leadT1ad

শাজাহান খানের মেয়ে ও নুরুন্নবী চৌধুরীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ১৭
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) লোগো। ছবি: সংগৃহীত

সম্পদ বিবরণী দাখিল না করা এবং প্রায় ৩ কোটি ৯১ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আওয়ামী লীগের সাবেক দুই সংসদ সদস্যের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাঁরা হলেন—মাদারীপুর-২ আসনের সাবেক এমপি শাজাহান খানের মেয়ে ঐশী খান এবং ভোলা-৩ আসনের সাবেক এমপি নুরুন্নবী চৌধুরীর স্ত্রী ফারজানা চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে দুদক আইন, ২০০৪-এর সংশ্লিষ্ট ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। অনুসন্ধান কর্মকর্তারা শিগগিরই বাদী হয়ে মামলাগুলো দায়ের করবেন।

ঐশী খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ

দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাদারীপুর-২ (সদর-রাজৈর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা শাজাহান খানের মেয়ে ঐশী খানের নামে ১ কোটি ৭১ লাখ ১৮ হাজার ৯২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

দুদক জানায়, ঐশী খানের মোট সম্পদের পরিমাণ পাওয়া গেছে ১ কোটি ৮১ লাখ ৭১ হাজার ৯০৪ টাকা। এর বিপরীতে তাঁর বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয়ের উৎস পাওয়া গেছে মাত্র ১০ লাখ ৫৩ হাজার ৮৯২ টাকা।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সম্পদের হিসাব চেয়ে ঐশী খানের ঠিকানায় নোটিশ পাঠানো হলে তিনি তা গ্রহণ করেননি। ফলে গত ১০ জুলাই নোটিশটি তাঁর বাড়িতে লটকিয়ে জারি করা হয়। এরপর তিনি সময় বাড়ানোর আবেদন করলে দুদক তাঁকে আরও ১৫ কার্যদিবস সময় দেয়। কিন্তু বর্ধিত সময়ের মধ্যেও তিনি সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে ব্যর্থ হন, যা দুদক আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

ফারজানা চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ

অন্যদিকে ভোলা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের স্ত্রী ফারজানা চৌধুরীর বিরুদ্ধে ২ কোটি ২০ লাখ ৬১ হাজার ৬৯৩ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনেছে দুদক।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, ফারজানা চৌধুরীর নামে ২ কোটি ৯৬ লাখ ২৮ হাজার ৫৬২ টাকার সম্পদ পাওয়া গেছে। পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয় বাদ দিয়ে তাঁর গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় ৭৫ লাখ ৬৬ হাজার ৮৬৯ টাকা।

আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদের বিষয়ে ব্যাখ্যার জন্য তাঁর ঠিকানায় নোটিশ পাঠানো হলেও কেউ তা গ্রহণ করেননি। পরে ২০ জুলাই নোটিশটি লটকিয়ে জারি করা হয়।

দুদক জানায়, ফারজানা চৌধুরী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো সম্পদ বিবরণী দাখিল করেননি এবং সময় বৃদ্ধির কোনো আবেদনও করেননি। ফলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Ad 300x250

সম্পর্কিত