স্ট্রিম প্রতিবেদক
দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে ‘স্থিতিশীলতা’ বজায় রাখতে এক মাসেরও কম সময়ে চতুর্থবারের মতো বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে ডলার কিনল বাংলাদেশ ব্যাংক। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) অনুষ্ঠিত সর্বশেষ নিলামে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ১২১ টাকা ৩৫ পয়সা থেকে ১২১ টাকা ৫০ পয়সা দরে মোট ৪৫ মিলিয়ন ডলার কিনেছে।
ডলারের বাজার স্থিতিশীল রাখতে ডলার কিনছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এভাবে ডলার কেনার ফলে বাজারে তারল্য বাড়ছে ও রিজার্ভে যোগ হচ্ছে ডলার। তথ্যটি জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান।
এর আগে ১৩ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ধারাবাহিক ক্রয়ের প্রথম দফায় ১৭১ মিলিয়ন, দ্বিতীয় দফায় (১৫ জুলাই) ৩১৩ মিলিয়ন ও তৃতীয় দফায় (২৩ জুলাই) ১০ মিলিয়ন ডলার কেনে বাংলাদেশ ব্যাংক। সব মিলিয়ে মাত্র ২৬ দিনের ব্যবধানে মোট ৫৩৯ মিলিয়ন ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
হঠাৎ করে কমে যায় ডলারের রেট। ফলে ‘সিগনাল রেট’ নির্ধারণ করে এবং ডলার কেনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। স্ট্রিমকে জনতা ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক মুহাম্মদ এহতেশাম জলিল জানান, গত ১৩ জুলাই নিলামের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো ডলার কেনার ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেদিনের নিলামে ১২১.৫০ টাকা দরে কেনা হয় ১৭৩ মিলিয়ন ডলার।
এরপর ১৫ জুলাই দ্বিতীয় দফায় একই দরে আরও ৩১৩ মিলিয়ন ডলার কেনে। ২৩ জুলাই তৃতীয় দফায় ১২১.৯৫ টাকা দরে কেনা হয় ১০ মিলিয়ন ডলার। সর্বশেষ ৭ আগস্টের নিলামে কাট-অফ রেট ছিল ১২১.৫০ টাকা। আগের তুলনায় অন্তত ৪৫ বেসিস পয়েন্ট কম।
সম্প্রতি বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে ডলারের যোগান। যার প্রধান উৎস হচ্ছে রেমিটেন্স এবং রপ্তানি আয়। দুই ঈদকে কেন্দ্র করে প্রবাসীরা দেশে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাঠিয়েছেন। একইসঙ্গে তৈরি পোশাকসহ অন্যান্য রপ্তানি খাত থেকেও আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ।
বর্তমানে প্রতি মাসে গড়ে ২.৫ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এবং ৪ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি থেকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হচ্ছে। এর বিপরীতে বর্তমানে মাসিক আমদানি বিল কমে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪ থেকে ৪.৫ বিলিয়ন ডলারে। যা পূর্বের তুলনায় অনেক কম। বিশেষ করে, বড় মাপের প্রকল্প বা বেসরকারি খাতে মূলধন যন্ত্রপাতি ও কাঁচামালের আমদানি অনেকাংশেই স্থবির হয়ে পড়েছে।
ইন্ডিপেন্ডেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক খালেদ সাইফুল্লাহ এ বিষয়ে স্ট্রিমকে বলেন, ‘আমদানির এই নিম্নমুখী প্রবণতা মূলত বিনিয়োগ স্থবিরতার ইঙ্গিত বহন করে। সরকার পরিবর্তনের পর থেকে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ প্রবাহ কমে গেছে, যার প্রমাণ মেলে ঋণ প্রবৃদ্ধির পরিসংখ্যানে। বেসরকারি খাতে ব্যাংক ঋণের চাহিদা টানা সাত মাস ধরে ৮ শতাংশের নিচে রয়ে গেছে, যা স্পষ্ট করে দেয়, নতুন শিল্প স্থাপন বা অবকাঠামোগত সম্প্রসারণ কার্যক্রমে বিনিয়োগকারীরা খুব একটা এগোচ্ছেন না।’
