.png)
তিন দিন ধরে চট্টগ্রামের পটিয়া ছিল উত্তাল। পটিয়া থানার ওসিকে প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ করছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। শেষ পর্যন্ত কী ঘটল?

স্ট্রিম প্রতিবেদক

গত মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাতে চট্টগ্রামের পটিয়া থানার সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় পুলিশের। এ ঘটনার পর থেকে থানা অবরোধ করে ব্লকেড কর্মসূচি পালন করতে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। বৈষম্যবিরোধীদের সঙ্গে ছাত্রদল ও শিবিরের নেতা-কর্মীরাও যোগ দেন এই কর্মসূচিতে।
পটিয়া থানার ওসির পদত্যাগসহ ৩ দফা দাবি জানান আন্দোলনকারীরা। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা কর্মসূচি চালু রাখার ঘোষণা দেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবি, মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে পটিয়া শহীদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্বালনের পর থানার মোড়ে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মীকে দেখে সন্দেহ হয় তাঁদের। দীপঙ্কর দে নামে একজনকে ধরে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তখনই পুলিশ প্রথম দফায় শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ করে। রাত ১২টার দিকে আবার বিক্ষোভ হলে দ্বিতীয় দফায় চলে লাঠিপেটা।
পরদিন বুধবার (২ জুলাই) সকালে এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব আরিফ সোহেল ফেসবুকে লেখেন, ‘পটিয়া থানা মাটির সাথে মিশায়া দিতে হবে।’
মঙ্গলবার রাতে পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের ব্যাপারে জানতে ঘটনাস্থলের প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে ঢাকা স্ট্রিম। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জুলাই শহীদদের স্মরণে মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে পটিয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্বালন করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে থানার মোড়ের দিকে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের নেতা দীপঙ্কর দেসহ বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে দেখেন তাঁরা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা তাঁদের দিকে এগিয়ে গেলে দীপঙ্কর দে ছাড়া অন্যরা দৌড়ে পালিয়ে যান। পরে দীপঙ্করকে ধরে স্লোগান দিতে দিতে থানায় নিয়ে যান শিক্ষার্থীরা।
ছাত্রলীগ নেতা দীপঙ্কর দেকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা। তবে দীপঙ্করের বিরুদ্ধে কোনো মামলা না থাকায় পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করতে চায়নি।
এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বাগ্বিতণ্ডা হয়। এ খবর পেয়ে চট্টগ্রামের অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীরা সেখানে যান। একপর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষাথীদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এতে অন্তত ৯ শিক্ষার্থী আহত হন।
প্রথম দফায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের খবর পেয়ে পটিয়া থানা এলাকায় যান ছাত্রদল ও শিবিরের কয়েকজন নেতা-কর্মী। থানার সামনে রাত ১২টার দিকে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন শিক্ষার্থীরা। এরপরই ৩টি গাড়িতে করে এসে প্রায় ১০০ পুলিশ সদস্য তাঁদের ঘিরে ফেলে। এ সময় সেখানে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, শিবির, ছাত্রদল ও অন্যান্য সংগঠনের শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। অন্তত ২০-২৫ জন আহত হন।
পরে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আহতদের ভর্তি করা হয়। গুরুতর আহত অন্তত দুজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহত ব্যক্তিদের অনেকের চিকিৎসা দেওয়া হয় পটিয়ার বিভিন্ন চিকিৎসাকেন্দ্রে।
পুলিশের লাঠিচার্জের প্রতিবাদে পরদিন বুধবার (২ জুলাই) সকাল থেকে পটিয়া থানার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ শুরু করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের একটি অংশ। বিকেল নাগাদ একই দাবিতে চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের সামনেও বিক্ষোভ করে সংগঠনটি।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের থানায় তুলে দিতে গিয়ে উল্টো পুলিশের হামলার শিকার হন তাঁরা। সংগঠনের সমন্বয়ক তালাত মাহমুদ রাফি স্ট্রিমকে বলেন, ‘দীপঙ্কর দে নামে এক নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকে স্লোগান দিতে দিতে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু পুলিশ আমাদের কথা না শুনে হামলা চালায়। এ যেন ২০২৪ সালের জুলাইয়ের সেই বর্বরতা ফিরে এলো।’
এ অভিযোগ অস্বীকার করে পটিয়া থানার ওসি আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূর বলেন, ‘ছাত্রদের ওপর কোনো লাঠিচার্জ হয়নি। সিসিটিভি ফুটেজেও এমন কিছু পাওয়া যায়নি। তারা ছাত্রলীগের ওই নেতাকে এনে পুলিশের সামনেই মব সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছিল। বাধা দিলে কয়েকজন পুলিশ সদস্যও আহত হন। গ্লাসও ভাঙচুর করা হয়।’
তবে আন্দোলনকারীদের দাবি, ‘সিসিটিভিতে না থাকলেও প্রমাণ আমাদের গায়েই।’
চট্টগ্রামের পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূরকে অবশেষে গতকাল ২ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পটিয়ার ওসিকে প্রত্যাহার করে চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।’

