গতকাল বুধবার এসব পোস্টার ছেঁড়া অবস্থায় দেখা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, রসায়ন বিভাগের ভবন ও শহীদ রফিক-জব্বার হলের দ্বিতীয় তলার দেয়ালের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে।
স্ট্রিম সংবাদদাতা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ছাত্রশিবির ও ছাত্রদলের মধ্যকার সংঘর্ষে নিহত হাবিবুর রহমান কবিরের স্মরণে দেয়ালে দেয়ালে সাঁটানো পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। ছাত্রদলের পক্ষ থেকে পোস্টার ছেড়ার এই অভিযোগ দেওয়া হয়েছে ছাত্রশিবিরের দিকে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ও ২৫ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক, প্রশাসনিক ভবন, একাডেমিক ভবন ও আবাসিক হলের দেয়ালে নিহত কবিরের স্মরণে পোস্টার সাঁটানো হয়। গত ২৬ আগস্ট ছিল কবিরের মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রদল নেতারা ‘প্রাক্তন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ফোরাম’ ব্যানারে স্মৃতিচারণামূলক আয়োজনের অংশ হিসেবে ক্যাম্পাসের ভবনগুলোর দেয়ালে পোস্টার সাঁটান।
তবে গতকাল বুধবার এসব পোস্টার ছেঁড়া অবস্থায় দেখা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, রসায়ন বিভাগের ভবন ও শহীদ রফিক-জব্বার হলের দ্বিতীয় তলার দেয়ালের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে।
কবিরের স্মরণে সাঁটানো পোস্টারে তাঁর ছবির সঙ্গে লেখা ছিল— ১৯৮৯ সালে ১৫ আগস্ট রাতে ইসলামী ছাত্রশিবির ছাত্রদল নেতা কবিরের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে আক্রমণ করে। গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজের আইসিইউতে দীর্ঘ ১১ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ২৬ আগস্ট তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ১৬তম ব্যাচের ছাত্র হাবিবুর রহমান কবির শহীদ সালাম-বরকত হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন।
এই ঘটনা যাচাইয়ের পূর্বেই ছাত্রশিবিরকে দায় দেয়াটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। অবিলম্বে সিসিটিভি ফুটেজ চেক করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের শনাক্ত করার জোর দাবি জানাচ্ছি। মাজহারুল ইসলাম, অফিস ও প্রকাশনা সম্পাদক, জাবি ছাত্রশিবির
ছাত্রদলের পক্ষ থেকে পোস্টার ছেঁড়ার ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। শাখা ছাত্রদলের সভাপতি জহির উদ্দিন বাবর ছাত্রশিবিরের দিকেই অভিযোগের ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি স্ট্রিমকে বলেন, ‘এভাবে পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা নিঃসন্দেহে ঘৃণিত কাজ। কবির ভাইয়ের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যে গুপ্ত সংগঠন জড়িত ছিল, তারাই এ কাজ করেছে। কবির ভাইয়ের ছবি দেখলে তাদের শরীরের দাহ শুরু হয়, এ জন্য তারা পোস্টারগুলো ছিঁড়ে ফেলেছে।’
গতকাল বুধবার রাতে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পোস্টার ছেঁড়ার ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। এতে বলা হয়, কিছু কালোশক্তি পোস্টারগুলো ছিঁড়ে ফেলেছে। যা গণতন্ত্র ও মুক্তচিন্তার পরিপন্থী। বিবৃতিতে দুষ্কৃতকারীদের আইনের আওতায় আনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।
পোস্টার ছেঁড়ার ঘটনায় বিবৃতিতে কোনো সংগঠনের দিকে অভিযোগ তোলা না হলেও ছাত্রদল নেতারা অবশ্য ছাত্রশিবিরকেই সন্দেহ করছেন। তাঁরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাজু আহমেদ ফেসবুকে লিখেছেন, 'পোস্টার ছিঁড়ে ছাত্রদল নেতা কবির হত্যার দায় এড়াতে চাইলে সেটি হবে ইসলামী ছাত্র শিবিরের জন্য ভুল। এখনো সময় আছে। ইসলামী ছাত্রশিবিরের উচিত প্রকাশ্যে কবির হত্যার দায় স্বীকার করে রাজনীতি করা। তা না হলে জাহাঙ্গীরনগরের শিক্ষার্থীরা আপনাদের টিস্যু বানিয়ে ডাস্টবিনে নিক্ষেপ করবে।'
এ বিষয়ে ছাত্রশিবিরের জাবি শাখার অফিস ও প্রকাশনা সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম স্ট্রিমকে বলেন, ‘এই ঘটনা যাচাইয়ের পূর্বেই ছাত্রশিবিরকে দায় দেয়াটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। অবিলম্বে সিসিটিভি ফুটেজ চেক করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের শনাক্ত করার জোর দাবি জানাচ্ছি।’
পোস্টার ছেঁড়ার ঘটনায় কোনো অভিযোগ পায়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কেউ আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দিলে তবেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম রাশেদুল ইসলাম।
এ কে এম রাশেদুল ইসলাম স্ট্রিমকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা সব দল ও মতের শিক্ষার্থীদের সহাবস্থান, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সম্প্রীতি বজায় রাখার অনুরোধ করছি।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ছাত্রশিবির ও ছাত্রদলের মধ্যকার সংঘর্ষে নিহত হাবিবুর রহমান কবিরের স্মরণে দেয়ালে দেয়ালে সাঁটানো পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। ছাত্রদলের পক্ষ থেকে পোস্টার ছেড়ার এই অভিযোগ দেওয়া হয়েছে ছাত্রশিবিরের দিকে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ও ২৫ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক, প্রশাসনিক ভবন, একাডেমিক ভবন ও আবাসিক হলের দেয়ালে নিহত কবিরের স্মরণে পোস্টার সাঁটানো হয়। গত ২৬ আগস্ট ছিল কবিরের মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রদল নেতারা ‘প্রাক্তন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ফোরাম’ ব্যানারে স্মৃতিচারণামূলক আয়োজনের অংশ হিসেবে ক্যাম্পাসের ভবনগুলোর দেয়ালে পোস্টার সাঁটান।
