leadT1ad

জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধের দাবি হেফাজতের

হেফাজতের মহাসচিব ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, চব্বিশের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার পক্ষে ইতিবাচক ভূমিকা রাখায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রশংসিত। কিন্তু শুক্রবার পুলিশের সাথে মিলে একজন সুপরিচিত ছাত্রনেতার ওপর হামলার কারণে সেনাবাহিনীর ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে, যা একদমই অপ্রত্যাশিত। সেনাবাহিনীর ভেতরে থেকে যারা আধিপত্যবাদের ইন্ধনে প্রতিষ্ঠানটিকে ফ্যাসিস্ট আমলের মতো বিতর্কিত করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।

স্ট্রিম প্রতিবেদকঢাকা
প্রকাশ : ৩১ আগস্ট ২০২৫, ১১: ৩৭
হেফাজতে ইসলামের লোগো। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় পার্টিকে ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদের চিহ্নিত এজেন্ট’ বলে মন্তব্য করেছে হেফাজতে ইসলাম। বিচারিক প্রক্রিয়ায় জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করতে সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছে তারা।

আজ শনিবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে হেফাজতের পক্ষে মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনাইদ আল হাবিব সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে এই দাবি করেছেন।

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর পুলিশ ও সেনাসদস্যদের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের যুগ্মমহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী।

বিবৃতিতে মাওলানা সাজেদুর রহমান ও মাওলানা জুনাইদ আল হাবিব বলেন, ‘আমরা গণঅধিকার পরিষদের নেতা নুরুল হক নুরের ওপর আওয়ামী দোসর জাপার সন্ত্রাসী এবং পুলিশ ও সেনাবাহিনীর কিছু উচ্ছৃঙ্খল ফ্যাসিস্টপন্থী সদস্যের ন্যক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক কঠোর পদক্ষেপ নিতে সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি। একইসঙ্গে ভারতীয় আধিপত্যবাদের চিহ্নিত এজেন্ট জাতীয় পার্টিকেও বিচারিক প্রক্রিয়ায় নিষিদ্ধ করতে সরকারের কাছে জোর দাবি জানাই। জাতীয় পার্টিকে ঘিরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ পুনর্বাসনের অপচেষ্টা সফল হতে দেওয়া হবে না ইনশাআল্লাহ।’

তারা আরো বলেন, ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের সরকার যেসব প্রতিশ্রুতি নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে, তার কিছুই এখনো বাস্তবায়ন করতে পারেনি। সবেচেয়ে জরুরি পুলিশবাহিনীর কোনো দৃশ্যমান সংস্কারও হয়নি। এখনো আগের মতো ক্ষমতাসীনদের লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে যা ইউনূস সরকারের জন্য চরম লজ্জার বলে আমরা মনে করি।

হেফাজতের মহাসচিব ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, চব্বিশের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার পক্ষে ইতিবাচক ভূমিকা রাখায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রশংসিত। কিন্তু গতকাল (শুক্রবার) পুলিশের সাথে মিলে একজন সুপরিচিত ছাত্রনেতার ওপর হামলার কারণে সেনাবাহিনীর ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে, যা একদমই অপ্রত্যাশিত। সেনাবাহিনীর ভেতরে থেকে যারা আধিপত্যবাদের ইন্ধনে প্রতিষ্ঠানটিকে ফ্যাসিস্ট আমলের মতো বিতর্কিত করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা চাই সেনাবাহিনী জনগণের গর্ব ও আস্থার জায়গাটি পুনরুদ্ধার করুক। পুলিশের পর্যায়ে নামিয়ে এনে প্রতিষ্ঠানটিকে আবারও বিতর্কিত হতে দেওয়া কোনোভাবেই উচিত হবে না।

তারা আরো বলেন, ছাত্র-জনতা আজ বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়ায় সেটির সুযোগ নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদের দোসররা। গণঅভ্যুত্থানের নেতাদের অস্তিত্ব বিনাশ করতে চতুর্মুখী চক্রান্ত চলমান। সব চক্রান্ত ব্যর্থ করতে ছাত্র-জনতাকে গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করে আবারও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আজকে যারা ছাত্র-জনতার গণপ্রতিরোধকে ‘মব’ বলে বিতর্কিত করতে চায়, তারাই আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসনে উঠেপড়ে লেগেছে। তাদের সফল হতে দেওয়া হবে না ইনশাআল্লাহ। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ভ্যানগার্ড আলেম-সমাজ, মাদরাসাছাত্র ও তৌহিদি জনতা এখনো ফ্যাসিবাদবিরোধী বিপ্লবের চেতনায় জাগ্রত আছেন। তাদের প্রতিহত করা হবে।

Ad 300x250

সম্পর্কিত