leadT1ad

ছাত্রের যৌন নিপীড়নের মামলা, ঢাবি শিক্ষক কারাগারে

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

প্রকাশ : ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ২২: ৪৪
অভিযুক্ত শিক্ষক এরশাদ হালিম। সংগৃহীত ছবি

যৌন নিপীড়নের অভিযোগে ছাত্রের করা মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক এরশাদ হালিমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম এ আদেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন প্রসিকিউশন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম।

এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে ঢাকার শেওড়াপাড়ার বাসা থেকে এরশাদ হালিমকে গ্রেপ্তার করে মিরপুর মডেল থানা-পুলিশ।

শুক্রবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার এসআই মেহেদী হাসান মিলন তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে, এরশাদ হালিমের পক্ষে তাঁর আইনজীবী শ্যামল কুমার রায় জামিন চেয়ে আবেদন করেন।

মামলার অভিযোগে জানা যায়, ভুক্তভোগী রসায়ন বিভাগে পড়েন। গত ২৬ সেপ্টেম্বর তিনি একটি পরীক্ষাসংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে এরশাদ হালিমের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরশাদ হালিম সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে তাকে শেওড়াপাড়ায় বাসায় যেতে বলেন। সেখানে যাওয়ার পর তিনি যৌন হয়রানির শিকার হন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।

মামলায় এ-ও বলা হয়, পরের দিন ওই ছাত্রকে ফোনে এরশাদ হালিম জানান, তাঁর পরীক্ষাসংক্রান্ত সমস্যার বিষয়ে প্রক্টরের সঙ্গে আলোচনা করেছেন এবং তাঁকে বিকেলের পালায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দেবেন।

সেদিন ওই শিক্ষক তাঁকে আবার শেওড়াপাড়ার বাসায় ডাকেন বলে অভিযোগে দাবি করা হয়েছে। ওই ছাত্র আরও বলেছেন, শিক্ষকের ‘সমকামী আচরণের’ কারণে তিনি ওই বাসায় আর যাননি। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে তিনি গ্রামের বাড়িতে চলে যান। গ্রামের বাড়িতে চলে যাওয়ায় এরশাদ হালিম ফোন করে তাঁকে গালাগাল করেন।

১০ অক্টোবর ঢাকায় আসার কথা তুলে ধরে মামলায় বলা হয়েছে, এরশাদ হালিম আবার ফোন করে বাসায় ডাকলে ওই ছাত্র প্রথমে রাজি হননি।

ওই ছাত্রের ভাষ্য, পরীক্ষার জটিলতার বিষয়টি জানতে পারলে তাঁর বাবার অসুস্থতা বেড়ে যেতে পারে ভেবে তিনি ১৪ অক্টোবর রাতে আবার শেওড়াপাড়ার বাসায় যেতে বাধ্য হন। বাসায় যাওয়ার পর তাঁকে মারধর করার পাশপাশি যৌন নির্যাতন করা হয় বলে মামলায় ওই ছাত্র দাবি করেন।

আজ শুনানির সময় এরশাদ হালিমের আইনজীবী শ্যামল কুমার রায় আদালতকে বলেন, ‘আসামিকে হয়রানি করতে মামলায় জড়ানো হয়েছে। কার্যত এ ধরনের কোনো ঘটনাই ঘটেনি; ঘটলে মেডিকেলের সনদ থাকত। এরশাদ হালিম বিভাগের রাজনীতির শিকার।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের বলেছেন, বৃহস্পতিবার ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে একদল শিক্ষার্থী অভিযোগ জানিয়েছেন। এরপরই অভিযুক্ত শিক্ষককে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অভিযোগটি যৌন নিপীড়ন সেলে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Ad 300x250

সম্পর্কিত