এই অতিরিক্ত ডলার প্রবাহ ও তুলনামূলকভাবে কম ডলার চাহিদার কারণে আন্তঃব্যাংক বাজারে ডলারের দর কমে গেছে। তবে খালেদ সাইফুল্লাহ জানান, এই পরিস্থিতি স্থায়ী না। সাময়িকভাবে বাজারে অতিরিক্ত ডলার সরবরাহ রিজার্ভ পুনর্গঠনের একটি সুযোগ তৈরি করেছে। এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিনিময় হার নিয়ন্ত্রণেও রাখতে পারবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানাচ্ছে, চলতি বছরের মে মাসে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি ছিল মাত্র ৭.১৭ শতাংশ, যা আগের মাস এপ্রিলের ৭.৫০ শতাংশ থেকেও কম। সরকার পরিবর্তনের পর এই প্রবণতা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। নতুন শিল্প স্থাপন, যন্ত্রপাতি আমদানি বা অবকাঠামো সম্প্রসারণে আগ্রহ হারিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদায়।
এই প্রেক্ষাপটে অধ্যাপক খালেদ সাইফুল্লাহ জানান, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার কেনা নীতি একদিকে যেমন রিজার্ভ বৃদ্ধির সুযোগ তৈরি করেছে, অন্যদিকে বাজারে অতিরিক্ত সরবরাহজনিত দরপতনের গতি রোধ করতেও কার্যকর হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হিসাবে, আইএমএফের বিপিএম৬ পদ্ধতিতে গত বুধবার দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলারে।
অর্থনীতি বিশেষজ্ঞদের মতে, রেমিটেন্স ও রপ্তানির প্রবাহ বৃদ্ধির পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিলামের মাধ্যমে ডলার কেনার পদক্ষেপটি রিজার্ভ পুনর্গঠনে সরাসরি ভূমিকা রেখেছে। বিনিয়োগ স্থবিরতায় চাহিদা কমে গিয়েছে ব্যবসায়ীদের। ফলে সৃষ্টি হয়েছে লেনদেনের ‘মার্জিন’। এটি কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতের বৈদেশিক লেনদেনের জন্য একটি পথ তৈরি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
নিলামের মাধ্যমে বাজার থেকে ডলার কিনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স উৎসাহিত করছে। রপ্তানির প্রতিযোগিতা ও সক্ষমতা ধরে রাখছে। এমন হস্তক্ষেপ বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে স্থিতিশীলতা আনে।
বাংলাদেশে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের সিইও নাসের এজাজ বিজয় স্ট্রিমকে বলেন, ‘বিশ্বজুড়েই কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো মাঝে মাঝে এমন কৌশল নেয়, বড় অর্থনৈতিক লক্ষ্য পূরণে। বিনিময় হার দ্রুত পড়ে গেলে হুন্ডির মতো অবৈধ লেনদেন বাড়তে পারে এবং রপ্তানিকারকরা ক্ষতির মুখে পড়েন। তাই এমন স্থিতিশীলতা বজায় রাখা জরুরি।’
অধ্যাপক খালেদ সাইফুল্লাহও এই পদক্ষেপকে ‘সতর্কতামূলক হস্তক্ষেপ’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার এখনো পুরোপুরি বাজারনির্ভর হয়ে ওঠেনি। তাই এই ধরনের নিয়ন্ত্রিত হস্তক্ষেপ প্রয়োজনীয়।’
ডলারের দর বেশি থাকলে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি খাত লাভবান হয়, আর দর কমে গেলে আমদানি বাড়ে। দুই পক্ষের ভারসাম্য বজায় রাখাই ভালো মুদ্রানীতির চিহ্ন।
আইএমএফের চাপ নাকি বাজার বিবেচনা
ডলারের বাজার ভিত্তিক মূল্য নির্ধারণ নিয়ে শুরু থেকেই ছিল বিতর্ক। চলতি বছরের মে মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক তা বাজারমুখী করার ঘোষণা দেয়। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর পরে বলেন, ‘এ সিদ্ধান্ত ‘‘আইএমএফের চাপে নয়’’, বরং অভ্যন্তরীণ বাজার বিশ্লেষণ ও সমন্বয়ের ভিত্তিতেই নেওয়া হয়েছে।’
অন্যদিকে, আইএমএফ প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের চতুর্থ ও পঞ্চম ঋণের কিস্তি ছাড়ের আগে ডলারের দর বাজার-নির্ধারিত করতে বলেছিল বলেও জানা যায়।
দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে ‘স্থিতিশীলতা’ বজায় রাখতে এক মাসেরও কম সময়ে চতুর্থবারের মতো বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে ডলার কিনল বাংলাদেশ ব্যাংক। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) অনুষ্ঠিত সর্বশেষ নিলামে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ১২১ টাকা ৩৫ পয়সা থেকে ১২১ টাকা ৫০ পয়সা দরে মোট ৪৫ মিলিয়ন ডলার কিনেছে।
