leadT1ad

৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধসহ তিন দাবি গণঅধিকার পরিষদের

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা
প্রকাশ : ৩০ আগস্ট ২০২৫, ২০: ০২
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। সংগৃহীত ছবি

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জাতীয় পার্টিকে (জাপা) নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন।

আজ শনিবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর বিজয়নগরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন ও প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ দাবি তোলেন।

রাশেদ খান বলেন, ‘গতকালের হামলার ঘটনায় অবশ্যই তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে। পাশাপাশি নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার দায় স্বীকার করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করতে হবে। আর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।’

রাশেদ খান অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা কোনো মব তৈরি করে জাপার অফিসে যাইনি। নিজেদের কার্যালয়ের সামনেই সংবাদ সম্মেলনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। অথচ আমাদের ওপর হামলা চালানো হলো। যদি এই ঘটনার বিচার না হয়, তবে জনগণই সরকারের বিচার করবে।’

সেনাবাহিনীর সাম্প্রতিক বিবৃতির প্রসঙ্গ টেনে রাশেদ বলেন, ‘এতদিন কোনো সংস্কার হয়নি, কেবল উপদেষ্টাদের পকেট ভারী হয়েছে। এখন আবারও ১/১১-এর মতো পরিস্থিতি তৈরি করে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে। তবে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অবশ্যই আয়োজন করতে হবে।’

এই সাধারণ সম্পাদক আরও অভিযোগ করেন, সরকার বিএনপি-জামায়াত ও এনসিপির সঙ্গে বৈঠক করছে, অথচ অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। ‘আগামীতে বৈঠক হবে সর্বদলীয়। নতুবা আমরা যমুনা ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করব,’ হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য মাহফুজুর রহমান। এতে আরও বক্তব্য দেন জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ খান, জনতার অধিকার পার্টির সভাপতি তরিকুল ইসলাম, পরিষদের মুখপাত্র ফারুক হাসান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব হাসান আল মামুন, এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব জয়নাল আবেদীন, এবং পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ছোট ভাই আমিনুল ইসলাম।

বক্তারা নুরুল হক নুরের ওপর হামলাকে পরিকল্পিত বলে দাবি করেন এবং জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে প্রতিরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

সমাবেশ শেষে নেতা-কর্মীরা, ‘নুরের ওপর হামলা কেন, প্রশাসন জবাব দে’, ‘আওয়ামী লীগের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘জাতীয় পার্টির আস্তানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’—ইত্যাদি স্লোগান দেন। এ সময় রাস্তায় টায়ার পোড়ানো হয় এবং কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি পুরানা পল্টন মোড়, জাতীয় প্রেসক্লাব, মৎস্য ভবন, কাকরাইল মোড় ঘুরে পুনরায় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।

Ad 300x250

সম্পর্কিত