৫ আগস্ট ২০২৪
শেখ হাসিনার পতনের খবরে বিষাদ নেমে আসে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি খ্যাত গোপালগঞ্জের নেতা-কর্মীদের মধ্যে। তাঁকে ফিরে আনার দাবিতে নানা তৎপরতা শুরু করেন তাঁরা। সেই রাজনৈতিক অবস্থা এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি।
স্ট্রিম সংবাদদাতা
টানা ৩৬ দিন ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পতন হয় স্বৈরাচারি আওয়ামী লীগ সরকারের। একই সঙ্গে দেশে ছেড়ে পালিয়ে যান ওই সরকারের প্রধান শেখ হাসিনা। এই খবর ছড়িয়ে পরায় উচ্ছ্বাসে রাস্তায় নামে সারা দেশের মানুষ।
তবে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত গোপালগঞ্জে দিনটি একই রকম ছিল না। সেখানে শেখ হাসিনার পতনের খবরে বিষাদ নেমে আসে দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে। তাঁকে ফিরে আনার দাবিতে নানা তৎপরতা শুরু করেন তাঁরা। সেই রাজনৈতিক অবস্থা এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতল হলেও গোপালগঞ্জে সরব ছিল আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠন। আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার খবরে শুধু গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (গোবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা মিষ্টি বিতরন করেন। ক্যাম্পাসে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করেন তারা। এ দিন মিষ্টি বিতরনকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসের ভেতরে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে মারধর করে বর্তমানে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। তবে এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ বা মামলা করেনি শিক্ষার্থীরা।
গোবিপ্রবিতে শেখ হাসিনা বিরোধী আন্দোলনের সক্রিয় ছিলেন লোক প্রশাসন বিভাগের ছাত্রী সুবর্ণা রায়। তিনি বলেন, ‘সাড়ে ১৫ বছরের তথাকথিত উন্নয়নচিত্রের আড়ালে শেখ হাসিনার শাসন ছিল এক দীর্ঘকালীন ফ্যাসিবাদী আধিপত্যের কালো অধ্যায়। ৫ আগস্ট তাই আমাদের ইতিহাসে এক বিক্ষোভ-বিস্ফোরণের দিন। আমরা দিনটি উদযাপন করেনছি।’
এদিকে পতনের পরের দিনই শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরে আনার দাবিতে ৬ আগস্ট থেকে বিক্ষোভ-সমাবেশ করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। এ দিন সকালে জেলা শহরে আগ্নেয়াস্ত্রসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মিছিলের নেতৃত্ব দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান ও সাধারণ সম্পাদক জিএম সাহাবুদ্দিন আজম। শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরাতে ৭ জুলাই জেলার টুঙ্গীপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শপথ নেন তাঁরা।
হাসিনার পতনের পর গোপারগঞ্জে সব চেয়ে বড় ঘটনা ঘেটে ১০ জুলাই। তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত ও দেশত্যাগে বাধ্য করার প্রতিবাদে এবং দেশে ফিরিয়ে আনার দাবিতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে দলের কয়েকশ নেতা-কর্মী। এ সময় গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও অস্ত্র ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয় সেনাসদস্য, সাংবাদিকসহ অন্তত ১৫ জন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ওই এলাকায় অভিযান চালায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
সর্বশেষ চলতি বছরের ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক কমিটির (এনসিপি) সমাবেশ কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জে সেনা-পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রনেতারা গিয়ে সেখানে অভূতপূর্ব হামলার শিকার হন। সংঘর্ষে গুলিতে নিহত হন পাঁচজন।
৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের দিনের স্মৃতিচারণ করে গোপালগঞ্জ শহরের বাসিন্দা মাসুম খান বলেন, ‘যেহেতু গোপালগঞ্জ আওয়ামী লীগের ঘাটি ছিল, সেহেতু এখানকার সাধারণ মানুষদের মধ্যে কিছুটা খারাপ লাগা কাজ করেছিল। সারা দেশের আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা পালিয়ে গেলেও গোপালগঞ্জে কিন্তু সরব ছিলেন। ৫ আগস্টের পরেও বেশ কিছু দিন তাঁরা শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছিল। তবে বর্তমান পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। জেলায় বিএনপি ও জামায়াত ইসলামী প্রতিনিয়ত মিছিল মিটিং করে যাচ্ছে।’
এদিকে শেখ হাসিনার পতনের এক বছর পরও গোপালগঞ্জ মাঠে পুরোপুরি তৎপর হতে পারেনি জেলা বিএনপি ও জামায়াত ইসলামী। এখনও দাপট ধরে রেখেছে আওয়ামী লীগ। তবে পতনের বর্ষপূর্তির দিনে গোপালগঞ্জে এক নতুন চিত্র দেখা গেছে, যা দীর্ঘ ১৭ বছরে দেখেনি গোপালগঞ্জবাসী।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তিতে গোপালগঞ্জে গণমছিল করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জেলা শাখা। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকাল থেকে শহরের সালেহিয়া কামিল মাদ্রাসায় জড়ো হতে থাকে জামায়াতে ইসলামী ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। দুপুরে সেখান থেকে গণমিছিল বের করেন তাঁরা। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুরাতন লঞ্চঘাট এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে গণঅভ্যুত্থানে সম্পৃক্ত সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বক্তব্য দেন দলটি শীর্ষ নেতা-কর্মীরা।
