স্ট্রিম ডেস্ক
‘জুলাই একটি মানি মেকিং মেশিনে পরিণত হয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমা।
গতকাল (২৭ জুলাই) ফেসবুক লাইভে এ কথা বলেন উমামা। সেখানে তিনি দায়িত্বহীনতা, রাজনৈতিক প্লাটফর্মকে ব্যবহার করার অভিযোগগুলো খণ্ডন করেন। বৈষম্যবিরোধী প্লাটফর্ম ছেড়ে দেওয়ার কারণ নিয়েও কথা বলেন।
বৈষম্যবিরোধীর নিষ্ক্রিয়তার পিছনে সাংগঠনিক দুর্বলতা এবং একটি কোরামের আধিপত্যকে দায়ী করেছেন উমামা ফাতেমা।
উমামা বলেন, ‘ছাত্রলীগের টক্সিসিটিগুলোও মেনে নেওয়া যায়, কিন্তু যাঁরা জুলাই সহযোদ্ধা, তাঁদের এই পরিবর্তন অনাকাঙ্ক্ষিত এবং দুঃখজনক।’
উমামা দাবি করেছেন, ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে ‘সমন্বয়ক’ পরিচয় কিছুটা ১৯৭১-পরবর্তী সময়ে গঠিত রক্ষীবাহিনীর মতো কর্মকাণ্ড করেছে। অস্ত্র ব্যবহার না করলেও তাদের কার্যক্রম এমনই ছিল। তাঁরা পরিচয় ব্যবহার করে বিভিন্ন জায়গা দখলদারি করতে থাকে।
উমামা আরও বলেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে তিনি সমন্বয়কদের সঙ্গে পর্যাপ্ত যোগাযোগ করতে পারেননি। তবে ছাত্র ফেডারেশন থেকে পদত্যাগ করার পরপরই তাঁর সঙ্গে সমন্বয়কেরা আবার যোগাযোগ শুরু করে। তাঁকে কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় এবং প্রচারণা চালানো হয়।
উমামা জানান, আগস্টের মাঝামঝি সময় থেকে তাঁকে অন্য সমন্বয়কেরা এড়িয়ে চলতেন। কারণ, তিনি বৈষম্যবিরোধী প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে দিতে বলেছিলেন। তিনি বলেন, আন্দোলনের শেষের দিকে সমন্বয়কদের কার্যকারিতা কমে গিয়েছিল। কারণ, মানুষ স্বতন্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলছিল বিভিন্ন জায়গায়। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বলায় অন্যান্য নেতারা তাঁর প্রতি রুষ্ট হন।
বৈষম্যবিরোধীর আহ্বায়ক কমিটি গঠন করার আগে তাঁর সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি। বরং তাঁকে জানানো হয়েছিল, তাঁকে নিয়ে ভাবা হচ্ছে। পরে সিনিয়র নেতারা তাঁকে ডাকসু নির্বাচনের এজিএস অথবা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মুখপাত্র–দুটি পদের মধ্যে একটি বেছে নিতে বলেন। পরে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্যও শর্ত দেওয়া হয় তাঁকে।
উমামা জুলাই আহতদের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে কাজ করার জন্য এই প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হন। কিন্তু রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ব্যাপারে কোনো নিশ্চয়তা দেননি।
উমামা আরও বলেন, দায়িত্বে থাকাকালীন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ক্ষমতার অপব্যবহারের অনেক নমুনা তিনি দেখেছেন কিন্তু সমাধান করতে গিয়ে দেখেছেন অপরাধীদের শিকড় অনেক গভীরে। চট্টগ্রামে চাঁদাবাজি নিয়ে তিনি বলেন, চট্টগ্রামের সংবাদ অনেক আগেই তাঁর কাছে এসেছে কিন্তু তিনি কিছু করতে পারেননি।
উমামার কাছে জুলাই একটি বড় অভিজ্ঞতা। তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী প্লাটফর্মে আসার পরে বুঝতে পারেন, জুলাই বেচে টেন্ডার-বাণিজ্য করা যায়, ডিসি নিয়োগ করা যায়।
উমামা আরও দাবি করেন, ‘জুলাই একটি মানি মেকিং মেশিনে পরিণত হয়েছে এবং উমামা ফাতেমা বিক্রিযোগ্য না। বহু জুলাই আসবে, জীবনের আরও বহু অলিগলি হাঁটা বাকি। বাংলাদেশ অনেক কঠিন রাজনৈতিক বাস্তবতার মধ্যে এসে পৌঁছিয়েছে।’
‘জুলাই একটি মানি মেকিং মেশিনে পরিণত হয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমা।
গতকাল (২৭ জুলাই) ফেসবুক লাইভে এ কথা বলেন উমামা। সেখানে তিনি দায়িত্বহীনতা, রাজনৈতিক প্লাটফর্মকে ব্যবহার করার অভিযোগগুলো খণ্ডন করেন। বৈষম্যবিরোধী প্লাটফর্ম ছেড়ে দেওয়ার কারণ নিয়েও কথা বলেন।
বৈষম্যবিরোধীর নিষ্ক্রিয়তার পিছনে সাংগঠনিক দুর্বলতা এবং একটি কোরামের আধিপত্যকে দায়ী করেছেন উমামা ফাতেমা।
