স্ট্রিম প্রতিবেদক
আজ শুক্রবার বিকেলে ‘জুলাই জাতীয় সনদ, ২০২৫’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান রয়েছে। জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় হবে এই অনুষ্ঠান। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি ও সদস্যরা এবং রাজনৈতিক দলগুলোর দুজন করে প্রতিনিধির এই সনদে সই করার কথা রয়েছে। তবে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ জানিয়েছেন, জামায়াতের একটি প্রতিনিধি দল আজ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যাবে। অবশ্য বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিশ্চিত না হয়ে তারা সনদে সই করবে না।
আজ সকাল সাড়ে ৯টায় স্ট্রিমকে এই তথ্য জানিয়েছেন হামিদুর রহমান আযাদ।
সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জামায়াতের প্রতিনিধিত্ব করবেন দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ। তবে অনুষ্ঠানে তাঁরা ছাড়াও জামায়াতের আরও শতাধিক নেতা থাকবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে জামায়াতে ইসলামীকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য কমিশন) মনির হায়দার জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমানের হাতে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেন।
হামিদুর রহমান আযাদ স্ট্রিমকে জানিয়েছেন, আমন্ত্রণ তাঁরা পেয়েছেন। তাঁরা অনুষ্ঠানে যাবেনও। তবে সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের একটি খসড়া দেওয়ার কথা রয়েছে। সেটি জামায়াত এখনও পায়নি। এ কারণে সনদে সই করা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। তিনি বলেন,‘সনদ কীভাবে বাস্তবায়ন হবে, সেই ড্রাফটটা দেয়নি। ওইটা পাওয়ার পরেই সিদ্ধান্ত নেব সই করব কি না।’
জামায়াতের এই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল জানান, বাস্তবায়ন পদ্ধতির খসড়া নিয়ে গত ৮ অক্টোবর কমিশনের বৈঠক ছিল। কথা ছিল দুই দিন পরেই খসড়াটি দেওয়া হবে। এরপর কয়েকবার জামায়াতের পক্ষ থেকে খসড়ার জন্য তাগাদাও দেওয়া হয়েছে। হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘কিন্তু উনারা তো স্পষ্ট করতেছে না এখন।’
দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের লক্ষ্যে প্রায় আট মাস ধরে তিন ধাপে রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা শেষে তৈরি করা হয়েছে ‘জুলাই জাতীয় সনদ, ২০২৫’। তবে ঐকমত্য কমিশনে আলোচনায় অংশগ্রহণের পাশাপাশি সনদের আইনি ভিত্তি ও এর বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে গত সেপ্টেম্বর থেকে রাজপথে নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে জামায়াতে ইসলামী। তাদের সঙ্গে এই যুগপৎ আন্দোলনে রয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ সমমনা আরও কয়েকটি দল।
গত মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সনদের চূড়ান্ত কপি সব রাজনৈতিক দলের কাছে তুলে দেওয়ার পর জামায়াত তাতে সই করবে কিনা তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দেওয়ার জন্য জাতীয় নির্বাচনের আগেই গণভোট চায় জামায়াত।
গতকাল বৃহস্পতিবার ‘জুলাই জাতীয় সনদের আইনি ভিত্তি: গণভোট ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন’ শীর্ষক সেমিনারে কমিশনের সকল সুপারিশ গণভোটে প্রস্তাব করে নভেম্বরের মধ্যে গণভোট সম্পন্ন করার আহ্বান জানান মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আগামী সংসদ নির্বাচন জুলাই সনদের ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারিতেই হতে হবে।’
মিয়া গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন বিষয় সংসদ কিংবা আদালতে নেওয়ার কথা বলে ‘ঘোলা পানিতে মাছ শিকার’ করার চেষ্টাকারী দল অবশেষে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির জন্য গণভোটের পক্ষে একমত হলেও গণভোটের সময় নিয়ে তারা টালবাহানা করছে। তারা জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট করতে চায়। জাতীয় নির্বাচন এবং গণভোট একই দিনে সম্ভব নয়, সুযোগও নেই। কারণ, একজন ভোটার গণভোটের প্রস্তাবিত ব্যালট পড়ে বুঝে ভোট দিতে গেলে যে সময়ের প্রয়োজন, তাতে সব ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবে না। দেখা যাবে, ভোটাররা লাইনে দাঁড়িয়ে আছে কিন্তু ভোট দিতে বেশি সময় লাগার কারণে অনেকে ভোট দিতে পারবে না।’
আজ শুক্রবার বিকেলে ‘জুলাই জাতীয় সনদ, ২০২৫’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান রয়েছে। জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় হবে এই অনুষ্ঠান। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি ও সদস্যরা এবং রাজনৈতিক দলগুলোর দুজন করে প্রতিনিধির এই সনদে সই করার কথা রয়েছে। তবে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ জানিয়েছেন, জামায়াতের একটি প্রতিনিধি দল আজ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যাবে। অবশ্য বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিশ্চিত না হয়ে তারা সনদে সই করবে না।
