বাঁকখালী নদীর সীমানায় থাকা সব দখলদারের তালিকা তৈরি করে চার মাসের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে চলতি বছরের ২৪ আগস্ট সরকারকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পরে ৩০ আগস্ট নৌপরিবহন ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন কক্সবাজার সফরে নদীর দখলদারদের তালিকা তৈরি ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।
স্ট্রিম সংবাদদাতা
কক্সবাজারের বাঁকখালী নদীতে অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযানে গিয়ে স্থানীয়দের হামলার শিকার হয়েছে প্রশাসনোর লোকজন। এ সময় বিক্ষুব্ধ লোকজনের ছোড়া ইট-পাটকেলের আহত হয়েছেন পুলিশের এক সদস্য। পরে ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে শহরের কস্তরাঘাট এলাকায় বাঁকখালী নদীর মোহনায় উচ্ছেদ অভিযানের দ্বিতীয় দিনে এই ঘটনা ঘটে। সকালে অভিযান শুরুর সময় স্থানীয়দের বাঁধার মুখে পড়ে জেলা প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটিএ যৌথভাবে পরিচালিত উচ্ছেদ কার্যক্রম।
এ সময় বিক্ষুব্ধরা ‘বদরমোকামস্থ উকিলপাড়া সমাজের সর্বস্তরের জনসাধারণ’ ব্যানারে উচ্ছেদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়। এক পর্যায়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে তারা। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণ করে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। কিছুক্ষণের মধ্যে এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আবারও উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করে প্রশাসন। দুপুর ১২টার দিকে এই প্রতিবেদন লেখার সময়ও উচ্ছেদ অভিযান চলছিল। স্থানীয় ব্যবসায়ী আতিকউল্লাহ ওরফে সিআইপি আতিকের দখল করা জায়গার স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা এক নারী বিক্ষোভের সময় সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, তাঁদের কেনা জমি নদী উদ্ধারের নামে জবর দখল করা হচ্ছে।
এক পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘বাঁকখালী উচ্ছেদ অভিযানে এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন, তিনি মাথায় আঘাত পেয়েছেন। হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে।’
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ২৪ আগস্ট বাঁকখালী নদীর সীমানায় থাকা সব দখলদারের তালিকা তৈরি করে চার মাসের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে সরকারকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এর এক সপ্তাহ পর ৩০ আগস্ট নৌপরিবহন ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন কক্সবাজার সফরে আসেন। তিনি এক সমন্বয় সভায় হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী বাঁকখালী নদীর দখলদারদের তালিকা তৈরি ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘উচ্চ আদালতের নির্দেশে বাঁকখালী নদী দখলমুক্ত করার জন্য এই অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পর নির্ধারিত করা হবে নদীর সীমানা।’
বিআইডব্লিউটিএ বলছে, ২০১০ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাঁকখালী নদী তীরের ৭২১ একর জমিকে নদী বন্দর ঘোষণা করে সরকার। জেলা প্রশাসনকে এই জমি বিআইডব্লিউটিএকে বুঝিয়ে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। এ সব জায়গার মধ্যে কমপক্ষে ৩০০ একর জায়গায় অবৈধ স্থাপনা রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. খায়রুজ্জামান বলেন, ‘নদীর স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে আমরা সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছি।’
খায়রুজ্জামান বলেন, অভিযানের প্রথম দিনে সোমবার ৫ একরের বেশি জায়গা থেকে দুই শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই অভিযান চলবে এবং আনুমানিক দুই হাজার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে বলে তিনি জানান।
কক্সবাজারের বাঁকখালী নদীতে অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযানে গিয়ে স্থানীয়দের হামলার শিকার হয়েছে প্রশাসনোর লোকজন। এ সময় বিক্ষুব্ধ লোকজনের ছোড়া ইট-পাটকেলের আহত হয়েছেন পুলিশের এক সদস্য। পরে ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে শহরের কস্তরাঘাট এলাকায় বাঁকখালী নদীর মোহনায় উচ্ছেদ অভিযানের দ্বিতীয় দিনে এই ঘটনা ঘটে। সকালে অভিযান শুরুর সময় স্থানীয়দের বাঁধার মুখে পড়ে জেলা প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটিএ যৌথভাবে পরিচালিত উচ্ছেদ কার্যক্রম।
এ সময় বিক্ষুব্ধরা ‘বদরমোকামস্থ উকিলপাড়া সমাজের সর্বস্তরের জনসাধারণ’ ব্যানারে উচ্ছেদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়। এক পর্যায়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে তারা। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণ করে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। কিছুক্ষণের মধ্যে এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আবারও উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করে প্রশাসন। দুপুর ১২টার দিকে এই প্রতিবেদন লেখার সময়ও উচ্ছেদ অভিযান চলছিল। স্থানীয় ব্যবসায়ী আতিকউল্লাহ ওরফে সিআইপি আতিকের দখল করা জায়গার স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা এক নারী বিক্ষোভের সময় সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, তাঁদের কেনা জমি নদী উদ্ধারের নামে জবর দখল করা হচ্ছে।
এক পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘বাঁকখালী উচ্ছেদ অভিযানে এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন, তিনি মাথায় আঘাত পেয়েছেন। হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে।’
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ২৪ আগস্ট বাঁকখালী নদীর সীমানায় থাকা সব দখলদারের তালিকা তৈরি করে চার মাসের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে সরকারকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এর এক সপ্তাহ পর ৩০ আগস্ট নৌপরিবহন ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন কক্সবাজার সফরে আসেন। তিনি এক সমন্বয় সভায় হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী বাঁকখালী নদীর দখলদারদের তালিকা তৈরি ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘উচ্চ আদালতের নির্দেশে বাঁকখালী নদী দখলমুক্ত করার জন্য এই অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পর নির্ধারিত করা হবে নদীর সীমানা।’
বিআইডব্লিউটিএ বলছে, ২০১০ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাঁকখালী নদী তীরের ৭২১ একর জমিকে নদী বন্দর ঘোষণা করে সরকার। জেলা প্রশাসনকে এই জমি বিআইডব্লিউটিএকে বুঝিয়ে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। এ সব জায়গার মধ্যে কমপক্ষে ৩০০ একর জায়গায় অবৈধ স্থাপনা রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. খায়রুজ্জামান বলেন, ‘নদীর স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে আমরা সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছি।’
খায়রুজ্জামান বলেন, অভিযানের প্রথম দিনে সোমবার ৫ একরের বেশি জায়গা থেকে দুই শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই অভিযান চলবে এবং আনুমানিক দুই হাজার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে বলে তিনি জানান।
তবে এ উদ্যোগের আড়ালে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর সরকার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল বলে সমালোচকরা মনে করেন।
৪২ মিনিট আগেপররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের বাংলাদেশে ফিরে আসা তাঁর নিজস্ব সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে। তবে, প্রয়োজনে তাঁর ভ্রমণ নথি বা পাসপোর্ট সম্পর্কিত বিষয়গুলো সমাধান করবে সরকার।
১ ঘণ্টা আগেগোলাম রব্বানী বলেন, ‘পেজগুলোর মাধ্যমে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘিত হচ্ছে সবচেয়ে বেশি।’
১ ঘণ্টা আগেতবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈধ পরিচয়পত্রধারী শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবেন। শিক্ষক-কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যরা তাঁদের পরিচয়পত্রের ফটোকপি দেখিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন।
২ ঘণ্টা আগে