উমামা বলেন, ‘ছাত্রলীগের টক্সিসিটিগুলোও মেনে নেওয়া যায়, কিন্তু যাঁরা জুলাই সহযোদ্ধা, তাঁদের এই পরিবর্তন অনাকাঙ্ক্ষিত এবং দুঃখজনক।’
উমামা দাবি করেছেন, ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে ‘সমন্বয়ক’ পরিচয় কিছুটা ১৯৭১-পরবর্তী সময়ে গঠিত রক্ষীবাহিনীর মতো কর্মকাণ্ড করেছে। অস্ত্র ব্যবহার না করলেও তাদের কার্যক্রম এমনই ছিল। তাঁরা পরিচয় ব্যবহার করে বিভিন্ন জায়গা দখলদারি করতে থাকে।
উমামা আরও বলেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে তিনি সমন্বয়কদের সঙ্গে পর্যাপ্ত যোগাযোগ করতে পারেননি। তবে ছাত্র ফেডারেশন থেকে পদত্যাগ করার পরপরই তাঁর সঙ্গে সমন্বয়কেরা আবার যোগাযোগ শুরু করে। তাঁকে কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় এবং প্রচারণা চালানো হয়।
উমামা জানান, আগস্টের মাঝামঝি সময় থেকে তাঁকে অন্য সমন্বয়কেরা এড়িয়ে চলতেন। কারণ, তিনি বৈষম্যবিরোধী প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে দিতে বলেছিলেন। তিনি বলেন, আন্দোলনের শেষের দিকে সমন্বয়কদের কার্যকারিতা কমে গিয়েছিল। কারণ, মানুষ স্বতন্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলছিল বিভিন্ন জায়গায়। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বলায় অন্যান্য নেতারা তাঁর প্রতি রুষ্ট হন।
বৈষম্যবিরোধীর আহ্বায়ক কমিটি গঠন করার আগে তাঁর সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি। বরং তাঁকে জানানো হয়েছিল, তাঁকে নিয়ে ভাবা হচ্ছে। পরে সিনিয়র নেতারা তাঁকে ডাকসু নির্বাচনের এজিএস অথবা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মুখপাত্র–দুটি পদের মধ্যে একটি বেছে নিতে বলেন। পরে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্যও শর্ত দেওয়া হয় তাঁকে।
উমামা জুলাই আহতদের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে কাজ করার জন্য এই প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হন। কিন্তু রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ব্যাপারে কোনো নিশ্চয়তা দেননি।
উমামা আরও বলেন, দায়িত্বে থাকাকালীন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ক্ষমতার অপব্যবহারের অনেক নমুনা তিনি দেখেছেন কিন্তু সমাধান করতে গিয়ে দেখেছেন অপরাধীদের শিকড় অনেক গভীরে। চট্টগ্রামে চাঁদাবাজি নিয়ে তিনি বলেন, চট্টগ্রামের সংবাদ অনেক আগেই তাঁর কাছে এসেছে কিন্তু তিনি কিছু করতে পারেননি।
উমামার কাছে জুলাই একটি বড় অভিজ্ঞতা। তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী প্লাটফর্মে আসার পরে বুঝতে পারেন, জুলাই বেচে টেন্ডার-বাণিজ্য করা যায়, ডিসি নিয়োগ করা যায়।
উমামা আরও দাবি করেন, ‘জুলাই একটি মানি মেকিং মেশিনে পরিণত হয়েছে এবং উমামা ফাতেমা বিক্রিযোগ্য না। বহু জুলাই আসবে, জীবনের আরও বহু অলিগলি হাঁটা বাকি। বাংলাদেশ অনেক কঠিন রাজনৈতিক বাস্তবতার মধ্যে এসে পৌঁছিয়েছে।’
‘জুলাই সনদ’ নিয়ে কয়েকবার আলাপ হলেও রাজনৈতিক আদর্শিক কিছু বক্তব্য নিয়ে (রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে) এখনো ঐকমত্য নিশ্চিত হয়নি বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। আজ মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি এসব কথা লেখেন।
১ ঘণ্টা আগেহাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আগে নিজের ঘরে শুদ্ধ অভিযান চালাতে হবে। আমার দরকার নেই এ রকম তেলবাজ-সেলফিবাজদের।’
১৪ ঘণ্টা আগেলালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশন ইয়ার্ডের পাশে কমিউটার ট্রেনের ধাক্কায় আন্তনগর ‘লালমনি এক্সপ্রেস’ ট্রেনের দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগে২০৩৫ সালের মধ্যে ঢাকায় বসবাস করা মানুষের সংখ্যা হবে ২ দশমিক ৫ কোটি। ঢাকায় বর্তমানে গাছপালা আছে ১১ দশমিক ৬ শতাংশ, জলাশয় ৪ থেকে ৫ শতাংশ, আর তাপমাত্রা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। ঢাকার প্রকৃতি প্রায় ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।
১৬ ঘণ্টা আগে