সংগঠনটির নতুন নাম হতে পারে ‘গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি’। এর বাইরেও আরও কয়েকটি নাম নিয়ে আলোচনা চলছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাগছাসের আদর্শিক ধারা বোঝাতে ব্যর্থ হওয়া, শীর্ষ কয়েক নেতার ব্যর্থতা, দল ছেড়ে দেওয়ার মতো কিছু কারণে সংস্কারের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।
স্ট্রিম প্রতিবেদক
আত্মপ্রকাশের ছয় মাস যেতেই বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) নাম পরিবর্তন হতে যাচ্ছে। সংগঠনটির নতুন নাম হতে পারে ‘গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি’। এর বাইরেও আরও কয়েকটি নাম নিয়ে আলোচনা চলছে। পাশাপাশি সংগঠনের গঠনতন্ত্র, নেতৃত্ব কাঠামো এবং শীর্ষ নেতৃত্বে আসতে যাচ্ছে পরিবর্তন। সংগঠনটির একাধিক শীর্ষস্থানীয় নেতা স্ট্রিমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র নেতাদের একটি অংশ নিয়ে চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি গঠিত হয় বাগছাস। সংগঠনটির শীর্ষ নেতারা বলছেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাগছাসের আদর্শিক ধারা বোঝাতে ব্যর্থ হওয়া, শীর্ষ কয়েক নেতার ব্যর্থতা, দল ছেড়ে দেওয়ার মতো কিছু কারণে সংস্কারের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।
ইতিমধ্যে সংস্কারের ব্যাপারে জেলা, জেলা সমপর্যায়ের মহানগর এবং প্রতিষ্ঠানভিত্তিক কমিটির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতারা। তাঁরা বলছেন, আগে কেন্দ্রীয় কমিটি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সঙ্গে হওয়া সভাতেও পরিবর্তন ও সংস্কারের ব্যাপারে একমত হয়েছে সবাই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে ভরাডুবির পর বাগছাসের সংস্কারের আলোচনা সামনে এসেছে। অবশ্য বাগছাসের নেতারা বলছেন, নির্বাচনে আশানুরূপ ফল করতে না পারায় সংগঠন সংস্কার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে— এমনটি নয়।
বাগছাসের কেন্দ্রীয় কমিটির মুখপাত্র আশরেফা খাতুন স্ট্রিমকে বলেন, ‘সংগঠনের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাবনা ডাকসু-জাকসুর আগে থেকেই ছিল। বর্তমানে নাম পরিবর্তনের ব্যাপারে আমাদের সংগঠনের অধিকাংশ নেতা-কর্মী আগ্রহী, বেশিরভাগ নেতা-কর্মী যেহেতু চায় তাই নাম পরিবর্তন হতে যাচ্ছে।’
আশরেফা খাতুন বলেন, ‘কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ নাম পরিবর্তনের বিষয়টি খুব করে বাস্তবায়ন করতে চায়, এমন না। কিন্তু তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা নাম পরিবর্তন চাচ্ছে। আমরা অধিকাংশের মতামতকে প্রাধান্য দেওয়ার কথা ভাবছি।’
কেন এই পরিবর্তন
বাগছাসের সংস্কার নিয়ে নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংগঠনের আত্মপ্রকাশ থেকেই ছিল ‘দ্বিধা’। ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনের পর নেতা-কর্মীদের মধ্যে থাকা এই ‘দ্বিধা’ কাটানোর এখন ভালো সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন শীর্ষস্থানীয় নেতারা।
মূলত বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ সংক্ষেপে বাগছাস নাম নিয়ে সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে শুরু থেকেই আপত্তি। ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রফ্রন্ট, ছাত্র ফেডারেশন ইত্যাদি ছাত্র সংগঠনের নাম যেমন ‘সহজবোধ্য’ তেমন ‘বাগছাস’ নামকে সহজবোধ্য মনে করছেন না সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা। ‘বাগছাস’ নামে শিক্ষার্থীদের কাছে টানা যায় না বলে মনে করছেন তারা।
