ সালে এসে তুরস্ক জানায়, কপ৩১ এর আয়োজক হতে চায় দেশটি। যুক্তি হিসেবে তুরস্ক কপ২৬ ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টিকে উল্লেখ করে।
কপ৩০ এর প্রস্তুতি চলাকালে দেখা যায়, দুই দেশই আয়োজনের ব্যাপারে দৃঢ় অবস্থানে। ডব্লিউইওজিতেও বিষয়টির সুরাহা হয়নি। ফলে জাতিসংঘ এই পরিস্থিতিকে ‘ডেডলক’ হিসেবে উল্লেখ করে। কপ৩০ চলাকালে পাঁচ দিন ধরে আলোচনা চললেও কোনো সমাধান হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী, সমঝোতা না হলে কপ৩১ চলে যেত জার্মানির বন শহরে ইউএনএফসিসিসি’র সদর দপ্তরে।
শেষ পর্যন্ত সম্মেলনের মাঝামাঝি পর্যায়ে দুই দেশকে নিয়ে একটি সমঝোতা প্যাকেজ তৈরি হয়, যা বর্তমানে কপ৩০–এ উপস্থিত ১৯০টির বেশি দেশের সামনে উপস্থাপনের প্রস্তুতি চলছে।
সমঝোতা প্যাকেজ অনুযায়ী, কপ৩১ হবে তুরস্কের আনাতোলিয়ায়। কিন্তু এর প্রেসিডেন্ট হবেন অস্ট্রেলিয়ার মন্ত্রী ক্রিস বাওয়েন। প্রাক কপ অনুষ্ঠিত হবে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের একটি দ্বীপ রাষ্ট্রে। তুরস্ক আলাদা একজন ‘হোস্ট প্রেসিডেন্ট’ নিয়োগ করবে, যিনি লজিস্টিক ও আয়োজনের দায়িত্ব দেখবেন।
অর্থাৎ কপের ইতিহাসে প্রথমবার আলোচনার প্রেসিডেন্সি ও আয়োজন দুই দেশে ভাগ হয়ে যাচ্ছে।
তুরস্ক ২০২১ সালে গ্লাসগোর আয়োজনের সময় যুক্তরাজ্যের পক্ষে নিজের বিড ছাড় দিয়েছিল। সেই দাবিকেই এবার তারা নিজেদের শক্তি হিসেবে ব্যবহার করেছে। শুরু থেকেই তারা জানিয়েছে, ২০২৬ সালের কপ তারা আয়োজন করতে চায়। শেষ পর্যন্ত সেই অবস্থানেই তারা অবিচল থাকল।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান কপ৩০–এ উপস্থিত না থাকলেও তাদের কূটনৈতিক টিম সফলভাবে নিজের পক্ষে সমর্থন টেনে আনতে সক্ষম হয়েছে। আয়োজক হিসেবে আন্তালিয়াকে উপস্থাপন করে তারা দেখাতে পেরেছে, তারা প্রস্তুত, সক্ষম এবং আগ্রহী। সমঝোতার ফলে তারা কপ৩১–এর মূল আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে। এটিকে তুরস্কের একটি বড় কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়ার জন্য ফলাফলটি দ্বিমুখী। একদিকে দেশটি প্রেসিডেন্সি পেয়েছে, আন্তর্জাতিক আলোচনায় এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ক্রিস বাওয়েনের হাতে থাকবে আলোচনা পরিচালনা, ড্রাফট টেক্সট প্রস্তুত, কাভার সিদ্ধান্ত প্রণয়নসহ গুরুত্বপূর্ণ ক্ষমতা।
কিন্তু অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল, কপের আয়োজন। সেটি পূর্ণতা পেল না। তা ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরীয় প্রতিবেশীরাও হতাশ। পাপুয়া নিউগিনির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরাসরি বলেছেন, 'আমরা কেউই খুশি নই।' সলোমন দ্বীপপুঞ্জও জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়া আয়োজক না হওয়ায় তারা ‘অখুশি'।
তবে অস্ট্রেলিয়া বলছে, সমঝোতাই ছিল একমাত্র পথ। নইলে কপ৩১ যেত জার্মানির বন–এ এবং তখন ১২ মাস ধরে নেতৃত্বশূন্য অবস্থায় থাকতো, ফলে আন্তর্জাতিক আলোচনায় অস্থিরতা দেখা দিত।
২০২২ সালে অস্ট্রেলিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলো মিলে কপ৩১–এর একটি শক্তিশালী যৌথ বিড করেছিল। ধারণা ছিল, প্যাসিফিক অঞ্চলের জলবায়ু ঝুঁকি ও সমুদ্র–উপকূল ক্ষতির প্রতি বিশ্ব মনোযোগ টানা যাবে। কিন্তু সেই প্রচেষ্টা এখন ভেঙে যাচ্ছে।
পালাউয়ের প্রেসিডেন্ট সরাসরি বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী কপ৩০–এ উপস্থিত থাকলে হয়তো তুরস্ককে রাজি করানো যেত। এখন প্রাক–কপ হওয়াটাই তাদের জন্য সান্ত্বনা।
কপ নির্বাচনের পেছনে থাকে কূটনীতি, জোট–রাজনীতি, অর্থনৈতিক স্বার্থ ও রাজনৈতিক বার্তা। তুরস্ক–অস্ট্রেলিয়ার সমঝোতা সেই রাজনীতিকেই নতুনভাবে সামনে এনেছে। একদিকে জলবায়ু ঝুঁকির মুখে থাকা প্যাসিফিক অঞ্চল নিজেদের সুযোগ হারিয়েছে।
অন্যদিকে, তেল–গ্যাস রপ্তানিকারক তুরস্ক আয়োজক হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ কয়লা রপ্তানিকারক অস্ট্রেলিয়া আলোচনার প্রধান পরিচালনাকারী হয়ে উঠছে।
এই দ্বৈততা ও জটিলতাই জলবায়ু রাজনীতির বাস্তব চিত্র, যেখানে সমাধান আসে চাপে, সমঝোতায় এবং অনেক সময় অস্বস্তিকর ভূরাজনৈতিক সমীকরণে।

ভয়াবহ বায়ুদূষণের কবলে পড়ে আজ শুক্রবার (২১ নভেম্বর) বিশ্বের ১২৭টি শহরের মধ্যে শীর্ষে উঠে এসেছে ভারতের রাজধানী দিল্লি। এই তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা।
১১ ঘণ্টা আগে
সারা দেশে আজ শুক্রবার (২১ নভেম্বর) দিন ও রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তাপমাত্রা কমার এই প্রবণতা আগামীকাল শনিবারও (২২ নভেম্বর) থাকতে পারে। তবে চলতি মাসের শেষ দিকে দেশে শীতের অনুভূতি কিছুটা বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের প্রায় ২০০ দেশের প্রতিনিধিরা এবার কপ৩০–এ একত্রিত হয়েছেন জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অগ্রগতির পথ খুঁজতে। হাজারো অংশগ্রহণকারী থাকা এই সম্মেলন হঠাৎ আগুন লাগার ঘটনায় থমকে গেছে।
২০ ঘণ্টা আগে
কপ৩০-এর নবম দিনটি নানা রাজনৈতিক উত্তেজনা, সামাজিক প্রতিরোধ এবং ভবিষ্যৎ চুক্তি–সংক্রান্ত ইঙ্গিতের সমন্বয়ে বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে। সম্মেলনে আদিবাসী বিক্ষোভকারীদের জন্য “বর্জন এলাকা” নির্ধারণ করায় সমালোচনা বেড়ে গিয়েছে।
১ দিন আগে