ডলারের বাজার স্থিতিশীল রাখতে ডলার কিনছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এভাবে ডলার কেনার ফলে বাজারে তারল্য বাড়ছে ও রিজার্ভে যোগ হচ্ছে ডলার। তথ্যটি জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান।
এর আগে ১৩ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ধারাবাহিক ক্রয়ের প্রথম দফায় ১৭১ মিলিয়ন, দ্বিতীয় দফায় (১৫ জুলাই) ৩১৩ মিলিয়ন ও তৃতীয় দফায় (২৩ জুলাই) ১০ মিলিয়ন ডলার কেনে বাংলাদেশ ব্যাংক। সব মিলিয়ে মাত্র ২৬ দিনের ব্যবধানে মোট ৫৩৯ মিলিয়ন ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
হঠাৎ করে কমে যায় ডলারের রেট। ফলে ‘সিগনাল রেট’ নির্ধারণ করে এবং ডলার কেনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। স্ট্রিমকে জনতা ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক মুহাম্মদ এহতেশাম জলিল জানান, গত ১৩ জুলাই নিলামের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো ডলার কেনার ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেদিনের নিলামে ১২১.৫০ টাকা দরে কেনা হয় ১৭৩ মিলিয়ন ডলার।
এরপর ১৫ জুলাই দ্বিতীয় দফায় একই দরে আরও ৩১৩ মিলিয়ন ডলার কেনে। ২৩ জুলাই তৃতীয় দফায় ১২১.৯৫ টাকা দরে কেনা হয় ১০ মিলিয়ন ডলার। সর্বশেষ ৭ আগস্টের নিলামে কাট-অফ রেট ছিল ১২১.৫০ টাকা। আগের তুলনায় অন্তত ৪৫ বেসিস পয়েন্ট কম।
সম্প্রতি বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে ডলারের যোগান। যার প্রধান উৎস হচ্ছে রেমিটেন্স এবং রপ্তানি আয়। দুই ঈদকে কেন্দ্র করে প্রবাসীরা দেশে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাঠিয়েছেন। একইসঙ্গে তৈরি পোশাকসহ অন্যান্য রপ্তানি খাত থেকেও আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ।
বর্তমানে প্রতি মাসে গড়ে ২.৫ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এবং ৪ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি থেকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হচ্ছে। এর বিপরীতে বর্তমানে মাসিক আমদানি বিল কমে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪ থেকে ৪.৫ বিলিয়ন ডলারে। যা পূর্বের তুলনায় অনেক কম। বিশেষ করে, বড় মাপের প্রকল্প বা বেসরকারি খাতে মূলধন যন্ত্রপাতি ও কাঁচামালের আমদানি অনেকাংশেই স্থবির হয়ে পড়েছে।
ইন্ডিপেন্ডেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক খালেদ সাইফুল্লাহ এ বিষয়ে স্ট্রিমকে বলেন, ‘আমদানির এই নিম্নমুখী প্রবণতা মূলত বিনিয়োগ স্থবিরতার ইঙ্গিত বহন করে। সরকার পরিবর্তনের পর থেকে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ প্রবাহ কমে গেছে, যার প্রমাণ মেলে ঋণ প্রবৃদ্ধির পরিসংখ্যানে। বেসরকারি খাতে ব্যাংক ঋণের চাহিদা টানা সাত মাস ধরে ৮ শতাংশের নিচে রয়ে গেছে, যা স্পষ্ট করে দেয়, নতুন শিল্প স্থাপন বা অবকাঠামোগত সম্প্রসারণ কার্যক্রমে বিনিয়োগকারীরা খুব একটা এগোচ্ছেন না।’
এই অতিরিক্ত ডলার প্রবাহ ও তুলনামূলকভাবে কম ডলার চাহিদার কারণে আন্তঃব্যাংক বাজারে ডলারের দর কমে গেছে। তবে খালেদ সাইফুল্লাহ জানান, এই পরিস্থিতি স্থায়ী না। সাময়িকভাবে বাজারে অতিরিক্ত ডলার সরবরাহ রিজার্ভ পুনর্গঠনের একটি সুযোগ তৈরি করেছে। এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিনিময় হার নিয়ন্ত্রণেও রাখতে পারবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানাচ্ছে, চলতি বছরের মে মাসে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি ছিল মাত্র ৭.১৭ শতাংশ, যা আগের মাস এপ্রিলের ৭.৫০ শতাংশ থেকেও কম। সরকার পরিবর্তনের পর এই প্রবণতা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। নতুন শিল্প স্থাপন, যন্ত্রপাতি আমদানি বা অবকাঠামো সম্প্রসারণে আগ্রহ হারিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদায়।
