
.png)

ভোরের আলো ফোটার আগেই সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকায় নামে মানুষের ঢল। লাল-সবুজের পতাকা হাতে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন বিভিন্ন বয়সী মানুষ-শিক্ষার্থী, শ্রমজীবী, মুক্তিযোদ্ধা, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের কর্মী।

এবারের বিজয় দিবসে একাত্তরের ঘাতক ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অঙ্গীকারের কথা বলেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, বিজয় উল্লাসের প্রস্তুতি থাকলেও স্বাধীনতার-বিরোধী শক্তির আস্ফালনের মধ্যেই এবার বিজয় দিবস পালন করতে হচ্ছে।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও শেরেবাংলা নগরে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘গোলাম আজমসহ ওর সাঙ্গপাঙ্গরা যদি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান হয়, তা বলে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অপমানিত করা হচ্ছে; তাহলে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থানটা কোথায়?’

সরকারের অযোগ্যতা, অদক্ষতা ও উপদেষ্টাদের মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণে সংস্কারের কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়নি; বরং আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ায় গুপ্তহত্যার মতো ঘটনা শুরু হয়েছে।

মহান বিজয় দিবসে একাত্তরের বীর শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রীয় শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপতি মো. শাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল থেকে সাধারণ মানুষের ঢল নামে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গণতান্ত্রিক ও বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গড়ার যে স্বপ্ন ছিল, তা স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও পূরণ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ ও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘১৬ ডিসেম্বরের যে প্রত্যয় ছিল, তা দেখেই আমরা ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে পুনর্নির্মাণের একটা সুযোগ করে দিতে পেরেছি।’

বিজয় দিবস উদযাপনে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ সেজেছে লাল-সবুজের আভায়। সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে গণপূর্ত বিভাগ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকেও জোরদার করা হয়েছে নিচ্ছিন্দ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা। সশস্ত্র তিন বাহিনীর সদস্যরাও ঝালিয়ে নিচ্ছেন সবশেষ প্রস্তুতি।
