প্রতি বছর ৩ জুলাই ‘আন্তর্জাতিক প্লাস্টিক ব্যাগ মুক্ত দিবস’ পালিত হয়। প্লাস্টিক কীভাবে প্রাণ ও প্রকৃতির ক্ষতি করে? কবে ও কেন সারা বিশ্বে প্লাস্টিকের ব্যবহার জনপ্রিয়তা পেল? এখন আমাদের করণীয় কী?
তুফায়েল আহমদ
প্লাস্টিক দূষণ বিশ্বব্যাপী ভয়াবহ পরিবেশ সমস্যাগুলোর একটি। সারা বিশ্বেই একবার ব্যবহার করে ফেলে দেওয়ার উপযোগী প্লাস্টিক পণ্যের উৎপাদন ও ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে। একটি প্লাস্টিকের ব্যাগ গড়ে সর্বোচ্চ ১২ মিনিট ব্যবহৃত হয়। অথচ পচতে সময় লাগে প্রায় ৯৪০ বছর।
আবর্জনা অপসারণের কার্যকর ব্যবস্থা না থাকায় প্লাস্টিক দূষণের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলোতে। তবে উন্নত বিশ্বেও এই সমস্যা নিজের উপস্থিতি জানান দিচ্ছে। বিশেষ করে যেসব দেশে পুনর্ব্যবহারের (রিসাইক্লিং) হার কম ও প্লাস্টিক সঠিকভাবে সংগ্রহের ব্যবস্থা নেই, সেখানে এই সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।
এই সমস্যা মোকাবিলায় গত বছর জাতিসংঘের উদ্যোগে ১৭৫টি দেশ ‘বৈশ্বিক প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধ চুক্তি’-তে সম্মত হয়েছে।
প্লাস্টিক আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশ। প্রতিবছর বিশ্বে প্রায় ৪৬২ মিলিয়ন টনেরও বেশি প্লাস্টিক উৎপাদিত হয়। ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্লাস্টিকের কিছু উপযোগিতা থাকলেও এর প্রায় ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রেই এর শেষ পরিণতি পরিবেশ দূষণ ।
একবার ব্যবহার করে ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক সামগ্রীর মাধ্যমে এই দূষণ সবচেয়ে বেশি হয়। প্লাস্টিকের চামচ, প্যাকেট (পলিথিন জাতীয়) ও টেক্সটাইলের মাইক্রোপ্লাস্টিক পরিবেশ দূষণের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী। সারা বিশ্ব থেকে প্রতি বছর আনুমানিক ৯০ লাখ থেকে ১ কোটি ৪০ লাখ টন প্লাস্টিক বর্জ্য সমুদ্রে গিয়ে পড়ে। গভীর সমুদ্র থেকে শুরু করে দুর্গম পাহাড়ও এই প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে রক্ষা পাচ্ছে না।
জাতিসংঘের ওই চুক্তির আওতায় বিশ্বব্যাপী সব দেশকে প্লাস্টিক বিষয়ে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি, প্লাস্টিক উৎপাদন ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে হবে। চুক্তিতে পরিবেশ দূষণে বড় ভূমিকা রাখা সব অপ্রয়োজনীয় প্লাস্টিক পণ্যের ধীরে ধীরে বিলুপ্তির কথা বলা হয়েছে। বাধ্যতামূলক পদক্ষেপের পাশাপাশি থাকতে হবে বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা ও ন্যায়ভিত্তিক রূপান্তরের পথ। চুক্তিভুক্ত দেশগুলো এই উদ্দেশ্যে আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তাও প্রদান করবে।
১০৩টি দেশ চুক্তির চারটি খসড়ায় সম্মত হয়েছে। মোট ১৭৫টি দেশ এই চুক্তির সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে একমত হয়েছে। প্লাস্টিকের হাত থেকে পরিবেশকে বাঁচাতে ২৫০টিরও বেশি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এই সম্মিলিত পদক্ষেপকে সমর্থন জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ পলিব্যাগের ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে।