এছাড়া কেন্দ্রীয় কমিটি ও অঞ্চলভিত্তিক কমিটির নেতৃত্বের মধ্যে অনেকেই অন্য সংগঠনের ‘এজেন্ডা বাস্তবায়ন’ করে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সংগঠনের সিদ্ধান্ত না মানা, অভ্যন্তরীণ সিদ্ধান্ত বাইরে প্রকাশ করে দেওয়া, অন্য সংগঠনের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে এসে কমিটিতে ঘাপটি মেরে থাকা ইত্যাদি কারণে এই মুহুর্তে সংস্কার অপরিহার্য বলে মনে করছেন সংগঠনটি।
এছাড়া সংগঠনের নাম পরিবর্তন হলে নতুন করে সব কমিটির নেতৃত্বেও পরিবর্তন সম্ভব। আর এই সুযোগটি কাজে লাগাতে চাচ্ছে সংগঠনটি। সব কমিটিতে নতুন নেতৃত্ব এলে ‘সন্দেহযুক্ত’ লোকদের বাদ দেওয়া সম্ভব।
আর এতে করে হঠাৎ সংগঠন থেকে চলে যাওয়া কিংবা কাউকে কমিটি থেকে বহিষ্কার করার বাজে রাজনৈতিক নজির থেকে নিজেদের বাচাঁনো সম্ভব বলে মনে করছেন সংগঠনটির একাধিক নেতৃবৃন্দ।
বাগছাসের কেন্দ্রীয় কমিটির মুখপাত্র আশরেফা খাতুন স্ট্রিম প্রতিবেদককে বলেন, ‘অনেকদিন ধরেই সংগঠনের সংস্কার নিয়ে ভাবা হচ্ছে। ডাকসু ও জাকসু নির্বাচন আমাদের মধ্যে অনেকটা লিটমাস টেস্টের মতো। ডাকসু-জাকসুতে অনেকে সংগঠনের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করেছে। কেউ ভেতরে থেকে নির্বাচনে স্যাবোটাজ (ভেতর থেকে ক্ষতি করার চেষ্টা) করার চেষ্টা করেছে। এখন আমাদের কাছে অনেক কিছুই স্পষ্ট, তাই সংস্কারের কাজ এই মুহূর্তে আমাদের জন্য ভালোই হবে বলে মনে করছি।’
বাগছাসের কেন্দ্রীয় জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-আহ্বায়ক আবু তৌহিদ মো. সিয়াম বলছেন, শুধু নাম কিংবা নেতৃত্বে পরিবর্তন শুধু নয়, বরং আদর্শিক বোঝাপড়ার জায়গাটিও স্পষ্ট করা প্রয়োজন।
তিনি স্ট্রিমকে বলেন, ‘নাম পরিবর্তনে আমাদের প্রস্তাবনা আছে, আলাপ-আলোচনা চলছে। আমাদের আদর্শিক জায়গাও আমরা স্পষ্ট করব। যেটা এতদিন অস্পষ্ট ছিল।’
আদর্শিক জায়গাটা কী হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের সংগঠনের আদর্শিক ধারা হবে মধ্যমপন্থী এবং বাংলাদেশপন্থী। আদর্শিক জায়গা স্পষ্ট করা, কর্মসূচির লাইন স্পষ্ট করা, বর্তমান কমিটিতে সংস্কার, নেতৃত্বে পরিবর্তন এবং নামে পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে। এবং অতি শিগগিরই সেটা হতে যাচ্ছে।’
নতুন নামের প্রস্তাব
সংগঠনের পরিবর্তিত নাম হিসেবে ‘গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি’ আলোচনায় আছে। এ নামটি চূড়ান্ত করার ব্যাপারেও সংগঠনের শীর্ষ নেতারা ‘প্রায়’ একমত বলে স্ট্রিমকে জানিয়েছেন বাগছাসের কয়েকজন শীর্ষ নেতা।
গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি নামে ২০২৩ সালের ৪ অক্টোবর একটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনের নেতৃত্বে যাত্রা শুরু করেছিল সংগঠনটি। মূলত ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ দল থেকে পৃথক হয়ে সংগঠনটির জন্ম হয়। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর তারিখে সংগঠনটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা ও অভ্যুত্থান পরবর্তীতে বিলুপ্ত হওয়া ‘গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি’ নামটি বাগছাসের পরিবর্তিত নাম হতে পারে বলে জানান বাগছাসের সদস্য সচিব জাহিদ আহসান।
তিনি স্ট্রিমকে বলেন, ‘গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি নাম হতে পারে, তবে অন্যান্য নামও প্রস্তাবনায় আছে।’
জাহিদ আহসান আরও বলেন, ‘আমাদের নাম পরিবর্তনের পাশাপাশি পলিটিক্যাল স্ট্রাকচারের পরিবর্তন এসব নিয়ে আলোচনা চলমান। কবে নাগাদ হবে সে বিষয়ে এখনও আমরা কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাইনি। তবে সর্বোচ্চ দুয়েক সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাব।’