আজ সকাল সাড়ে ৯টায় স্ট্রিমকে এই তথ্য জানিয়েছেন হামিদুর রহমান আযাদ।
সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জামায়াতের প্রতিনিধিত্ব করবেন দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ। তবে অনুষ্ঠানে তাঁরা ছাড়াও জামায়াতের আরও শতাধিক নেতা থাকবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে জামায়াতে ইসলামীকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য কমিশন) মনির হায়দার জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমানের হাতে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেন।
হামিদুর রহমান আযাদ স্ট্রিমকে জানিয়েছেন, আমন্ত্রণ তাঁরা পেয়েছেন। তাঁরা অনুষ্ঠানে যাবেনও। তবে সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের একটি খসড়া দেওয়ার কথা রয়েছে। সেটি জামায়াত এখনও পায়নি। এ কারণে সনদে সই করা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। তিনি বলেন,‘সনদ কীভাবে বাস্তবায়ন হবে, সেই ড্রাফটটা দেয়নি। ওইটা পাওয়ার পরেই সিদ্ধান্ত নেব সই করব কি না।’
জামায়াতের এই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল জানান, বাস্তবায়ন পদ্ধতির খসড়া নিয়ে গত ৮ অক্টোবর কমিশনের বৈঠক ছিল। কথা ছিল দুই দিন পরেই খসড়াটি দেওয়া হবে। এরপর কয়েকবার জামায়াতের পক্ষ থেকে খসড়ার জন্য তাগাদাও দেওয়া হয়েছে। হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘কিন্তু উনারা তো স্পষ্ট করতেছে না এখন।’
দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের লক্ষ্যে প্রায় আট মাস ধরে তিন ধাপে রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা শেষে তৈরি করা হয়েছে ‘জুলাই জাতীয় সনদ, ২০২৫’। তবে ঐকমত্য কমিশনে আলোচনায় অংশগ্রহণের পাশাপাশি সনদের আইনি ভিত্তি ও এর বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে গত সেপ্টেম্বর থেকে রাজপথে নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে জামায়াতে ইসলামী। তাদের সঙ্গে এই যুগপৎ আন্দোলনে রয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ সমমনা আরও কয়েকটি দল।
গত মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সনদের চূড়ান্ত কপি সব রাজনৈতিক দলের কাছে তুলে দেওয়ার পর জামায়াত তাতে সই করবে কিনা তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দেওয়ার জন্য জাতীয় নির্বাচনের আগেই গণভোট চায় জামায়াত।
গতকাল বৃহস্পতিবার ‘জুলাই জাতীয় সনদের আইনি ভিত্তি: গণভোট ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন’ শীর্ষক সেমিনারে কমিশনের সকল সুপারিশ গণভোটে প্রস্তাব করে নভেম্বরের মধ্যে গণভোট সম্পন্ন করার আহ্বান জানান মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আগামী সংসদ নির্বাচন জুলাই সনদের ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারিতেই হতে হবে।’
মিয়া গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন বিষয় সংসদ কিংবা আদালতে নেওয়ার কথা বলে ‘ঘোলা পানিতে মাছ শিকার’ করার চেষ্টাকারী দল অবশেষে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির জন্য গণভোটের পক্ষে একমত হলেও গণভোটের সময় নিয়ে তারা টালবাহানা করছে। তারা জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট করতে চায়। জাতীয় নির্বাচন এবং গণভোট একই দিনে সম্ভব নয়, সুযোগও নেই। কারণ, একজন ভোটার গণভোটের প্রস্তাবিত ব্যালট পড়ে বুঝে ভোট দিতে গেলে যে সময়ের প্রয়োজন, তাতে সব ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবে না। দেখা যাবে, ভোটাররা লাইনে দাঁড়িয়ে আছে কিন্তু ভোট দিতে বেশি সময় লাগার কারণে অনেকে ভোট দিতে পারবে না।’
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের শনিবার দুপুরে স্ট্রিমকে বলেন, এই ব্যাপারে আমাদের দাবি হলো, জুলাই জাতীয় সনদকে আইনি ভিত্তি দিতে গণভোটের আয়োজন করা। আমরা এই শর্তে স্বাক্ষর দিয়েছি যে, গণভোটের আয়োজন করে আইনি ভিত্তি দিয়ে নির্বাচন করতে হবে।
২৩ মিনিট আগেশুক্রবার রাত সাড়ে এগারোটায় তিনি হাসপাতাল থেকে গুলশানে তাঁর বাসভবন ফিরোজা ভিলায় ফেরেন। বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৬ ঘণ্টা আগেএনসিপি বলেছে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের টেক্সট এবং বাস্তবায়ন পদ্ধতির পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা দেখার পর সনদে সই করবে। কারণ, এনসিপি জুলাই সনদকে স্রেফ রাজনৈতিক সমঝোতার দলিল কিংবা ফাঁকা প্রতিশ্রুতি মনে করে না।
১৫ ঘণ্টা আগেএনসিপির মিডিয়া সেলের সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীন সন্ধ্যায় স্ট্রিমকে বলেন, জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আমাদের কেউ যায়নি। তবে, ভবিষ্যতে যদি আমাদের শর্ত পূরণ করা হয়, তাহলে সনদে সই করবো।
২০ ঘণ্টা আগে