leadT1ad

নির্বাচিত সরকার সংবিধানের তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করবে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’

স্ট্রিম প্রতিবেদকঢাকা
প্রকাশ : ০৫ আগস্ট ২০২৫, ২০: ০৯
আজ ৫ আগস্ট বিকেলে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজ থেকে

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস পঠিত জুলাই ঘোষণাপত্রটি নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকার ক্ষমতায় এসে সংবিধানের তফসিলে সন্নিবেশিত করবে।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিকেল ৫টা ২০ মিনিটের দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে ‘৩৬ জুলাই উদ্‌যাপন’ অনুষ্ঠানে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন মুহাম্মদ ইউনূস।

অনুষ্ঠানে সরকারের উপদেষ্টা, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

ঘোষণাপত্রে বলা হয়, বাংলাদেশের জনগণ যুক্তিসঙ্গত সময়ে আয়োজিতব্য অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ একটি নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত জাতীয় সংসদে প্রতিশ্রুত প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক সংস্কারের মাধ্যমে দেশের মানুষের প্রত্যাশা, বিশেষত তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী আইনের শাসন ও মানবাধিকার, দুর্নীতি, শোষণমুক্ত, বৈষম্যহীন ও মূল্যবোধসম্পন্ন সমাজ এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার অভিপ্রায় ব্যক্ত করছে।

ছাত্র-গণঅভ্যুত্থান ২০২৪-এর উপযুক্ত রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান করা হবে এবং পরবর্তী নির্বাচনে নির্বাচিত সরকারের সংস্কারকৃত সংবিধানের তফসিলে এই ঘোষণাপত্র সন্নিবেশিত থাকবে বলেও ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়।

এতে বলা হয়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে বিজয়ী বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হিসেবে এই ঘোষণাপত্র প্রণয়ন করা হলো।

ঘোষণাপত্রে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের ‘জাতীয় বীর’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, বাংলাদেশের জনগণ জুলাই গনঅভ্যুত্থানের শহীদদের জাতীয় বীর ঘোষণা করে শহীদদের পরিবার, আহত যোদ্ধা এবং আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতাকে প্রয়োজনীয় সকল আইনি সুরক্ষা দেওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করছে।

ঘোষণাপত্রে বলা হয়, সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে সুপ্রিম কোর্টের মতামতের আলোকে সাংবিধানিকভাবে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট অন্তর্বতীকালীন সরকার গঠন করা হয়।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশের জনগণ সুশাসন ও সুষ্ঠু নির্বাচন, ফ্যাসিবাদী শাসনের পুনরাবৃত্তি রোধ, আইনের শাসন এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে বিদ্যমান সংবিধান ও সকল রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের গণতান্ত্রিক সংস্কার সাধনের অভিপ্রায় ব্যক্ত করছে।

ঘোষণাপত্রে এ-ও বলা হয়, বাংলাদেশের জনগণ বিগত ১৬ বছরের দীর্ঘ ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামকালে এবং ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানকালে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক সংঘটিত গুম-খুন, হত্যা, গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও সকল ধরনের নির্যাতন, নিপীড়ন এবং রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি লুণ্ঠনের অপরাধের দ্রুত উপযুক্ত বিচারের দৃঢ় অভিপ্রায় ব্যক্ত করছে।

Ad 300x250

বিএনপির সাংবাদিক হওয়ার দরকার নেই, জনগণের পক্ষে দাঁড়ান: আমীর খসরু

আমরা স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক ও সংবেদনশীল হওয়ার চেষ্টা করছি: মাহফুজ আলম

পিটার হাস যুক্তরাষ্ট্রেই, জানালেন ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার

ছাত্র-জনতার বিজয় উদযাপন

শিবিরের প্রদর্শনীতে যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্তদের ছবি, বামপন্থীদের আপত্তিতে সরাল ঢাবি প্রশাসন

সম্পর্কিত