leadT1ad

জুলাই গণহত্যা মামলায় হাসিনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ, যুক্তিতর্ক ১২ অক্টোবর

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় গণহত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলায় প্রসিকিউশনের সর্বশেষ ও ৫৪তম সাক্ষী তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীরকে আসামিপক্ষের জেরা শেষ হয়েছে।

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা
প্রকাশ : ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ২৩: ১৯
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার বিচারিক কার্যক্রম চলছে। ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় গণহত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলায় প্রসিকিউশনের সর্বশেষ ও ৫৪তম সাক্ষী তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীরকে আসামিপক্ষের জেরা শেষ হয়েছে। মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্যে আগামী রোববার (১২ অক্টোবর) দিন ধার্য হয়েছে।

বুধবার (৮ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আদেশ দেয়।

আদালতে আসামি হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামালের পক্ষে রাষ্ট্রীয় খরচে নিযুক্ত আইনজীবী মো. আমীর হোসেন মামলার সর্বশেষ সাক্ষীর জেরা করেন। এরপর যুক্তিতর্কের জন্যে দিন ঠিক করো হয়। প্রসিকিউশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর মো. মিজানুল ইসলাম, প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম, প্রসিকিউটর আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।

এ মামলায় তদন্ত কর্মকর্তাকে মোট চার দিন জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী। এর আগে তদন্ত কর্মকর্তা এই মামলায় জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন তিনি। তিনি জানান, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে গণআন্দোলন চলাকালীন ৪১টি জেলার ৪৩৮টি স্থানে হত্যাকাণ্ড ও ৫০টিরও বেশি জেলায় মারণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। এই মামলায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন আসামি হলেও পরে রাজসাক্ষী হিসেবে প্রসিকিউশনের পক্ষে জবানবন্দি দিয়েছেন।

আনুষ্ঠানিক অভিযোগে প্রসিকিউশন বলেছে, ২০২৪-এর জুলাই বিপ্লব চলাকালে আসামি শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল, আইজিপি মামুন, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দ ও আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ তাদের অঙ্গ-সংগঠন ও ১৪ দলীয় জোটের নেতারা এবং তৎকালীন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যক্তিগতভাবে ও দলগতভাবে দেশব্যাপী নিরস্ত্র মানুষের ওপর হামলা করেছে। এর মাধ্যমে যে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, তা দেশি-বিদেশি পত্রপত্রিকা ও গণমাধ্যমসহ ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছে এবং হচ্ছে—যা বাংলাদেশের জনগণসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সর্বজনবিদিত। এসব অপরাধ জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার অনুসন্ধানে প্রমাণিত। এ অপরাধগুলো ‘কমন নলেজ জুডিশিয়াল নোটিশ’ হিসেবে গ্রহণ করার এখতিয়ার ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইব্যুনালস) অ্যাক্টের অধীনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রয়েছে।

Ad 300x250

সম্পর্কিত