leadT1ad

বিতর্কিত মন্তব্যে ঝুলে আছে চাকসুর নির্বাচিত সদস্যের শপথ

স্ট্রিম সংবাদদাতা
স্ট্রিম সংবাদদাতা
চট্টগ্রাম

প্রকাশ : ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ২২: ১৬
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু)

বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে শপথ নিতে পারেননি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) কার্যনির্বাহী সদস্য আকাশ দাস। ধর্ষণ নিয়ে আকাশের মন্তব্য ঘিরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হলে তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ওই কমিটি এখনো কাজ শুরু করতে পারেনি। এমন জটিলতায় নির্বাচনের এক মাস পার হলেও ঝুলে আছে চাকসুর এই কার্যনির্বাহী সদস্যের পদ।

গত ১৫ অক্টোবর দীর্ঘ ৩৪ বছর পর চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২৬টি পদের মধ্যে ২৪টিতেই ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা বিজয়ী হন। ২৩ অক্টোবর শপথ নেন নির্বাচিতরা।

শপথ অনুষ্ঠানের একদিন আগে ছাত্রশিবির প্যানেল থেকে নির্বাচিত চাকসুর কার্যনির্বাহী সদস্য দৃষ্টি প্রতিবন্ধী আকাশ দাসের একটি ফেসবুক পোস্ট ভাইরাল হয়। ওই পোস্টে তিনি বলেছিলেন, ‘ধর্ষণে মেয়েদেরও দোষ আছে।’

আকাশের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে সমালোচনার সৃষ্টি হয়। শিক্ষার্থীরা তাঁর শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভও করেন। চাকসুর নির্বাচিত অন্য সদস্যরাও আকাশের সঙ্গে শপথ গ্রহণে আপত্তি জানান। ফলে আকাশ দাস শপথ নেওয়া থেকে বিরত থাকেন। পাশাপাশি পোস্টের জন্য ক্ষমা প্রার্থনাও করেন।

বিতর্কিত ওই ফেসবুক পোস্টে আকাশ লিখেছিলেন, ‘সম্প্রতি বুয়েটের ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে। যে ছেলেটা ধর্ষণ করল, সবাই তার বিচার দাবি করছে। এটা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু আমি যতটুকু বুঝি, একতরফাভাবে কখনো কাউকে দায়ী করা যায় না। ছেলেটা যদি দোষী প্রমাণিত হয় তাহলে অবশ্যই তার শাস্তি আমি দাবি করছি। কিন্তু মেয়েটা যে নির্দোষ, এমনটাও তো নয়। বরং যে ধরনের ধর্ষণকাণ্ডগুলো ঘটে থাকে বেশিরভাগ মেয়েরাই ছেলেদের ফাঁসানোর জন্য ধর্ষণকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে। এখানেও এমনটা ঘটেছে কি না সেটিও তদন্তের আওতায় আনা উচিত বলে আমি মনে করি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আকাশ দাস স্ট্রিমকে বলেন, ‘আমি শুনেছি আমার বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন আছে। প্রক্টর অফিস থেকে বলা হয়েছে আমাকে ডাকবে। এখনও ডাকেনি।’

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী স্ট্রিমকে বলেন, ‘চাকসুর কার্যনির্বাহী সদস্য আকাশ দাসের বিরুদ্ধে আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে। আমরা অভিযোগটা হালকা করে না দেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলথ রেসিডেন্স অ্যান্ড ডিপ্লিনারি কমিটিতে পাঠিয়ে দিয়েছি। পরবর্তীতে ডিপ্লিনারি কমিটি সম্প্রতি অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করতে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রশাসন পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।’

তবে এখনো তদন্ত কমিটির বিষয়ে কোন চিঠি পাননি বলে জানিয়েছেন কমিটির আহ্বায়ক ও শাহজালাল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ফুয়াদ হাসান। তিনি স্ট্রিমকে বলেন, ‘আমি এখনও কোন চিঠি পাইনি। কমিটির কথা আপনার কাছেই প্রথম শুনলাম।’

Ad 300x250
সর্বাধিক পঠিত

সম্পর্কিত