তবে গতকাল বুধবার এসব পোস্টার ছেঁড়া অবস্থায় দেখা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, রসায়ন বিভাগের ভবন ও শহীদ রফিক-জব্বার হলের দ্বিতীয় তলার দেয়ালের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে।
কবিরের স্মরণে সাঁটানো পোস্টারে তাঁর ছবির সঙ্গে লেখা ছিল— ১৯৮৯ সালে ১৫ আগস্ট রাতে ইসলামী ছাত্রশিবির ছাত্রদল নেতা কবিরের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে আক্রমণ করে। গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজের আইসিইউতে দীর্ঘ ১১ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ২৬ আগস্ট তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ১৬তম ব্যাচের ছাত্র হাবিবুর রহমান কবির শহীদ সালাম-বরকত হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন।
এই ঘটনা যাচাইয়ের পূর্বেই ছাত্রশিবিরকে দায় দেয়াটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। অবিলম্বে সিসিটিভি ফুটেজ চেক করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের শনাক্ত করার জোর দাবি জানাচ্ছি। মাজহারুল ইসলাম, অফিস ও প্রকাশনা সম্পাদক, জাবি ছাত্রশিবির
ছাত্রদলের পক্ষ থেকে পোস্টার ছেঁড়ার ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। শাখা ছাত্রদলের সভাপতি জহির উদ্দিন বাবর ছাত্রশিবিরের দিকেই অভিযোগের ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি স্ট্রিমকে বলেন, ‘এভাবে পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা নিঃসন্দেহে ঘৃণিত কাজ। কবির ভাইয়ের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যে গুপ্ত সংগঠন জড়িত ছিল, তারাই এ কাজ করেছে। কবির ভাইয়ের ছবি দেখলে তাদের শরীরের দাহ শুরু হয়, এ জন্য তারা পোস্টারগুলো ছিঁড়ে ফেলেছে।’
গতকাল বুধবার রাতে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পোস্টার ছেঁড়ার ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। এতে বলা হয়, কিছু কালোশক্তি পোস্টারগুলো ছিঁড়ে ফেলেছে। যা গণতন্ত্র ও মুক্তচিন্তার পরিপন্থী। বিবৃতিতে দুষ্কৃতকারীদের আইনের আওতায় আনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।
পোস্টার ছেঁড়ার ঘটনায় বিবৃতিতে কোনো সংগঠনের দিকে অভিযোগ তোলা না হলেও ছাত্রদল নেতারা অবশ্য ছাত্রশিবিরকেই সন্দেহ করছেন। তাঁরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাজু আহমেদ ফেসবুকে লিখেছেন, 'পোস্টার ছিঁড়ে ছাত্রদল নেতা কবির হত্যার দায় এড়াতে চাইলে সেটি হবে ইসলামী ছাত্র শিবিরের জন্য ভুল। এখনো সময় আছে। ইসলামী ছাত্রশিবিরের উচিত প্রকাশ্যে কবির হত্যার দায় স্বীকার করে রাজনীতি করা। তা না হলে জাহাঙ্গীরনগরের শিক্ষার্থীরা আপনাদের টিস্যু বানিয়ে ডাস্টবিনে নিক্ষেপ করবে।'
এ বিষয়ে ছাত্রশিবিরের জাবি শাখার অফিস ও প্রকাশনা সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম স্ট্রিমকে বলেন, ‘এই ঘটনা যাচাইয়ের পূর্বেই ছাত্রশিবিরকে দায় দেয়াটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। অবিলম্বে সিসিটিভি ফুটেজ চেক করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের শনাক্ত করার জোর দাবি জানাচ্ছি।’
পোস্টার ছেঁড়ার ঘটনায় কোনো অভিযোগ পায়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কেউ আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দিলে তবেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম রাশেদুল ইসলাম।
এ কে এম রাশেদুল ইসলাম স্ট্রিমকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা সব দল ও মতের শিক্ষার্থীদের সহাবস্থান, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সম্প্রীতি বজায় রাখার অনুরোধ করছি।’
দীর্ঘ ৩৫ বছরের অচলায়তন ভেঙে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেমানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির (এইচআরএসএস) এক পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন অনুসারে, এই সময়ে কমপক্ষে ১ হাজার ৪৭টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনায় অন্তত ১৬০ জন নিহত এবং ৮ হাজার ৫০ জন আহত হয়েছেন।
১৫ ঘণ্টা আগেসিরাজগঞ্জ থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পড়াশোনা করতে এসে মৌলভী বুধপাড়াতেই থিতু হয়েছেন আবদুল ওহাব সোহেল। এ এলাকাতেই বিয়ে করেছেন। তিনি ছিলেন রাবি শিবিরের সেক্রেটারিয়েট মেম্বার। পরবর্তীতে জামায়াতে ইসলামীর মতিহার থানার আমির হয়েছিলেন।
১৮ ঘণ্টা আগেনির্বাচন কমিশনারদের একজন একটি রাজনৈতিক দলের মতো করে কথা বলছেন বলে অভিযোগ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান।
১৮ ঘণ্টা আগে