১৯০৭ সালে বেলজিয়ান রসায়নবিদ লিও বেকেল্যান্ড প্রথম সম্পূর্ণ কৃত্রিম পদ্ধতিতে প্লাস্টিক আবিষ্কার করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্লাস্টিক পণ্যের উৎপাদন ও ব্যবহার দ্রুত গতিতে বাড়তে থাকে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্লাস্টিক এতটাই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে যে, প্লাস্টিক পণ্য ছাড়া আজকের আধুনিক জীবন কল্পনাই করা যায় না। হালকা ও দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় প্লাস্টিক পণ্য পরিবহন থেকে শুরু করে চিকিৎসা পর্যন্ত সর্বত্র ব্যবহৃত হয়। ব্লাড ব্যাগ, সিরিঞ্জ, গ্লাভসসহ (দস্তানা) বহু জীবনরক্ষাকারী যন্ত্রে প্লাস্টিক ব্যবহৃত হয়। গাড়ির ড্যাশবোর্ড, ফুয়েল ট্যাংক, বিমানের অভ্যন্তরীণ প্যানেলেও প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়।
১৯৫০-এর দশকে ইউরোপ ও আমেরিকায় ব্যাপক হারে দরকারি পণ্যের পাশাপাশি অদরকারি পণ্য কেনার ঝোঁক (কনজিউমারিজম) গড়ে ওঠে। নগরায়ণ ও প্রযুক্তির উৎকর্ষের কারণে মানুষের ব্যস্ততা বাড়তে শুরু করে। এই সময়ে প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি বিভিন্ন দৈনন্দিন ব্যবহার্য পণ্য জনপ্রিয় হতে শুরু করে। প্লাস্টিকের উৎপাদন খরচ খুব কম হওয়ায় বিভিন্ন কোম্পানি এই সুযোগে বাজারে নানা ধরনের দৈনন্দিন পণ্যের ‘ওয়ান টাইম’ সংস্করণ নিয়ে আসতে শুরু করে। দাম কম এবং সহজে ফেলে দিয়ে পরিষ্কার করার ঝামেলা থেকে বাঁচা যায় বলে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
প্লাস্টিক পণ্য সহজে পচে না। বৃষ্টির পানি ও অন্যান্য পরিবহন-বলয়ের (ট্রান্সপোর্টেশন বেল্ট) মাধ্যমে এসব প্লাস্টিক মাটি থেকে ধীরে ধীরে সমুদ্রে চলে যায়। ফলে সমুদ্রে সৃষ্টি হয়েছে এক বিশাল প্লাস্টিক বর্জ্যের মজুত। জাতিসংঘের পরিবেশ প্রোগ্রামের (ইউএনইপি) পরিসংখ্যান অনুসারে, প্রতি বছর ৮০ লাখ মেট্রিক টনের বেশি প্লাস্টিক বর্জ্য সমুদ্রে প্রবেশ করে। সামুদ্রিক প্রাণীরা ভুল করে প্লাস্টিককে খাবার মনে করে খেয়ে ফেলে। আবার কখনো কখনো একবার ব্যবহার করে ফেলে দেওয়া মাছ ধরার সরঞ্জাম সামুদ্রিক প্রাণীদের শরীরে জড়িয়ে শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা সৃষ্টি করে।
প্লাস্টিক বর্জ্যের ফলে মাটিও দূষিত হয়। প্লাস্টিকের ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ জীবজগত ও গাছের স্বাভাবিক বাস্তুতন্ত্র বিঘ্নিত করে। প্লাস্টিক দূষণে মাটির উর্বরতা কমে যাওয়ার কারণে কৃষি উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হয়।
প্লাস্টিক পোড়ালে বাতাসে বিষাক্ত পদার্থ মিশে বাতাসকে দূষিত করে। সেই বাতাস গ্রহণ করা সব প্রাণীকেই এর ক্ষতিকর প্রভাবের শিকার হতে হয়।
প্লাস্টিক যখন মাইক্রো বা ন্যানো পর্যায়ে ভেঙে সাগরের স্তরে স্তরে মিশে যায় সেগুলো উদ্ধার করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। বিজ্ঞানী ও পরিবেশবিদদের মতে, সবচেয়ে ভালো উপায় হলো প্লাস্টিক যেন পানি অব্দি না পৌঁছায় সেদিকে লক্ষ্য রাখা। উন্নত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, প্লাস্টিকের উৎপাদন কমানো ও পুনর্ব্যবহার বাড়লে এই কাজ সহজ যাবে বলেও দাবি করেন অনেকে।
প্লাস্টিক দূষণ বিশ্বব্যাপী ভয়াবহ পরিবেশ সমস্যাগুলোর একটি। সারা বিশ্বেই একবার ব্যবহার করে ফেলে দেওয়ার উপযোগী প্লাস্টিক পণ্যের উৎপাদন ও ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে। একটি প্লাস্টিকের ব্যাগ গড়ে সর্বোচ্চ ১২ মিনিট ব্যবহৃত হয়। অথচ পচতে সময় লাগে প্রায় ৯৪০ বছর।
আবর্জনা অপসারণের কার্যকর ব্যবস্থা না থাকায় প্লাস্টিক দূষণের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলোতে। তবে উন্নত বিশ্বেও এই সমস্যা নিজের উপস্থিতি জানান দিচ্ছে। বিশেষ করে যেসব দেশে পুনর্ব্যবহারের (রিসাইক্লিং) হার কম ও প্লাস্টিক সঠিকভাবে সংগ্রহের ব্যবস্থা নেই, সেখানে এই সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।
