leadT1ad

মনে হচ্ছিল আজকেই ছাত্রলীগের দফারফার শুরু: উপদেষ্টা মাহফুজ আলম

স্ট্রিম প্রতিবেদকঢাকা
প্রকাশ : ১৫ জুলাই ২০২৫, ১৩: ১৩
আপডেট : ১৫ জুলাই ২০২৫, ১৬: ৩৯
তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। ছবি: সংগৃহীত

তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম গতকাল (১৪ জুলাই) রাতে ২০২৪ এর জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে স্মৃতিচারণ করে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, ‘রাজুতে প্রোগ্রাম শুরু হল দুপুরে। বাসা থেকে রিক্সা করে ক্যাম্পাসে ঢোকার সময় দেখলাম বাসে করে টোকাই আনছে ছাত্রলীগ। মনে হচ্ছিল আজকেই ছাত্রলীগের দফারফার শুরু।’

মাহফুজ ‘১৪ জুলাই থেকে ১৫ ই জুলাই’ শিরোনাম দিয়ে তাঁর পোস্ট শুরু করেছেন এভাবে:

‘১৪ ই জুলাই রাতে স্বপ্ন বিল্ডিংয়ে মিটিং শেষে বাসায় ফেরার কিছুক্ষণ পর নাহিদ কল দিয়ে বলল, “ভাই, হল থেকে ছেলে-মেয়েরা নেমে গেছে। ক্যাম্পাসে আসেন। ক্যম্পাসে গেলাম। রাজুতে মিছিল হচ্ছে, মেয়েরা আসছে বিভিন্ন হল থেকে।”

রাজুতে দাঁড়িয়ে যতটুকু পারা যায় রাজাকার স্লোগানকে হাসিনা ও স্বৈরাচারবিরোধী স্লোগানে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টাই করা হয়েছে। রাজু থেকে মিছিল নিয়ে ভিসির (চত্বর) দিকে গেলাম। রাতে স্টে করার প্ল্যান ছিল। হলো না। অনেকেই সরাসরি কনফ্রন্টেশনে আগ্রহী ছিল না। রাত দুইটায় আমরা ক্যাম্পাস ছাড়লাম।

ছাত্রলীগ প্রোগ্রাম দিল দুপুর ২ টায়। আসিফ আর বাকের সবসময় ডুয়ার। তারা রাত চারটা পর্যন্ত জেগে ছিল পরের দিনের প্রোগ্রামের জন্য। রাত চারটায় আমি ১২ টায় প্রোগ্রাম রাখতে বললাম। (যারা আন্দোলনে বিএনপি জামাতের ষড়যন্ত্র দেখছিল তারা এ প্রোগ্রামে নাখোশ ছিল)। রাজুতে প্রোগ্রাম শুরু হলো দুপুরে। বাসা থেকে রিক্সা করে ক্যাম্পাসে ঢোকার সময় দেখলাম বাসে করে টোকাই আনছে ছাত্রলীগ। মনে হচ্ছিল আজকেই ছাত্রলীগের দফারফার শুরু।

বাকেরসহ অন্যরা বিজয় '৭১ এ আটকে পড়েছে শুনে মিছিল গেল হলপাড়ায়। সূর্যসেন এবং হলপাড়ায় বারবার সংঘর্ষ হলো। একবার প্ল্যান ছিল মারামারি করতে করতে মহসিন হলের দিকটা ক্লিয়ার করে বের হওয়া। কিন্তু, একজন মেয়ে সমন্বয়ক বোকামি করে এফবিএসের সামনে দিয়ে মিছিল নেওয়ার জন্য মাইক কেড়ে নিল। গত ৫ বছরের সব মিছিলের মতোই আমরা মিছিলের সামনে থেকে কম্যুনিকেট করতাম। আমরা মানা করলাম এফবিএসের রাস্তা না নিতে। কিন্তু, মিছিল পিজি হার্টগের মোড় ঘোরার আগেই মধুর ক্যান্টিনের দিক থেকে হেলমেটধারীরা হামলা করল। মেয়েরা আহত হলো। সবাই ছত্রভঙ্গ হয়ে গেল।

মল চত্তর দিয়ে সবাই বের হয়ে ভিসি চত্ত্বরে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলাম। পারলাম না। পরাজিত অপমানিত মনে হলো ফুলার রোড দিয়ে বের হতে হতে। সলিমুল্লাহ হলে অনেক ছেলেমেয়ে আটকা শুনে কল দিলাম সাংবাদিক সমিতির সভাপতি সাদীকে। ও সলিমুল্লাহ হলের আটকে পড়াদের বের করে আনল। আমি, বাকের, নাহিদ, আসিফ গেলাম বুয়েটের ক্যান্টিনে। ১৬ জুলাইয়ের প্রোগ্রাম নিয়ে পরিকল্পনা হলো।’

তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের পোস্ট। ফেসবুক থেকে নেওয়া
তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের পোস্ট। ফেসবুক থেকে নেওয়া

এখনো ঐক্যই দরকার

একই দিন মাহফুজ আলম আরও একটি পোস্ট দেন। সেই পোস্টে তিনি লেখেন:

‘এখনো ঐক্যই দরকার। হঠকারীদের স্পেইস দিলে বরং দেশের ক্ষতি হবে। বিরোধিতা আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা কোনোভাবেই বিদ্বেষ এবং শত্রুতায় নিয়ে ঠেকানো যাবে না। বড় শয়তান এখনো আমাদের কাঁধে শ্বাস ফেলছে।

তবে সবারই রেকনিং দরকার আছে।’

Ad 300x250

সম্পর্কিত