ঢালিউডের প্রথম মেগাস্টার, নায়ক জসিমের ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। এক সময়ের এ্যাকশন সুপারস্টার জসিমের লিগেসি কেমন? কিভাবে জসিমের সিনেমা দেখতেছে তরুণ প্রজন্ম? জসিম কিভাবে হয়ে উঠছে মিম ম্যাটেরিয়ালের উৎস?
রায়হান রাহিম
বাংলা সিনেমা নিজেই হইতেছে মিমের খনি। যদি প্রশ্ন করি যে কোন নায়ক সবচেয়ে বেশি মিমের জন্ম দিছেন? উত্তর কী হবে?
বাপ্পারাজ, জসিম বা চঞ্চল চৌধুরীর মধ্যে মেবি ১০০/১০০ ফাইট হবে । আরও কেউ কেউ হয়তো প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আসবে। তবে ফার্স্ট কে হবে বলা কঠিন।
কিন্তু একটা বিষয়ে নায়ক জসিমের ধারে কাছে কেউ ঘেষতে পারবে না: লটারি জেতায়। বাংলা সিনেমায় সবচাইতে বেশি লটারি জেতা নায়ক জসিম।
এখনকার ইন্টারনেট প্রজন্ম জসিমরে চেনে মূলত oops-মিমের মাধ্যমে। এই প্রজন্মের কাছে জসিম কমেডির অফুরন্ত উৎস। জসিমের লাগাতার লটারি জেতা, কথা বলার ইউনিক স্টাইল আর হেয়ারস্টাইল, অঙ্গভঙ্গি, ঝিলিমিলি কস্টিউম আর ডিস্কো ডান্স– সবই এই প্রজন্মরে হাস্যরস সাপ্লাই দেয়। কিউরিয়াস কেইস হইতেছে, জসিম মোটেই কমেডিয়ান ছিলেন না!
জসিম তাহলে কী ছিলেন?
আসেন, জানার চেষ্টা নিই।
জ্যাক নিকলসন থেকে অমিতাভ বচ্চন - ভিলেন থেকে হিরো হইয়া উঠা নায়কদের নিয়া দুনিয়ায় আছে অন্য লেভেলের ক্রেজ! আমাদের বাংলাদেশেও তেমন একজন নায়ক ছিলেন। ঢাকাই সিনেমায় আসছিলেন ভিলেন হিসাবে, পরবর্তীকালে হয়ে ওঠেন বাংলা সিনেমার অন্যতম জনপ্রিয় এ্যাকশন হিরো। নাম তার আবুল খায়ের জসিম উদ্দিন, নায়ক জসিম নামে বেশি পরিচিত।
১৯৭২ সালে তার অভিনয় জীবনের শুরু, ‘দেবর’ সিনেমায়। ক্যারিয়ারে প্রথম ব্রেক থ্রু পান এক বছরের মাথায়, রাজ্জাক-কবরী অভিনিত ব্লকবাস্টার হিট সিনেমা ‘রংবাজ’- এর মাধ্যমে। বাংলাদেশি সিনেমায় প্রথম এ্যাকশন স্টান্টের শুরু হয় রংবাজের মাধ্যমেই। বাংলাদেশের প্রথম এ্যাকশন ফিল্মে ফাইট ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করছিলেন জসিম।
শোলে’র পপুলারিটির উত্তাপ ছড়ায়ে পড়ছিল বাংলাদেশেও। দেওয়ান নজরুল পরিচালিত, ওয়াশিম-শাবানা অভিনিত, শোলের রিমেইক ‘দোস্ত দুশমন’ এ ভিলেনের চরিত্রে অভিনয় কইরা আরেকবার আলোচনায় আসেন জসিম। এই সিনেমায় তার অভিনয় এতই আলোচিত হইছিল যে শোলে’র ‘গাব্বার’-খ্যাত আমজাদ খানেরও নজর কাড়ছিলেন জসিম। নায়কের চরিত্রে প্রথমবারের মতো কাজ করেন সবুজ সাথী সিনেমায়। আর মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত দাপটের সাথে ঢালিউডে কাজ কইরা যান।
সত্তর বা আশির দশকে বেশিরভাগ নায়কই ছিলেন সোকল্ড রোমান্টিক ইমেজের চকলেট হিরো। তখন জসিম তার বলিষ্ঠ, রাগী ও পুরুষালি চেহারা দিয়ে দর্শকদের সামনে নতুন এক আবেদন তৈরি করেন। এই মাচো ইমেজ তারে এ্যাকশন হিরো হিসেবে পপুলারিটি দেয়। আরেকটা দিক জসিমরে ঢাকাই সিনেমায় ইউনিক কইরা তুলছিল: এ্যাকশন দৃশ্যে তার দুর্দান্ত পারদর্শিতা। জসিম দক্ষ ফাইট ডিরেক্টর ছিলেন। ফ্যাটালিটি গ্রুপ নামে তার একটা ফাইটিং গ্রুপও ছিল। ফলে সিনেমায় তার একশন দৃশ্যগুলো অনেক বেশি বাস্তবধর্মী ও শক্তিশালী মনে হইতো।