এই সমস্যা মোকাবিলায় গত বছর জাতিসংঘের উদ্যোগে ১৭৫টি দেশ ‘বৈশ্বিক প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধ চুক্তি’-তে সম্মত হয়েছে।
প্লাস্টিক আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশ। প্রতিবছর বিশ্বে প্রায় ৪৬২ মিলিয়ন টনেরও বেশি প্লাস্টিক উৎপাদিত হয়। ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্লাস্টিকের কিছু উপযোগিতা থাকলেও এর প্রায় ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রেই এর শেষ পরিণতি পরিবেশ দূষণ ।
একবার ব্যবহার করে ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক সামগ্রীর মাধ্যমে এই দূষণ সবচেয়ে বেশি হয়। প্লাস্টিকের চামচ, প্যাকেট (পলিথিন জাতীয়) ও টেক্সটাইলের মাইক্রোপ্লাস্টিক পরিবেশ দূষণের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী। সারা বিশ্ব থেকে প্রতি বছর আনুমানিক ৯০ লাখ থেকে ১ কোটি ৪০ লাখ টন প্লাস্টিক বর্জ্য সমুদ্রে গিয়ে পড়ে। গভীর সমুদ্র থেকে শুরু করে দুর্গম পাহাড়ও এই প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে রক্ষা পাচ্ছে না।
জাতিসংঘের ওই চুক্তির আওতায় বিশ্বব্যাপী সব দেশকে প্লাস্টিক বিষয়ে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি, প্লাস্টিক উৎপাদন ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে হবে। চুক্তিতে পরিবেশ দূষণে বড় ভূমিকা রাখা সব অপ্রয়োজনীয় প্লাস্টিক পণ্যের ধীরে ধীরে বিলুপ্তির কথা বলা হয়েছে। বাধ্যতামূলক পদক্ষেপের পাশাপাশি থাকতে হবে বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা ও ন্যায়ভিত্তিক রূপান্তরের পথ। চুক্তিভুক্ত দেশগুলো এই উদ্দেশ্যে আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তাও প্রদান করবে।
১০৩টি দেশ চুক্তির চারটি খসড়ায় সম্মত হয়েছে। মোট ১৭৫টি দেশ এই চুক্তির সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে একমত হয়েছে। প্লাস্টিকের হাত থেকে পরিবেশকে বাঁচাতে ২৫০টিরও বেশি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এই সম্মিলিত পদক্ষেপকে সমর্থন জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ পলিব্যাগের ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে।
১৯০৭ সালে বেলজিয়ান রসায়নবিদ লিও বেকেল্যান্ড প্রথম সম্পূর্ণ কৃত্রিম পদ্ধতিতে প্লাস্টিক আবিষ্কার করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্লাস্টিক পণ্যের উৎপাদন ও ব্যবহার দ্রুত গতিতে বাড়তে থাকে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্লাস্টিক এতটাই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে যে, প্লাস্টিক পণ্য ছাড়া আজকের আধুনিক জীবন কল্পনাই করা যায় না। হালকা ও দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় প্লাস্টিক পণ্য পরিবহন থেকে শুরু করে চিকিৎসা পর্যন্ত সর্বত্র ব্যবহৃত হয়। ব্লাড ব্যাগ, সিরিঞ্জ, গ্লাভসসহ (দস্তানা) বহু জীবনরক্ষাকারী যন্ত্রে প্লাস্টিক ব্যবহৃত হয়। গাড়ির ড্যাশবোর্ড, ফুয়েল ট্যাংক, বিমানের অভ্যন্তরীণ প্যানেলেও প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়।
