leadT1ad

আবার হ্যাকারের কবলে ইসলামী ব্যাংকের ফেসবুক পেজ

হ্যাকড হওয়া ফেসবুক পেজ উদ্ধারের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আবার হ্যাক হয়েছে ইসলামী ব্যাংক পিএলসির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ। একই হ্যাকার গ্রুপ আবার নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে পেজটির।

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা
প্রকাশ : ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৩: ৫৩
ইসলামী ব্যাংকের লোগো। ছবি: সংগৃহীত

হ্যাকড হওয়া ফেসবুক পেজ উদ্ধারের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আবার হ্যাক হয়েছে ইসলামী ব্যাংক পিএলসির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ। একই হ্যাকার গ্রুপ আবার নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে পেজটির।

এ বিষয়ে ইসলামী ব্যাংকের জনসংযোগ বিভাগের প্রধান নজরুল ইসলাম স্ট্রিমকে শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টায় জানান, তাঁরা পেজটি উদ্ধারে তৎপর রয়েছেন।

শুক্রবার ভোরে প্রথম দফায় হ্যাকড হওয়ার পর ‘এমএস ৪৭০ এক্স’ নামে একটি হ্যাকার গ্রুপ পেজটির প্রোফাইল ছবি ও কভার পরিবর্তন করে নিজেদের লোগো বসায়। তারা একটি পোস্টে দাবি করে, ইসলামী ব্যাংকের ‘অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে’ এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং চাকরিচ্যুত কর্মকর্তাদের পুনর্বহালের দাবি জানানো হয়। যদিও কিছু সময় পর সেই পোস্ট মুছে ফেলা হয়। পাশাপাশি ব্যাংকটির ওয়েবসাইটেও আক্রমণ করার হুমকি দিয়েছিলো তাঁরা।

পরে একই দিন সন্ধ্যায় পেজটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করেন ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওমর ফারুক খান। এসময় পেজটিতে ইসলামী ব্যাংকের লোগোসহ স্বাভাবিক প্রচারণা দেখা যায়।

এর কিছুক্ষণ পর পেজটি দ্বিতীয়বার দখলে নেয় হ্যাকাররা। দ্বিতীয় দফায় হ্যাক করার পর রাত ৯টা ২২ মিনিটে হ্যাকাররা পেজে এক পোস্টে লিখেছে-

"হ্যালো প্রিয় ম্যাংগো পিপল,

আমরা আবারও প্রবেশাধিকার পেয়েছি। অনেকে দাবি করেন, যদি তাদের মাধ্যমে আপনার বিজনেস ম্যানেজার ভেরিফাই করান, তাহলে আর হ্যাক হবে না। তাদের উদ্দেশে আমাদের বক্তব্য—যেসব বিজনেস ম্যানেজার আমরা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছি, সবই আগে থেকেই ভেরিফায়েড ছিল। আমরা সিস্টেম ভাঙি না, আমরা সিস্টেম গড়ে তুলি। এটা সবাই মনে রাখবেন।

অনলাইন দুনিয়ায় কেউই পুরোপুরি নিরাপদ নয়। যারা সাধারণ ব্যবহারকারীদের বিজনেস ম্যানেজার ভেরিফাই করাতে বলছেন, তারাও হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছেন।

নিজের নিরাপত্তার দায়িত্ব তথাকথিত বিশেষজ্ঞদের হাতে তুলে দেবেন না। নিজেই নিজের সিস্টেম সুরক্ষিত করুন।

আমাদের নাম মনে রাখবেন—MS 470X। আমরা কারো ক্ষতি করতে আসিনি, সচেতনতা বাড়াতে ও মানুষকে সুরক্ষিত করতে এসেছি।

আমরা সবকিছুই নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করি। কখনোই মনে করবেন না যে আপনি ১০০ শতাংশ নিরাপদ, কারণ সব সময়ই কোথাও কেউ বেশি বুদ্ধিমান থাকে।

আপনি যদি কোনো বিশেষ কিছুতে প্রবেশাধিকার পান, তা যেন কখনো অপব্যবহার না হয়।

লল মাই ফ্রেন্ড জুকার।"

সম্প্রতি ইসলামী ব্যাংক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে কর্মী ছাটাই এবং জোরপূর্বক পরীক্ষা দিতে বাধ্য করার অভিযোগ তোলে প্রতিষ্ঠানটির বেশকিছু কর্মী। গত ৩০ সেপ্টেম্বর চাকরিবিধি ও শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে ২০০ কর্মীকে। একইসঙ্গে ওএসডি (অন সার্ভিস ডিউটি) করা হয়েছে ৪ হাজার ৯৭১ জন কর্মকর্তাকে। বেতন-ভাতা পেলেও, তাঁদের কোনো দায়িত্ব থাকবে না।

Ad 300x250

সম্পর্কিত