বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমতল মাঠ তৈরি না করে অসমতল মাঠে ডাকসু (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ) নির্বাচন আয়োজন করে সাধারণ ছাত্রদের প্রতারিত করেছেন উপাচার্য।
স্ট্রিম প্রতিবেদক
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমতল মাঠ তৈরি না করে অসমতল মাঠে ডাকসু (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ) নির্বাচন আয়োজন করে সাধারণ ছাত্রদের প্রতারিত করেছেন উপাচার্য।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মিরপুরে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক কাজী আসাদুজ্জামানের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে রিজভী এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনাও করা হয়।
রিজভী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো বিশেষ মহল বা রাজনৈতিক সংগঠনের উদ্দেশ্য সাধনের জন্য ডাকসু ও জাকসু নির্বাচন করেছে। যথার্থ প্রক্রিয়ায় নির্বাচন হয়নি। ব্যালট পেপারে কোনো নম্বর ছিল না, সকালে হাতে লিখে সই করে ভোটার বানানো হয়েছে। এসব অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমলে নেয়নি। নীলক্ষেতে ব্যালট পেপার ছাপানো হয়েছে—এমন খবরও সংবাদপত্রে এসেছে। এগুলো ভিসি মহোদয় কীভাবে চাপা দেবেন?’
তিনি আরও বলেন, ‘ড. ইউনূসের এই সময়ে শেখ হাসিনার আমলের অনিয়ম-অনাচার বন্ধ হয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি আসবে—এমন প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু এখনো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে থাকা কিছু মহল স্বচ্ছতাকে বাধাগ্রস্ত করছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের দেখা উচিত ছিল।’
ভবিষ্যৎ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে রিজভী বলেন, ‘এভাবে চলতে থাকলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে। শেখ হাসিনার আমলের মতো কাউকে কাউকে জিতিয়ে দেওয়ার নীলনকশা হলে তা জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক হবে। তবে জনগণ ছেড়ে দেবে না।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন কৌশল ও মিথ্যা প্রচারণার মাধ্যমে বিএনপিকে হেয় করার চেষ্টা চলছে। শেখ হাসিনা প্রতিহিংসার রাজনীতি, দুর্নীতির রাজনীতি, অনৈক্যের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছেন। তার পরিণতি দেশ এখনও ভুগছে।’
কাজী আসাদুজ্জামানকে স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘তিনি সততা ও নির্লোভ নেতৃত্বের মাধ্যমে দলকে সংগঠিত করার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তাঁর পথ অনুসরণ করেই আমরা সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করব, জবাবদিহিমূলক সরকার গঠন করব।’
১৯৭৯ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ছাত্রদল প্রতিষ্ঠা করলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কাজী আসাদুজ্জামান আসাদকে আহ্বায়ক করে প্রথম কমিটি গঠন করা হয়। তিনি বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদকসহ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন এবং সর্বশেষ দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন।
দোয়া মাহফিলে রিজভী কাজী আসাদকে ‘আদর্শবান, নির্লোভ নেতা’ আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘তাঁর মতো মহৎ হয়ে কাজ করলে দল ও সমাজের জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করা সম্ভব।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমতল মাঠ তৈরি না করে অসমতল মাঠে ডাকসু (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ) নির্বাচন আয়োজন করে সাধারণ ছাত্রদের প্রতারিত করেছেন উপাচার্য।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মিরপুরে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক কাজী আসাদুজ্জামানের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে রিজভী এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনাও করা হয়।
রিজভী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো বিশেষ মহল বা রাজনৈতিক সংগঠনের উদ্দেশ্য সাধনের জন্য ডাকসু ও জাকসু নির্বাচন করেছে। যথার্থ প্রক্রিয়ায় নির্বাচন হয়নি। ব্যালট পেপারে কোনো নম্বর ছিল না, সকালে হাতে লিখে সই করে ভোটার বানানো হয়েছে। এসব অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমলে নেয়নি। নীলক্ষেতে ব্যালট পেপার ছাপানো হয়েছে—এমন খবরও সংবাদপত্রে এসেছে। এগুলো ভিসি মহোদয় কীভাবে চাপা দেবেন?’
তিনি আরও বলেন, ‘ড. ইউনূসের এই সময়ে শেখ হাসিনার আমলের অনিয়ম-অনাচার বন্ধ হয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি আসবে—এমন প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু এখনো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে থাকা কিছু মহল স্বচ্ছতাকে বাধাগ্রস্ত করছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের দেখা উচিত ছিল।’
ভবিষ্যৎ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে রিজভী বলেন, ‘এভাবে চলতে থাকলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে। শেখ হাসিনার আমলের মতো কাউকে কাউকে জিতিয়ে দেওয়ার নীলনকশা হলে তা জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক হবে। তবে জনগণ ছেড়ে দেবে না।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন কৌশল ও মিথ্যা প্রচারণার মাধ্যমে বিএনপিকে হেয় করার চেষ্টা চলছে। শেখ হাসিনা প্রতিহিংসার রাজনীতি, দুর্নীতির রাজনীতি, অনৈক্যের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছেন। তার পরিণতি দেশ এখনও ভুগছে।’
কাজী আসাদুজ্জামানকে স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘তিনি সততা ও নির্লোভ নেতৃত্বের মাধ্যমে দলকে সংগঠিত করার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তাঁর পথ অনুসরণ করেই আমরা সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করব, জবাবদিহিমূলক সরকার গঠন করব।’
১৯৭৯ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ছাত্রদল প্রতিষ্ঠা করলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কাজী আসাদুজ্জামান আসাদকে আহ্বায়ক করে প্রথম কমিটি গঠন করা হয়। তিনি বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদকসহ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন এবং সর্বশেষ দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন।
দোয়া মাহফিলে রিজভী কাজী আসাদকে ‘আদর্শবান, নির্লোভ নেতা’ আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘তাঁর মতো মহৎ হয়ে কাজ করলে দল ও সমাজের জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করা সম্ভব।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ওই প্রতিবেদনে ডাকসু নির্বাচনে কারচুপির যে চিত্র উঠে এসেছে, তা খতিয়ে দেখা জরুরি। এই ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও গৌরবময় ঐতিহ্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
২ ঘণ্টা আগেবৃহস্পতিবার একইসঙ্গে ২৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রদলের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এর সবগুলোই নোয়াখালী জেলার। এসব কমিটিকেও ৩০ দিনের মধ্যে কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি নেত্রকোনা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আংশিক কমিটিও এদিন ঘোষণা করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেরাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সাব্বির আহমেদ মনে করেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে এ ধরনের জোট করা বা দল করা খুব স্বাভাবিক। তবে গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপি এই মুহূর্তে একীভূত হবে বলে তাঁর মনে হয় না।
৩ ঘণ্টা আগেগণ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (গকসু) নির্বাচনে বিজয়ী হলেও রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার জেরে সদস্যপদ বাতিলের ঝুঁকিতে পড়েছেন নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক (জিএস) মো. রায়হান খান ও সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) সামিউল হাসান শোভন।
৫ ঘণ্টা আগে