১৯৫০-এর দশকে ইউরোপ ও আমেরিকায় ব্যাপক হারে দরকারি পণ্যের পাশাপাশি অদরকারি পণ্য কেনার ঝোঁক (কনজিউমারিজম) গড়ে ওঠে। নগরায়ণ ও প্রযুক্তির উৎকর্ষের কারণে মানুষের ব্যস্ততা বাড়তে শুরু করে। এই সময়ে প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি বিভিন্ন দৈনন্দিন ব্যবহার্য পণ্য জনপ্রিয় হতে শুরু করে। প্লাস্টিকের উৎপাদন খরচ খুব কম হওয়ায় বিভিন্ন কোম্পানি এই সুযোগে বাজারে নানা ধরনের দৈনন্দিন পণ্যের ‘ওয়ান টাইম’ সংস্করণ নিয়ে আসতে শুরু করে। দাম কম এবং সহজে ফেলে দিয়ে পরিষ্কার করার ঝামেলা থেকে বাঁচা যায় বলে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
প্লাস্টিক পণ্য সহজে পচে না। বৃষ্টির পানি ও অন্যান্য পরিবহন-বলয়ের (ট্রান্সপোর্টেশন বেল্ট) মাধ্যমে এসব প্লাস্টিক মাটি থেকে ধীরে ধীরে সমুদ্রে চলে যায়। ফলে সমুদ্রে সৃষ্টি হয়েছে এক বিশাল প্লাস্টিক বর্জ্যের মজুত। জাতিসংঘের পরিবেশ প্রোগ্রামের (ইউএনইপি) পরিসংখ্যান অনুসারে, প্রতি বছর ৮০ লাখ মেট্রিক টনের বেশি প্লাস্টিক বর্জ্য সমুদ্রে প্রবেশ করে। সামুদ্রিক প্রাণীরা ভুল করে প্লাস্টিককে খাবার মনে করে খেয়ে ফেলে। আবার কখনো কখনো একবার ব্যবহার করে ফেলে দেওয়া মাছ ধরার সরঞ্জাম সামুদ্রিক প্রাণীদের শরীরে জড়িয়ে শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা সৃষ্টি করে।
প্লাস্টিক বর্জ্যের ফলে মাটিও দূষিত হয়। প্লাস্টিকের ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ জীবজগত ও গাছের স্বাভাবিক বাস্তুতন্ত্র বিঘ্নিত করে। প্লাস্টিক দূষণে মাটির উর্বরতা কমে যাওয়ার কারণে কৃষি উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হয়।
প্লাস্টিক পোড়ালে বাতাসে বিষাক্ত পদার্থ মিশে বাতাসকে দূষিত করে। সেই বাতাস গ্রহণ করা সব প্রাণীকেই এর ক্ষতিকর প্রভাবের শিকার হতে হয়।
প্লাস্টিক যখন মাইক্রো বা ন্যানো পর্যায়ে ভেঙে সাগরের স্তরে স্তরে মিশে যায় সেগুলো উদ্ধার করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। বিজ্ঞানী ও পরিবেশবিদদের মতে, সবচেয়ে ভালো উপায় হলো প্লাস্টিক যেন পানি অব্দি না পৌঁছায় সেদিকে লক্ষ্য রাখা। উন্নত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, প্লাস্টিকের উৎপাদন কমানো ও পুনর্ব্যবহার বাড়লে এই কাজ সহজ যাবে বলেও দাবি করেন অনেকে।
রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় আজ সন্ধ্যা থেকে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। একই সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে
২০ ঘণ্টা আগেজলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলায় সারাবিশ্বে বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্প (উইন্ড ফার্ম) গড়ে তোলা হচ্ছে। কিন্তু এক উইন্ড ফার্ম আরেকটির বাতাস নিয়মিত চুরি করছে— এমন তথ্য উঠে এসেছে নেদারল্যান্ডের এক গবেষণায়।'হুইফল' নামের একটি গবেষণা সংস্থা বিষয়টিকে সামনে এনেছে। সংস্থাটির গবেষক পিটার বাস দেখান, সমুদ্রের একটি
০৭ জুন ২০২৫সিলেট সীমান্তে প্রাকৃতিক আর খনিজ সম্পদে ভরপুর উপজেলা কোম্পানীগঞ্জ। এর যে সব স্থানে পাথর ‘কোয়ারি’ ছিল, তার বেশিরভাগই বৈধ-অবৈধভাবে তুলে ফেলা হয়েছে। কেবল বাংলাদেশ রেলওয়ের ‘বাংকার’ ভোলাগঞ্জে পাথর পাওয়া যাচ্ছে। এবার সেখানেই চোখ পড়েছে পাথর উত্তোলনকারীচক্রের। অবৈধভাবে পাথর তুলে বিক্রি করছে চক্রের সদস্যরা।
০৭ জুন ২০২৫দেশের পরিবেশ সংরক্ষণে এক নতুন মাইলফলক স্পর্শ করলো বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো দুটি জলাভূমিকে ‘জলাভূমি নির্ভর প্রাণী অভয়ারণ্য’ হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার। আজ ৭ মে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বন শাখা-২ থেকে পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ ঘোষণা জারি করা হয়।
০৭ জুন ২০২৫