গতকাল বুধবার (৬ আগস্ট) কক্সবাজার সফরে যাওয়ার ওই ঘটনায় হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলমসহ পাঁচ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এর জবাবে দলটির মুখ্য সমন্বয়ক একথা বলেন।
স্ট্রিম ডেস্ক
ঘুরতে যাওয়া কোনো অপরাধ নয়। ইতিহাস কেবল মিটিংয়ে নয়, অনেক সময় নির্জন সাগরপাড়েও জন্মায় বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
আজ বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বিকেলে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।
গত ৫ আগস্ট জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি ও ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ প্রকাশের দিন এনসিপির কয়েকজন শীর্ষ নেতা কক্সবাজার সফরে যান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও কিছু গণমাধ্যমে দাবি করা হয়, সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে কক্সবাজারের একটি হোটেলে বৈঠক করতে গেছেন দলটির নেতারা। পরে এ দাবি মিথ্যা প্রমাণিত হলেও, গতকাল বুধবার (৬ আগস্ট) দলের পক্ষ থেকে কক্সবাজার সফরে যাওয়ার ঘটনায় হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলমসহ পাঁচজন নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয় । এর জবাব দিয়েছেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি এটি ফেসবুকে পোস্ট আকারে প্রকাশ করেছেন।
কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাবে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী লিখেছেন, ৫ আগস্ট আমার কোনো পূর্বনির্ধারিত রাষ্ট্রীয় বা সাংগঠনিক কর্মসূচি ছিল না। দল থেকেও আমাকে এ-সংক্রান্ত কোনো দায়িত্ব বা কর্মপরিকল্পনা জানানো হয়নি। ৪ আগস্ট রাতে দলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ তাঁর কোচিং অফিসের সহকর্মীর ফোন থেকে কল করে জানান যে, তিনি (হাসনাত) দুই দিনের জন্য বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে যাচ্ছেন। আমি হাসনাতকে দলের আহ্বায়ককে বিষয়টি অবহিত করতে বলি। হাসনাত জানান যে বিষয়টি জানাবেন এবং তাঁর ফোন চুরি হয়ে যাওয়ায় আমাকেও দলের আহ্বায়ককে জানাতে বলেন।
নাসীরুদ্দীন আরও লিখেছেন, ‘৪ আগস্ট রাতে দলীয় কার্যালয়ে আমি এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের সঙ্গে দেখা করে হাসনাতের ঘুরতে যাওয়ার বিষয়টি জানাই। পরে সদস্যসচিব আখতার হোসেনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে জানতে পারি যে রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে দল থেকে তিনজন প্রতিনিধি যাচ্ছেন ও সেখানে আমার কোনো কাজ নেই। কোনো দায়িত্বে না থাকায় এবং ব্যক্তিগত প্রয়োজন ও মানসিক প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আমি ঘুরতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। সফরসঙ্গী হিসেবে সস্ত্রীক সারজিস আলম ও তাসনিম জারা–খালেদ সাইফুল্লাহ দম্পতি যুক্ত হন।’
এনসিপির এই মুখ্য সমন্বয়ক আরও লিখেছেন, ‘আমি ঘুরতে গিয়েছিলাম। তবে এই ঘোরার লক্ষ্য ছিল, রাজনীতির ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা নিয়ে একান্তে চিন্তা–ভাবনা করা। সাগরের পাড়ে বসে আমি গভীরভাবে ভাবতে চেয়েছি গণ–অভ্যুত্থান, নাগরিক কমিটি, নাগরিক পার্টির কাঠামো, ভবিষ্যৎ গণপরিষদ ও একটি নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধানের রূপরেখা নিয়ে। আমি এটিকে কোনো অপরাধ মনে করি না, বরং একজন রাজনৈতিক কর্মীর জন্য এটি একটি দায়িত্বশীল মানসিক চর্চা।’
নাসীরুদ্দীন আরও লিখেন, ‘কক্সবাজারে আমরা সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে দেখা করতে এসেছি এমন গুজব ছড়িয়ে পড়লে আমি তাৎক্ষণিকভাবে গণমাধ্যমকে জানাই, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার। হোটেল কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করে, সেখানে পিটার হাস নামে কেউ নেই। পরবর্তীতে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, তিনি তখন ওয়াশিংটনে অবস্থান করছিলেন।’
শোকজ নোটিশটি বাস্তবিক নয় উল্লেখ করে নাসীরুদ্দীন লিখেছেন, ‘আমার সফর ছিল স্বচ্ছ ও একান্ত ব্যক্তিগত চিন্তাভাবনার সুযোগ মাত্র। কোনোভাবেই সাংগঠনিক নীতিমালাবিরোধী নয়। তবুও দলীয় শৃঙ্খলার প্রতি শ্রদ্ধা এবং রাজনৈতিক শালীনতা বজায় রেখে, অসভ্য জগতে সভ্যতার এক নিদর্শন হিসেবে আমি এই লিখিত জবাব প্রদান করছি।’
নোটিশের শেষে তিনি বলেন, আমার বক্তব্য স্পষ্ট: ‘ঘুরতে যাওয়া অপরাধ নয়।’ কারণ ইতিহাস কেবল মিটিংয়ে নয়, অনেক সময় নির্জন চিন্তার ঘরে বা সাগরের পাড়েও জন্ম নেয়।
ঘুরতে যাওয়া কোনো অপরাধ নয়। ইতিহাস কেবল মিটিংয়ে নয়, অনেক সময় নির্জন সাগরপাড়েও জন্মায় বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
আজ বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বিকেলে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।