আত্মপ্রকাশের ছয় মাস যেতেই বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) নাম পরিবর্তন হতে যাচ্ছে। সংগঠনটির নতুন নাম হতে পারে ‘গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি’। এর বাইরেও আরও কয়েকটি নাম নিয়ে আলোচনা চলছে। পাশাপাশি সংগঠনের গঠনতন্ত্র, নেতৃত্ব কাঠামো এবং শীর্ষ নেতৃত্বে আসতে যাচ্ছে পরিবর্তন। সংগঠনটির একাধিক শীর্ষস্থানীয় নেতা স্ট্রিমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র নেতাদের একটি অংশ নিয়ে চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি গঠিত হয় বাগছাস। সংগঠনটির শীর্ষ নেতারা বলছেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাগছাসের আদর্শিক ধারা বোঝাতে ব্যর্থ হওয়া, শীর্ষ কয়েক নেতার ব্যর্থতা, দল ছেড়ে দেওয়ার মতো কিছু কারণে সংস্কারের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।
ইতিমধ্যে সংস্কারের ব্যাপারে জেলা, জেলা সমপর্যায়ের মহানগর এবং প্রতিষ্ঠানভিত্তিক কমিটির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতারা। তাঁরা বলছেন, আগে কেন্দ্রীয় কমিটি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সঙ্গে হওয়া সভাতেও পরিবর্তন ও সংস্কারের ব্যাপারে একমত হয়েছে সবাই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে ভরাডুবির পর বাগছাসের সংস্কারের আলোচনা সামনে এসেছে। অবশ্য বাগছাসের নেতারা বলছেন, নির্বাচনে আশানুরূপ ফল করতে না পারায় সংগঠন সংস্কার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে— এমনটি নয়।
বাগছাসের কেন্দ্রীয় কমিটির মুখপাত্র আশরেফা খাতুন স্ট্রিমকে বলেন, ‘সংগঠনের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাবনা ডাকসু-জাকসুর আগে থেকেই ছিল। বর্তমানে নাম পরিবর্তনের ব্যাপারে আমাদের সংগঠনের অধিকাংশ নেতা-কর্মী আগ্রহী, বেশিরভাগ নেতা-কর্মী যেহেতু চায় তাই নাম পরিবর্তন হতে যাচ্ছে।’
আশরেফা খাতুন বলেন, ‘কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ নাম পরিবর্তনের বিষয়টি খুব করে বাস্তবায়ন করতে চায়, এমন না। কিন্তু তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা নাম পরিবর্তন চাচ্ছে। আমরা অধিকাংশের মতামতকে প্রাধান্য দেওয়ার কথা ভাবছি।’
কেন এই পরিবর্তন
বাগছাসের সংস্কার নিয়ে নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংগঠনের আত্মপ্রকাশ থেকেই ছিল ‘দ্বিধা’। ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনের পর নেতা-কর্মীদের মধ্যে থাকা এই ‘দ্বিধা’ কাটানোর এখন ভালো সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন শীর্ষস্থানীয় নেতারা।
মূলত বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ সংক্ষেপে বাগছাস নাম নিয়ে সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে শুরু থেকেই আপত্তি। ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রফ্রন্ট, ছাত্র ফেডারেশন ইত্যাদি ছাত্র সংগঠনের নাম যেমন ‘সহজবোধ্য’ তেমন ‘বাগছাস’ নামকে সহজবোধ্য মনে করছেন না সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা। ‘বাগছাস’ নামে শিক্ষার্থীদের কাছে টানা যায় না বলে মনে করছেন তারা।
এছাড়া কেন্দ্রীয় কমিটি ও অঞ্চলভিত্তিক কমিটির নেতৃত্বের মধ্যে অনেকেই অন্য সংগঠনের ‘এজেন্ডা বাস্তবায়ন’ করে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সংগঠনের সিদ্ধান্ত না মানা, অভ্যন্তরীণ সিদ্ধান্ত বাইরে প্রকাশ করে দেওয়া, অন্য সংগঠনের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে এসে কমিটিতে ঘাপটি মেরে থাকা ইত্যাদি কারণে এই মুহুর্তে সংস্কার অপরিহার্য বলে মনে করছেন সংগঠনটি।
এছাড়া সংগঠনের নাম পরিবর্তন হলে নতুন করে সব কমিটির নেতৃত্বেও পরিবর্তন সম্ভব। আর এই সুযোগটি কাজে লাগাতে চাচ্ছে সংগঠনটি। সব কমিটিতে নতুন নেতৃত্ব এলে ‘সন্দেহযুক্ত’ লোকদের বাদ দেওয়া সম্ভব।
আর এতে করে হঠাৎ সংগঠন থেকে চলে যাওয়া কিংবা কাউকে কমিটি থেকে বহিষ্কার করার বাজে রাজনৈতিক নজির থেকে নিজেদের বাচাঁনো সম্ভব বলে মনে করছেন সংগঠনটির একাধিক নেতৃবৃন্দ।
