leadT1ad

এক বছরেই বিলুপ্তির মুখে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন: নেপথ্যে সাংগঠনিক দুর্বলতা ও কোরাম

স্ট্রিম ডেস্ক
প্রকাশ : ২৮ জুলাই ২০২৫, ২০: ৪৩
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। ফেসবুক থেকে নেওয়া

‘জুলাই একটি মানি মেকিং মেশিনে পরিণত হয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমা।

গতকাল (২৭ জুলাই) ফেসবুক লাইভে এ কথা বলেন উমামা। সেখানে তিনি দায়িত্বহীনতা, রাজনৈতিক প্লাটফর্মকে ব্যবহার করার অভিযোগগুলো খণ্ডন করেন। বৈষম্যবিরোধী প্লাটফর্ম ছেড়ে দেওয়ার কারণ নিয়েও কথা বলেন।

বৈষম্যবিরোধীর নিষ্ক্রিয়তার পিছনে সাংগঠনিক দুর্বলতা এবং একটি কোরামের আধিপত্যকে দায়ী করেছেন উমামা ফাতেমা।

উমামা বলেন, ‘ছাত্রলীগের টক্সিসিটিগুলোও মেনে নেওয়া যায়, কিন্তু যাঁরা জুলাই সহযোদ্ধা, তাঁদের এই পরিবর্তন অনাকাঙ্ক্ষিত এবং দুঃখজনক।’

উমামা দাবি করেছেন, ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে ‘সমন্বয়ক’ পরিচয় কিছুটা ১৯৭১-পরবর্তী সময়ে গঠিত রক্ষীবাহিনীর মতো কর্মকাণ্ড করেছে। অস্ত্র ব্যবহার না করলেও তাদের কার্যক্রম এমনই ছিল। তাঁরা পরিচয় ব্যবহার করে বিভিন্ন জায়গা দখলদারি করতে থাকে।

উমামা আরও বলেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে তিনি সমন্বয়কদের সঙ্গে পর্যাপ্ত যোগাযোগ করতে পারেননি। তবে ছাত্র ফেডারেশন থেকে পদত্যাগ করার পরপরই তাঁর সঙ্গে সমন্বয়কেরা আবার যোগাযোগ শুরু করে। তাঁকে কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় এবং প্রচারণা চালানো হয়।

উমামা জানান, আগস্টের মাঝামঝি সময় থেকে তাঁকে অন্য সমন্বয়কেরা এড়িয়ে চলতেন। কারণ, তিনি বৈষম্যবিরোধী প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে দিতে বলেছিলেন। তিনি বলেন, আন্দোলনের শেষের দিকে সমন্বয়কদের কার্যকারিতা কমে গিয়েছিল। কারণ, মানুষ স্বতন্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলছিল বিভিন্ন জায়গায়। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বলায় অন্যান্য নেতারা তাঁর প্রতি রুষ্ট হন।

বৈষম্যবিরোধীর আহ্বায়ক কমিটি গঠন করার আগে তাঁর সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি। বরং তাঁকে জানানো হয়েছিল, তাঁকে নিয়ে ভাবা হচ্ছে। পরে সিনিয়র নেতারা তাঁকে ডাকসু নির্বাচনের এজিএস অথবা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মুখপাত্র–দুটি পদের মধ্যে একটি বেছে নিতে বলেন। পরে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্যও শর্ত দেওয়া হয় তাঁকে।

উমামা জুলাই আহতদের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে কাজ করার জন্য এই প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হন। কিন্তু রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ব্যাপারে কোনো নিশ্চয়তা দেননি।

উমামা আরও বলেন, দায়িত্বে থাকাকালীন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ক্ষমতার অপব্যবহারের অনেক নমুনা তিনি দেখেছেন কিন্তু সমাধান করতে গিয়ে দেখেছেন অপরাধীদের শিকড় অনেক গভীরে। চট্টগ্রামে চাঁদাবাজি নিয়ে তিনি বলেন, চট্টগ্রামের সংবাদ অনেক আগেই তাঁর কাছে এসেছে কিন্তু তিনি কিছু করতে পারেননি।

উমামার কাছে জুলাই একটি বড় অভিজ্ঞতা। তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী প্লাটফর্মে আসার পরে বুঝতে পারেন, জুলাই বেচে টেন্ডার-বাণিজ্য করা যায়, ডিসি নিয়োগ করা যায়।

উমামা আরও দাবি করেন, ‘জুলাই একটি মানি মেকিং মেশিনে পরিণত হয়েছে এবং উমামা ফাতেমা বিক্রিযোগ্য না। বহু জুলাই আসবে, জীবনের আরও বহু অলিগলি হাঁটা বাকি। বাংলাদেশ অনেক কঠিন রাজনৈতিক বাস্তবতার মধ্যে এসে পৌঁছিয়েছে।’

Ad 300x250

বাংলাদেশে এখন বাঘের সংখ্যা কত, বাঘ সংরক্ষণে সুন্দরবনের কী ভূমিকা

নিউইয়র্কে বন্দুকধারীর গুলিতে বাংলাদেশি অভিবাসী পুলিশসহ চারজন নিহত

জুলাই সনদ নিয়ে আলাপ হলেও রাজনৈতিক আদর্শিক কারণে ঐকমত্য হয়নি: উপদেষ্টা মাহফুজ

চাঁদাবাজদের অভয়াশ্রম এনসিপি হবে না : হাসনাত আব্দুল্লাহ

এক বছরেই বিলুপ্তির মুখে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন: নেপথ্যে সাংগঠনিক দুর্বলতা ও কোরাম

সম্পর্কিত