জসিমের চরিত্রগুলো বেশিরভাগ সময়ই হইতো সমাজের বঞ্চিত, নিপীড়িত কিন্তু অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী সাধারণ মানুষের প্রতিচ্ছবি। ট্রাক ড্রাইভার, লেবার কিংবা মেহনতি মানুষের ভূমিকায় তিনি পর্দায় হাজির হইতেন। পর্দায় তার চরিত্রগুলিতে দর্শকরা নিজেদের দেখতে পাইতে। সিনেমায় অন্যায়ের বিরুদ্ধে তার প্রতিবাদরে নিজেদের বিজয় হিসেবে মনে করতো।
আশির দশক ছিল সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে এক অস্থিরতার দশক। সেই সময়ের দর্শকরা পর্দায় এমন একজনরে খুঁজতেছিলো যে সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে এবং তার সিনেমা ন্যায় প্রতিষ্ঠার বার্তা দেবে। জসিম সেইসময় সিঙ্গেল হ্যান্ডেডলি যুগের চাহিদা পূরণ করে গেছেন।
বাংলা সিনেমায় জসিমের উত্থান ছিলো এক গ্রাউন্ডব্রেকিং ইন্সিডেন্ট! নায়ক নিয়ে সমাজপ্রচলিত ধারণাকে জসিম চুরমার কইরা দিছিলেন। জসিম প্রমাণ করছিলেন নায়ক হইতে খালি সুন্দর চেহারা বা রোমান্টিক ইমেজ ইনাফ না। জসিম এক হাতে অ্যাকশন সিনেমারে সফল একটা জনরা হিসেবে এস্টাব্লিশ করেন। তার সিনেমাগুলো ব্লকবাস্টার হিট হইতে শুরু করলে, এইটা ধীরে ধীরে পরিচালক ও প্রযোজকদের এ্যাকশন সিনেমা নির্মানে উৎসাহিত করে। ধীরে ধীরে বাংলাদেশে এ্যাকশন সিনেমার ধারা শুরু হয়।
তারে বলা হয় বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সিনেমার প্রথম ফার্স্ট অ্যাকশন হিরো। তিনিই অ্যাকশনরে সিনেমার প্রধান আকর্ষণ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। পরে রুবেল, মান্না, আলেকজান্ডার বো’র অ্যাকশন হিরোদের আগমন ঘটে। তার হাত ধরেই ঢাকাই চলচ্চিত্রে ‘প্রতিবাদী নায়ক’ এর একটা ধারা তৈরি হয়, যেইখানে নায়ক প্রচলিত ব্যবস্থার বিরুদ্ধে একা লড়াই করে। এই ফর্মুলাটা পরে বহু বছর ধরে বাংলা সিনেমায় ব্যবহৃত হইছে। জসিমের বেশিরভাগ সিনেমা বক্স অফিসে সফল হইছিল। সিনেমা শিল্পরে বাণিজ্যিকভাবে শক্তিশালী করে তুলতে স্বীকার করা লাগবেই।
কিউরিয়াস কেইস হইতেছে ৭০, ৮০ বা ৯০ -এর দশকের এ্যাকশন সুপারস্টার জসিমরে এই সময়ের ইন্টারনেট প্রজন্ম আর অ্যাকশন হিরো হিসেবে দেখে না। জসিমের সিনেমা তারা দেখে কমেডি হিসেবে, ভিডিওর প্লেব্যাক স্পিড বাড়ায়ে দেখে। জসিম তাদের কাছে মূলত মিম ম্যাটেরিয়াল। ওয়াইল্ড ওয়েস্টের গোল্ড রাশের সাথে তুলনীয়, জসিমের সিনেমা তাদের কাছে যেন অনাবিষ্কৃত মিম টেমপ্লেটের খনি। জীবদ্দশায় এ্যাকশন হিরো হিসেবে সেলেব্রেটেড হওয়া একজন এ্যাকশন হিরো, মরণের পরে কমেডিয়ান হিসেবে উদযাপিত হওয়াটা সম্ভবত বিশ্ব সিনেমার ইতিহাসেই অভূতপূর্ব ঘটনা। আরও চমকপ্রদ ঘটনা হইতেছে, জসিমের কমেডি আনইন্টেশনাল। দিলদার, টেলি সামাদ, হারুন কিসিঞ্জার, আফজাল শরীফ কিংবা কালা আজিজদের মতো জোকার বা কমিক চরিত্র হিসেবে কোনো চরিত্রে অভিনয় না কইরাই, এইসব জোকার চরিত্রদের পিছে ফালায়ে দিছেন জসিম।
সিনেমা ও পপুলার কালচারের ইতিহাসে অভূতপূর্ব এই ঘটনারে আমরা ক্যামনে দেখবো? ক্যামনে ব্যাখ্যা করব?
