স্ট্রিম প্রতিবেদক
নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হলে বা কোনো রাজনৈতিক দলকে বাদ দিয়ে নির্বাচন আয়োজন করা হলে সেই নির্বাচনের ফলে গঠিত সরকার বা সংসদ ক্ষণস্থায়ী হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টি (একাংশ)-এর মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার।
আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানে হাওলাদার টাওয়ারে ‘উপজেলা দিবস’ উপলক্ষে জাতীয় পার্টি আয়োজিত এক আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘জাতীয় পার্টি সবসময় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত ছিল এবং নির্বাচনের বাইরে কখনও ছিল না। শুধু একবার ১৫ দিনের একটি সংক্ষিপ্ত নির্বাচন হয়েছিল যেখানে আমরা অংশ নিইনি। কিন্তু এরশাদ সাহেব জেলখানায় বসেও পাঁচটি আসনে প্রার্থী হয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন।’
রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘একটি জনপ্রিয় দল কেন নির্বাচনের বাইরে থাকবে, সেই প্রশ্ন এখন সামনে আসে। নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে কি না, ক্ষমতাসীনরা সকল দলের অংশগ্রহণ চায় কি না—এটাই এখন মূল প্রশ্ন। অতীতে যেমনভাবে কিছু দলকে বাদ দিয়ে নির্বাচন হয়েছে, তেমনি হলে ফলও আগের মতোই হবে। ভবিষ্যতে যদি কোনো দলকে বাদ দেওয়া হয়, তাহলে সেই সরকার বা সংসদ খুব ক্ষণস্থায়ী হবে—এটাই ইতিহাস।’
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘আপনি জীবনের শেষ প্রান্তে এসে অনেক সম্মান অর্জন করেছেন। এখন এমন একটি সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা রেখে যান যাতে আপনার অর্জিত সম্মান আরও উজ্জ্বল হয়। আমরা চাই, নির্বাচন নিয়ে আপনি যেন ছোট বা বিতর্কিত না হন। বয়স হয়েছে, কেউ স্থায়ী নয়—তাই এখন সময় এসেছে সংশোধিত হওয়ার।’
সভায় জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনোভাবেই নির্বাচন হওয়ার মতো পরিবেশ নেই। দেশে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড অনুপস্থিত, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি ঘটেছে। এতটা অবনতি অতীতে কখনো দেখা যায়নি। যারা নির্বাচনে নাম লেখাতে চায়, তাদের বিরুদ্ধেই মামলা বা হয়রানির আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। এমন অবস্থায় অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের আলামত আমরা দেখি না।’
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ‘ড. ইউনূস কোনো বিশেষ দল বা ব্যক্তির কারণে নয়, বরং তরুণ প্রজন্ম ও ছাত্র জনতার রক্তের বিনিময়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেছেন। তাই তাঁর দায়িত্ব হলো একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করা। তবে তার আগে সরকারের মধ্যে থাকা দলীয় উপদেষ্টা ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বদল করতে হবে। দলনিরপেক্ষ প্রশাসন ছাড়া গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়।’
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ আরও জানান, ‘আজ সকালে আইআরআই প্রতিনিধিরা জানতে চেয়েছিলেন জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নেবে কি না। আমি বলেছি, আমরা নির্বাচন করতে চাই, কিন্তু মিথ্যা মামলায় আমাদের হাত-পা বেঁধে রাখা হয়েছে। সভা-সমাবেশের অনুমতি পাওয়া যায় না, প্রচারণা চালানো যায় না। সরকার বলেছিল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা হবে, কিন্তু এখনো তা হয়নি—এ অবস্থায় আমরা কীভাবে নির্বাচনে অংশ নেব?’
অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টির নির্বাহী চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চুন্নু উপজেলা পরিষদের ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, ‘উপজেলা পরিষদ গঠনের মাধ্যমে হোসেন মুহাম্মদ এরশাদ জনগণের সরাসরি প্রশাসনিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছিলেন। তিনি প্রতিটি থানায় একজন ক্লাস ওয়ান কর্মকর্তা নিযুক্ত করেন এবং জনপ্রতিনিধি চেয়ারম্যানকে ওই এলাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সমন্বয়কারীর দায়িত্ব দেন। এমনকি সে সময় উপজেলা চেয়ারম্যান সরকারি কর্মকর্তাদের এসিআর দিতেন।’
মুজিবুল হক চুন্নু আরও বলেন, ‘১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে উপজেলা ব্যবস্থা বাতিল করে জনগণেরই ক্ষতি করেছে। পরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে তা আংশিকভাবে ফিরিয়ে আনে, কিন্তু এরশাদের সময়ের মতো পূর্ণাঙ্গ রূপে নয়। ভবিষ্যতে যে সরকারই আসুক, উপজেলা ও জেলা পরিষদকে আবার পূর্ণাঙ্গ রূপে ফিরিয়ে আনলে সরকার আরও শক্তিশালী হবে।’
নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হলে বা কোনো রাজনৈতিক দলকে বাদ দিয়ে নির্বাচন আয়োজন করা হলে সেই নির্বাচনের ফলে গঠিত সরকার বা সংসদ ক্ষণস্থায়ী হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টি (একাংশ)-এর মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার।
আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানে হাওলাদার টাওয়ারে ‘উপজেলা দিবস’ উপলক্ষে জাতীয় পার্টি আয়োজিত এক আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘জাতীয় পার্টি সবসময় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত ছিল এবং নির্বাচনের বাইরে কখনও ছিল না। শুধু একবার ১৫ দিনের একটি সংক্ষিপ্ত নির্বাচন হয়েছিল যেখানে আমরা অংশ নিইনি। কিন্তু এরশাদ সাহেব জেলখানায় বসেও পাঁচটি আসনে প্রার্থী হয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন।’
রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘একটি জনপ্রিয় দল কেন নির্বাচনের বাইরে থাকবে, সেই প্রশ্ন এখন সামনে আসে। নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে কি না, ক্ষমতাসীনরা সকল দলের অংশগ্রহণ চায় কি না—এটাই এখন মূল প্রশ্ন। অতীতে যেমনভাবে কিছু দলকে বাদ দিয়ে নির্বাচন হয়েছে, তেমনি হলে ফলও আগের মতোই হবে। ভবিষ্যতে যদি কোনো দলকে বাদ দেওয়া হয়, তাহলে সেই সরকার বা সংসদ খুব ক্ষণস্থায়ী হবে—এটাই ইতিহাস।’
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘আপনি জীবনের শেষ প্রান্তে এসে অনেক সম্মান অর্জন করেছেন। এখন এমন একটি সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা রেখে যান যাতে আপনার অর্জিত সম্মান আরও উজ্জ্বল হয়। আমরা চাই, নির্বাচন নিয়ে আপনি যেন ছোট বা বিতর্কিত না হন। বয়স হয়েছে, কেউ স্থায়ী নয়—তাই এখন সময় এসেছে সংশোধিত হওয়ার।’
সভায় জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনোভাবেই নির্বাচন হওয়ার মতো পরিবেশ নেই। দেশে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড অনুপস্থিত, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি ঘটেছে। এতটা অবনতি অতীতে কখনো দেখা যায়নি। যারা নির্বাচনে নাম লেখাতে চায়, তাদের বিরুদ্ধেই মামলা বা হয়রানির আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। এমন অবস্থায় অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের আলামত আমরা দেখি না।’
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ‘ড. ইউনূস কোনো বিশেষ দল বা ব্যক্তির কারণে নয়, বরং তরুণ প্রজন্ম ও ছাত্র জনতার রক্তের বিনিময়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেছেন। তাই তাঁর দায়িত্ব হলো একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করা। তবে তার আগে সরকারের মধ্যে থাকা দলীয় উপদেষ্টা ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বদল করতে হবে। দলনিরপেক্ষ প্রশাসন ছাড়া গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়।’
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ আরও জানান, ‘আজ সকালে আইআরআই প্রতিনিধিরা জানতে চেয়েছিলেন জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নেবে কি না। আমি বলেছি, আমরা নির্বাচন করতে চাই, কিন্তু মিথ্যা মামলায় আমাদের হাত-পা বেঁধে রাখা হয়েছে। সভা-সমাবেশের অনুমতি পাওয়া যায় না, প্রচারণা চালানো যায় না। সরকার বলেছিল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা হবে, কিন্তু এখনো তা হয়নি—এ অবস্থায় আমরা কীভাবে নির্বাচনে অংশ নেব?’
অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টির নির্বাহী চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চুন্নু উপজেলা পরিষদের ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, ‘উপজেলা পরিষদ গঠনের মাধ্যমে হোসেন মুহাম্মদ এরশাদ জনগণের সরাসরি প্রশাসনিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছিলেন। তিনি প্রতিটি থানায় একজন ক্লাস ওয়ান কর্মকর্তা নিযুক্ত করেন এবং জনপ্রতিনিধি চেয়ারম্যানকে ওই এলাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সমন্বয়কারীর দায়িত্ব দেন। এমনকি সে সময় উপজেলা চেয়ারম্যান সরকারি কর্মকর্তাদের এসিআর দিতেন।’
মুজিবুল হক চুন্নু আরও বলেন, ‘১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে উপজেলা ব্যবস্থা বাতিল করে জনগণেরই ক্ষতি করেছে। পরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে তা আংশিকভাবে ফিরিয়ে আনে, কিন্তু এরশাদের সময়ের মতো পূর্ণাঙ্গ রূপে নয়। ভবিষ্যতে যে সরকারই আসুক, উপজেলা ও জেলা পরিষদকে আবার পূর্ণাঙ্গ রূপে ফিরিয়ে আনলে সরকার আরও শক্তিশালী হবে।’
এবি পার্টি ও আপ বাংলাদেশের শীর্ষ নেতারা বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা। এবি পার্টির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মঞ্জু ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ছিলেন। অন্যদিকে, আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ ছিলেন ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি।
১ ঘণ্টা আগে“আমাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে আপনারা নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন। একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে আমরা ইতিমধ্যে নানা পদক্ষেপ নিয়েছি; সামনে আরও অনেক উদ্যোগ আপনারা দেখতে পাবেন,” জামায়াত নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
২ ঘণ্টা আগেনাহিদ ইসলাম বলেন, ‘যারা গণভোটের আগেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আলাপ তুলতে চায় তাদের আচরণ দুরভিসন্ধিমূলক।’
৪ ঘণ্টা আগেইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেছে চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। বৈঠকে নারীর রাজনৈতিক অংশগ্রহণ ও তরুণদের সম্পৃক্ততাসহ ইসলামী আন্দোলনের রাজনৈতিক দর্শন, দলীয় কাঠামো, চলমান কার্যক্রম ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছে দলটি।
৪ ঘণ্টা আগে