বাগেরহাটের হরতাল-অবরোধের মধ্যে বিভিন্ন স্থানে ছেড়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে প্রতি ট্রাক থেকে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করেছে বলে অভিযোগ করেছেন চাকলকারা। যান চলাচল বন্ধের ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় ও পচনশীল পণ্যের সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
স্ট্রিম সংবাদদাতা
বাগেরহাটে জাতীয় সংসদীয় আসন চারটি বহালের দাবিতে শুরু হওয়া ৪৮ ঘণ্টার হরতাল দ্বিতীয় দিনেও সড়কে সব রকম যানবাহন চলাচল বন্ধ রেখেছিল আন্দোলনকারীরা। আজ বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন সড়কে আগুন জ্বালিয়ে, বেঞ্চ বসিয়ে এবং গাছের গুড়ি ফেলে অবরোধ সৃষ্টি করে বিএনপি-জামায়াতসহ সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতা-কর্মীরা।
এদিকে আগামী সোমবার থেকে (১৫ সেপ্টেম্বর) তিনদিনের সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক হরতালের ঘোষণা দিয়েছে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি। নতুন ঘোষণা অনুয়ায়ী, আগামী সোম, মঙ্গল ও বুধবার (১৫-১৭ সেপ্টেম্বর) হরতাল পালিত হবে। তার আগে আগামী রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত জেলার সব সরকারি দপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে তারা।
কমিটির দাবি অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার জেলার ৯টি উপজেলার অন্তত দুই শতাধিক স্থানে অবস্থান নিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীসহ স্থানীয়রা। এতে দেশের অন্যান্য জেলা থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বাগেরহাট। বিশেষ করে আন্তঃজেলা সড়ক যোগাযোগ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।
অবরোধ চলাকালে সকাল থেকেই বাগেরহাট কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড, দড়াটানা সেতুর দুই প্রান্ত, ফতেপুর বাজার, সিঅ্যান্ডবি বাজার, সাইনবোর্ড ও কাটাখালিসহ বিভিন্ন স্থানে পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি লক্ষ্য করা গেছে।
এদিকে ট্রাক চালকেরা অভিযোগ করেন, হরতাল-অবরোধের মধ্যে ছেড়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে প্রতি ট্রাক থেকে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করেছে আন্দোলনকারীরা। এতে তারা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, তেমনি ক্ষতির মুখে পড়ছেন ব্যবসায়ীরাও। বিশেষ করে নিত্যপ্রয়োজনীয় ও পচনশীল পণ্যের সরবরাহ ব্যাহত হওয়ায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
চাঁদার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে ভুক্তভোগী ট্রাকচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা মালামাল নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্ট আটকে থাকছি। তার ওপর আবার টাকা দিতে হচ্ছে। না দিলে গাড়ি ছাড়তে দিচ্ছে না।’
এদিকে সর্বাত্মক হারতালের দ্বিতীয় দিনেও বাগেরহাট থেকে ঢাকা, খুলনা চট্টগ্রামসহ দেশের সব দূরপাল্লা ও আন্তঃজেলা সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। বন্ধ ছিল দেশের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সমুদ্রবন্দর মোংলা থেকেও আমদানি-রপ্তানির পণ্য পরিবহন।
হরতালের সময় জেলার অধিকাংশ দোকানপাটও বন্ধ ছিল। এতে অচল হয়ে পড়েছে বাজার ব্যবস্থা। স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় এর মারাত্মক প্রভাব পড়ে। শহরের ব্যবসায়ী জুম্মান শেখ জানান, ‘দোকান বন্ধ রাখতে হচ্ছে, আবার মালামাল পরিবহন করা যাচ্ছে না। এতে প্রতিদিনই লোকসান গুনতে হচ্ছে।’
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির আহ্বায়ক এম এ সালাম স্ট্রিককে বলেন, ‘আমাদের এই আন্দোলন কোনো দলের নয়, এটি জনস্বার্থের আন্দোলন। আমাদের ন্যায্য দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য আমরা শেষ পর্যন্ত রাজপথে থাকব।’
এর আগে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চলতি বছরের ৩০ জুলাই বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি কমিয়ে তিনটি রাখার খসড়া প্রস্তাব দেয় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বিশেষ কারিগরি কমিটি। পরে ওই প্রস্তাবের ওপরই বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে ইসি।
ইসির গেজেড অনুযায়ী, ১৯৬৯ সাল থেকে চারটি সংসদীয় আসনে নির্বাচন হয়ে আসছে বাগেরহাটে। এবার ইসির চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী প্রতিটি আসনের অধীনে তিনটি করে উপজেলাকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। এরপর প্রতিবাদে আন্দোলন করছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীসহ স্থানীয় লোকজন।
বাগেরহাটে জাতীয় সংসদীয় আসন চারটি বহালের দাবিতে শুরু হওয়া ৪৮ ঘণ্টার হরতাল দ্বিতীয় দিনেও সড়কে সব রকম যানবাহন চলাচল বন্ধ রেখেছিল আন্দোলনকারীরা। আজ বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন সড়কে আগুন জ্বালিয়ে, বেঞ্চ বসিয়ে এবং গাছের গুড়ি ফেলে অবরোধ সৃষ্টি করে বিএনপি-জামায়াতসহ সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতা-কর্মীরা।