দলটির জেলা শাখার আমির রেজাউল করিম বলেন, ‘কোনো দেশ প্রেমিক দেশ ছেড়ে পালাতে পারে না। এই দিনে স্বৈরাশাসক শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। এখন গোপালগঞ্জে জামায়াত ইসলামী তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছে।’
এ ছাড়া আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতন ও ছাত্র-জনতার বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিজয় একটি শোভাযাত্রা করেছে বিএনপি। সদর উপজেলা বিএনপির আয়োজনে শহরের পাচুড়িয়া থেকে শোভাযাত্রাটি বের হয়। তারা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পৌর পার্কে গিয়ে শেষ হয়। এতে অংশ নেন সদর উপজেলার ২১টি ইউনিয়নের বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শরীফ রফিকুজ্জামান বলেন, ‘আজকের এই দিনে ছাত্র-জনতার গনঅভ্যুত্থানে স্বৈরাশাসক শেখ হাসিনার সরকারে পতন হয়েছিল। এর মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসে। আমরা তিনটি উদযাপন করছি।’
স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের বর্ষপূর্তিতে গোবিপ্রবির ছাত্রনেতা সুবর্ণা রায় বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী, গণহত্যাকারী শাসকের দেশত্যাগ আমাদের কাছে মুক্তির বার্তা। এই শোষকের পতন ছিল সময়ের দাবি, জনতার রক্তে লেখা প্রত্যয়। তবে আমরা যারা এই আন্দোলনের অংশ হয়েছি, রাজপথে রক্ত দিয়েছি, আমরা জানি—এই অভ্যুত্থান শুধু ফ্যাসিবাদকে হটানোর নয়, নতুন সমাজ গড়ার ডাক।’
টানা ৩৬ দিন ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পতন হয় স্বৈরাচারি আওয়ামী লীগ সরকারের। একই সঙ্গে দেশে ছেড়ে পালিয়ে যান ওই সরকারের প্রধান শেখ হাসিনা। এই খবর ছড়িয়ে পরায় উচ্ছ্বাসে রাস্তায় নামে সারা দেশের মানুষ।
তবে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত গোপালগঞ্জে দিনটি একই রকম ছিল না। সেখানে শেখ হাসিনার পতনের খবরে বিষাদ নেমে আসে দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে। তাঁকে ফিরে আনার দাবিতে নানা তৎপরতা শুরু করেন তাঁরা। সেই রাজনৈতিক অবস্থা এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতল হলেও গোপালগঞ্জে সরব ছিল আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠন। আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার খবরে শুধু গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (গোবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা মিষ্টি বিতরন করেন। ক্যাম্পাসে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করেন তারা। এ দিন মিষ্টি বিতরনকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসের ভেতরে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে মারধর করে বর্তমানে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। তবে এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ বা মামলা করেনি শিক্ষার্থীরা।
গোবিপ্রবিতে শেখ হাসিনা বিরোধী আন্দোলনের সক্রিয় ছিলেন লোক প্রশাসন বিভাগের ছাত্রী সুবর্ণা রায়। তিনি বলেন, ‘সাড়ে ১৫ বছরের তথাকথিত উন্নয়নচিত্রের আড়ালে শেখ হাসিনার শাসন ছিল এক দীর্ঘকালীন ফ্যাসিবাদী আধিপত্যের কালো অধ্যায়। ৫ আগস্ট তাই আমাদের ইতিহাসে এক বিক্ষোভ-বিস্ফোরণের দিন। আমরা দিনটি উদযাপন করেনছি।’
এদিকে পতনের পরের দিনই শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরে আনার দাবিতে ৬ আগস্ট থেকে বিক্ষোভ-সমাবেশ করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। এ দিন সকালে জেলা শহরে আগ্নেয়াস্ত্রসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মিছিলের নেতৃত্ব দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান ও সাধারণ সম্পাদক জিএম সাহাবুদ্দিন আজম। শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরাতে ৭ জুলাই জেলার টুঙ্গীপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শপথ নেন তাঁরা।
হাসিনার পতনের পর গোপারগঞ্জে সব চেয়ে বড় ঘটনা ঘেটে ১০ জুলাই। তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত ও দেশত্যাগে বাধ্য করার প্রতিবাদে এবং দেশে ফিরিয়ে আনার দাবিতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে দলের কয়েকশ নেতা-কর্মী। এ সময় গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও অস্ত্র ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয় সেনাসদস্য, সাংবাদিকসহ অন্তত ১৫ জন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ওই এলাকায় অভিযান চালায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