বাগছাসের কেন্দ্রীয় কমিটির মুখপাত্র আশরেফা খাতুন স্ট্রিম প্রতিবেদককে বলেন, ‘অনেকদিন ধরেই সংগঠনের সংস্কার নিয়ে ভাবা হচ্ছে। ডাকসু ও জাকসু নির্বাচন আমাদের মধ্যে অনেকটা লিটমাস টেস্টের মতো। ডাকসু-জাকসুতে অনেকে সংগঠনের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করেছে। কেউ ভেতরে থেকে নির্বাচনে স্যাবোটাজ (ভেতর থেকে ক্ষতি করার চেষ্টা) করার চেষ্টা করেছে। এখন আমাদের কাছে অনেক কিছুই স্পষ্ট, তাই সংস্কারের কাজ এই মুহূর্তে আমাদের জন্য ভালোই হবে বলে মনে করছি।’
বাগছাসের কেন্দ্রীয় জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-আহ্বায়ক আবু তৌহিদ মো. সিয়াম বলছেন, শুধু নাম কিংবা নেতৃত্বে পরিবর্তন শুধু নয়, বরং আদর্শিক বোঝাপড়ার জায়গাটিও স্পষ্ট করা প্রয়োজন।
তিনি স্ট্রিমকে বলেন, ‘নাম পরিবর্তনে আমাদের প্রস্তাবনা আছে, আলাপ-আলোচনা চলছে। আমাদের আদর্শিক জায়গাও আমরা স্পষ্ট করব। যেটা এতদিন অস্পষ্ট ছিল।’
আদর্শিক জায়গাটা কী হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের সংগঠনের আদর্শিক ধারা হবে মধ্যমপন্থী এবং বাংলাদেশপন্থী। আদর্শিক জায়গা স্পষ্ট করা, কর্মসূচির লাইন স্পষ্ট করা, বর্তমান কমিটিতে সংস্কার, নেতৃত্বে পরিবর্তন এবং নামে পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে। এবং অতি শিগগিরই সেটা হতে যাচ্ছে।’
নতুন নামের প্রস্তাব
সংগঠনের পরিবর্তিত নাম হিসেবে ‘গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি’ আলোচনায় আছে। এ নামটি চূড়ান্ত করার ব্যাপারেও সংগঠনের শীর্ষ নেতারা ‘প্রায়’ একমত বলে স্ট্রিমকে জানিয়েছেন বাগছাসের কয়েকজন শীর্ষ নেতা।
গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি নামে ২০২৩ সালের ৪ অক্টোবর একটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনের নেতৃত্বে যাত্রা শুরু করেছিল সংগঠনটি। মূলত ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ দল থেকে পৃথক হয়ে সংগঠনটির জন্ম হয়। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর তারিখে সংগঠনটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা ও অভ্যুত্থান পরবর্তীতে বিলুপ্ত হওয়া ‘গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি’ নামটি বাগছাসের পরিবর্তিত নাম হতে পারে বলে জানান বাগছাসের সদস্য সচিব জাহিদ আহসান।
তিনি স্ট্রিমকে বলেন, ‘গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি নাম হতে পারে, তবে অন্যান্য নামও প্রস্তাবনায় আছে।’
জাহিদ আহসান আরও বলেন, ‘আমাদের নাম পরিবর্তনের পাশাপাশি পলিটিক্যাল স্ট্রাকচারের পরিবর্তন এসব নিয়ে আলোচনা চলমান। কবে নাগাদ হবে সে বিষয়ে এখনও আমরা কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাইনি। তবে সর্বোচ্চ দুয়েক সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাব।’
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে জনগণের রায় নেওয়ার জন্য সংসদ নির্বাচনের দিনে আলাদা ব্যালটের কথা বলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউহদ্দিন আহমদ।
৩ ঘণ্টা আগেহাসপাতাল থেকে জানানো হয়, গতকাল শনিবার রাত ৮টার দিকে তোফায়েল আহমেদের রক্তচাপ ও পালস কমে গিয়েছিল। পরে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও তার সার্বিক অবস্থা এখনো ‘ক্রিটিক্যাল’।
৬ ঘণ্টা আগেবেসরকারি নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর কোরআন অবমাননার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
৮ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা ঘরে ফিরবেন না। আর সনদ বাস্তবায়নের পথে যারা অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে, তাদের সঙ্গে কোনো প্রকার ঐক্য হবে না।
১ দিন আগে