leadT1ad

মাইলস্টোনে না পড়ে বিমানটা সচিবালয়ে পড়া উচিত ছিল: হাসনাত আবদুল্লাহ

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

প্রকাশ : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ২১: ৩৩
পিএসসির সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। সংগৃহীত ছবি

রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন কলেজে বিমান দুর্ঘটনার কথা উল্লেখ করে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, কলেজে বিমান না পড়ে সেই বিমান সচিবালয়ে পড়া উচিত ছিল। জনপ্রশাসনে অনিয়ম ও দুর্নীতির সমালোচনা করে এমন মন্তব্য করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির এই নেতা।

আজ রোববার বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনে (পিএসসি) বিসিএস পরীক্ষার অগ্রগতি বিষয়ে এক আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের সামনে এসব কথা বলেন হাসনাত। বেলা ১১টায় চলমান বিসিএস পরীক্ষাগুলোর অগ্রগতি এবং ২৩-এর ননক্যাডার বিধি বিষয়ক আলোচনায় অংশ নিতে করতে পিএসসিতে এনসিপির তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল যায়। দলে এনসিপি’র দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন ও যুগ্ম সদস্য সচিব মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া। এ সময় এনসিপির পক্ষ থেকে পিএসসিকে ১৫ দফার একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।

হাসনাত আব্দুল্লাহ আরও বলেন, ‘জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনিয়ম ও প্রভাব বন্ধ না হলে চাকরিপ্রার্থীরা কখনোই লাল ফিতার জটিলতা থেকে মুক্তি পাবে না। সচিবালয় এখন স্বৈরতন্ত্র ও দুর্নীতির আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে। সাধারণ মানুষ সেখানে কোনো গুরুত্বই পায় না।’

হাসনাত আরও বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান শুরু হয়েছিল বিসিএসে বৈষম্য রোধের দাবিতে, কিন্তু আজও পিএসসির কার্যক্রমে সমন্বয়হীনতা রয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এখনো পদ-পদবি নিয়েই ব্যস্ত। চাকরিপ্রার্থীরা তাদের অগ্রাধিকার তালিকায় নেই। এই অদক্ষতা ও উদাসীনতার কারণেই তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে।’

হাসনাত অভিযোগ করে বলেন, ‘অভ্যুত্থানের পর সবচেয়ে বেশি সুবিধা নিয়েছে আমলারা। তাঁরা নিজেদের পদোন্নতি নিশ্চিত করেছে, কিন্তু সাধারণ চাকরিপ্রার্থীদের ভোগান্তি কমেনি।’

পিএসসির সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিসিএস এক বছরের মধ্যে সম্পন্ন করার সুপারিশ করা হয়েছে। কিন্তু চাকরিবিধি সংশোধনের ক্ষমতা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের হাতে। তারা যদি অনিয়ম বন্ধ করতে না পারে, তাহলে চাকরিপ্রার্থীরা দুর্নীতির শৃঙ্খল থেকে মুক্তি পাবে না।’

সচিবালয়ের আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, চিন্তা করেন কী পরিমাণ সনাতনী চিন্তা ভাবনা, মধ্যযুগীয় চিন্তা ভাবনা- ২০১ নম্বর রুম থেকে ২০২ নম্বর রুমে তারা চিঠি পাঠায়। এই চিঠিটা প্রথমে জিপিওতে যায়, ২০১ থেকে ২০২ নম্বরে একটা রিক্যুইজিশন দেয়।

উদাহরণ দিয়ে হাসনাত বলেন, ‘ধরেন ময়লার ঝুড়ি কিনবে, তখন একটা চিঠি পাঠাবে। এটা যাবে জিপিওতে, জিপিওতে আসবে ২০২ নম্বর রুমে। সেখানে অ্যাপ্রুভ হবে। ২০২ নম্বর রুম এটা আবার জিপিওতে পাঠাবে। জিপিও আবার ২০১ নম্বরে পাঠাবে। অথচ তাদের সঙ্গে তাদের চা খেতে দেখা হচ্ছে, মন্ত্রণালয়ে বাদাম, ফল খেতেও দেখা হচ্ছে, নিয়মিত দেখা হচ্ছে, সামাজিক অনুষ্ঠানে দেখা হচ্ছে, একসঙ্গে ব্যবসাপাতি করছে, একসঙ্গে পারসেন্ট ভাগাভাগিও করছে।’

Ad 300x250

সম্পর্কিত