leadT1ad

চবিতে ৩৬ বছর পর চাকসু নির্বাচন ১২ অক্টোবর

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত বহুল আকাঙ্ক্ষিত চাকসু নির্বাচন মাত্র ছয়বার হয়েছে। সর্বশেষ চাকসু নির্বাচন হয়েছিল ১৯৯০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি।

স্ট্রিম সংবাদদাতাচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশ : ২৮ আগস্ট ২০২৫, ২০: ০৪
চবিতে ৩৬ বছর পর চাকসু নির্বাচন ১২ অক্টোবর

দীর্ঘ ৩৬ বছরের অপেক্ষার পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগামী ১২ অক্টোবর হবে এই নির্বাচন।

বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন চাকসু নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে তফসিল ঘোষণা করেন।

তফসিল অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ সেপ্টেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। এই তালিকা নিয়ে কোনো আপত্তি থাকলে ২ থেকে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তা গ্রহণ করা হবে। পরে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে ১১ সেপ্টেম্বর।

এদিকে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হবে ১৪ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ১৭ সেপ্টেম্বর মনোনয়ন জমা শেষ হওয়ার পর যাচাই–বাছাই হবে ১৮ সেপ্টেম্বর।

চাকসু ভবন। সংগৃহীত ছবি
চাকসু ভবন। সংগৃহীত ছবি

২১ সেপ্টেম্বর প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা এবং ২৫ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হবে। এর মধ্যে প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে পারবেন ২৩ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। এ ছাড়া প্রার্থীদের বিষয়ে আপত্তি ও নিষ্পত্তির শেষ সময় ২৪ সেপ্টেম্বর।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন বলেন, ‘বহুল আকাঙ্ক্ষিত চাকসু নির্বাচন এ পর্যন্ত মাত্র ছয়বার হয়েছে। এর আগের তিনটি নির্বাচনে আমি সম্পৃক্ত ছিলাম। এবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছি। এর মাধ্যমে আমি ইতিহাসের অংশ হয়ে গেলাম।’

চাকসু নির্বাচন পরিচালনা কমিটির তত্ত্বাবধায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ–উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘চাকসু নির্বাচন ঘিরে ৩৬ বছরের অপেক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে। শিক্ষার্থী–শিক্ষক সবারই চাওয়া, একটি সুষ্ঠু চাকসু নির্বাচন। এ জন্য সবার সহযোগিতা দরকার। আমরা সবাই মিলে একটি ভালো নির্বাচন উপহার দিতে চাই।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ চাকসু নির্বাচন হয়েছিল ১৯৯০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি। এরপর ছাত্র সংগঠনগুলোর মুখোমুখি অবস্থান, সংঘর্ষ ও অনুকূল পরিবেশের অভাবে দীর্ঘ ৩৬ বছর নির্বাচন বন্ধ ছিল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকসু ভবনটিও বিভিন্ন সময় নানা কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। কখনো ক্যানটিন, কখনো কমিউনিটি সেন্টার চালু ছিল। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের সন্তানদের বিয়ের অনুষ্ঠানও হয়েছে সেখানে। এর ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা চলতি বছরের ১ জুলাই ভবনটির নামফলকে ব্যঙ্গাত্মক ব্যানার ঝুলিয়ে দেন, ‘জোবরা ভাতের হোটেল ও কমিউনিটি সেন্টার।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৬ সালে। বর্তমানে এখানে ৯টি অনুষদ, ৪৮টি বিভাগ ও ৬টি ইনস্টিটিউট রয়েছে। এতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৮ হাজার ৫১৫ জন।

Ad 300x250

প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের আন্দোলন কি দীর্ঘ হওয়ার পথে

দেশের সব ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’

সিজারের সময় পেটে এক ফুট গজ রেখেই সেলাই, সাত মাস পর অপসারণ

ডিপ্লোমা বনাম বিএসসি: প্রমোশন ও পদমর্যাদা নিয়ে উত্তাল প্রকৌশল খাত

ইসির ঘোষিত নির্বাচনী রোডম্যাপ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মিশ্র প্রতিক্রিয়া

সম্পর্কিত