‘এইচডিতে দেখবো’ বলাটা ইন্টারনেট ক্লিশে, তাই বলতেছি না। ব্যাখ্যা করতেও যাবো না। কেবল এইটা বলবো যে, সিনেমা ও পপুলার কালচারের একটা oops ফেনোমেনা জসিম। বইলা হয়তো আরও কয়েকটা oops মিম বানাবো।
বাংলা সিনেমা নিজেই হইতেছে মিমের খনি। যদি প্রশ্ন করি যে কোন নায়ক সবচেয়ে বেশি মিমের জন্ম দিছেন? উত্তর কী হবে?
বাপ্পারাজ, জসিম বা চঞ্চল চৌধুরীর মধ্যে মেবি ১০০/১০০ ফাইট হবে । আরও কেউ কেউ হয়তো প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আসবে। তবে ফার্স্ট কে হবে বলা কঠিন।
কিন্তু একটা বিষয়ে নায়ক জসিমের ধারে কাছে কেউ ঘেষতে পারবে না: লটারি জেতায়। বাংলা সিনেমায় সবচাইতে বেশি লটারি জেতা নায়ক জসিম।
এখনকার ইন্টারনেট প্রজন্ম জসিমরে চেনে মূলত oops-মিমের মাধ্যমে। এই প্রজন্মের কাছে জসিম কমেডির অফুরন্ত উৎস। জসিমের লাগাতার লটারি জেতা, কথা বলার ইউনিক স্টাইল আর হেয়ারস্টাইল, অঙ্গভঙ্গি, ঝিলিমিলি কস্টিউম আর ডিস্কো ডান্স– সবই এই প্রজন্মরে হাস্যরস সাপ্লাই দেয়। কিউরিয়াস কেইস হইতেছে, জসিম মোটেই কমেডিয়ান ছিলেন না!
জসিম তাহলে কী ছিলেন?
আসেন, জানার চেষ্টা নিই।
জ্যাক নিকলসন থেকে অমিতাভ বচ্চন - ভিলেন থেকে হিরো হইয়া উঠা নায়কদের নিয়া দুনিয়ায় আছে অন্য লেভেলের ক্রেজ! আমাদের বাংলাদেশেও তেমন একজন নায়ক ছিলেন। ঢাকাই সিনেমায় আসছিলেন ভিলেন হিসাবে, পরবর্তীকালে হয়ে ওঠেন বাংলা সিনেমার অন্যতম জনপ্রিয় এ্যাকশন হিরো। নাম তার আবুল খায়ের জসিম উদ্দিন, নায়ক জসিম নামে বেশি পরিচিত।
১৯৭২ সালে তার অভিনয় জীবনের শুরু, ‘দেবর’ সিনেমায়। ক্যারিয়ারে প্রথম ব্রেক থ্রু পান এক বছরের মাথায়, রাজ্জাক-কবরী অভিনিত ব্লকবাস্টার হিট সিনেমা ‘রংবাজ’- এর মাধ্যমে। বাংলাদেশি সিনেমায় প্রথম এ্যাকশন স্টান্টের শুরু হয় রংবাজের মাধ্যমেই। বাংলাদেশের প্রথম এ্যাকশন ফিল্মে ফাইট ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করছিলেন জসিম।
শোলে’র পপুলারিটির উত্তাপ ছড়ায়ে পড়ছিল বাংলাদেশেও। দেওয়ান নজরুল পরিচালিত, ওয়াশিম-শাবানা অভিনিত, শোলের রিমেইক ‘দোস্ত দুশমন’ এ ভিলেনের চরিত্রে অভিনয় কইরা আরেকবার আলোচনায় আসেন জসিম। এই সিনেমায় তার অভিনয় এতই আলোচিত হইছিল যে শোলে’র ‘গাব্বার’-খ্যাত আমজাদ খানেরও নজর কাড়ছিলেন জসিম। নায়কের চরিত্রে প্রথমবারের মতো কাজ করেন সবুজ সাথী সিনেমায়। আর মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত দাপটের সাথে ঢালিউডে কাজ কইরা যান।