এদিকে আগামী সোমবার থেকে (১৫ সেপ্টেম্বর) তিনদিনের সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক হরতালের ঘোষণা দিয়েছে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি। নতুন ঘোষণা অনুয়ায়ী, আগামী সোম, মঙ্গল ও বুধবার (১৫-১৭ সেপ্টেম্বর) হরতাল পালিত হবে। তার আগে আগামী রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত জেলার সব সরকারি দপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে তারা।
কমিটির দাবি অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার জেলার ৯টি উপজেলার অন্তত দুই শতাধিক স্থানে অবস্থান নিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীসহ স্থানীয়রা। এতে দেশের অন্যান্য জেলা থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বাগেরহাট। বিশেষ করে আন্তঃজেলা সড়ক যোগাযোগ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।
অবরোধ চলাকালে সকাল থেকেই বাগেরহাট কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড, দড়াটানা সেতুর দুই প্রান্ত, ফতেপুর বাজার, সিঅ্যান্ডবি বাজার, সাইনবোর্ড ও কাটাখালিসহ বিভিন্ন স্থানে পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি লক্ষ্য করা গেছে।
এদিকে ট্রাক চালকেরা অভিযোগ করেন, হরতাল-অবরোধের মধ্যে ছেড়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে প্রতি ট্রাক থেকে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করেছে আন্দোলনকারীরা। এতে তারা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, তেমনি ক্ষতির মুখে পড়ছেন ব্যবসায়ীরাও। বিশেষ করে নিত্যপ্রয়োজনীয় ও পচনশীল পণ্যের সরবরাহ ব্যাহত হওয়ায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
চাঁদার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে ভুক্তভোগী ট্রাকচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা মালামাল নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্ট আটকে থাকছি। তার ওপর আবার টাকা দিতে হচ্ছে। না দিলে গাড়ি ছাড়তে দিচ্ছে না।’
এদিকে সর্বাত্মক হারতালের দ্বিতীয় দিনেও বাগেরহাট থেকে ঢাকা, খুলনা চট্টগ্রামসহ দেশের সব দূরপাল্লা ও আন্তঃজেলা সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। বন্ধ ছিল দেশের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সমুদ্রবন্দর মোংলা থেকেও আমদানি-রপ্তানির পণ্য পরিবহন।
হরতালের সময় জেলার অধিকাংশ দোকানপাটও বন্ধ ছিল। এতে অচল হয়ে পড়েছে বাজার ব্যবস্থা। স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় এর মারাত্মক প্রভাব পড়ে। শহরের ব্যবসায়ী জুম্মান শেখ জানান, ‘দোকান বন্ধ রাখতে হচ্ছে, আবার মালামাল পরিবহন করা যাচ্ছে না। এতে প্রতিদিনই লোকসান গুনতে হচ্ছে।’
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির আহ্বায়ক এম এ সালাম স্ট্রিককে বলেন, ‘আমাদের এই আন্দোলন কোনো দলের নয়, এটি জনস্বার্থের আন্দোলন। আমাদের ন্যায্য দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য আমরা শেষ পর্যন্ত রাজপথে থাকব।’
এর আগে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চলতি বছরের ৩০ জুলাই বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি কমিয়ে তিনটি রাখার খসড়া প্রস্তাব দেয় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বিশেষ কারিগরি কমিটি। পরে ওই প্রস্তাবের ওপরই বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে ইসি।
ইসির গেজেড অনুযায়ী, ১৯৬৯ সাল থেকে চারটি সংসদীয় আসনে নির্বাচন হয়ে আসছে বাগেরহাটে। এবার ইসির চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী প্রতিটি আসনের অধীনে তিনটি করে উপজেলাকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। এরপর প্রতিবাদে আন্দোলন করছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীসহ স্থানীয় লোকজন।
৪৮তম (বিশেষ) বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এতে সহকারী সার্জন পদে ২,৮২০ জন এবং সহকারী ডেন্টাল সার্জন পদে ৩০০ জনকে মনোনীত করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেপুলিশ যেন রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হয়ে তদন্ত পরিচালনা করতে পারে সেজন্য খুব শিগগিরই একটি স্বতন্ত্র তদন্ত বিভাগ চালু করতে যাচ্ছে সরকার। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে তেজগাঁও কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
৩ ঘণ্টা আগেরাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও সহিংস বিক্ষোভের মধ্যে নেপালে আটকে পড়া বাংলাদেশের জাতীয় ফুটবল দলসহ ৫৮ জন দেশে ফিরে এসেছেন। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এ তথ্য জানিয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেজাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্যসচিব আখতার হোসেনকে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ও বিশেষ ট্রাইব্যুনাল–১৫-এর বিচারক চার্জ গঠনের শুনানি শেষে এ রায় ঘোষণা করেন।
৩ ঘণ্টা আগে