leadT1ad

আজ জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস

১২ বছরে সড়কে মৃত্যু ১ লাখ ১৬ হাজার ৭২৬ জনের

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

প্রকাশ : ২২ অক্টোবর ২০২৫, ১৮: ৫২
স্ট্রিম গ্রাফিক

দেশে ২০১৪ থেকে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১ লাখ ১৬ হাজার ৭২৬ জন। এসময়ে ১ লাখ ৬৫ হাজার ২১ জন আহত হয়েছেন।

গতকাল (২১ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ তথ্য উঠে তুলে ধরেন।

পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, এ বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট দুর্ঘটনা হয়েছে ৫ হাজার ১৭১টি। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৫ হাজার ৩২৩ জন। আহত হয়েছেন ১১ হাজার ৭৬৪ জন।

দেশে সড়ক দুর্ঘটনা যেন নিত্যদিনের ঘটনায় পরিণত হয়েছে—এই বাস্তবতার মধ্যেই আজ (২২ অক্টোবর) নবমবারের মতো পালিত হচ্ছে ‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস’। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য— ‘মানসম্মত হেলমেট ও নিরাপদ গতি, কমবে জীবন ও সম্পদের ক্ষতি’।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পরিসংখ্যান। স্ট্রিম গ্রাফিক
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পরিসংখ্যান। স্ট্রিম গ্রাফিক

বিশ্লেষকেরা বলছেন, রাজনৈতিক প্রভাব, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, সমন্বয়হীনতা ও জবাবদিহির অভাব থেকেই সড়ক পরিবহন খাতের এমন দুরবস্থা। এখানে সরকারি বিভিন্ন সংস্থা জড়িত থাকলেও তাদের মধ্যে নেই কোনো সমন্বয়। ফলে ভেঙে পড়ছে সড়ক ব্যবস্থাপনা। এমনভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে সড়কে দুর্ঘটনার ভয়াবহ চিত্র দেখতে পাবো আমরা।

এ প্রসঙ্গে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, স্বাধীনতার আগে মানুষের যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম ছিল নৌপথ এবং রেলপথ। ৮০ শতাংশ মানুষ এই দুই মাধ্যমে যাতায়াত করতেন। তখন সড়কে যাতায়াত করতেন মাত্র ২০ শতাংশ মানুষ। সড়ক দুর্ঘটনাও তুলনামূলকভাবে কম ছিল। স্বাধীনতার পর দাতা সংস্থার প্রেসক্রিপশনে একের পর এক সড়ক উন্নয়ন ও সংস্কারের নামে প্রচুর লুটপাট হয়েছে। একাধিক নতুন সড়ক নির্মাণ ও বহুমাত্রিক পরিবহন ব্যবস্থার অভাবের কারণে সড়কে মানুষের যাতায়াত ৮০ শতাংশে উঠেছে। ফলে দুর্ঘটনাও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

অন্যদিকে সড়কে লাইসেন্সবিহীন ও প্রশিক্ষণবিহীন চালকের হাতে যানবাহন তুলে দেওয়া, ফিটনেসবিহীন যানবাহনের চলাচল, অপ্রাপ্তবয়স্ক চালক, সড়কে ত্রুটি, চালকের মাদক গ্রহণ, বেপরোয়া গতি দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর সরকার পরিবর্তন হলেও সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএ ও ট্রাফিক বিভাগের নীতি ও কৌশল অপরিবর্তিত থাকায় দুর্ঘটনার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

সরকারি উদ্যোগে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ প্রতিটি বিভাগীয় শহরে ম্যাস ট্রানজিট ব্যবস্থা ও ডিজিটাল লেনদেনের ভিত্তিতে কমপক্ষে দুটি বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট লেন চালু করার পরামর্শ দেন তিনি।

Ad 300x250

সম্পর্কিত