সত্তর বা আশির দশকে বেশিরভাগ নায়কই ছিলেন সোকল্ড রোমান্টিক ইমেজের চকলেট হিরো। তখন জসিম তার বলিষ্ঠ, রাগী ও পুরুষালি চেহারা দিয়ে দর্শকদের সামনে নতুন এক আবেদন তৈরি করেন। এই মাচো ইমেজ তারে এ্যাকশন হিরো হিসেবে পপুলারিটি দেয়। আরেকটা দিক জসিমরে ঢাকাই সিনেমায় ইউনিক কইরা তুলছিল: এ্যাকশন দৃশ্যে তার দুর্দান্ত পারদর্শিতা। জসিম দক্ষ ফাইট ডিরেক্টর ছিলেন। ফ্যাটালিটি গ্রুপ নামে তার একটা ফাইটিং গ্রুপও ছিল। ফলে সিনেমায় তার একশন দৃশ্যগুলো অনেক বেশি বাস্তবধর্মী ও শক্তিশালী মনে হইতো।
জসিমের চরিত্রগুলো বেশিরভাগ সময়ই হইতো সমাজের বঞ্চিত, নিপীড়িত কিন্তু অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী সাধারণ মানুষের প্রতিচ্ছবি। ট্রাক ড্রাইভার, লেবার কিংবা মেহনতি মানুষের ভূমিকায় তিনি পর্দায় হাজির হইতেন। পর্দায় তার চরিত্রগুলিতে দর্শকরা নিজেদের দেখতে পাইতে। সিনেমায় অন্যায়ের বিরুদ্ধে তার প্রতিবাদরে নিজেদের বিজয় হিসেবে মনে করতো।
আশির দশক ছিল সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে এক অস্থিরতার দশক। সেই সময়ের দর্শকরা পর্দায় এমন একজনরে খুঁজতেছিলো যে সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে এবং তার সিনেমা ন্যায় প্রতিষ্ঠার বার্তা দেবে। জসিম সেইসময় সিঙ্গেল হ্যান্ডেডলি যুগের চাহিদা পূরণ করে গেছেন।
বাংলা সিনেমায় জসিমের উত্থান ছিলো এক গ্রাউন্ডব্রেকিং ইন্সিডেন্ট! নায়ক নিয়ে সমাজপ্রচলিত ধারণাকে জসিম চুরমার কইরা দিছিলেন। জসিম প্রমাণ করছিলেন নায়ক হইতে খালি সুন্দর চেহারা বা রোমান্টিক ইমেজ ইনাফ না। জসিম এক হাতে অ্যাকশন সিনেমারে সফল একটা জনরা হিসেবে এস্টাব্লিশ করেন। তার সিনেমাগুলো ব্লকবাস্টার হিট হইতে শুরু করলে, এইটা ধীরে ধীরে পরিচালক ও প্রযোজকদের এ্যাকশন সিনেমা নির্মানে উৎসাহিত করে। ধীরে ধীরে বাংলাদেশে এ্যাকশন সিনেমার ধারা শুরু হয়।
তারে বলা হয় বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সিনেমার প্রথম ফার্স্ট অ্যাকশন হিরো। তিনিই অ্যাকশনরে সিনেমার প্রধান আকর্ষণ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। পরে রুবেল, মান্না, আলেকজান্ডার বো’র অ্যাকশন হিরোদের আগমন ঘটে। তার হাত ধরেই ঢাকাই চলচ্চিত্রে ‘প্রতিবাদী নায়ক’ এর একটা ধারা তৈরি হয়, যেইখানে নায়ক প্রচলিত ব্যবস্থার বিরুদ্ধে একা লড়াই করে। এই ফর্মুলাটা পরে বহু বছর ধরে বাংলা সিনেমায় ব্যবহৃত হইছে। জসিমের বেশিরভাগ সিনেমা বক্স অফিসে সফল হইছিল। সিনেমা শিল্পরে বাণিজ্যিকভাবে শক্তিশালী করে তুলতে স্বীকার করা লাগবেই।
