বিআইপি সংবাদ সম্মেলন
রাজউকের অনুমোদন ছাড়াই নির্মিত ভবন, অনিরাপদ অবস্থানে শত শত শিশু–বিআইপি বলছে, উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণে চরম ব্যর্থতা।
স্ট্রিম প্রতিবেদক
রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়িতে অবস্থিত মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ঘিরে নতুন করে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছেন দেশের নগর পরিকল্পনাবিদেরা। যেখানে বলা হয়েছে, স্কুলটি বিমান চলাচলের অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ ‘এপ্রোচ লাইন’-এর মধ্যেই অবস্থিত। সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় হলো—এ ভবনের জন্য রাজউকের কোনো অনুমোদনই নেই।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি) রাজধানীর বাংলামোটরে তাদের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে একটি তাৎক্ষণিক অনুসন্ধান প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছে। এর আগে বাংলা স্ট্রিম ও ঢাকা স্ট্রিমে ‘মাইলস্টোনে কি নিয়মবহির্ভূতভাবে ভবন নির্মাণ করা হয়েছিল’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বিআইপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ তামজিদুল ইসলাম জানান, স্কুলটি নির্মিত হয়েছে এমন একটি অঞ্চলে, যেখানে প্রতিনিয়ত বেসামরিক ও সামরিক বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণ করে। যেকোনো সময় এ ধরনের স্থাপনায় দুর্ঘটনা ঘটার শঙ্কা থাকে। তিনি জানান, এটি কারিগরি দিক থেকে বৈধ মনে হলেও কার্যত একটি মারাত্মক অনিরাপদ স্থাপনা।
গত ২১ জুলাই একটি সামরিক প্রশিক্ষণ বিমান মাইলস্টোন স্কুলের পাশেই বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত ৩৫ জনের মৃত্যু হয়, আহত হন আরও দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী ও শিক্ষক। ওই মুহূর্তের বিভীষিকা নাড়া দিয়েছে পুরো জাতিকে। ওই দুর্ঘটনার পরপরই বিআইপি জরুরি ভিত্তিতে অনুসন্ধানে নামে। তাদের মতে, এ দুর্ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়–এটি পরিকল্পনাহীন নগরায়ণেরই ফল।
সংবাদ সম্মেলনে বিআইপির সভাপতি পরিকল্পনাবিদ আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ‘এটা শুধু একটা প্রতিষ্ঠান বা মালিকের দায় নয়, এটি রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা। রাজউক, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক), শিক্ষা মন্ত্রণালয়–সবাই তাদের দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে’।
আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ১৯৯৫ সালের ঢাকা মহানগর উন্নয়ন পরিকল্পনায় (ডিএমডিপি) স্কুলটির বর্তমান এলাকাটি ‘জলাশয়’ হিসেবে চিহ্নিত ছিল। সেটি ভরাট করে ভবন নির্মাণ করা হয়, যার বড় অংশ রাজউকের অনুমোদন ছাড়াই হয়েছে। যে ভবনে বিমান আঘাত হেনেছে, তার অনুমোদনের কোনো তথ্য রাজউকের কাছে নেই বলেও জানায় বিআইপি।
পরিকল্পনাবিদ তামজিদুল ইসলাম বলেন, আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী কোনো বিমানবন্দর শহরের বাইরে থাকে এবং তার চারপাশে নির্ধারিত নিরাপত্তা বলয় থাকে। বাংলাদেশের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটির উড্ডয়ন-অবতরণের রুটেই এখন আবাসিক এলাকা, মসজিদ, বাজার, এমনকি স্কুল-কলেজও রয়েছে।
তামজিদুল ইসলাম আরও বলেন, ‘ঢাকার বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় (ড্যাপ) ভবনের উচ্চতা সীমাবদ্ধতা থাকলেও, জমির ব্যবহার নিয়ে কোনো নির্দেশনা নেই। তাই স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা কিংবা বাজার–সবই গড়ে উঠেছে এই ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায়।’
বিআইপির সহসভাপতি সৈয়দ শাহরিয়ার আমিন বলেন, ‘অ্যাপ্রোচ লাইনে এমন জনবহুল এলাকায় প্রশিক্ষণ বিমান ওড়ানো নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। ভবন শুধু অনুমতি ছাড়া নির্মাণই হয়নি, এখানেও ভুল হয়েছে পরিকল্পনায়।’
সংবাদ সম্মেলনে বিআইপির সাধারণ সম্পাদক শেখ মুহম্মদ মেহেদী আহসান বলেন, ‘এই ঘটনায় দায় আছে শুধু ভবন নির্মাতার নয়, বরং রাজউক, বেবিচক, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশন—যাঁরা অনুমতি দিয়েছেন বা নীরব থেকেছেন–তাঁদের প্রত্যেকের। এখন সময় এসেছে, এই দায়ভার নির্দিষ্ট করে শাস্তি নিশ্চিত করার।’
বিআইপি বলছে, শুধু তদন্ত নয়, এখন জরুরি ‘কৌশলগত পুনর্বাসন পরিকল্পনা’ গ্রহণ করতে হবে। অ্যাপ্রোচ লাইনের ভেতরে থাকা স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ, বাজারসহ গণজমায়েত হয় এমন সব স্থাপনা ধাপে ধাপে সরিয়ে নিতে হবে। উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে আরও শক্তিশালী ও জবাবদিহিমূলক কাঠামো তৈরি করতে হবে।
রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়িতে অবস্থিত মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ঘিরে নতুন করে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছেন দেশের নগর পরিকল্পনাবিদেরা। যেখানে বলা হয়েছে, স্কুলটি বিমান চলাচলের অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ ‘এপ্রোচ লাইন’-এর মধ্যেই অবস্থিত। সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় হলো—এ ভবনের জন্য রাজউকের কোনো অনুমোদনই নেই।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি) রাজধানীর বাংলামোটরে তাদের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে একটি তাৎক্ষণিক অনুসন্ধান প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছে। এর আগে বাংলা স্ট্রিম ও ঢাকা স্ট্রিমে ‘মাইলস্টোনে কি নিয়মবহির্ভূতভাবে ভবন নির্মাণ করা হয়েছিল’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বিআইপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ তামজিদুল ইসলাম জানান, স্কুলটি নির্মিত হয়েছে এমন একটি অঞ্চলে, যেখানে প্রতিনিয়ত বেসামরিক ও সামরিক বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণ করে। যেকোনো সময় এ ধরনের স্থাপনায় দুর্ঘটনা ঘটার শঙ্কা থাকে। তিনি জানান, এটি কারিগরি দিক থেকে বৈধ মনে হলেও কার্যত একটি মারাত্মক অনিরাপদ স্থাপনা।
গত ২১ জুলাই একটি সামরিক প্রশিক্ষণ বিমান মাইলস্টোন স্কুলের পাশেই বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত ৩৫ জনের মৃত্যু হয়, আহত হন আরও দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী ও শিক্ষক। ওই মুহূর্তের বিভীষিকা নাড়া দিয়েছে পুরো জাতিকে। ওই দুর্ঘটনার পরপরই বিআইপি জরুরি ভিত্তিতে অনুসন্ধানে নামে। তাদের মতে, এ দুর্ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়–এটি পরিকল্পনাহীন নগরায়ণেরই ফল।
সংবাদ সম্মেলনে বিআইপির সভাপতি পরিকল্পনাবিদ আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ‘এটা শুধু একটা প্রতিষ্ঠান বা মালিকের দায় নয়, এটি রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা। রাজউক, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক), শিক্ষা মন্ত্রণালয়–সবাই তাদের দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে’।
আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ১৯৯৫ সালের ঢাকা মহানগর উন্নয়ন পরিকল্পনায় (ডিএমডিপি) স্কুলটির বর্তমান এলাকাটি ‘জলাশয়’ হিসেবে চিহ্নিত ছিল। সেটি ভরাট করে ভবন নির্মাণ করা হয়, যার বড় অংশ রাজউকের অনুমোদন ছাড়াই হয়েছে। যে ভবনে বিমান আঘাত হেনেছে, তার অনুমোদনের কোনো তথ্য রাজউকের কাছে নেই বলেও জানায় বিআইপি।
পরিকল্পনাবিদ তামজিদুল ইসলাম বলেন, আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী কোনো বিমানবন্দর শহরের বাইরে থাকে এবং তার চারপাশে নির্ধারিত নিরাপত্তা বলয় থাকে। বাংলাদেশের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটির উড্ডয়ন-অবতরণের রুটেই এখন আবাসিক এলাকা, মসজিদ, বাজার, এমনকি স্কুল-কলেজও রয়েছে।
তামজিদুল ইসলাম আরও বলেন, ‘ঢাকার বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় (ড্যাপ) ভবনের উচ্চতা সীমাবদ্ধতা থাকলেও, জমির ব্যবহার নিয়ে কোনো নির্দেশনা নেই। তাই স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা কিংবা বাজার–সবই গড়ে উঠেছে এই ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায়।’
বিআইপির সহসভাপতি সৈয়দ শাহরিয়ার আমিন বলেন, ‘অ্যাপ্রোচ লাইনে এমন জনবহুল এলাকায় প্রশিক্ষণ বিমান ওড়ানো নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। ভবন শুধু অনুমতি ছাড়া নির্মাণই হয়নি, এখানেও ভুল হয়েছে পরিকল্পনায়।’
সংবাদ সম্মেলনে বিআইপির সাধারণ সম্পাদক শেখ মুহম্মদ মেহেদী আহসান বলেন, ‘এই ঘটনায় দায় আছে শুধু ভবন নির্মাতার নয়, বরং রাজউক, বেবিচক, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশন—যাঁরা অনুমতি দিয়েছেন বা নীরব থেকেছেন–তাঁদের প্রত্যেকের। এখন সময় এসেছে, এই দায়ভার নির্দিষ্ট করে শাস্তি নিশ্চিত করার।’
বিআইপি বলছে, শুধু তদন্ত নয়, এখন জরুরি ‘কৌশলগত পুনর্বাসন পরিকল্পনা’ গ্রহণ করতে হবে। অ্যাপ্রোচ লাইনের ভেতরে থাকা স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ, বাজারসহ গণজমায়েত হয় এমন সব স্থাপনা ধাপে ধাপে সরিয়ে নিতে হবে। উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে আরও শক্তিশালী ও জবাবদিহিমূলক কাঠামো তৈরি করতে হবে।
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির সমাবেশকে কেন্দ্র করে ১৬ জুলাই স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সশস্ত্র বাহিনীর সংঘর্ষে নিহত পাঁচ ব্যক্তির ওপর থেকে মানুষের মনোযোগ ধীরে ধীরে সরে গেছে।
৪ ঘণ্টা আগেআগামী চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচনের নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করতে পারেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শনিবার (২৬ জুলাই) এমন তথ্যই জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার।
৫ ঘণ্টা আগেদেশ গড়ার লক্ষ্যে তৈরি হওয়া ইসলামি শক্তির ঐক্যের বিরুদ্ধে একটি গোষ্ঠী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম।
৫ ঘণ্টা আগেবৈঠক শেষে হেফাজতে ইসলামের কিছু নেতার সঙ্গেও প্রধান উপদেষ্টার আলোচনায় বসার কথা রয়েছে বলে জানান সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ।
৬ ঘণ্টা আগে