গত মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাতে চট্টগ্রামের পটিয়া থানার সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় পুলিশের। এ ঘটনার পর থেকে থানা অবরোধ করে ব্লকেড কর্মসূচি পালন করতে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। বৈষম্যবিরোধীদের সঙ্গে ছাত্রদল ও শিবিরের নেতা-কর্মীরাও যোগ দেন এই কর্মসূচিতে।
পটিয়া থানার ওসির পদত্যাগসহ ৩ দফা দাবি জানান আন্দোলনকারীরা। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা কর্মসূচি চালু রাখার ঘোষণা দেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবি, মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে পটিয়া শহীদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্বালনের পর থানার মোড়ে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মীকে দেখে সন্দেহ হয় তাঁদের। দীপঙ্কর দে নামে একজনকে ধরে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তখনই পুলিশ প্রথম দফায় শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ করে। রাত ১২টার দিকে আবার বিক্ষোভ হলে দ্বিতীয় দফায় চলে লাঠিপেটা।
পরদিন বুধবার (২ জুলাই) সকালে এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব আরিফ সোহেল ফেসবুকে লেখেন, ‘পটিয়া থানা মাটির সাথে মিশায়া দিতে হবে।’
মঙ্গলবার রাতে পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের ব্যাপারে জানতে ঘটনাস্থলের প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে ঢাকা স্ট্রিম। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জুলাই শহীদদের স্মরণে মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে পটিয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্বালন করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে থানার মোড়ের দিকে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের নেতা দীপঙ্কর দেসহ বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে দেখেন তাঁরা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা তাঁদের দিকে এগিয়ে গেলে দীপঙ্কর দে ছাড়া অন্যরা দৌড়ে পালিয়ে যান। পরে দীপঙ্করকে ধরে স্লোগান দিতে দিতে থানায় নিয়ে যান শিক্ষার্থীরা।
ছাত্রলীগ নেতা দীপঙ্কর দেকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা। তবে দীপঙ্করের বিরুদ্ধে কোনো মামলা না থাকায় পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করতে চায়নি।
এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বাগ্বিতণ্ডা হয়। এ খবর পেয়ে চট্টগ্রামের অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীরা সেখানে যান। একপর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষাথীদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এতে অন্তত ৯ শিক্ষার্থী আহত হন।
প্রথম দফায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের খবর পেয়ে পটিয়া থানা এলাকায় যান ছাত্রদল ও শিবিরের কয়েকজন নেতা-কর্মী। থানার সামনে রাত ১২টার দিকে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন শিক্ষার্থীরা। এরপরই ৩টি গাড়িতে করে এসে প্রায় ১০০ পুলিশ সদস্য তাঁদের ঘিরে ফেলে। এ সময় সেখানে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, শিবির, ছাত্রদল ও অন্যান্য সংগঠনের শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। অন্তত ২০-২৫ জন আহত হন।
পরে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আহতদের ভর্তি করা হয়। গুরুতর আহত অন্তত দুজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহত ব্যক্তিদের অনেকের চিকিৎসা দেওয়া হয় পটিয়ার বিভিন্ন চিকিৎসাকেন্দ্রে।
পুলিশের লাঠিচার্জের প্রতিবাদে পরদিন বুধবার (২ জুলাই) সকাল থেকে পটিয়া থানার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ শুরু করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের একটি অংশ। বিকেল নাগাদ একই দাবিতে চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের সামনেও বিক্ষোভ করে সংগঠনটি।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের থানায় তুলে দিতে গিয়ে উল্টো পুলিশের হামলার শিকার হন তাঁরা। সংগঠনের সমন্বয়ক তালাত মাহমুদ রাফি স্ট্রিমকে বলেন, ‘দীপঙ্কর দে নামে এক নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকে স্লোগান দিতে দিতে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু পুলিশ আমাদের কথা না শুনে হামলা চালায়। এ যেন ২০২৪ সালের জুলাইয়ের সেই বর্বরতা ফিরে এলো।’
এ অভিযোগ অস্বীকার করে পটিয়া থানার ওসি আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূর বলেন, ‘ছাত্রদের ওপর কোনো লাঠিচার্জ হয়নি। সিসিটিভি ফুটেজেও এমন কিছু পাওয়া যায়নি। তারা ছাত্রলীগের ওই নেতাকে এনে পুলিশের সামনেই মব সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছিল। বাধা দিলে কয়েকজন পুলিশ সদস্যও আহত হন। গ্লাসও ভাঙচুর করা হয়।’
তবে আন্দোলনকারীদের দাবি, ‘সিসিটিভিতে না থাকলেও প্রমাণ আমাদের গায়েই।’
চট্টগ্রামের পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূরকে অবশেষে গতকাল ২ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পটিয়ার ওসিকে প্রত্যাহার করে চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।’
.png)

বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ মানুষ তীব্র খাদ্যনিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে এবং ১৬ লাখ শিশু মারাত্মক অপুষ্টির ঝুঁকিতে রয়েছে—এমন তথ্য উঠে এসেছে সরকার ও উন্নয়ন সহযোগীদের যৌথ বিশ্লেষণে।
৭ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে ছড়ানো অপপ্রচারকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই হুমকি মোকাবিলায় দুটি সেল গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে — ‘সেন্ট্রাল ডিসইনফরমেশন মনিটরিং সেল’ ও ‘সেন্ট্রাল কমিউনিকেশন সেল’।
৭ ঘণ্টা আগে
আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে পুলিশের গায়ে উঠছে নতুন পোশাক। আয়রন (লৌহ) ও কফি রঙের ইউনিফরম দিয়ে পুরনো পোশাককে বিদায় জানানো হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে পুলিশ সদস্যদের গায়ে এই নতুন ইউনিফরম দেখা যাবে।
৭ ঘণ্টা আগে
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের বিষয়ে করা আপিলের শুনানি আগামী রোববার পর্যন্ত মুলতবি করেছেন আপিল বিভাগ।
৮ ঘণ্টা আগে