কিউরিয়াস কেইস হইতেছে ৭০, ৮০ বা ৯০ -এর দশকের এ্যাকশন সুপারস্টার জসিমরে এই সময়ের ইন্টারনেট প্রজন্ম আর অ্যাকশন হিরো হিসেবে দেখে না। জসিমের সিনেমা তারা দেখে কমেডি হিসেবে, ভিডিওর প্লেব্যাক স্পিড বাড়ায়ে দেখে। জসিম তাদের কাছে মূলত মিম ম্যাটেরিয়াল। ওয়াইল্ড ওয়েস্টের গোল্ড রাশের সাথে তুলনীয়, জসিমের সিনেমা তাদের কাছে যেন অনাবিষ্কৃত মিম টেমপ্লেটের খনি। জীবদ্দশায় এ্যাকশন হিরো হিসেবে সেলেব্রেটেড হওয়া একজন এ্যাকশন হিরো, মরণের পরে কমেডিয়ান হিসেবে উদযাপিত হওয়াটা সম্ভবত বিশ্ব সিনেমার ইতিহাসেই অভূতপূর্ব ঘটনা। আরও চমকপ্রদ ঘটনা হইতেছে, জসিমের কমেডি আনইন্টেশনাল। দিলদার, টেলি সামাদ, হারুন কিসিঞ্জার, আফজাল শরীফ কিংবা কালা আজিজদের মতো জোকার বা কমিক চরিত্র হিসেবে কোনো চরিত্রে অভিনয় না কইরাই, এইসব জোকার চরিত্রদের পিছে ফালায়ে দিছেন জসিম।
সিনেমা ও পপুলার কালচারের ইতিহাসে অভূতপূর্ব এই ঘটনারে আমরা ক্যামনে দেখবো? ক্যামনে ব্যাখ্যা করব?
‘এইচডিতে দেখবো’ বলাটা ইন্টারনেট ক্লিশে, তাই বলতেছি না। ব্যাখ্যা করতেও যাবো না। কেবল এইটা বলবো যে, সিনেমা ও পপুলার কালচারের একটা oops ফেনোমেনা জসিম। বইলা হয়তো আরও কয়েকটা oops মিম বানাবো।
এতকাল জানতাম জগতের তিনভাগ জল আর একভাগ স্থল। কমোডে বসে ফেসবুক স্ক্রোল করে নতুন জ্ঞানপ্রাপ্তি ঘটল। জানলাম এর মধ্যে জল-স্থলের বাইরে আছে শাহবাগী, জামাতি, এমনকি শাপলাবাগীও। খুঁজেপেতে দেখলাম কোথাও দেওয়ানবাগী কেউ আছেন কি না!
২ দিন আগেহুমায়ূন আহমেদ যখন লেখালেখি করেছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ছিল না সে যুগে; কিন্তু ব্যক্তিগত জীবন থেকে নির্মিত কন্টেন্ট পাঠকদের সার্ভ করতে তিনি সিদ্ধহস্ত ছিলেন। তিনি কি আত্মজীবনীমূলক লেখার মাধ্যমে এই কাজগুলো করতেন?
৩ দিন আগেজম্বিরা শেয়ার বাজারের ‘ভ্যালু স্টক’। জম্বিরা কথা বলে না, শরীর থেকে রস চুঁইয়ে পড়ে আর মগজটাও অকেজো। কিন্তু ওরা এমন এক বস্তু, যার বাজারদর কখনো কমে না। এর যেন কোনো সীমা-পরিসীমা নেই।
৬ দিন আগেতাহসানের প্রথম সলো অ্যালবাম ‘কথোপকথন’। জি সিরিজের ব্যানারে রিলিজ হয় ২০০৪ সালে। অর্থাৎ একুশ বছর আগে। হালচালে এসে যখন তিনি গান ছাড়ার ঘোষণা দেন; তখন জানান, এ বয়সে এসে ‘দূরে তুমি দাঁড়িয়ে’ আর গাইতে চান না।
৯ দিন আগে