সর্বশেষ চলতি বছরের ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক কমিটির (এনসিপি) সমাবেশ কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জে সেনা-পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রনেতারা গিয়ে সেখানে অভূতপূর্ব হামলার শিকার হন। সংঘর্ষে গুলিতে নিহত হন পাঁচজন।
৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের দিনের স্মৃতিচারণ করে গোপালগঞ্জ শহরের বাসিন্দা মাসুম খান বলেন, ‘যেহেতু গোপালগঞ্জ আওয়ামী লীগের ঘাটি ছিল, সেহেতু এখানকার সাধারণ মানুষদের মধ্যে কিছুটা খারাপ লাগা কাজ করেছিল। সারা দেশের আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা পালিয়ে গেলেও গোপালগঞ্জে কিন্তু সরব ছিলেন। ৫ আগস্টের পরেও বেশ কিছু দিন তাঁরা শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছিল। তবে বর্তমান পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। জেলায় বিএনপি ও জামায়াত ইসলামী প্রতিনিয়ত মিছিল মিটিং করে যাচ্ছে।’
এদিকে শেখ হাসিনার পতনের এক বছর পরও গোপালগঞ্জ মাঠে পুরোপুরি তৎপর হতে পারেনি জেলা বিএনপি ও জামায়াত ইসলামী। এখনও দাপট ধরে রেখেছে আওয়ামী লীগ। তবে পতনের বর্ষপূর্তির দিনে গোপালগঞ্জে এক নতুন চিত্র দেখা গেছে, যা দীর্ঘ ১৭ বছরে দেখেনি গোপালগঞ্জবাসী।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তিতে গোপালগঞ্জে গণমছিল করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জেলা শাখা। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকাল থেকে শহরের সালেহিয়া কামিল মাদ্রাসায় জড়ো হতে থাকে জামায়াতে ইসলামী ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। দুপুরে সেখান থেকে গণমিছিল বের করেন তাঁরা। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুরাতন লঞ্চঘাট এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে গণঅভ্যুত্থানে সম্পৃক্ত সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বক্তব্য দেন দলটি শীর্ষ নেতা-কর্মীরা।
দলটির জেলা শাখার আমির রেজাউল করিম বলেন, ‘কোনো দেশ প্রেমিক দেশ ছেড়ে পালাতে পারে না। এই দিনে স্বৈরাশাসক শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। এখন গোপালগঞ্জে জামায়াত ইসলামী তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছে।’
এ ছাড়া আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতন ও ছাত্র-জনতার বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিজয় একটি শোভাযাত্রা করেছে বিএনপি। সদর উপজেলা বিএনপির আয়োজনে শহরের পাচুড়িয়া থেকে শোভাযাত্রাটি বের হয়। তারা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পৌর পার্কে গিয়ে শেষ হয়। এতে অংশ নেন সদর উপজেলার ২১টি ইউনিয়নের বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শরীফ রফিকুজ্জামান বলেন, ‘আজকের এই দিনে ছাত্র-জনতার গনঅভ্যুত্থানে স্বৈরাশাসক শেখ হাসিনার সরকারে পতন হয়েছিল। এর মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসে। আমরা তিনটি উদযাপন করছি।’
স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের বর্ষপূর্তিতে গোবিপ্রবির ছাত্রনেতা সুবর্ণা রায় বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী, গণহত্যাকারী শাসকের দেশত্যাগ আমাদের কাছে মুক্তির বার্তা। এই শোষকের পতন ছিল সময়ের দাবি, জনতার রক্তে লেখা প্রত্যয়। তবে আমরা যারা এই আন্দোলনের অংশ হয়েছি, রাজপথে রক্ত দিয়েছি, আমরা জানি—এই অভ্যুত্থান শুধু ফ্যাসিবাদকে হটানোর নয়, নতুন সমাজ গড়ার ডাক।’
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতনের এক বছর পূর্ণ হলে মঙ্গলবার (৫ আগস্ট)। গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে দেশের সংবাদমাধ্যমগুলোয় ছিল নানা আয়োজন। পাশাপাশি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির খবর উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও।
২১ মিনিট আগেজাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। এই ঘোষণার পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দল প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। কোনো কোনো রাজনৈতিক দল এই ঘোষণাকে ইতিবাচকভাবে দেখছে, আবার কোনো কোনো দল নেতিবাচকভাবে দেখছে।
৩ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ছয়জন নিহত ও একজন আহত হয়েছেন। আজ বুধবার (৬ আগস্ট) ভোরে উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ পূর্ব বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৪ ঘণ্টা আগেএর আগে সকালে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে দাবি করা হয়, সেখানে এনসিপির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন পিটার হাস। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা শুরু হল
১৪ ঘণ্টা আগে