গত ৫ আগস্ট জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি ও ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ প্রকাশের দিন এনসিপির কয়েকজন শীর্ষ নেতা কক্সবাজার সফরে যান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও কিছু গণমাধ্যমে দাবি করা হয়, সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে কক্সবাজারের একটি হোটেলে বৈঠক করতে গেছেন দলটির নেতারা। পরে এ দাবি মিথ্যা প্রমাণিত হলেও, গতকাল বুধবার (৬ আগস্ট) দলের পক্ষ থেকে কক্সবাজার সফরে যাওয়ার ঘটনায় হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলমসহ পাঁচজন নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয় । এর জবাব দিয়েছেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি এটি ফেসবুকে পোস্ট আকারে প্রকাশ করেছেন।
কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাবে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী লিখেছেন, ৫ আগস্ট আমার কোনো পূর্বনির্ধারিত রাষ্ট্রীয় বা সাংগঠনিক কর্মসূচি ছিল না। দল থেকেও আমাকে এ-সংক্রান্ত কোনো দায়িত্ব বা কর্মপরিকল্পনা জানানো হয়নি। ৪ আগস্ট রাতে দলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ তাঁর কোচিং অফিসের সহকর্মীর ফোন থেকে কল করে জানান যে, তিনি (হাসনাত) দুই দিনের জন্য বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে যাচ্ছেন। আমি হাসনাতকে দলের আহ্বায়ককে বিষয়টি অবহিত করতে বলি। হাসনাত জানান যে বিষয়টি জানাবেন এবং তাঁর ফোন চুরি হয়ে যাওয়ায় আমাকেও দলের আহ্বায়ককে জানাতে বলেন।
নাসীরুদ্দীন আরও লিখেছেন, ‘৪ আগস্ট রাতে দলীয় কার্যালয়ে আমি এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের সঙ্গে দেখা করে হাসনাতের ঘুরতে যাওয়ার বিষয়টি জানাই। পরে সদস্যসচিব আখতার হোসেনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে জানতে পারি যে রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে দল থেকে তিনজন প্রতিনিধি যাচ্ছেন ও সেখানে আমার কোনো কাজ নেই। কোনো দায়িত্বে না থাকায় এবং ব্যক্তিগত প্রয়োজন ও মানসিক প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আমি ঘুরতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। সফরসঙ্গী হিসেবে সস্ত্রীক সারজিস আলম ও তাসনিম জারা–খালেদ সাইফুল্লাহ দম্পতি যুক্ত হন।’
এনসিপির এই মুখ্য সমন্বয়ক আরও লিখেছেন, ‘আমি ঘুরতে গিয়েছিলাম। তবে এই ঘোরার লক্ষ্য ছিল, রাজনীতির ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা নিয়ে একান্তে চিন্তা–ভাবনা করা। সাগরের পাড়ে বসে আমি গভীরভাবে ভাবতে চেয়েছি গণ–অভ্যুত্থান, নাগরিক কমিটি, নাগরিক পার্টির কাঠামো, ভবিষ্যৎ গণপরিষদ ও একটি নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধানের রূপরেখা নিয়ে। আমি এটিকে কোনো অপরাধ মনে করি না, বরং একজন রাজনৈতিক কর্মীর জন্য এটি একটি দায়িত্বশীল মানসিক চর্চা।’
নাসীরুদ্দীন আরও লিখেন, ‘কক্সবাজারে আমরা সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে দেখা করতে এসেছি এমন গুজব ছড়িয়ে পড়লে আমি তাৎক্ষণিকভাবে গণমাধ্যমকে জানাই, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার। হোটেল কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করে, সেখানে পিটার হাস নামে কেউ নেই। পরবর্তীতে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, তিনি তখন ওয়াশিংটনে অবস্থান করছিলেন।’
শোকজ নোটিশটি বাস্তবিক নয় উল্লেখ করে নাসীরুদ্দীন লিখেছেন, ‘আমার সফর ছিল স্বচ্ছ ও একান্ত ব্যক্তিগত চিন্তাভাবনার সুযোগ মাত্র। কোনোভাবেই সাংগঠনিক নীতিমালাবিরোধী নয়। তবুও দলীয় শৃঙ্খলার প্রতি শ্রদ্ধা এবং রাজনৈতিক শালীনতা বজায় রেখে, অসভ্য জগতে সভ্যতার এক নিদর্শন হিসেবে আমি এই লিখিত জবাব প্রদান করছি।’
নোটিশের শেষে তিনি বলেন, আমার বক্তব্য স্পষ্ট: ‘ঘুরতে যাওয়া অপরাধ নয়।’ কারণ ইতিহাস কেবল মিটিংয়ে নয়, অনেক সময় নির্জন চিন্তার ঘরে বা সাগরের পাড়েও জন্ম নেয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে গেছে ছাত্রশিবির ও বামপন্থী সংগঠনগুলো। বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোর দাবি ‘একাত্তর প্রশ্ন’ সমাধান না করে ছাত্রশিবিরের রাজনীতি করার বৈধতা নেই। অন্যদিকে শিবির বলছে, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ঐক্যবদ্ধ জনতাকে ‘পাকিস্তানি’, ‘রাজাকার’ ট্যাগ দিয়ে বিভক্ত করতে চাচ্ছে বামপন্থীরা।
১ ঘণ্টা আগেবিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এ বছরই দেশে আসবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ূন কবির
১ ঘণ্টা আগেজুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবসে কক্সবাজার ভ্রমণের কারণে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পাঁচ নেতাকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। এরপর তাঁদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয় দলের পক্ষ থেকে। সেই নোটিশের জবাব দিয়েছেন দলটির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
৩ ঘণ্টা আগে