leadT1ad

ডাকসু নির্বাচন ছিল জাতীয় নির্বাচনের বড় টেস্ট কেস: প্রেস সচিব

স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা
প্রকাশ : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭: ২৩
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। সংগৃহীত ছবি

জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেমন হতে পারে, তার একটি বড় পূর্বাভাস বা ‘টেস্ট কেস’ ছিল ডাকসু নির্বাচন—এমন মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম ‘নাগরিক কোয়ালিশন’ আয়োজিত ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রত্যাশা ও চ্যালেঞ্জ: সফল নির্বাচন আয়োজনে সরকার, রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। সভায় রাজনৈতিক দলের নেতা, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও বিশিষ্টজনেরা অংশ নেন।

ডাকসু নির্বাচন প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, ‘এই পরীক্ষায় রাজনৈতিক দল, সুধী সমাজ এবং শিক্ষার্থীরা ইতিবাচকভাবে উত্তীর্ণ হয়েছেন। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলাজনিত কোনো ঘটনা ঘটেনি।’

আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সরকার প্রায় প্রতিদিনই বৈঠক করছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, 'প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস একাধিকবার স্পষ্ট করেছেন—নির্বাচন নির্ধারিত সময় ফেব্রুয়ারিতেই অনুষ্ঠিত হবে। এ সময় সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় আট লাখ সদস্য মাঠে দায়িত্ব পালন করবেন। তবে নির্বাচনকে সত্যিকার অর্থে গ্রহণযোগ্য করতে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের আন্তরিকতা অপরিহার্য। আর জনগণ যদি বানের স্রোতের মতো ভোটকেন্দ্রে ছুটে আসে, তবে কোনো শক্তিই সেই নির্বাচনের বৈধতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারবে না।'

শফিকুল আলম আরও বলেন, ‘অনেকে বলছেন, সরকার কিছুই করেনি। কিন্তু এসব বলা হচ্ছে আবেগ থেকে বা প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ার কষ্ট থেকে। সরকারের সাফল্য ও ব্যর্থতা বিচার করতে হলে তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে বিশ্লেষণ করতে হবে। বিপ্লব-পরবর্তী সময়ে বহু দেশে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে, কিন্তু বাংলাদেশে তা ঘটেনি। এটিই বর্তমান সরকারের সবচেয়ে বড় সাফল্য।’

ইউটিউবে মিথ্যা তথ্য প্রচার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, ‘ইউটিউবে যা ঘটছে, তা একেবারেই ভয়াবহ। নতুন প্রজন্ম এখন নিয়মিতভাবে প্রচলিত সংবাদমাধ্যম থেকে তথ্য নেয় না, বরং ইউটিউবকেই ভরসা করছে। সেখানে অনেকেই নিয়মিতভাবে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছেন। বিশ্বের কোনো সরকারই এ ধরনের পরিস্থিতি মেনে নেয় না। কিন্তু এ বিষয়ে কথা বলতে গেলেই বলা হয়—অন্তর্বর্তী সরকার নাকি মুক্ত গণমাধ্যমে বিশ্বাসী নয়।’

Ad 300x250

সম্পর্কিত