এই প্রেক্ষাপটে অধ্যাপক খালেদ সাইফুল্লাহ জানান, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার কেনা নীতি একদিকে যেমন রিজার্ভ বৃদ্ধির সুযোগ তৈরি করেছে, অন্যদিকে বাজারে অতিরিক্ত সরবরাহজনিত দরপতনের গতি রোধ করতেও কার্যকর হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হিসাবে, আইএমএফের বিপিএম৬ পদ্ধতিতে গত বুধবার দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলারে।
অর্থনীতি বিশেষজ্ঞদের মতে, রেমিটেন্স ও রপ্তানির প্রবাহ বৃদ্ধির পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিলামের মাধ্যমে ডলার কেনার পদক্ষেপটি রিজার্ভ পুনর্গঠনে সরাসরি ভূমিকা রেখেছে। বিনিয়োগ স্থবিরতায় চাহিদা কমে গিয়েছে ব্যবসায়ীদের। ফলে সৃষ্টি হয়েছে লেনদেনের ‘মার্জিন’। এটি কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতের বৈদেশিক লেনদেনের জন্য একটি পথ তৈরি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
নিলামের মাধ্যমে বাজার থেকে ডলার কিনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স উৎসাহিত করছে। রপ্তানির প্রতিযোগিতা ও সক্ষমতা ধরে রাখছে। এমন হস্তক্ষেপ বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে স্থিতিশীলতা আনে।
বাংলাদেশে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের সিইও নাসের এজাজ বিজয় স্ট্রিমকে বলেন, ‘বিশ্বজুড়েই কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো মাঝে মাঝে এমন কৌশল নেয়, বড় অর্থনৈতিক লক্ষ্য পূরণে। বিনিময় হার দ্রুত পড়ে গেলে হুন্ডির মতো অবৈধ লেনদেন বাড়তে পারে এবং রপ্তানিকারকরা ক্ষতির মুখে পড়েন। তাই এমন স্থিতিশীলতা বজায় রাখা জরুরি।’
অধ্যাপক খালেদ সাইফুল্লাহও এই পদক্ষেপকে ‘সতর্কতামূলক হস্তক্ষেপ’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার এখনো পুরোপুরি বাজারনির্ভর হয়ে ওঠেনি। তাই এই ধরনের নিয়ন্ত্রিত হস্তক্ষেপ প্রয়োজনীয়।’
ডলারের দর বেশি থাকলে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি খাত লাভবান হয়, আর দর কমে গেলে আমদানি বাড়ে। দুই পক্ষের ভারসাম্য বজায় রাখাই ভালো মুদ্রানীতির চিহ্ন।
আইএমএফের চাপ নাকি বাজার বিবেচনা
ডলারের বাজার ভিত্তিক মূল্য নির্ধারণ নিয়ে শুরু থেকেই ছিল বিতর্ক। চলতি বছরের মে মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক তা বাজারমুখী করার ঘোষণা দেয়। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর পরে বলেন, ‘এ সিদ্ধান্ত ‘‘আইএমএফের চাপে নয়’’, বরং অভ্যন্তরীণ বাজার বিশ্লেষণ ও সমন্বয়ের ভিত্তিতেই নেওয়া হয়েছে।’
অন্যদিকে, আইএমএফ প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের চতুর্থ ও পঞ্চম ঋণের কিস্তি ছাড়ের আগে ডলারের দর বাজার-নির্ধারিত করতে বলেছিল বলেও জানা যায়।
তবে চতুর্থ প্রান্তিকে আয় আগের অর্থবছরের একই সময়ের ৮ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় ৩ দশমিক ১৫ শতাংশ বেশি।
১ দিন আগে২০২৫–২৬ করবর্ষের অনলাইন আয়কর রিটার্ন দাখিল কার্যক্রমের উদ্বোধনের দিনেই ১০ হাজার ২০২ জন করদাতা ই-রিটার্ন দাখিল করেছেন। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
৩ দিন আগেনতুন অর্থবছরের শুরুতেই বড় সুখবর দিলেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। জুলাই মাসে তারা দেশে পাঠিয়েছেন ২.৪৮ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের একই মাসের তুলনায় এই আয় ২৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ বেশি।
৫ দিন আগেবিশ্ব বাজারে মর্যাদাপূর্ণ কর্মসংস্থান এবং প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে টেকনিক্যাল, ভোকেশনাল শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ (টিভিইটি) উন্নয়নে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সঙ্গে ১৫ কোটি ডলারের একটি ঋণ চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ সরকার।
৫ দিন আগে