leadT1ad

আওয়ামী লীগের ইতিহাস ভোট ডাকাতি ও বাকশালের ইতিহাস: সালাহউদ্দিন

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

প্রকাশ : ১২ নভেম্বর ২০২৫, ১৮: ৪০
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। সংগৃহীত ছবি

আওয়ামী লীগের ইতিহাস ‘৭৩-এর ভোট ডাকাতির ইতিহাস, ‘৭৪-এর দুর্ভিক্ষের ইতিহাস, ’৭৫-এর বাকশালের ইতিহাস বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।

আজ বুধবার রাজধানীর বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে মহান বিপ্লব ও সংহতি দিবসের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সভাপতিত্ব করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর।

এ সময় সালাউদ্দিন আরও বলেন, ‘১৯৭১ সালের ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের অরক্ষিত স্বাধীনতাকে রক্ষা করে, সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করে অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখার কৃতিত্ব জিয়াউর রহমানের। সেদিন বাংলাদেশের প্রকৃত সংস্কারের শুরু। ১৯৭৯ সালে পঞ্চম সংশোধনীর মধ্য দিয়ে বাকশাল বিলুপ্ত করে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তন করা হয়, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা আনা হয়, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল স্থাপন করা হয়। সেটি আজ পর্যন্ত বহাল আছে।’

তিন আরও বলেন, ‘মাঝখানে ১৬তম সংশোধনীর মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা সেই সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল বিলুপ্ত করে শেষ পর্যন্ত প্রমাণ করেন, তিনি তাঁর পিতার সুযোগ্য উত্তরসূরি। অবশ্য সেটি এখন হাইকোর্ট অসংবিধানিক ঘোষণা করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ১৯৮২ সালের পরে ১৯৯০ পর্যন্ত বাংলাদেশের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সফল পরিণতি লাভ করে বেগম খালেদা জিয়ার মাধ্যমে। সর্বশেষ বাংলাদেশের ফ্যাসিস্ট বিদায়ের যে আন্দোলন, সে আন্দোলনের সফলতা তারেক রহমানের হাত ধরে এসেছে।

আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ইতিহাস ‘৭৩-এর ভোট ডাকাতির ইতিহাস, ‘৭৪-এর দুর্ভিক্ষের ইতিহাস, ’৭৫-এর বাকশালের ইতিহাস। অনেকে বলেন, জিয়াউর রহমানের হত্যাক্যাণ্ডের সঙ্গে আওয়ামীলীগ, শেখ হাসিনা পরোক্ষভাবে জড়িত। ১৯৮৬ সালে এরশাদের সঙ্গে নির্বাচনে যোগ দিয়ে আরেক ইতিহাস তৈরি করলেন। ২০০৭ সালে ফখরুদ্দীন-মইনুদ্দিনের সাথে যোগসাজশে গণতন্ত্রের বারোটা বাজিয়ে দিলেন। তারপরে ষড়যন্ত্রের শুরু, শেষ হতে ২০২৪। বাংলাদেশের যত দুর্ঘটনা হয়েছে, গণতন্ত্রের বিনাশ হয়েছে, সর্বনাশ হয়েছে, তার সব ইতিহাসের সঙ্গে আওয়ামী লীগ জড়িত।’

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশারফ হসেন, ড. মঈন খান, সালাউদ্দিন আহমেদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, ডা. জেড এম জাহিদ হোসেন, মেজর হাফিজ (অব.) প্রমুখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য ড. মামুন আহমেদ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন প্রমুখ।

Ad 300x250

সম্পর্কিত